লিয়াকত মাসুদ, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কৃষি খামার গড়ে কোটিপতি প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু

কসবায় প্রবাস ফেরত দুই বন্ধুর সবজি ক্ষেত। ছবি : কালবেলা
কসবায় প্রবাস ফেরত দুই বন্ধুর সবজি ক্ষেত। ছবি : কালবেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কৃষি খামার গড়ে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু। সফল হয়ে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করে চলেছেন। উন্নত জাতের শাকসবজি চাষ করে বছরে কোটি টাকা আয় করে কৃষিকে সম্ভাবনাময়ী শিল্প হিসেবে গড়ে তুলেছেন তারা। সরকারি সহযোগিতা পেলে গ্রিন হাউজ নির্মাণসহ আরও বড় পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। খামারের কৃষিপণ্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করছেন তারা।

প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদ। এক যুগেরও বেশি সময় প্রবাস জীবন শেষে ২০১২ সালে দেশে ফিরে এসে নিজ এলাকায় একটি কৃষি খামার গড়ার পরিকল্পনা করেন। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ বিঘা কৃষি জমি পত্তন নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করেন। শুরুতে দুই বন্ধু ১৩ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে চাষ করেন বিভিন্ন জাতের কৃষি পণ্য। প্রথমে দুই বছর লাভের মুখ না দেখলেও পরের বছর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। বর্তমানে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে পরিণত হয়েছে এই খামারটি। তাদের এই খামারে প্রায় ৪০/৫০ জন নারী-পুরুষ নিয়মিত কাজ করছে। বর্তমানে খামার থেকে বছরে আয় হয় প্রায় কোটি টাকা। তাদের এই খামারে দেশি-বিদেশি ও উন্নত জাতের আগাম জাতের টমেটো, শসাসহ ঋতুভিত্তিক শাকসবজি এবং আগাম জাতের তরমুজ ও চাষ হচ্ছে। এবছর খামারের ৩৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন শীতকালীন আগাম জাতের টমেটো। খামার থেকেই প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা। প্রতি মাসে কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন ৬ লাখ টাকার বেশি। পাশাপাশি আগ্রহী বেকার যুবকদেরও কৃষি কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন।

খামার মালিক এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদ বলেন, টানা দুই বছর অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তারপর থেকেই আমাদের সফলতা শুরু। সব সময় আগাম জাতের শাকসবজি চাষ করি। এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগাম জাতের কৃষিপণ্যগুলো বাজারজাত করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকি। সরকারের সহযোগিতা পেলে গ্রিন হাউজ করার কথাও জানান তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, দেশের কৃষি বর্তমানে দিন দিন বাণিজ্যিক কৃষিতে পরিণত হচ্ছে। কৃষিজাত ফসল চাষাবাদ করে সফল হওয়া যায় এমন দৃষ্টান্ত এখন প্রবাস ফেরত দুই বন্ধু। তারা গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন ফসল চাষ করে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হচ্ছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইউনাইটেড হাসপাতালের ৩০ কোটি টাকা কর বকেয়া : ডিএনসিসি প্রশাসক

চট্টগ্রামে কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞদের মিলনমেলা

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় এবি পার্টির আনন্দ মিছিল

পুলিশকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে ফের অটোরিকশার দাপট চট্টগ্রামে

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল খেলাফত মজলিস

স্থানীয় সরকারকে সংসদীয় ব্যবস্থার আদলে সাজানোর পরামর্শ সংস্কার কমিশন প্রধানের

দেশে কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনীতি হবে না : আমীর খসরু

রাজনীতিবিদদের এখন সংস্কার নিয়ে আগ্রহ নেই : সংস্কার কমিশনের প্রধান

গোসলের সময় বজ্রপাতে প্রাণ গেল যুবকের

৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ তরুণ সালমানের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান 

১০

নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১১

এতিমদের খাওয়ালেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী

১২

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর প্রতি ডিআইজি মল্লিকের কড়া হুঁশিয়ারি

১৩

আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন

১৪

সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশে আ.লীগের প্রচারণার বিষয়ে আসিফ মাহমুদের স্ট্যাটাস

১৫

যশোরে ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষ

১৬

ঢাকায় রাত ১০টার মধ্যে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

১৭

বাংলাদেশে পিএসএল আয়োজন করতে বললেন সাবেক পাক ক্রিকেটার

১৮

আবুজর গিফারী কলেজের সভাপতি-বিদ্যোৎসাহী সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

১৯

যুদ্ধে ঘণ্টায় পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২০ গুণ বেশি

২০
X