আমদানির খবরে পেঁয়াজ কেজিতে কমলো ১০ টাকা
ভারত থেকে আমদানির খবরে এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। প্রকারভেদে ৭০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতা সাধারণের মাঝে।  সোমবার (৬ মে) সকালে ফুলবাড়ী পৌরসভার সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খবরে বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। রোববার (৫ মে) যে পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকা কেজি দরে, সোমবার (৬ মে) তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হোটেল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, এক মাস আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। তা বেড়ে ৭০ টাকা কেজি হয়েছিল। রোববারও ৭০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছিলেন। সোমবার তা কিনেছেন ৬০ টাকা কেজি দরে। ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ী মিহির চন্দ্র, বিধান চন্দ্র, তুহিন হোসেন ও হামিদুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খরবে পেঁয়াজের মোকামে দাম কমতে শুরু করেছে। এজন্য ৭০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে পুরোদমে পেঁয়াজ আদমানি শুরু হলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। ইউএনও মীর মো. আল কামাহ্‌ তমাল জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে যাতে কেউ অযাচিতভাবে কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে।
০৬ মে, ২০২৪

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। গতকাল শনিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। এর দিন কয়েক আগে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে ভারত সরকার। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে তারা প্রথম পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস-এমইপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫০ ডলার। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এর মধ্যেই পণ্যটি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো। ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই মহারাষ্ট্রের চাষিরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছিলেন। এবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রপ্তানি একেবারে বন্ধ করেনি ভারত। এপ্রিলে বাংলাদেশসহ ৬ দেশে প্রায় এক লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় তারা। বাকি পাঁচটি দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।
০৫ মে, ২০২৪

ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা
প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত সরকার। শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য নিশ্চিত করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—রপ্তানি করা প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ধার্য করা হয়েছে ৫৫০ ডলার, যা নির্ধারণ করে ডিজিএফটি। পেঁয়াজ রপ্তানির এমন সিদ্ধান্ত ভারতীয় রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা। গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এ সময় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকদের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ বাড়ে। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা, যা সামাল দিতেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের। ভারতের মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশটির মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের বেশিরভাগ আসে এই রাজ্য থেকে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরিশাসসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হলেও পরে তা আরও বাড়ানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছিল নয়াদিল্লি।
০৪ মে, ২০২৪

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল শনিবার ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রপ্তানির তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে নিম্ন খরিফ ও রবি মৌসুমে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা বাড়ায় পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এসব পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। সর্বনিম্ন দর (এল১) মূল্যে ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তারা অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে। তারপর শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে রেট নির্ধারণ করে গন্তব্য দেশগুলোতে এজেন্সি বা সরকার মনোনীত এজেন্সিকে সরবরাহ দিয়ে থাকে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত এ পণ্য রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। তখনকার ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার মধ্যেই গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশসহ কয়েক দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল ভারত। পরে নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর এখন এই ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দিল দেশটি। যেসব দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে এনসিইএল। এখন যে দেশগুলোয় পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
বাংলাদেশ-ভুটানসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকায় ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত সরকার। নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়। যার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে। যদিও শেষ পর্যন্ত পূর্বের  নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ভারত সরকার। ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডকে (এনসিইএল) এই পেঁয়াজ রপ্তানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ এবং আলোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে, এই ৬ দেশে এনসিইএল পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানা যায়। যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে থাকে এনসিইএল। আর যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়। এছাড়া ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

পেঁয়াজ আমদানি সুফল বয়ে আনবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে বাংলাদেশে। এ পেঁয়াজ আনা-নেওয়ার বিষয়ে ঝুঁকি নিতে হয়েছে। যদিও এই ঝুঁকি সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, পেঁয়াজ আনা, দরদাম ঠিক করা প্রত্যেকটা জিনিসই কিন্তু আমরা নিজেরা বসে করেছি। পেঁয়াজের দাম যদি হঠাৎ করে কমে যেত, সেটার কিন্তু একটা সম্ভাবনা ছিল। তারপরও আমরা ঝুঁকিটা নিয়েছি। বাকি পেঁয়াজগুলো ধীরে ধীরে চলে আসবে। আমরা চাই না আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে তারা (ভারত) তাদের কথা রেখেছে। তাদের ট্রেন আমাদের সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত এসে পেঁয়াজ দিয়ে গেছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি পেঁয়াজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট। অন্তত এই পেঁয়াজ ১৫ দিন সংরক্ষণ করে বাজারে বিক্রি করা যায়। আমরা এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এখন আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হলো। বাকি পেঁয়াজগুলো আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কত সময়ে আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আনতে পারব। তিনি বলেন, ভারতের বাইরে আমাদের পেঁয়াজের জায়গা হচ্ছে মিসর ও তুর্কি। সেখান থেকে জাহাজে পেঁয়াজে আনতে হয় এবং এটা আনতে অনেক সময় লাগে। ভারতে নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। এরপরও কিন্তু তারা তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। টিটু বলেন, এই একই পেঁয়াজ ভারত সরকার আবুধাবিতে ১২০০ ডলারে বিক্রি করছে। আমরা সেখানে ৮০০ ডলারে নিয়ে এসেছি। আমরা অনেক নেগোশিয়েট করেছি। কারণ তারা যে দাম ধরিয়ে দিয়েছিল সেই দামে আমরা ভর্তুকি দিয়ে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তে পারব না। আমাদের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব অনেক পরিশ্রম করেছেন। সঙ্গে ছিলেন টিসিবির টিম। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান প্রমুখ।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতের পেঁয়াজ ঢাকায় বিক্রি হবে ৪০ টাকায়
ভারতের পেঁয়াজ আজ সোমবার থেকে রাজধানীতে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। গতকাল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোববার রাতেই ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে বাংলাদেশে। আজ সোমবার পরিবেশকদের এই পেঁয়াজ দেওয়া হবে। ভারত বাংলাদেশকে যে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার প্রথম চালানে এই পরিমাণ পেঁয়াজ আসছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এই পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্রি করা হবে। রোজা শুরুর পর বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমেছে বলেও জানান তিনি। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে বিক্রির কারণ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকায় ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করলে ৬৪ জেলার অনন্ত ৩০টিতে এর দাম ৪০ টাকায় চলে আসবে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, আমরা সরু, চিকন ও মোটা চাল পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে জাতভিত্তিক চালের নাম মিলার, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে বিক্রির একটি রূপরেখা তৈরি করেছি, যা পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

ভারত থেকে টিসিবির ১৬শ টন পেঁয়াজ আমদানি
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ৫টায় ৪২টি রেলওয়াগনে করে এ চালান আসে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এ পেঁয়াজ আমদানি করেছে।   টিসিবি ভারত থেকে মোট ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে। এর মধ্যে প্রথম চালানে আজ ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে ঢুকল। ইনভয়েসে প্রতি টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ৪৩৫ ডলার। এ পেঁয়াজ খালাসে নিযুক্ত দর্শনা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আতিয়ার রহমান জানান, টিসিবি ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে। প্রথম চালানে আসা ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজের মধ্যে ১২শ টন ঢাকা সিটিতে ও ৪শ টন চট্টগ্রাম সিটিতে যাবে। পরে পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজ আসলে সারা দেশে দেওয়া হবে। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক জানান, রোববার বিকেলে ৪২টি ওয়াগনে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দর্শনা বন্দর ইয়ার্ডে এসেছে। এ পেঁয়াজ দর্শনা বন্দর থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে বুকিং দেওয়া হয়েছে। কাস্টমস ইনভেন্টরি ও শুল্কায়ন, কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র এবং রেলভাড়া পরিশোধের পর রাতেই আমদানি করা পেঁয়াজ সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে চলে যাবে।  দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিক ইনভেনটরিতে আমদানি করা এ পেঁয়াজ গুণগত মানসম্পন্ন বলে মনে হয়েছে। যথাযথ শুল্কায়নের পর খুব দ্রুত পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এতে বাজার অনেকটা স্থিতিশীল হবে।’
৩১ মার্চ, ২০২৪

রাতেই ভারত থেকে আসবে পেঁয়াজ
একদিনের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রামে টিসিবির মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজিতে খোলা বাজারে বিক্রি করা হবে পেঁয়াজ। এ জন্য আজকে রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা জানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য সেহেতু প্রথম ট্রেনে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসবে। এর আগে ভারত থেকে ২৯ মার্চ শুক্রবার প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান। রেজওয়ানুর রহমান জানান, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দেশের বাজারে কমতে থাকে পণ্যটির দাম। এর আগে ২৭ মার্চ বুধবার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। এর আগে, গত ২ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নারী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছিলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এদিকে, এখন দেশে হালি পেঁয়াজের পূর্ণাঙ্গ মৌসুম চলছে। পেঁয়াজের দাম এখনো সহনীয় আছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলেও দামের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৩১ মার্চ, ২০২৪
X