জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত
উপজেলা নির্বাচনের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী ৮ মে’র কয়েকটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওইদিন অনার্স ৩য় বর্ষ ও ডিগ্রি (পাস) ১ম বর্ষের পরীক্ষা ছিল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থগিত অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৯ মে এবং ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া পূর্ব ঘোষিত অন্যান্য তারিখ ও সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ কারণে ওইদিনের পরীক্ষা পিছিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে (ভাইস চ্যান্সেলর) পাঠিয়েছে ইসি। চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে ওই পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৮ মে এর পরিবর্তে অন্য কোনো (২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ব্যতীত) তারিখে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায়, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

বুয়েটে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেই যাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পূর্বনির্ধারিত বাকি টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ওই সিদ্ধান্ত হয়। ঈদ ও নববর্ষের ছুটির পর গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ২১ ও ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন। ঈদের আগে ১৮, ২০ ও ২২ ব্যাচের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন। এমন প্রেক্ষাপটেই টার্ম ফাইনাল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়। বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আল আমিন সিদ্দিক জানান, শিক্ষার্থীরা টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় সামনে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা, সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। তবে বর্জন করা ও স্থগিত হওয়া পরীক্ষা পরে কবে হবে, সে ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের অক্টোবরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত ২৭ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ বহিরাগতদের বুয়েটে প্রবেশ কেন্দ্র করে ২৯ মার্চ থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন / বুয়েটের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেই যাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে টার্ম ফাইনালের পূর্ব নির্ধারিত বাকি পরীক্ষাগুলো স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হয় বলে জানান কাউন্সিল সদস্যরা। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের ছুটি শেষ হলে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ২১ ও ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন। ঈদের আগে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৮, ২০ ও ২২ ব্যাচের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন। এমন প্রেক্ষাপটেই শনিবার বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের নতুন পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক জানান, শিক্ষার্থীরা টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সামনে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিলো সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। তবে বর্জন করা ও স্থগিত হওয়া পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের অক্টোবরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এক ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়  নেতাকর্মীরাসহ অন্যান্য বহিরাগতদের প্রবেশকে কেন্দ্র করে ২৯ মার্চ থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান দিচ্ছেন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

নিয়োগ দিতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত
নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার জামুহালী চশমায়ে দ্বিমুখী আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক-কর্মচারীর পাঁচটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ওই মাদ্রাসায় এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে আসার পর হঠাৎ করেই সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসার মূল ফটকে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ টাঙানো হয়। এ সময় মাদ্রাসায় শুধু একজন নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারী কেউ ছিলেন না। পরীক্ষার্থীরা প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফিরে গেছেন। এদিকে উপাধ্যক্ষসহ এ পদগুলোতে নিয়োগে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়। একে ‘পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা’ বলে দাবি করেন বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুহুল আমিন। তিনি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে পরীক্ষার আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার মূল ফটক বন্ধ। সেখানে নোটিশ টাঙানো রয়েছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, 'এতদ্বারা এত জামুহালী চশমায়ে উলুম দ্বিমুখী আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষা ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হলো। পরবর্তীতে তারিখ জানানো হবে।' মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী মামুনুর রশিদ বলেন, 'অধ্যক্ষ মাদ্রাসায় আসেননি। তিনি সকাল ৯টার একটু আগে আমাকে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ পাঠিয়েছেন। আমি সকাল ৯টায় মাদ্রাসার মূল ফটকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছি। পাঁচটি পদের পরীক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় এসে অপেক্ষা করে চলে গেছেন। আমি ছাড়া অন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা মাদ্রাসায় আসেননি।' জামুহালী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার ছেলে ফেরদাউস হোসেন অফিস সহকারী পদে আবেদন করেছেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বড়তারা ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনকে প্রায় দুই বছর আগে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছি। তিনি নিয়োগ পরীক্ষার দুই দিন আগে আমার কাছে অফিস সহকারী পদের জন্য ১৬ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। এত টাকা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে চেয়ারম্যানকে বলেছি। তখন চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন, টাকা যার চাকরি তার।’ জামুহালী গ্রামের বাসিন্দা আজিজার রহমান বলেন, 'আমার ছেলে সৌরভ হোসেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদন করেছেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু নাছের মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে আমার ১৫ লাখ টাকা চুক্তি হয়েছিল। দুই মাস আগে প্রথমে অধ্যক্ষ সাহেব আমাকে দাতা সদস্য মতিউর রহমানকে আড়াই লাখ টাকা দিতে বলেছিলেন। অধ্যক্ষের কথা মতো তাকে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। এরপর নিশ্চিন্তা বাজারের একটি রড- সিমেন্টের দোকানে বসে অধ্যক্ষ সাহেব আমার কাছে সাড়ে সাত লাখ টাকা নিয়েছেন। মোট ১০ লাখ টাকা দিয়েছি। এখন ওই পদে আরও বেশি টাকা পেয়ে অধ্যক্ষ সাহেব আমার ছেলেকে নিয়োগে গড়িমসি করছেন।' বড়তারা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন লতিফ বলেন, 'আমরা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজনের দাবি করছি। যারা ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।' তবে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বড়তারা ইউপি চেয়ারম্যান ও জামুহালী চশমায়ে উলুম দ্বিমুখী আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, 'মাদ্রাসায় জনবল নিয়োগে কারও কাছে একটি টাকাও নেওয়া হয়নি। কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। ডিজির প্রতিনিধি আসেননি। এ কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।' ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু নাছের মো. রেজাউল করিম বলেন, 'উপাধ্যক্ষসহ পাঁচটি পদে মোট ৪৮ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় পাঁচটি পদে মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ডিজির প্রতিনিধি আসছেন না বলে জানানোর পর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।' ক্ষেতলাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লাহ সরকার বলেন, জামুহালী চশমায়ে উলুম দ্বিমুখী আলিম মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষসহ পাঁচটি পদে নিয়োগের ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের কথা জেনেছি।'
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

১০ ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
দেশের ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অফিসার পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রফিকুল ইসলামের সই বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমেও পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, আগামী ২৩ ডিসেম্বর তারিখের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের সদস্যভুক্ত ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালভিত্তিক অফিসার (জেনারেল)-এর ২ হাজার ৭৭৫টি শূন্যপদে নিয়োগের উদ্দেশে অনুষ্ঠিতব্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ও সময় যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জনতা ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অফিসার (সাধারণ) পদে ২ হাজার ৭৭৫ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে এক হাজার ৫৪টি, জনতা ব্যাংকে ৩০২টি, অগ্রণী ব্যাংকে এক হাজার, রূপালী ব্যাংকে ১৫টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ৩৫টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ২৭৫টি, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ২৪টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ১৯টি, কর্মসংস্থান ব্যাংকে ৪৫টি এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে ৯টি শূন্যপদ রয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
হরতাল-অবরোধসহ উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছাতে একাধিকবার অনুরোধ জানান প্রার্থীরা। কিন্তু তাদের দাবি উপেক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার সভা করে পূর্বনির্ধারিত তারিখেই পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে শেষ পর্যন্ত সে সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেনি। গতকাল শুক্রবার কমিশন নতুন ঘোষণা দিয়ে জানায়, অনিবার্য কারণে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করার কথা। গতকাল বিকেলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠেয় ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। পরিবর্তিত তারিখ ও সময়সূচি যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পিএসসির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা। সেখানে তারা উল্লেখ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর চলমান হরতাল-অবরোধ ধ্বংসাত্মক আকার ধারণ করায় পরীক্ষার পরিবেশ নিয়ে তারা শঙ্কিত। ১২ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর অর্ধেকেরও বেশি ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন। এ অবস্থায় টানা পরীক্ষায় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত।
২৫ নভেম্বর, ২০২৩

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
ঢাকা বিভাগসহ সকল বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠেয় ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক সদয় অবগতি ও কার্যার্থে জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ২৭.১১.২০২৩ থেকে ১১.১২.২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠেয় ৪৫তম বিসিএসের সকল লিখিত পরীক্ষা (আবশ্যিক ও পদ-সংশ্লিষ্ট) অনিবার্য কারণবশত কমিশন স্থগিত করেছে।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ও সময়সূচি যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।  এর আগে, ১৯ নভেম্বর (রোববার) ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও পিএসসির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা। অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী স্বাক্ষরিত ওই আবেদনপত্রে বলা হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিন ঢাকাসহ সারা দেশে ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে পিএসসি লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থী হিসেবে সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে তপশিল ঘোষণার পর চলমান হরতাল-অবরোধ আরও ব্যাপক ও মারাত্মক আকার ধারণ করায় পরীক্ষার পরিবেশ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ১২ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে অর্ধেকের বেশি পরীক্ষার্থী ঢাকা শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে। এ অবস্থায় টানা পরীক্ষায় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৯ মে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ১ হাজার ২২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৪৫তম বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে নিয়োগ পাবেন ৫৩৯ জন। এ ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে ৪৩৭ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৮০, কাস্টমস ক্যাডারে ৫৪ এবং প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানায় পিএসসি।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩

যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে
বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে অবরোধ শুরু হয়ে আগামী শুক্রবার ভোর ৬টায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হবে। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীরা উৎকণ্ঠায় পড়েছেন। ইতোমধ্যে আগামী বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।  পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) পাঁচ ক্যাটাগরির পদে ১০ নভেম্বরের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপহকারী প্রকৌশলী, প্রকর্মী-১ (টেকনিশিয়ান-১), বৈজ্ঞানিক সহকারী-২, টেকনিশিয়ান-২ ও মেকানিক পদের ১০ নভেম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে। স্থাপত্য অধিদপ্তর স্থাপত্য অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৮ ও ৯ নভেম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থগিতকৃত মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, স্থান ও সময় পরে স্থাপত্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেওয়া হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাই (গ্রেড-১৭) পদের প্রার্থীদের শারীরিক পরিমাপের দুই দিনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে ৮ ও ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নির্ধারিত সিপাই পদের শারীরিক পরিমাপ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। এদিকে, গত সপ্তাহেও অবরোধের কারণে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল।
০৭ নভেম্বর, ২০২৩

অবরোধের ডাকে ইবিতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
তৃতীয় দফায় আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর টানা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো। এদিকে অনিবার্য কারণে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির বরাতে এ তথ্য জানায় তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তর। এ ছাড়া ক্লাস-পরীক্ষাসমূহ যথারীতি চলমান থাকবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ ও ৬ নভেম্বর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ এবং চিকিৎসাকেন্দ্রের 'অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট' পদের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
০৭ নভেম্বর, ২০২৩
X