প্রবাস ফেরত যুবকের আত্মহত্যা 
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রবাস ফেরত ওমর ফারুক (২৩) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ইয়াসিন মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।  নিহত ওমর ফারুক ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রমিজ উদ্দিন ফকির বাড়ির শাহ পরানের ছেলে। নিহত ওমর ফারুকের চাচা সোলেমান ও ভাগিনা দুলাল হোসেন জানান, ওমর ফারুক ২ বার প্রবাসে গেলেও বিভিন্ন কারণে প্রবাস থেকে ফেরত আসেন। তারপরও সে ঋণ করে গত সাত থেকে আট মাস পূর্বে আবারও প্রবাসে (সিঙ্গাপুর) যায়। এবারও আশানুরূপ না হওয়ায় গত ২ মাস পূর্বে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরত আসেন। এ নিয়ে ঋণ ও নানা দুশ্চিন্তার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সে। এই হতাশা থেকেই শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের লোকজনের অগোচরে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দেয় ওমর ফারুক। পরে পরিবারের লোকজন তার রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকির করে। কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। ভেতরে গিয়ে দেখেন সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস অবস্থায় ওমর ফারুক ঝুলে আছে। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি এস এম আতিক উল্লাহ বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই এলাকার ওমর ফারুক নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে যেহেতু সে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার আওতাধীন এলাকা ইয়াসিন মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করেছে সেহেতু সদর দক্ষিণ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।  
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সোনারগাঁয়ে প্রবাস ফেরত যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক কলহের জেরে আল আমিন হোসেন (৩৮) নামের এক প্রবাস ফেরত যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে।  নিহত আল আমিন হোসেন সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি এলাকার ইসমাইল মিয়ার ছেলে। সে এক পুত্রসন্তানের পিতা ও তার স্ত্রী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। নিহতের স্বজন আব্দুল খালেক কালবেলাকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে আল আমিনকে তার চাচাতো ভাই সুজন ঘুরতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর রাত হয়ে গেলেও তারা বাড়িতে ফেরেনি এবং দু'জনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সুজন একা বাড়ি ফিরলে আল আমিনের কথা জিজ্ঞেস করলে উত্তরে সে জানায় তার বিষয়ে সে কিছুই জানে না। সুজনের কথায় সন্দেহ হলে কৌশলে তাকে সোনারগাঁ থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে আটক করা হয়। পরবর্তীতে মোবাইল নাম্বারের সর্বশেষ লোকেশন ট্র্যাকিং করে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পার্শ্ববর্তী মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা এলাকা সংলগ্ন একটি বালুর চর থেকে আল আমিনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোনারগাঁ থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, আল আমিন নামের যুবককে হত্যার অভিযোগে সুজন নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। মেঘনা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

কৃষি খামার গড়ে কোটিপতি প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কৃষি খামার গড়ে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন প্রবাসফেরত দুই বন্ধু। সফল হয়ে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নিজেদের স্বপ্নপূরণ করে চলছেন। উন্নত জাতের শাকসবজি চাষ করে বছরে কোটি টাকা আয় করে কৃষিকে সম্ভাবনাময়ী শিল্প হিসেবে গড়ে তুলেছেন তারা। সরকারি সহযোগিতা পেলে গ্রিন হাউস নির্মাণসহ আরও বড় পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। খামারের কৃষিপণ্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় উপজেলায় সরবরাহ হচ্ছে। প্রবাসফেরত দুই বন্ধু এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদ এক যুগেরও বেশি সময় প্রবাসজীবন শেষে ২০১২ সালে দেশে ফিরে এসে নিজ এলাকায় একটি কৃষি খামার গড়ার পরিকল্পনা করেন। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ বিঘা কৃষি জমি পত্তন নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করেন। শুরুতে দুই বন্ধু ১৩ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে চাষ করেন বিভিন্ন জাতের কৃষি পণ্য। প্রথমে দুই বছর লাভের মুখ না দেখলেও পরের বছর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। বর্তমানে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে পরিণত হয়েছে এই খামারটি। তাদের এই খামারে প্রায় ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ নিয়মিত কাজ করছে। বর্তমানে খামার থেকে বছরে আয় হয় প্রায় কোটি টাকা। তাদের এই খামারে দেশি-বিদেশি ও উন্নত জাতের আগাম জাতের টমেটো, শসাসহ ঋতুভিত্তিক শাকসবজি এবং আগাম জাতের তরমুজ ও চাষ হচ্ছে। এ বছর খামারের ৩৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন শীতকালীন আগাম জাতের টমেটো। খামার থেকেই প্রতি কেজি টমেটো পাইকারী ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা। প্রতি মাসে কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন ৬ লাখ টাকার উপরে। পাশাপাশি আগ্রহী বেকার যুবকদেরও কৃষিকাজে উৎসাহ দিচ্ছেন। খামার মালিক এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদ বলেন, টানা দুই বছর অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তারপর থেকেই আমাদের সফলতা শুরু। সরকারের সহযোগিতা পেলে গ্রিন হাউস করার কথা জানান তারা। সবসময় আগাম জাতের শাকসবজি চাষ করি। এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগাম জাতের কৃষিপণ্যগুলো বাজারজাত করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকি। কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, দেশের কৃষি বর্তমানে দিন দিন বাণিজ্যিক কৃষিতে পরিণত হচ্ছে। কৃষিজাত ফসল চাষাবাদ করে সফল হওয়া যায় এমন দৃষ্টান্ত এখন প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু। তারা গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন ফসল চাষ করে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হচ্ছেন।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

কৃষি খামার গড়ে কোটিপতি প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কৃষি খামার গড়ে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু। সফল হয়ে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করে চলেছেন। উন্নত জাতের শাকসবজি চাষ করে বছরে কোটি টাকা আয় করে কৃষিকে সম্ভাবনাময়ী শিল্প হিসেবে গড়ে তুলেছেন তারা। সরকারি সহযোগিতা পেলে গ্রিন হাউজ নির্মাণসহ আরও বড় পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। খামারের কৃষিপণ্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করছেন তারা। প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদ। এক যুগেরও বেশি সময় প্রবাস জীবন শেষে ২০১২ সালে দেশে ফিরে এসে নিজ এলাকায় একটি কৃষি খামার গড়ার পরিকল্পনা করেন। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ বিঘা কৃষি জমি পত্তন নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করেন। শুরুতে দুই বন্ধু ১৩ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে চাষ করেন বিভিন্ন জাতের কৃষি পণ্য। প্রথমে দুই বছর লাভের মুখ না দেখলেও পরের বছর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। বর্তমানে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে পরিণত হয়েছে এই খামারটি। তাদের এই খামারে প্রায় ৪০/৫০ জন নারী-পুরুষ নিয়মিত কাজ করছে। বর্তমানে খামার থেকে বছরে আয় হয় প্রায় কোটি টাকা।   তাদের এই খামারে দেশি-বিদেশি ও উন্নত জাতের আগাম জাতের টমেটো, শসাসহ ঋতুভিত্তিক শাকসবজি এবং আগাম জাতের তরমুজ ও চাষ হচ্ছে। এবছর খামারের ৩৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন শীতকালীন আগাম জাতের টমেটো। খামার থেকেই প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা। প্রতি মাসে কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন ৬ লাখ টাকার বেশি। পাশাপাশি আগ্রহী বেকার যুবকদেরও কৃষি কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন। খামার মালিক এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদ বলেন, টানা দুই বছর অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তারপর থেকেই আমাদের সফলতা শুরু। সব সময় আগাম জাতের শাকসবজি চাষ করি। এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগাম জাতের কৃষিপণ্যগুলো বাজারজাত করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকি। সরকারের সহযোগিতা পেলে গ্রিন হাউজ করার কথাও জানান তারা।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, দেশের কৃষি বর্তমানে দিন দিন বাণিজ্যিক কৃষিতে পরিণত হচ্ছে। কৃষিজাত ফসল চাষাবাদ করে সফল হওয়া যায় এমন দৃষ্টান্ত এখন প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু। তারা গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন ফসল চাষ করে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হচ্ছেন।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্কোয়াশ চাষে ভাগ্যবদলের আশা প্রবাস ফেরত সোহেলের
উচ্চমূল্যের নতুন জাতের আঁশ জাতীয় বিশমুক্ত বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বিদেশ ফেরত যুবক সোহেল। ইতোমধ্যেই নতুন জাতের নানারকম সবজি উৎপাদন করে সফল চাষি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।  স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজি। স্কোয়াশ মূলত একটি শীতকালীন সবজি। এটা দেখতে অনেকটা বাঙ্গি ফলের মতো। এটি মিষ্টি কুমড়ার স্বাদে পুষ্টিকর একটি সবজি। সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াশ নতুন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ও দামও আশাব্যঞ্জক। জানা গেছে, স্কোয়াশ চাষি সোহেল রানা উপজেলা সদরের মহালক্ষীপাড়া গ্রামের মাওলানা আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি কয়েক বছর আগে প্রবাসী জীবনের ইতি টেনে চলে আসেন স্বদেশে। তারপর থেকেই নিজের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ফসল উৎপাদন করে ভাগ্যবদলের নেশায় ডুবে যান তিনি। নতুন নতুন সবজি চাষে মনোনিবেশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউটিউবে স্কোয়াশ চাষের একাধিক প্রতিবেদন দেখে স্কোয়াশ চাষে উদ্বুদ্ধ হোন তিনি। পরে স্কোয়াশের বীজ সংগ্রহ করে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করে ওই বীজ বপণ করেন। স্কোয়াশের চারা রোপণের উপযোগী হলে প্রায় ২১ শতক জমিতে স্কোয়াশের চারা রোপণ করেন তিনি। মাসখানেক পরেই গাছে দুই-তিনটি করে স্কোয়াশ ফল ধরতে শুরু করে। স্কোয়াশ বিক্রি উপযোগী হতেই বিক্রি শুরু করেন তিনি। বর্তমানে বাজারে স্কোয়াশ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।  স্কোয়াশ চাষি সোহেল রানা বলেন, ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে পরীক্ষামূলকভাবে এ বছর স্কোয়াশ চাষ করেছি। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে নিবিড় পরিচর্যা ও কোনো রোগবালাই না হওয়ায় স্বল্প খরচে ভালো ফলন পেয়েছি। আমাকে দেখে অনেক কৃষকও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আগামীতে স্কোয়াশ চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করার আশা আছে। স্কোয়াশ সব মাটিতে ভালো হয় না। কেবল বেলে, দোআঁশ মাটিতে ভালো ফলন হয়। প্রতিটি স্কোয়াশ গাছে রোপণের পর থেকে প্রায় আড়াই মাসে ৮ থেকে ১০টির মতো ফল ধরে।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা কালবেলাকে বলেন, স্কোয়াশ বিগত কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে। স্কোয়াশ চাষের সুবিধা হচ্ছে, এটি অল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে চাষ করা যায়। এটি চাষে অল্প জায়গা দখল করে। সঠিক পরিচর্যা ও কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এটি আবাদ করলে প্রতি গাছে ৮ থেকে ১০টি ফল ধরে। দেশে ও বিদেশে এ সবজির ভালো চাহিদা আছে। বাজারে এর দামও ভালো। ফলে অন্যান্য কুমড়া জাতীয় সবজির তুলনায় স্কোয়াশ চাষ লাভজনক। 
২৪ নভেম্বর, ২০২৩

প্রবাস থেকে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিএনপির
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ না করলে প্রবাসেও লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি।  বাংলাদেশের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর স্থানীয় সময়) দুপুরে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাদের এ কথা বলেন।  অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।  যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন।  লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আনোয়ার হোসেন। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। আনোয়ারুল ইসলাম ও মোশারফ সবুজের যৌথ পরিচালনায় ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুস সবুর, গিয়াস উদ্দিন, ফারুক চৌধুরী শাহ আলম, সফিক রহমান দুলাল, মুক্তিযোদ্ধা মো. সেলিম, শরিফ লস্কর, ফারুক হোসেন মজুমদার সাইফুল ইসলাম, মাকসুদুল হক চৌধুরী, সাইফুর খান হারুন, মো. খোরশেদ আলম, নুর আলম, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, মো. সুরুজ্জামান, মোস্তাক আহাম্মেদ, মাখলুকুর রহমান, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. তওহিদ, আহম্মেদ সোহেল, রাসেদ রহমান, ম ম জসিম, শাহাদত হোসেন রাজুসহ অনেকেই। মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ ফের একতরফা নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। যদিও নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অসন্তোষের কথা বারবার জানিয়েছে। ক্ষমতায় থেকে একতরফা নির্বাচন করতে সরকার এখন প্রশাসন-রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগাচ্ছে। বিশেষ করে পুলিশ ক্ষমতাসীনদের খায়েশ পূরণে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করছে। তারা বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। তবে অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রবাসে বিএনপি নেতাকর্মীরা লাগাতার কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবে। তিনি অবিলম্বে সরকারকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল বাতিল করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। তা না দেশের জনগণ ও বিদেশিদের পরামর্শ-প্রস্তাব উপেক্ষা করে একপক্ষীয় নির্বাচন করা দেশবাসীর জন্য অশনী সংকেত হবে।
২২ নভেম্বর, ২০২৩

বন্ধু থেকে ৫০টি কলা চারা নিয়ে স্বাবলম্বী প্রবাস ফেরত মোস্তফা
বন্ধুর কাছ থেকে ৫০টি কলা চারা নিয়ে শুরু হয়ে মিরসরাইয়ের প্রবাস ফেরত নুরুল মোস্তফা (৫০) কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এখন তার বাগানে রয়েছে হাজারেরও বেশি কলা গাছ। দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে তেমন কিছুই করতে পারেননি এই প্রবাসী মোস্তফা। অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। তিন বছর আগে বাড়ির পাশের জায়গায় ৫০টি চারা দিয়ে শুরু করেছেন কলা চাষ। অন্যান্য চাষাবাদের পাশাপাশি কলা চাষ করে ভালো আয় করছেন তিনি।  নুরুল মোস্তফা মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের উত্তর ডোমখালী গ্রামের মৃত নুরুল আলমের পুত্র। সম্প্রতি নুরুল মোস্তফার কলা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালপাড়ে প্রায় ২২ শতক জায়গার ওপর দৃষ্টিনন্দন সবুজ কলা বাগান। বাগানের বিভিন্ন গাছে ঝুলছে কলার কাঁদি। মোস্তফা ও তার ছেলে বাগানে পরিচর্যা করছেন। পাশের জমিতে ধান চাষ করেছেন। দৈনিক ৩ থেকে ৪ বার বাগানে এসে সময় দেন তিনি। মাঝে মধ্যে কলাবাগানের পরিচর্যা করার জন্য শ্রমিক দিয়ে কাজ করান। কলা বাগানে কথা হয় প্রবাস ফেরত চাষি নুরুল মোস্তফার সাথে। তিনি বলেন, জীবিকার সন্ধানে প্রবাসে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে ভালো কিছু করতে পারিনি। অসুস্থ হয়ে দেশে চলে আসি। দেশে এসে নিজের কিছু জমি ছিল এবং আরও কিছু জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছি। তিন বছর আগে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে ৫০টি দেশি কলার চারা লাগিয়ে ছোট্ট পরিসরে কলার বাগান শুরু করি। এরপর ক্রমান্বয়ে চাষের পরিধি বাড়তে থাকে। এখন ২২ শতক জায়গায় কলা চাষ রয়েছে। বাগানে রয়েছে ছোট বড় প্রায় এক হাজার কলা গাছ। চাষাবাদ ও কলা বিক্রির আয় দিয়ে দুই ছেলের পড়ালেখা চলছে। তিনি আরও বলেন, একটি গাছ থেকে ৪ থেকে ৫টি চারা জন্মায়। এগুলো ধীরে ধীরে বড় গাছে পরিণত হয়। সেসব গাছে কলার ফলন হয়। আমার বাগানে উৎপাদিত কলা বাজারে নেওয়া প্রয়োজন হয় না। বাগান থেকে এসে পাইকাররা নিয়ে যায়। আত্মীয় স্বজন-পাড়া প্রতিবেশীকে দিয়ে আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকার কলা বিক্রি করেছি। বাগানে যে পরিমাণ গাছ রয়েছে আরও এক লাখ টাকার কলা বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছি।  এতো কিছুর পরেও আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, কলা চাষে কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি। শুনেছি বিভিন্ন ফলের বাগান করতে সরকারিভাবে ঋণ দেওয়া হয়, তাও কপালে জোটেনি।  জানা গেছে, বাজারের কলায় যখন কেমিক্যাল ও ফরমালিনে ভরপুর, তখন নুরুল মোস্তফার বাগানে উৎপাদিত কেমিক্যালমুক্ত কলার বেশ চাহিদা রয়েছে। যদিও তিনি পাইকারিভাবে প্রতি পিস কলা ৫ থেকে ৬ টাকায় বিক্রি করে থাকেন। পাইকাররা তার কাছ থেকে কিনে প্রতি পিস কলা ১০ থেকে ১২ টাকায় খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। বদিউল আলম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, প্রবাস ফেরত নুরুল মোস্তফা এখন ধান চাষ থেকে কলা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। পারিবারিক ও আত্মীয়স্বজনের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করছেন। এলাকায় উনার বাগানে উৎপাদিত কলার বেশ চাহিদা রয়েছে। আশপাশের অনেকে উনার দেখাদেখি কলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সোনালি স্বপ্ন পাঠাশালার পরিচালক মঈনুল হোসেন টিপু কালবেলাকে বলেন, যখন বাজারে বিভিন্ন ফলে কেমিক্যাল ও ফরমালিনে ভরপুর, ঠিক তখনই তখন নুরুল মোস্তফা কেমিকেলমুক্ত কলা চাষ করেছেন। তার এ কেমিক্যালমুক্ত কলার বাজারে অনেক চাহিদা রয়েছে। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকে বেকার যুবক কলা চাষে আগ্রহী উঠছেন বলেও জানান তিনি। যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় কালবেলাকে বলেন, নুরুল মোস্তফার কলা বাগানের কথা শুনেছি। তবে এখনো বাগানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে কৃষক নুরুল মোস্তফা যখন থেকে কলা চাষ শুরু করেছেন আমাদেরকে জানায়নি, তাহলে কি করে তাকে সহযোগিতা করব। তিনি আরও বলেন, এবার মিরসরাইয়ে প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে কলা আবাদ হয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে বেশিরভাগ চাষ হয়েছে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৩

প্রবাস ফেরত যুবককে গলা কেটে হত্যা, স্ত্রী আটক
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে প্রবাসফেরত এমরান হোসেনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারের ট্রাক রোডের সার্কেল অফিসসংলগ্ন আমেনা ভিলায় এ ঘটনা ঘটে।  এমরান হোসেন (৪০) ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড লক্ষীপুর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে।  নিহতের প্রতিবেশী জিসান জানান, হঠাৎ চিৎকার শুনে দৌড়ে পাশের ফ্লাটে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। পরে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন এমরানের মাথা স্ত্রী ফারজানা বেগম পায়ের ওপর নিয়ে চিৎকার করছেন। পরে রক্ত দেখে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। এমরান হোসেনের ছোট বোন জানান, তার ভাই সৌদি প্রবাসী ছিলেন। বিয়ের পর থেকে দশ বছর ধরেই হাজীগঞ্জে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। পরকীয়ার জের ধরে তার ভাইকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন ফারজানা। তার ভাই এমরানকে পরকীরার বলি হতে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। স্ত্রী ফারজানা বেগম জানান, শাহরাস্তি উপজেলার বাসিন্দা সৈয়দ আশেক এলাহি বাবু দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। বিষয়টি এমরান হোসেনকে জাননো হয়। এ নিয়ে হাজীগঞ্জ থানা ও পারিবারিকভাবে একাধিকবার বৈঠকে বসে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাদের ভাড়া বাসায় এমরান হোসেনের সঙ্গে সৈয়দ আশেক এলাহি বাবুর কথাকাটাকাটি হয়। কিছু সময় যাওয়ার পর তিনি বাথরুমে প্রবেশ করেন। হঠাৎ শব্দ শুনে বেরিয়ে এসে দেখেন এমরান রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছে।  পরে চিৎকার করলে সৈয়দ আশেক এলাহি বাবু তাকেও হামলা করে গলার চেইন ছিনিয়ে নেয় বলে দাবি করেন। হাজীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। এমরানের স্ত্রী ফারজানাকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
০৯ অক্টোবর, ২০২৩
X