পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা কমলেও টানা পাঁচদিন ধরে সন্ধ্যা থেকে পর দিন সকাল পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাসে দুর্ভোগে পড়ছেন সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষরা। প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা। পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত সোমবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানিয়েছে, কুয়াশার দাপট কমলেও দিনভর রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাস থাকায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান দিন দিন কমছে। পাঁচ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। একইসঙ্গে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠানামা করছে ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সর্বশেষ গতকাল বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাস। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের আলো ছড়ালে শীতের প্রকোপ কিছুটা কমে আসে। কনকনে শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। রাতভর বইছে হিমেল বাতাস, টিপটপ বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সকাল অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, টানা পাঁচ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। বর্তমানে এই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আকাশে কুয়াশা ও মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাসে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এখন থেকে ধীরে ধীরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
মন্তব্য করুন