শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি সেবা উদ্বোধন
দীর্ঘদিন প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো বহুল প্রত্যাশিত ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা প্রদান কার্যক্রম। শুক্রবার (৩ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে দেশটির মিসিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে এ সেবার উদ্বোধন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবীব খান (অবঃ)।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান দূতাবাসে প্রবাসীদের এনআইডি নিবন্ধনের কার্যক্রম প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে আলোচনা সভায় এনআইডি নিয়ে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় ১৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে স্মার্ট এনআইডি কার্ড প্রদান করা হয়।  দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসে বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতারা ও প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ সরকার ও কুয়েত দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।
০৪ মে, ২০২৪

আসামি ধরতে গিয়ে পরিবারের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত
ফেনীর সোনাগাজীতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত কুয়েত প্রবাসী এক আসামিকে ধরতে গিয়ে আসামি ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরচান্দিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম সরকার, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল খায়ের ও কনস্টেবল মোহাম্মদ আলী। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরচান্দিয়া এলাকার কুয়েত প্রবাসী ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ইয়াহিয়া দেশে ফিরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনটি মামলায় জামিন নেন। একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে বাড়িতে গেলে তাদের ঘরে ঢুকতে বাধা এবং পরিবারের সদস্যরা হামলা চালায়। হামলায় আহত উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম সরকার বলেন, চার মামলার পলাতক আসামি কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়াকে ধরতে গেলে মো. ইয়াহিয়া ও তার তিন ছেলেসহ স্বজনরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। কিল-ঘুষি মেরে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে।  প্রবাসী ইয়াহিয়ার পরিবারের দাবি, পুলিশ সদস্যদের ওপর কোনো হামলা করা হয়নি। রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম সরকার বাদী হয়ে কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়া ও তার তিন ছেলেকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়া (৫৭) ও তার ছেলে মো. আবদুল আজিজকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনটি মামলায় জামিন নিলেও একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য গেলে তারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পিঠা উৎসব
বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রবাসে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ইতালির ব্রেসিয়াতে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দিনব্যাপী পিঠা মেলার আয়োজন করেছে ইতালির ব্রেসিয়াতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নতুন প্রজন্মকে বাংলা কৃষ্টি কালচারে উদ্বুদ্ধ করতে আর বিদেশিদের কাছে বাংলা সংস্কৃতি তুলে ধরতে এমন আয়োজন বলছেন আয়োজকরা। এখানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ, যার মধ্যে ৩ হাজারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রতি বছর ইতালিয়ানদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা নানা আয়োজনে বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচারকে বিদেশিদের মাঝে তুলে ধরে।  এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ইমরান, শাহিন ও পলাশ তিন বন্ধুর উদ্যোগে ও বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে বিদেশিদের কাছে সাড়া সাজানো পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়।  যেখানে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশিদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এই ধরনের আয়োজনে তারা অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক খুশি।  অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্থানীয় পৌরসভার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করা হয়। পরে স্থানীয় নারীরা নিজ নিজ স্টল নিয়ে দেশীয় পিঠার পশরা সাজায়। যেখানে পুলি, পাটিসাপটা, তেলের পিঠা, নারকেল পিঠা, ফুল পিঠা, জামাই পিঠাসহ নানা প্রকার দেশীয় পিঠা শোভা পায়।  প্রবাসে এত সুন্দর আয়োজনে আসতে পেরে তারাও অনেক খুশি। পাশাপাশি আয়োজকদেরকেও ধন্যবাদ জানান অংশগ্রহণকারীরা।  দুপুর গড়িয়ে বিকেলের শুরুতেই স্থানীয় সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারাসহ হাজারও প্রবাসীর উপস্থিতিতে মেলা হয়ে ওঠে লাল সবুজের এক টুকরো বাংলাদেশ।  পিঠার পাশাপাশি আয়োজকরা নারী, পুরুষ ও নতুন প্রজন্মের শিশুদের জন্য দেশীয় খেলার আয়োজন করেন। যেখানে নতুন প্রজন্মের কোমলমতি শিশুদেরকে নিজ দেশের খেলার সঙ্গে পরিচয় হতে সাহায্য করে। এবং আয়োজকরা এ বিষয়টিকে খুব ইতিবাচকভাবে ভাবছেন। পরিশেষে মেলায় স্টল দাতাদের ও খেলায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
০৪ মে, ২০২৪

আমিরাত সফর বাতিল করেছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
শেখ তাহনুন বিন মোহাম্মদ নাহিয়ানের মৃত্যুতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সাত দিনের শোক ঘোষণা করেছে। আমিরাতের শোকের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর বাতিল করেছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রবাসী কল‌্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর আগামী শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের কথা ছিল। প্রতিমন্ত্রী এখন যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে তার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ কথা রয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

ঈদের মাসেও কমেছে প্রবাসী আয়!
সাধারণত ঈদুল ফিতরের আগে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ে, কিন্তু এ বছর ঈদের মাসে রেমিট্যান্স কমেছে। ঈদের মাস অর্থাৎ এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় কম এসেছে।  বুধবার (১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রবাসী আয়ের এ তথ্য পাওয়া গেছে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এ মাসের প্রথম ১৯ দিনে এসেছিল ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে পরের ১০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। প্রতিদিন গড়ে ছয় কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবৈধ চ্যানেলে বা হুন্ডির কারণে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমেছে। এর আগে, মার্চ মাসে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। জানা গেছে, বেশির ভাগ ব্যাংক এখন ১১৫ থেকে ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কিনছে। তবে সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক বেশি দামেও ডলার কিনছে। যদিও ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা। ফলে আমদানিকারকদের অতিরিক্ত দামে ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তার ওপর। দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার এখনো উচ্চ রয়ে গেছে।  প্রসঙ্গত, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় আসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা এখন পর্যন্ত এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। 
০১ মে, ২০২৪

শ্রমিকদের ভিসা সহজ করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী আহ্বান
যুক্তরাজ্যের হসপিটালিটি এবং ক্যাটারিং খাতে কাজ করতে চাওয়া বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ কর্মীদের জন্য ভিসার শর্ত সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) বাংলাদেশবিষয়ক হাই প্রোফাইল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এপিপিজি অন বাংলাদেশ চেয়ার রুশনারা আলী এমপির সভাপতিত্বে এ সংলাপে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বব ব্ল্যাকম্যান এমপি এবং এপিপিজির ভাইস-চেয়ার লর্ড করণ বিলিমোরিয়া বক্তব্য রাখেন।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের চলমান মঙ্গল এবং কল্যাণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের প্রগতিশীল পররাষ্ট্রনীতির ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও গভীর করার এখনো অনেক ক্ষেত্র অন্বেষণের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর ও শহরের বাংলাদেশি রেস্তোরাঁগুলো সুদক্ষ কর্মীদের অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে যুক্তরাজ্য ন্যূনতম বার্ষিক বেতন  ৩৮০০ পাউন্ডে উন্নীত করেছে, যা অনেক রেস্তোরাঁর মালিকদের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য। প্রতিমন্ত্রী, হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক বেতনের শর্ত শিথিল করতে যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানান।  তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক এবং খামার শ্রমিক দিতে পারে যারা যুক্তরাজ্যে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকার একযোগে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকদের জন্য রেস্তোরাঁ কর্মী, চিকিৎসক ও নার্সসহ আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।  হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন যুক্তরাজ্যে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আরও কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কাজ করছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক কেয়ারগিভার যুক্তরাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। উপরন্তু, বাংলাদেশ থেকে মৌসুমী খামার শ্রমিকদের নিয়োগও শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রুশনারা আলী। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ সংসদীয় কর্মকর্তা এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী। একই দিনে মন্ত্রী শফিকুর পূর্ব লন্ডনে ইউকে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক সভায়ও যোগ দেন।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সিডনি শ্যানবার্গের প্রতিবেদনে প্রবাসী সরকার
আজ ১৭ এপ্রিল। একাত্তরের এই দিনে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। পাকিস্তানি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যার মধ্যে মুজিবনগর সরকার গঠন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর মধ্য এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের যাত্রা বিশ্ববাসীকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছিল। বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক সিডনি শ্যানবার্গ মুজিবনগর সরকার নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন নিউইয়র্ক টাইমসে। এই সিডনি শ্যানবার্গই সবার আগে বাংলাদেশে গণহত্যার খবর বিশ্ববাসীকে জানান। বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে একাত্তরের ২৮ মার্চ নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশ হয় তার দুটি প্রতিবেদন। এ দুটি প্রতিবেদনের একটির শিরোনাম ছিল—‘ইন ঢাকা, ট্রুপস ইউজ আর্টিলারি টু হল্ট রিভোল্ট, সিভিলিয়ানস ফায়ার্ড সেকশন অব ঢাকা আর সেট অ্যা ব্লেজ’। অর্থাৎ ‘পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান, জোর লড়াইয়ের খবর, সৈন্যরা কামান দাগিয়েছে, নাগরিকদের ওপর গুলিবর্ষণ, বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ করেছে’। অন্যটির শিরোনাম ছিল—‘স্লিকস অ্যান্ড স্পেয়ার্স অ্যাগেইনস্ট ট্যাঙ্কস ইন ইস্ট পাকিস্তান’। অর্থাৎ ‘পূর্ব পাকিস্তানে ট্যাঙ্কের বিরুদ্ধে লাঠি ও বল্লম’। সিডনি শ্যানবার্গের এ দুটি রিপোর্ট প্রকাশের দুদিন পর ৩০ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশ হয় ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিংয়ের ‘ট্যাঙ্কস ক্রাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান’। ওইদিন (৩০ মার্চ) প্রভাবশালী সাময়িকী টাইমে প্রকাশ হয় এপির সাংবাদিক মিশেল লরেন্টের প্রতিবেদন—‘অ্যাট ঢাকা ইউনিভার্সিটি বার্নিং বোডিস অব স্টুডেন্ট স্টিল লে ইন দেয়ার বেডস, অ্যা ম্যাসগ্রেব হ্যাড বিন হেইস্টিলি কাভার্ড’। অর্থাৎ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিছানায় তাদের দগ্ধ মৃতদেহ পড়ে আছে, একটি বিশাল হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে...’। এ দুটি প্রতিবেদন বিশ্বকে আরও বিশদভাবে জানিয়ে দেয়, পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী কি পৈশাচিক নির্যাতন ও নিপীড়ন করছে। সত্তরের দশকে সিডনি শ্যানবার্গ ছিলেন নিউইয়র্ক টাইমসের দিল্লি সংবাদদাতা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশ হয়েছে সিডনি শ্যানবার্গের প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিবেদন। কোনো বিদেশি সাংবাদিক আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এতসংখ্যক রিপোর্ট করেছেন বলে জানা নেই। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যে কজন বিদেশি সাংবাদিক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা প্রত্যক্ষ করেন, শ্যানবার্গ ছিলেন তার অন্যতম। ২৭ মার্চ সকালে যে ৩৫ জন সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহককে বলপূর্বক হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে উঠিয়ে তাদের দেহ ও লাগেজ তল্লাশি করে ফিল্ম ও নোটবই ছিনিয়ে নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে বের করে দেওয়া হয়, সিডনি শ্যানবার্গ তাদের একজন। ২৭ মার্চের পর ঢাকা ত্যাগে বাধ্য হলেও মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাক্রম তিনি অনুসরণ করেছেন, পাকিস্তান জেলে বঙ্গবন্ধুর অন্তরীণাবস্থাও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। এ সময় তার অধিকাংশ প্রতিবেদনই দিল্লি থেকে পাঠানো। এপ্রিল মাসে শ্যানবার্গ ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তে এবং পূর্ব পাকিস্তানের বেশ অভ্যন্তরে চার দিনের সফর করেন। সফর শেষে ১৩ এপ্রিল নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশ হয় তার ‘অব্যাহত হত্যাযজ্ঞের মধ্যে বাঙালিদের মন্ত্রিসভা গঠন’ শীর্ষক প্রতিবেদন। এ প্রতিবেদনে বলা হয়—‘যদিও পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্বের বড় অংশ নিহত হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ এবং পাইকারি গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে, তা সত্ত্বেও আন্দোলনের হাইকমান্ডের কতক সদস্য বেঁচে আছেন এবং তারা একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন শেখ মুজিবের প্রধান সহকারী তাজউদ্দীন আহমদ, যার দল আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা-অভিমুখী পদক্ষেপ পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক অভিযান বয়ে এনেছে। বর্তমান সংবাদদাতা কর্তৃক ঘুরে আসা পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এক এলাকায় অন্তত ছয়জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা একত্র হয়ে তাদের অভিহিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদকে মনোনীত করেছেন। তারা শেখ মুজিবকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন। তবে অপ্রকাশ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা স্বীকার করেন যে, তিনি বর্তমানে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে রয়েছেন। একদিকে পশ্চিম পাকিস্তানিদের আধিপত্যাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বলে চলেছে যে, পূর্ব পাকিস্তানে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে; অন্যদিকে বাস্তব ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি ফুটে উঠছে। বিশ্বস্ত সূত্রে বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিদিনই যুদ্ধের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানিরা দলে দলে শহর ছেড়ে পালাচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সেনাবাহিনীর আশ্রয় পেতে কিংবা তাতে যোগ দিতে। হাজার হাজার উদ্বাস্তু তাদের যৎসামান্য জিনিসপত্র বস্তায় অথবা পিচবোর্ডের সুটকেসে ঠেসে ভারতে চলে আসছে সাময়িক আশ্রয়ের সন্ধানে। বর্তমান সংবাদদাতা দেখেছেন, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিরাপদ আশ্রয় কিংবা লুকোবার জায়গা থেকে বঞ্চিত করার জন্য পাকিস্তানি সৈন্যরা গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে। কুমিল্লার বহিসীমায় বাঁশ ও ছনের দগ্ধ ঘর থেকে যখন ধোঁয়া উঠছিল আকাশে, আক্রমণরত শকুনরা নেমে আসছিল মাটিতে, নিহত কৃষকের লাশের ওপর, যে লাশ নিয়ে ইতিমধ্যে কুকুর ও কাকের মধ্যে টানাটানি চলছে। পূর্ব পাকিস্তানের ৭৫ মিলিয়ন বাঙালির কতজনকে পাকিস্তানি আর্মি হত্যা করেছে নিশ্চিতভাবে তা জানার কোনো উপায় নেই। তবে বিভিন্ন সূত্রের নির্ভরযোগ্য রিপোর্ট অনুযায়ী, তা অন্তত হাজার হাজার তো বটেই, কেউ কেউ আরও বেশিও বলে থাকেন। কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ জারি করে, পূর্ব পাকিস্তানে সব বিদেশি সাংবাদিকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অধিকৃত গ্রাম এলাকা থেকে প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণে জানা যায়, যার অনেক কিছুরই পাকিস্তানি আর্মি বিরোধিতা করে থাকে। পাকিস্তানি বাহিনী স্বাধীনতা আন্দোলন দমনকল্পে পূর্ব পাকিস্তানের সব নেতা ও সম্ভাব্য নেতাদের হত্যা করেছে, গোটা অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভিত্তি ছারখার করে দিয়েছে। আদেশপ্রাপ্ত হয়ে আর্মি, এখন যা সম্পূর্ণভাবে পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের দ্বারা গঠিত, হত্যা করেছে ছাত্র, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও নেতৃত্বের গুণসম্পন্ন অন্যদের, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগ থাকুক কিংবা না-ই থাকুক। ২৫ মার্চ সেনা অভিযান শুরুর পর যেসব বাঙালি অফিসার ও সৈন্য ছাউনি থেকে বেরিয়ে এসে গেরিলা দলে যোগ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনী তাদের হত্যা করেছে। বেশিরভাগ অফিসারের পরিবারের লোকজনকে হত্যা করা হয়েছে, পালাতে পেরেছেন মাত্র অল্প কয়েকজন। নৌযান ও বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে আর্মি পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ভিত্তি—খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা, চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা, পাটকল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কূপ ধ্বংস করেছে। ফলে দেশটি ২৫ বছর পিছিয়ে গেল, বলেছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাগিচা থেকে ভারতে পালিয়ে আসা একজন স্কটিশ চা বাগান ম্যানেজার। পাকিস্তানি আর্মিকে ঠেকাতে মুক্তিবাহিনী রেললাইন ও সড়ক উড়িয়ে দিচ্ছে। শ্যানবার্গ একাত্তরের জুন-জুলাই মাসে পাকিস্তানের সামরিক সরকারের তত্ত্বাবধানে একদল বিদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে ঢাকা ও ফরিদপুর সফরের সুযোগ পান, যা তাদের দেখানো হলো সবই সাজানো, সেনা কমান্ডের ‘গাইডেড ট্যুর’ ভিন্ন অন্য কিছু নয়, অভিজ্ঞ সাংবাদিক শ্যানবার্গের তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। অক্টোবর মাসে, যখন মুক্তিবাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন রণাঙ্গন থেকে হটতে শুরু করেছে, সে সময় শ্যানবার্গ একাধিক মুক্তাঞ্চল সফর করেন। ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানালে যে দীর্ঘ প্রতিবেদনটি তিনি প্রেরণ করেন, তাতে বাঙালিদের উল্লাসের খবর থাকলেও বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি যে শূন্যতার সৃষ্টি করেছে, সে কথাই বড় করে জানান। ৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত সে প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল—‘বাঙালিরা আনন্দিত, কিন্তু তাদের নেতা এখনো অনুপস্থিত।’ শ্যানবার্গ ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে মুক্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করেন, সে সময় খুলনাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম ঘুরে দেখার সুযোগ তার হয়। তিনিই প্রথম বিদেশি সাংবাদিক যিনি ভারত-বাংলাদেশ যৌথবাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তান বাহিনীর সম্মুখ সমর প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পান। পাকিস্তান বাহিনীর হত্যাযজ্ঞও সরেজমিনে দেখে তার প্রামাণিক প্রতিবেদন পাঠকদের জন্য নিয়মিত পাঠিয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজির আত্মসমর্পণের ঘটনাও তিনি সম্মুখসারিতে বসে দেখার সুযোগ পান। লেখক: সাংবাদিক
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিদেশে কর্মী প্রেরণে এজেন্সিকে মানবিক হতে হবে : প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বিদেশে কর্মী প্রেরণে রিক্রুটিং এজেন্সিকে অবশ্যই মানবিক দিক বিবেচনা করতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন আরও উজ্জ্বল হয় তা বিবেচনা করে দক্ষ কর্মী প্রেরণ করতে সবাইকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক/কর্মীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  বায়রা এ মন্ত্রণালয়ের প্রধান অংশীজন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে যৌক্তিক প্রস্তাব প্রেরণ করবেন। ন্যূনতম বেতনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়  কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। পাশাপাশি, আমরা আরও কম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ করতে চাই।  তিনি বলেন, বিদেশে কর্মী প্রেরণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মন্ত্রণালয়ের সাথে বায়রাকে একসূত্রে কাজ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর অংশীজনবৃন্দ সমন্বিতভাবে কাজ করলে মন্ত্রণালয়ের সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দ্রুত সময়ে একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয় তৈরি করতে পারব, ইনশাআল্লাহ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দক্ষ কর্মী পাঠানোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ লক্ষ্যে আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে আধুনিক ও যুগোপযোগী যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, বায়রার মহাসচিব মো. আলী হায়দার চৌধুরীসহ বায়রার প্রতিনিধিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

মস্কোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বর্ষবরণ
রাশিয়ার মস্কোতে নানা আয়োজনে বৈশাখ উদযাপন করল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র সংগঠন রুদেন’। বৈশাখ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আড্ডার আয়োজন করে সংগঠনটি।  বৈশাখের বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে রাশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি সরব হয়েছিল বিদেশি অতিথিরাও। সংগঠনের সভাপতি মো. মেহেদি হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম হাওলাদার জানান, বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও নিজেদের শেকড় ভুলে যাইনি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি- নিজেদের সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে। সবার উৎসাহ আমাদের সামনের পথ চলতে সহায়ক হবে। সাংস্কৃতিক আড্ডায় আসার জন্য বিদেশি বন্ধুদের প্রতিও আন্তরিক ভালোবাসা জানাই।  বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক আড্ডার সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন- রুদেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. প্রশান্ত ধর, বাংলা প্রেস ক্লাব রাশিয়ার সভাপতি বারেক কায়সার, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা স্মৃতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পিএইচডি গবেষক সৈয়দ আহসানুল ইসলাম আশিক, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জি.এম. ইয়াসরিফুল ইসলাম, সানজিদা কামাল, কাজী সোনিয়া তাসনীম প্রমুখ।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪
X