আতাউর রহমান, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৩ এএম
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

স্কোয়াশ চাষে ভাগ্যবদলের আশা প্রবাস ফেরত সোহেলের

স্কোয়াশ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন প্রবাস ফেরত যুবক সোহেল। ছবি : কালবেলা
স্কোয়াশ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন প্রবাস ফেরত যুবক সোহেল। ছবি : কালবেলা

উচ্চমূল্যের নতুন জাতের আঁশ জাতীয় বিশমুক্ত বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বিদেশ ফেরত যুবক সোহেল। ইতোমধ্যেই নতুন জাতের নানারকম সবজি উৎপাদন করে সফল চাষি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।

স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজি। স্কোয়াশ মূলত একটি শীতকালীন সবজি। এটা দেখতে অনেকটা বাঙ্গি ফলের মতো। এটি মিষ্টি কুমড়ার স্বাদে পুষ্টিকর একটি সবজি। সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াশ নতুন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ও দামও আশাব্যঞ্জক।

জানা গেছে, স্কোয়াশ চাষি সোহেল রানা উপজেলা সদরের মহালক্ষীপাড়া গ্রামের মাওলানা আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি কয়েক বছর আগে প্রবাসী জীবনের ইতি টেনে চলে আসেন স্বদেশে। তারপর থেকেই নিজের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ফসল উৎপাদন করে ভাগ্যবদলের নেশায় ডুবে যান তিনি। নতুন নতুন সবজি চাষে মনোনিবেশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউটিউবে স্কোয়াশ চাষের একাধিক প্রতিবেদন দেখে স্কোয়াশ চাষে উদ্বুদ্ধ হোন তিনি। পরে স্কোয়াশের বীজ সংগ্রহ করে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করে ওই বীজ বপণ করেন। স্কোয়াশের চারা রোপণের উপযোগী হলে প্রায় ২১ শতক জমিতে স্কোয়াশের চারা রোপণ করেন তিনি। মাসখানেক পরেই গাছে দুই-তিনটি করে স্কোয়াশ ফল ধরতে শুরু করে। স্কোয়াশ বিক্রি উপযোগী হতেই বিক্রি শুরু করেন তিনি। বর্তমানে বাজারে স্কোয়াশ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

স্কোয়াশ চাষি সোহেল রানা বলেন, ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে পরীক্ষামূলকভাবে এ বছর স্কোয়াশ চাষ করেছি। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে নিবিড় পরিচর্যা ও কোনো রোগবালাই না হওয়ায় স্বল্প খরচে ভালো ফলন পেয়েছি। আমাকে দেখে অনেক কৃষকও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আগামীতে স্কোয়াশ চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করার আশা আছে। স্কোয়াশ সব মাটিতে ভালো হয় না। কেবল বেলে, দোআঁশ মাটিতে ভালো ফলন হয়। প্রতিটি স্কোয়াশ গাছে রোপণের পর থেকে প্রায় আড়াই মাসে ৮ থেকে ১০টির মতো ফল ধরে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা কালবেলাকে বলেন, স্কোয়াশ বিগত কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে। স্কোয়াশ চাষের সুবিধা হচ্ছে, এটি অল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে চাষ করা যায়। এটি চাষে অল্প জায়গা দখল করে। সঠিক পরিচর্যা ও কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এটি আবাদ করলে প্রতি গাছে ৮ থেকে ১০টি ফল ধরে। দেশে ও বিদেশে এ সবজির ভালো চাহিদা আছে। বাজারে এর দামও ভালো। ফলে অন্যান্য কুমড়া জাতীয় সবজির তুলনায় স্কোয়াশ চাষ লাভজনক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কে আগে ঝগড়া শুরু করেন? যা বলছে গবেষণা

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

অর্থপাচার মামলা / মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমের জামিন নামঞ্জুর 

রাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকবে ১০ সদস্যের কমিটি

উচ্চ আদালতকেও সংস্কার করতে হবে : আসিফ নজরুল

যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ড সভা বানচাল চেষ্টার অভিযোগ

এক ও দুই টাকার কয়েন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

নির্বাচন কমিশনের ‘দায়িত্বহীনতার’ জবাব দেওয়া উচিত : ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী

রিপনের মা-বাবাকে নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী চমক

১০

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী

১১

মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সব কিছুই ৩১ দফায় রয়েছে : কফিল উদ্দিন

১২

খুব দ্রুতই পাস হচ্ছে জকসু আইন 

১৩

দেশে দক্ষমানব সম্পদ উন্নয়নে তাকামোল প্রকল্পের সফলতা

১৪

স্থায়ী কমিটিতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

১৫

ভেজাল কয়েকশ বস্তা টিএসপি সার ধ্বংস

১৬

ঢাকা-১৩ আসনে বিএনপি সমর্থিত জোটের প্রার্থী ববি হাজ্জাজ

১৭

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল আরও দুই দেশ

১৮

আমি আয়নাঘরে ছিলাম : আমির হামজা

১৯

বিশ্ব সোরিয়াসিস দিবসে সোরিয়াসিস এওয়ারনেস ক্লাবরে সেমিনার

২০
X