ঘরে নববধূ, ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে প্রবাসীর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের প্রবাসী যুবক জাকির মিয়া। সম্প্রতি দেশে ফিরে করেছেন বিয়ে। ঘরে নববধূ রেখে ক্ষেতে যান ধান কাটতে। ধান কাটার সময় হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বেঙ্গাউতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাকির মিয়া চাপরতলা ইউনিয়নের বেঙ্গাউতা গ্রামের বড় বাড়ির সুলমান মিয়ার ছেলে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  নিহতের পরিবার জানান, শনিবার দুপুরে প্রচণ্ড রোদে নিজেদের কৃষিজমিতে কাজ করতে যান জাকির মিয়া। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে পরিবারের লোকজন মাথায় পানি ঢালে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  নিহতের চাচাতো বোন হাফিজা বেগম জানান, জাকির কৃষি জমিতে প্রচণ্ড রোদে কাজ করার সময় বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান।  চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি জাকিরের বাড়িতে গেছি। সে নিজেদের জমির ধান কাটতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক করে মারা গেছে। সে প্রবাসী ছিল। কিছুদিন আগে দেশে এসে বিয়ে করেছে সে।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন তিনি। এ সময় আমাদের সবাইকে আরও সচেতন হওয়া উচিত।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

কুয়েত পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ প্রবাসীর মৃত্যু
কুয়েতে মানিক মিয়া (৩৯) নামে টাঙ্গাইলের এক প্রবাসী ‘হার্ট অ্যাটাকে’ মৃত্যুবরণ করেছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট বানাতে সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষারত অবস্থায় হঠাৎ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।  নিহত প্রবাসী টাঙ্গাইল জেলার দেলদোয়ার উপজেলার আব্দুল গফুরের ছেলে। নিহতের ছোট ভাই হাসান মাহমুদু (ফারুক) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফারুক বলেন, আমার বড় ভাই দীর্ঘ সাত বছর কুয়েতে আছেন। সকালে দূতাবাসে পাসপোর্ট বানাতে গিয়েছিল। দূতাবাস সূত্রে জানা যায়,  প্রবাসী অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে জরুরিভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স কল করে নার্সসহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে নিহতের লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পরিবারের কাছে পাঠানো হবে ।
০৫ মার্চ, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় কাজ না পেয়ে প্রবাসীর মৃত্যু  
গেল বছরের ৫ আগস্ট পেত্রা জেহরা বারহাদ নামে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসেন ৭১ জন বাংলাদেশি। স্বপ্নের মালয়েশিয়ায় আসার পরপরই স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের। প্রায় পাঁচ মাস কাজ না পেয়ে ক্ষুধা আর চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব প্রবাসীরা। কষ্টের অভিযোগ তুলে ধরতে গেলেই শিকার হতে হয় নির্মম নির্যাতনের। এদেরই একজন পাবনা প্রবাসী মো. শফিকুল ইসলাম (৩৩ )। ইউনিক নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় আসেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান তিনি।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, সে অসুস্থ ছিল, চিকিৎসা হয়নি।  স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবস্থাও ভালো নয়। ভয় আর আতঙ্কে সময় কাটে তাদের। নিয়োগকর্তার নিয়োগকৃত লোকের দ্বারা নিয়মিতই নির্যাতনের শিকার হতে হয় এসব প্রবাসীকে। ৫ অক্টোবর মালয়েশিয়ায় আসলেও এখনো মেলেনি ভিসা কিংবা কাজ।    কাজ না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনেও যান এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন। আশ্বাস মিললেও চূড়ান্ত কোনো সুরাহা করতে পারেনি হাইকমিশন।  এ বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের লেবার কাউন্সিলর, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, পেত্রা জেহরা বারহাদ কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতে এই কোম্পানি যাতে নতুন কোনো কর্মী না আনতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে হাইকমিশন। এখনো কাজ না পাওয়া কর্মীদের সমস্যা সমাধানে হাইকমিশন কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  নিহত শফিকুল ইসলামের মরদেহ কোম্পানির মাধ্যমে দেশে পাঠাতে কাজ করছে হাইকমিশন। একই সঙ্গে বৈধভাবে আসায় তার পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।  এ বিষয়ে পেত্রা জেহরা বারহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ইফতেকার নামে এক বাংলাদেশির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সঠিক নয়, তাদের গায়ে হাত তোলা হয়নি, কোম্পানি থাকা খাওয়ারও সু-ব্যবস্থা করেছে। ট্যাক্স জটিলতার কারণে পাঁচ মাস ধরে তাদের বসিয়ে রাখতে হয়েছে। তবে ৪-৫ মার্চের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে সবাই ভিসা পাবে বলেও জানান তিনি।  ইফতেখার আরও জানান, মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর শফিকুল ইসলামকে সেপাং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।    এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার সম্প্রতি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যারা এমন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের কোনো ছাড় নেই। অভিযোগ রয়েছে এমন কোম্পানিকে পরবর্তীতে কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিতে চিন্তা করবে হাইকমিশন।  
০২ মার্চ, ২০২৪

মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে এসে প্রবাসীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের রাউজানে মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মোহাম্মদ মুছা (৪৫) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় কয়েক যুবক। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি পড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। মারা যাওয়া মোহাম্মদ মুছা হাজীপাড়া গ্রামের প্রয়াত কবির আহমদের ছেলে। দুই সন্তানের জনক মুছা দীর্ঘদিন ওমান প্রবাসী ছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। ওঠেন তার স্ত্রীর বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। সেখান থেকেই গতকাল বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজান এসেছিলেন তিনি। মুছার ভাই মোহাম্মদ ইউছুপ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমি রাউজান হাজীপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষ করে পাশে থাকা বাবার কবর জিয়ারত শেষ করি। এ সময় হঠাৎ দুই যুবক এসে আমার ভাইকে ডেকে মসজিদের পাশে টয়লেটের সামনে নিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় দুই যুবকের সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েকজন। তাদের নির্যাতনে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ ওমানে মুছা বিএনপির রাজনীতি করতেন বলে জানান তার ভাই ইউছুপ। মৃতের স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন। তিনি বলেন, মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি মসজিদ থেকে বের হয়ে পড়ে গিয়েছিল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কুয়েতে বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু
পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে জীবিকার তাগিদে কুয়েতে গিয়ে ছয় দিনের মাথায় মৃত্যুবরণ করলেন জাইদুল ইসলাম (২৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবক। স্ট্রোক করার পর বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার ‍মৃত্যু হয়। জানা গেছে, জাইদুলের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার চরেরগাঁও গ্রামে। তিনি নতুন ভিসায় কুয়েতের একটি কোম্পানি যান জাইদুল ইসলাম। নিহতের আত্মীয় জাবের হোসাইন জানান, জাইদুল ইসলাম বুধবার অতিরিক্ত গরমের কারণে স্ট্রোক করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। কুয়েতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত উত্তপ্ত গরমে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিন মাসের জন্য খোলা আকাশের নিচে কাজ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৮ আগস্ট, ২০২৩

নাকের অস্ত্রোপচারে গিয়ে প্রবাসীর মৃত্যু
নাকের অস্ত্রোপচারের সময় ভুল চিকিৎসায় মো. ফাহিম নামে এক কুয়েত প্রবাসীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে। এ ঘটনায় রাজধানীর বাবুবাজারের মেঘনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের বাবা আব্দুল সামাদ। ফাহিমের মৃত্যুর পর হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছেন চিকিৎসক মিজানুর রহমান ও মেঘনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলরা। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু চিকিৎসক বা কর্মকর্তা কাউকেই সেখানে পাওয়া যায়নি। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফাহিম ৫-৬ বছর ধরে কুয়েতে ড্রাইভিং পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এক মাস আগে দেশে ফেরেন। নাকে সমস্যা দেখা দেওয়ায় স্থানীয় জনসেবা জেনারেল হাসপাতালে ডা. মিজানুর রহমানকে দেখান। চিকিৎসক তাকে বাবুবাজারের মেঘনা হাসপাতালে অপারেশন করাতে বলেন। সে অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় সেখানে ভর্তি হন। রাত ২টায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় ফাহিমকে। দুঘণ্টা পরে রাত ৪টার দিকে চিকিৎসকসহ অপারেশন থিয়েটারে থাকা ব্যক্তিরা জানায়, রোগীর অবস্থা খুব খারাপ। তাকে দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি করাতে হবে। ডা. মিজানুরসহ হাসপাতালের কর্মচারীরা তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে ফাহিমকে ধোলাইখালের ডেলটা হাসপাতালে পাঠায়। রাত ৪টা ২০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালান চিকিৎসক মিজানুর ও সংশ্লিষ্টরা। কোতোয়ালি থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, চিকিৎসকসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছি।
১৩ আগস্ট, ২০২৩
X