প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল বুধবার
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল তৈরির কাজ শেষ। আগামীকাল বুধবার (১৫ মে) এ ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হবে। মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ২২টি জেলার মধ্যে ২১ জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার ফল সপ্তাহ খানেক আগেই অধিদপ্তরে পৌঁছেছে। এরপর চূড়ান্ত ফল প্রকাশের জন্য যাচাই-বাছাই শুরু হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল বুধবার (১৫ মে) ফল প্রকাশ হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামীকাল বুধবার প্রকাশিত হবে। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি তিন বিভাগের ২২ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ফলে ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ১৭ জুন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে প্রায় ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে

ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের ২ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান এবং বাণিজ্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তিচ্ছুরা নিজেদের রোল নম্বর সাত কলেজের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে দেখতে পারবেন। এর আগে সরকারি সাত কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটে ১০ মে এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ১১ মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে এ পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ১২টায়। চলতি বছর ইউনিটটির প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েন মাত্র ৩ জন ভর্তিচ্ছু। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির তথ্য বলছে, এ বছর ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ৪ হাজার ৮৯২টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ছে ১৬ হাজার ৯৫০টি। সে হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন প্রায় ৩ জন ভর্তিচ্ছু। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় থাকবে এক ঘণ্টা। ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ অর্থাৎ ৪০-এর কম নম্বর পেলে তাকে ভর্তির জন্য যোগ্য বিবেচনা করা হবে না। তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা যাবে না। এ ছাড়াও এবার কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের ৯ হাজার ৯৭৯টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ছে ২৩ হাজার ৭৮৯টি। সে হিসেবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন প্রায় ২ জন ভর্তিচ্ছু।
৫ ঘণ্টা আগে

এসএসসিতে এক বিষয়ে ফেল করেছে ১ লাখ ৬৬ হাজার শিক্ষার্থী
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গতকাল রোববার প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় এবছর গণিতে শিক্ষার্থীদের ফেলের হার বেশি। রোববার (১২ মে) প্রকাশ হওয়া এসএসসির ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার গণিত বিষয়ে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড মিলে ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। যা সংখ্যার হিসেবে প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। রোববার (১২ মে)  সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ২০২৪ সালে গণিত বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলায় ১ দশমিক ৮৫, ইংরেজিতে ৪ দশমিক ৭৭, পদার্থবিজ্ঞানে ২ দশমিক ৩৫, রসায়নে ১ দশমিক ৯০, আইসিটিতে ২ দশমিক শূন্য ৪, হিসাববিজ্ঞানে ২ দশমিক ৮৫ ও পৌরনীতিতে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। এবার বোর্ডভিত্তিক ফলে গণিত বিষয়ে সব থেকে খারাপ করেছে মাদ্রাসা বোর্ড। এ বোর্ডে গণিতে ফেল করেছে ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর ঢাকা বোর্ডে গণিতে ফেল করেছে ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ। বিপরীতে গণিত বিষয়ে ভালো করেছে যশোর বোর্ড। বোর্ডটিতে এবার পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এদিকে রাজশাহী বোর্ডে গণিত বিষয়ে ফেল করেছে ৬ দশমিক ২৬, কুমিল্লা বোর্ডে ১২ দশমিক শূন্য ৪, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭ দশমিক ৬৩, বরিশাল বোর্ডে ৭ দশমিক শূন্য ৪, সিলেট বোর্ডে ৬ দশমিক ৩৯, দিনাজপুর বোর্ডে ১১ দশমিক ৯০ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গণিত বিষয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব এবং প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের গণিতের ওপর দুর্বলতার কারণে এসএসসি ও সমমানে খারাপ ফল হয়েছে। এছাড়া ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় কেন খারাপ ফল করল সেটি আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করব। খারাপ ফল হওয়ার পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৩ মে, ২০২৪

পিতার লাশ ঘরে রেখে পরীক্ষা, এসএসসিতে যে ফল পেল সে শিক্ষার্থী
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে অংশ নেওয়া সেই মেমেসিং মারমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। রোববার (১৩ মে) এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর জানা যায়, মেমেসিং মারমা জিপিএ- ৩.০৬ পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সে কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কুকিমারা এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তার পিতা উপেচিং মারমার আকস্মিক মৃত্যু হয়। সেইদিন মেমেসিং তার পিতার মরদেহ ঘরে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ওই ঘটনার ছবি ও সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর কাপ্তাইবাসীসহ সারা দেশের মানুষকে মর্মাহত করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সুবিমল তঞ্চঙ্গ্যা জানান, মেমেসিং মারমা যেই পরিস্থিতিতে এসএসসিতে অংশ নিয়েছিল আসলেই বিষয়টি ছিল অনেক কষ্টের। বিশেষ করে পিতার মরদেহ ঘরে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এটি ছিল অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। তাই সে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে, এতে সে অনেক ভালো ফলাফল করেছে। হয়তো এমন একটি দুর্ঘটনা না ঘটলে সে আরও ভালো ফলাফল করতে পারত। এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরঞ্জিত তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, মেমেসিং মারমার এই ফলাফলে আমরাও অনেক আনন্দিত। সে ভবিষ্যতে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাবে এবং আরও ভালো ফলাফল করবে বলে আমরা আশাবাদী। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে কোনো সহযোগিতায় আমরা তার পাশে থাকব।
১৩ মে, ২০২৪

একসঙ্গে পরীক্ষায় বসে মেয়ের চেয়ে এগিয়ে ইউপি সদস্য মা
প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে ঘর-সংসার সামলে, জনপ্রতিনিধিত্ব করে, বয়সের বাধা ডিঙিয়েও অসাধ্য সাধন করা যায়। তারই প্রমাণ দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের নুরূন্নাহার বেগম নামের এক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য। মেয়ের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে জিপিএ ৪ দশমিক ৫৪ পেয়েছেন তিনি। মেয়ে নাসরিন আক্তার মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ২ দশমিক ৬৭ পেয়েছেন। তাদের এ ফলাফলে মা, মেয়ে ও পরিবারের সবাই খুশি। মা ও মেয়ের এমন সাফল্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে নুরূন্নাহার বেগম কালবেলাকে বলেন, আমি অনেক খুশি। আসলে এমন ভালো রেজাল্ট আসবে ভাবিনি, আল্লাহ পথ দেখিয়েছেন। আমি মনে করি নারীদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই, নারীদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই এই বয়সে আবার পড়ালেখা শুরু করেছি। আমি দুবার নির্বাচিত ৯ হাজার ভোটারের মহিলা মেম্বার। সংসারের কাজ আমি নিজে করি, কখনো কোনো কাজের মহিলা নেয়নি। সব কাজ শেষ করে মধ্যরাতে মাঝে মাঝে অল্প সময় পড়াশোনা করেছি। সব দিক সামলে পরীক্ষার হলের চতুর্থ তলায় উঠে পরীক্ষা দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ায় এখন বেশ আনন্দ লাগছে।   বিয়ের আগে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন নুরূন্নাহার বেগম। শ্বশুর-শাশুড়ি আগ্রহী না থাকায় বিয়ের পর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় তার। পরবর্তীতে জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। উনার মেয়ে নাসরিন আক্তার পড়াশোনা করতেন একই বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নুরূন্নাহার বেগম চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৪ দশমিক ৫৪ পান। মেয়ে নাসরিন আক্তার চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ২ দশমিক ৬৭ পেয়ে পাস করেন। এ বিষয়ে মেয়ে নাসরিন বলেন, আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় মন কিছুটা খারাপ হলেও মা ও মেয়ে একসঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। আমি মানুষের সেবা করতে চাই। সেই মানসিকতা থেকে আমি ভবিষ্যতে নার্সিংয়ে যুক্ত হতে চাই। নুরূন্নাহার বেগম বলেন, চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হব। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। স্কুল ও কলেজে ক্লাস করার সময় সহপাঠীরা যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছে। শিক্ষকেরাও আমাদের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন। উনারা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন। এ ছাড়া পড়াশোনার পেছনে আমার বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সাহায্য ও অনুপ্রেরণা না পেলে আমার পক্ষে পড়াশোনা করা সম্ভব হতো না।
১৩ মে, ২০২৪

এসএসসিতে ক্যাডেট কলেজের ঈর্ষণীয় ফল
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ক্যাডেট কলেজগুলো ঈর্ষণীয় ফল অর্জন করেছে। এবার ১২টি ক্যাডেট কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৬০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯৮ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। পাসের হার শতভাগ এবং জিপিএ ৫ পাওয়ার হার ৯৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে এসএসসিতে ১২টি ক্যাডেট কলেজের জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার ছিল ৯৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দেশের ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল ও সভাপতি, ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুধু ভালো ফল অর্জনই নয় বরং চৌকস ও সুনাগরিক হিসেবে ক্যাডেটদের গড়ে তোলাই কলেজগুলোর লক্ষ্য। এজন্য ক্যাডেটদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে লেখাপড়ার পাশাপাশি চরিত্র গঠন ও সহশিক্ষা কার্যক্রমকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। কলেজ থেকে শিক্ষা লাভের পর ক্যাডেটরা যেন বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাতে পারে সেই লক্ষ্যে কলেজগুলোয় নতুন নতুন শিক্ষা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রম সংযুক্ত হচ্ছে। ক্যাডেটদের ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে ক্যাডেট কলেজের অভ্যন্তরীণ সুশৃঙ্খল পরিবেশ, অভিজ্ঞ অনুষদ সদস্যবৃন্দের সার্বক্ষণিক পরিচর্যা ও তদারকি, ক্যাডেটদের অধ্যবসায়, নিয়মিত পড়াশোনা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের সুষ্ঠু দিকনির্দেশনা, ক্যাডেট কলেজগুলোর অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অনুষদ সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং কলেজে কর্মরত সব শ্রেণির ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় এ সাফল্যজনক ফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

ছেলের সঙ্গে এসএসসি পাস করলেন দুই ইউপি সদস্য মা ও খালা
নাটোরের নলডাঙ্গায় ছেলের একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন মা, ছেলে ও খালা। রোববার (১২ মে) এসএসসি ফল প্রকাশের পর মা, ছেলে ও খালা এ ফল অর্জন করেন। জানা গেছে, ছেলে সোহান ও মা নাসিমা বেগম উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর দিয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খালা হালিমা বেগম একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দিঘা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।  মা নাসিমা বেগম বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড ও খালা হালিমা বেগম একই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য। মা নাসিমা বেগম ও খালা হালিমা বেগম কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ওমরগাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখা থেকে এবং একই শিক্ষাবর্ষে ছেলে সোহান নাটোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় মা নাসিমা বেগম জিপিএ-৩.৬৪, ছেলে সোহান ৩.৯৬ ও খালা হালিমা ৩.৮৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। মা ও খালার সঙ্গে এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় পাস করে উচ্ছ্বসিত ছেলে সোহান। তিনি বলেন, আমি আমার মা ও খালা একসঙ্গে এসএসসি পাস করায় আমি আনন্দিত। আমার মাকে কেউ অশিক্ষিত বলতে পারবে না। এতে আমি অত্যন্ত খুশি। মা নাসিমা বেগম বলেন, আমার খুব ইচ্ছা ছিল এসএসসি পাস করার। কিন্তু মা-বাবার সংসারে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। পরে আমি আমার ছেলের পরামর্শে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রাজশাহীর পুঠিয়া ওমরগাড়ি ভোকেশনাল মাদ্রাসায় ভর্তি হই। এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আজ আমি পাস করেছি, তাই আমি আনন্দিত। খালা হালিমা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীর পরামর্শে বোন নাসিমার সঙ্গে ওমরগাড়ি মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি হই। দুই বোন একসঙ্গে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করে আমরা অনেক খুশি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুই বোন নাসিমা বেগম ও হালিমা বেগম ও নাটোরের ছাতনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক বোনসহ তিনবোন একসঙ্গে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে সারা দেশে আলোচিত ছিলেন।
১২ মে, ২০২৪

চট্টগ্রামে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫
এবার চট্টগ্রামে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১১ হাজার ৪৫০ জন। রোববার (১২ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলে, চট্টগ্রাম, তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজার মিলিয়ে এবার পাসের হার ৮২.৮০ শতাংশ। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুসারে, এবার চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার ১২৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭ জন। যেখানে ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ২৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৮৩ দশমিক ২১ শতাংশ। তা ছাড়া এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৭৩ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭৫০ জন। গত বছর ছাত্র পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪ জন ও ছাত্রী ৬ হাজার ৪৪৬ জন। 
১২ মে, ২০২৪

জানা গেল সেই তিন জনপ্রতিনিধির এসএসসির ফল
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সেই ৩ নারী জনপ্রতিনিধির ২ জন পাস করেছেন। অপরজন হয়েছেন অকৃতকার্য।  পাস করা দুজন হলেন, পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শিলা খাতুন (৩০) এবং একই ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহানাজ পারভীন (৩২)।  অকৃতকার্য হয়েছেন, বাগাতিপাড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মুর্শিদা বেগম (৪৩)। তারা তিনজনই বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন ট্রেডের পরীক্ষার্থী শিলা খাতুন (৩০) জিপিএ- ৪ দশমিক ২৯ এবং ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেলারিং ট্রেডের পরীক্ষার্থী শাহানাজ পারভীন (৩২) জিপিএ-৪ দশমিক ১১ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে, অসুস্থতার কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় কৃতকার্য হতে পারেননি আরেক জনপ্রতিনিধি মুর্শিদা বেগম (৪৩)। কৃতকার্য পরীক্ষার্থী ও সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহানাজ পারভীন (৩২) বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সফলতার সঙ্গে পাস করেছি। এরপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের চেষ্টা চালিয়ে যাব। অকৃতকার্য মহিলা কাউন্সিলর মুর্শিদা বেগম (৪৩) জানান, প্রস্তুতি ভালো ছিল। তবে, অসুস্থতার কারণে সব পরীক্ষা দিতে পারিনি। বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বি.এম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সামসুন্নাহার পরীক্ষায় কৃতকার্য জনপ্রতিনিদের অভিনন্দন জানান। সেইসঙ্গে যিনি পাস করতে পারেননি আগামীতে তিনি কৃতকার্য হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
১২ মে, ২০২৪

এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণ শুরু কাল, আবেদন যেভাবে
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের কারও আপত্তি থাকলে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) থেকে ১৯ মে পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সোমবার (১২ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাসারের স্বাক্ষতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক থেকে প্রতিপত্রের জন্য ১৫০ টাকা ফি দিয়ে ফল যাচাইয়ের আবেদন করা যাবে।  যেভাবে আবেদন করতে হবে শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর রোল নম্বর বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএ-এ আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC Yes PIN Contact Number (যে কোনো অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে। ফল পুনঃনিরীক্ষণে ক্ষেত্রে একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। যেমন ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC Dha Roll Number প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারা দেশে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। রোববার (১২ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন।  প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ অনুযায়ী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও মাদ্রাসা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। 
১২ মে, ২০২৪
X