সুন্দরবনের আগুন নিয়ে সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস
সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নির্বাপণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।  আজ ভোর থেকে পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ পানি দেওয়া শুরু করে। স্থানীয় সেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  গত শনিবার আগুন চোখে পড়ার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ কাজ শুরু করে বন বিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি), টাইগার টিমসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবী ও বনজীবীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস দূরে হওয়াতে এবং দুর্গম পথের কারণে প্রথম দিনে সেখানে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। ভোর থেকে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু হয়। ৬টি ফায়ার পাম্পের মাধ্যেমে ভোলা নদী থেকে পানি নিয়ে পূর্ণ ফায়ার ব্রেক অর্জনের জন্য আর্টিফিসিয়াল ওয়াটার ক্যানেল তৈরি করা হয়। এ ছাড়াও ১১৯টি হোস পাইপে ১২টি ডিভাইডিংয়ের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি একটিভ ফায়ারফাইট করা হয়। স্টারভেশন পদ্ধতি অনুসরণ করে বিচ্ছিন্ন ফায়ারসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ফগ ও জেট সিস্টেম করে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা কুলিং করা হয়। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৩০-৪০ জন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩০ জন, জেলা পুলিশের ৩০ জন এবং ভলান্টিয়ারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন। বনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চারপাশে সব সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আর কোনো আগুনের ফ্লেম পাওয়া যায়নি। কিছু জায়গায় এখনো ধোঁয়া বিদ্যমান আছে তবে সেটা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
০৬ মে, ২০২৪

তীব্র গরমে সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস
সারাদেশে তীব্র তাপদাহ চলছে। জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ ও বিপর্যস্ত। তাই এই তাপদাহে ঢাকা শহরের সাধারণ মানুষ, পথচারী, রিকশাচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মাঝে স্বস্তি আনয়নে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্নস্থানে ১৮০০ লিটারের ওয়াটার ট্যাংক স্থাপন করে এই সেবা প্রদান করা হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর মিডিয়া সেল থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা শহরের সচিবলায়ের সামনে, ধানমণ্ডির ৫নং সড়কসহ ঢাকা শহরের বিভিন্নস্থানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সেবামূলক কার্যক্রম চলমান থাকবে। যতদিন এরকম তীব্র তাপদাহ চলমান থাকবে ততদিন এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।  ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, যারা রাস্তায় সামান্যতম ক্লান্তিতে থাকবেন তারা এই ওয়াটার ট্যাংকি থেকে পানি পান করতে পারবেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের দুইজন ফায়ারফাইটার পানি বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওয়াটার ট্যাংকের পাশে অবস্থান করবেন।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সারাদেশব্যাপী করার উদ্যোগ রয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের।  
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বুড়িগঙ্গার পানি এনে চকবাজারে আগুন নেভানো হয়েছে : ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে একটি কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জানা গেছে আশপাশে পানি না থাকায় বুড়িগঙ্গা থেকে পানি এনে এই আগুন নেভাতে হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের ইনসিডেন্ট কমান্ডার উপপরিচালক ছালেহ উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।  তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। তবে রাস্তা সরু হওয়ায় গাড়িগুলো সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি। দূরে গাড়ি রেখে পাইপের মাধ্যমে পানি দেওয়া হয়েছে। এমনকি কারখানার আশপাশে কোথাও পানির রিজার্ভার ছিল না। তাই বুড়িগঙ্গায় পাম্প বসিয়ে বিশেষ কায়দায় এখানে পানি আনতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কারখানার ভেতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ আছে। তাই এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও সময় লাগবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সদস্যরা এখানে কাজ করবে। ছালেহ উদ্দিন বলেন, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানা যাবে আসলে কীভাবে আগুন লেগেছিল এবং কত ক্ষতি হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় অবস্থিত ওই রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
২৩ মার্চ, ২০২৪

ফায়ার সার্ভিস ও ডিএসসিসির মোবাইল কোর্ট পরিচালিত
ধানমন্ডি এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।  সোমবার (৪ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অভিযানে ধানমন্ডির ২টি বহুতল ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ভবন দুটির একটি জিগাতলার কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবন এবং অন্যটি সাত মসজিদ রোডস্থ রূপায়ণ জেড আর প্লাজা।  কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবনটির অগ্নিনিরাপত্তা না থাকায় ভবনটি সিলগালা করা হয় এবং এ ভবনে অবস্থিত ভিসা ওয়ালর্ড ওয়াইড প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রূপায়ণ জেড আর প্লাজার অভ্যন্তরস্থ দ্য বুফে অ্যাম্পায়ার রেস্টুরেন্টকে ফায়ার লাইসেন্স গ্রহণ না করার কারণে এবং লাইসেন্সের শর্ত পালন না করার কারণে বাফেট লাউঞ্জ এবং বাফেট প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টগুলোর প্রত্যেককে এক লাখ করে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩ অনুযায়ী ভবন দুটিতে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন তিনি। এই ঘোষণার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে ভবন দুটিতে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়। ভবন দুটিতে থাকা অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট, শো রুম ও অফিসে কোনো লোক পাওয়া যায়নি। এ প্রতিনিধি দলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ঢাকা-২ এর জোন কমান্ডার মো. তানহারুল ইসলাম ওই এলাকার ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৪ মার্চ, ২০২৪

ভবনটিকে ৩ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল : ফায়ার সার্ভিস
ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটিকে তিনবার নোটিশ দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে বেইলি রোডের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরীও পরিদর্শনে অংশ নেন।  আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনটিকে আগেই অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি, আমরা আসলে দেখতে চাই কারো কোনো গাফিলতি ছিল কি না। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে অনেকে মারা গেছেন। এই মৃত্যু কাম্য নয়। এই মৃত্যু কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এই ভবনটাতে একটা মাত্র সিঁড়ি আছে। ধোঁয়ার কারণে মানুষ যেখানে অচেতন হয়ে পড়েছিল। ভবনে ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ভবনে ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ছিল কি না আমরা তদন্তে দেখতে চাই। এছাড়া, ভবন নির্মাণ করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছিল কি না তাও আমরা তদন্ত করে দেখব। আমরা তদন্তে দেখতে পাব কীভাবে আগুন লেগেছে এবং এখানে কারো কোনো গাফিলতি ছিল কি না। ভবনটিতে অফিস করার অনুমতি থাকলেও রেস্টুরেন্টসহ দোকান করা হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমরা শুধু ফায়ার সেইফটি প্ল্যানটা দেখি। এ বিষয়ে রাজউক বলতে পারবে। তবে এ বিষয়টি আমরাও তদন্ত করে দেখব। আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল নিচ তলা থেকে। আমাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিলসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
০১ মার্চ, ২০২৪

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর কারণ জানালেন ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে দুর্ঘটনায় এত মানুষের মৃত্যুর কারণ জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীন।  তিনি বলেন, নিহতদের বেশিরভাগ অক্সিজেন স্বল্পতায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ভবনটিতে একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল। এ ছাড়া সিলিন্ডারও ছিল অনেক। এ জন্য ভবনটি ছিল অগ্নিচুল্লির মতো। ফলে দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যারা মারা গেছেন তারা আগুনে দগ্ধ না হয়ে অক্সিজেন স্বল্পতায় মারা যেতে পারেন।  তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লাগতে পারে। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।  এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। জানা গেছে, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি ও পিৎজা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়েন। এই অবস্থায় ভবনের তিনতলা এবং সাততলায় আটকে পড়া ব্যক্তিরা উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকেন। এদিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনে আগুনের ঘটনায় অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানান। আর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আরও একজন মারা গেছেন।
০১ মার্চ, ২০২৪

আগুন নেভাতে গিয়ে হামলার শিকার ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা
আগুন নেভাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা যায়, মোল্লাহাটের চুনখোলা বাজারে গতকাল সন্ধ্যায় দুটি গুদামে আগুন ধরে যায়। এলাকার লোকজন চেষ্টা করে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে মোল্লাহাট ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের আসতে দেরি হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে দুজন কর্মীকে লাথি, কিল-ঘুষি দেয় এলাকাবাসী।  এ সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির ওপর হামলা করে। এতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। ফায়ার সার্ভিস জানায়, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছেছিলাম। সরু রাস্তার কারণে আমাদের আসতে পাঁচ মিনিট দেরি হয়। এতে এখানকার উচ্ছৃঙ্খল জনতা আমাদের কর্মী ও গাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে। 
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সেপটিক ট্যাংকে পড়া কুকুরের প্রাণ বাঁচাল ফায়ার সার্ভিস
ভোলায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় অরক্ষিত সেপটিক ট্যাংকের ভেতর আটকেপড়া একটি কুকুর উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে শহরের যোগীরঘোষসংলগ্ন পৌর কাঠালির একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভোলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে জানান, একটি কুকুর সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। তারা রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আটকেপড়া কুকুরটিকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এদিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে কুকুর উদ্ধারের ঘটনায় ভিড় জমান উৎসুক জনতা। তারা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের এমন মানবিক কাজের প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

সারা দেশে ৭১ দিনে ৩০৩টি অগ্নিকাণ্ড : ফায়ার সার্ভিস
সারা দেশে গত ৭১ দিনে ৩০৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩০২টি যানবাহন ও ২৩টি স্থাপনা পুড়েছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন আটজন আর পাঁচজন আহত হয়েছেন। বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর জেলা ও গাজীপুর সদর উপজেলায়।  ফায়ার সার্ভিস জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (মোট ৭১ দিনে) উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সারা দেশে মোট ৩০৩টি আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এই অগ্নিকাণ্ডে ৩০২টি যানবাহন ও ২৩টি স্থাপনা পুড়ে যায়। এ ঘটনায় সারা দেশে পাঁচজন (ফায়ার সার্ভিস এর দুজন+ ৩ সাধারণ) আহত ও আটজন নিহত হোন। এসব অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করতে সারা দেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ৫৩৯টি ইউনিট ও ২ হাজার ৯৫৯ জন জনবল কাজ করে।  পর্যালোচনায় দেখা যায়, যানবাহনের মধ্যে মোট বাস ১৭৬টি, ট্রাক ৪৯টি, কাভার্ডভ্যান ২৫টি, মোটরসাইকেল ২১টি, পিকআপ ১০টি, ট্রেন ৫টি, সিএনজি ৩টি, প্রাইভেটকার ৩টি, মাইক্রোবাস ৩টি, লেগুনা ৩টি, নছিমন ১টি, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি ১টি, পুলিশের গাড়ি ১টি, অ্যাম্বুলেন্স ১টি। অপরদিকে, ২৩টি স্থাপনার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯টি, বিএনপি অফিস ৫টি, আওয়ামী লীগ অফিস ১টি, পুলিশ বক্স ১টি, কাউন্সিলর অফিস ১টি, বৌদ্ধ মন্দির ১টি, বিদ্যুৎ অফিস ২টি, বাস কাউন্টার ১টি, শোরুম ২টি রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এই ৭১ দিনের মধ্যে ৪৭ দিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, বাকি ২৪ দিন কোনো অগ্নিকাণ্ড ঘটেনি। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে ১ দিন, নভেম্বর মাসে ৩ দিন, ডিসেম্বর মাসে ১৭ দিন, জানুয়ারি মাসে ৩ দিন কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি।  অপরদিকে দেখা গেছে, ২৮ অক্টোবর, ২৩ থেকে ৬ জানুয়ারি, ২৪ তারিখ (সন্ধ্যা ৬) পর্যন্ত (মোট ৭১ দিনে) উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়, এ ছাড়া দেশের ৪৩টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে বাকি ২১টি জেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক কোনো অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে ৯০টি উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস এবং বাকি ৪০৫টি উপজেলায় কোনো আগুনের সংবাদ পাওয়া যায়নি।  পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ১৩৭টি, ঢাকা বিভাগে ৫৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৫টি, রাজশাহী বিভাগে ৩৮টি, বরিশাল বিভাগে ৯টি, রংপুর বিভাগে ১০টি, খুলনা বিভাগে ৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬টি, সিলেট বিভাগে ৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  ঢাকা সিটি করপোরেশন এর ১৩৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৯টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪৮টি আগুনের ঘটনা ঘটে। এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মিরপুরে এলাকায় সবচেয়ে আগুনের ঘটনা বেশি। মিরপুর এলাকায় ১৯টি, গুলিস্তানে ১৪টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় ৮টি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় ১৪টি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৪টি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় ৬টি, মোহাম্মদ ৮টি, বারিধারা ৬টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।  এদিকে, জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ৩০টি, চট্টগ্রামে ১৮টি, বগুড়া ১৫টি, নারায়ণগঞ্জ ৭টি, সিরাজগঞ্জ ৬টি, নাটোর ৬টি বরিশাল ৫টি, মানিকগঞ্জ ৪টি, ফরিদপুর ৪টি, লালমনিরহাট ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। গাজীপুর সদরে ১৪টি, বগুড়া সদরে ১০টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৮টি, নারায়ণগঞ্জ সদরে ৫টি, ফেনী সদরে ৫টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X