নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রীকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ফুলেল শুভেচ্ছা
বাংলাদেশ সরকারের নতুন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর (নওফেল) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় মন্ত্রীর বাসভবনে ভিসি ও শিক্ষামন্ত্রীর মধ্যে কুশল বিনিময় হয়। এ সময় উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রীকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উপাচার্য অধ্যাপক বদরুজ্জামান বলেন, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষ ও স্মার্ট জনগোষ্ঠীর বিকল্প নেই। নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপাচার্য নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের সভাপতি আজম, সম্পাদক জেরিন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের (বরিশাল ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটি) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. আজম খান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন একই বর্ষের গণিত বিভাগের জেরিন তাসনিম। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এক্সিকিউটিভ ওরিয়েন্টেশন, দায়িত্ব হস্তান্তর ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে গবেষণা সংসদের প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. খোরশেদ আলম ৪৩ সদস্যবিশিষ্ট নতুন এ কমিটির ঘোষণা করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, গবেষণার দ্বারাই নতুন জ্ঞানের জন্ম হয়। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম তখন শিক্ষকরা আমাদের নতুন জ্ঞান অর্জন জন্য উৎসাহ দিতেন। বর্তমান স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করার জন্যও নতুন জ্ঞান তথা গবেষণার বিকল্প নেই। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এনে গবেষণা সংসদের মাধ্যমে বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করা হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দিন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সুব্রত কুমার দাস, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ,  সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন দিল আফরোজ খানম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও আইন অনুষদের ডিন সুপ্রভাত হালদার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদের উপদেষ্টা গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হেনা রানী বিশ্বাস, রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হালিমা বেগম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. হরুন-অর-রশিদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাজিজুর রহমান, মডারেটর গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন কৃষ্ণ সাহা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সোহেল রানা। ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ববি গবেষণা সংসদের গবেষণা পরামর্শক মৌসুমি আজাদ। অনুষ্ঠানে গবেষণা সংসদের বিভিন্ন কর্মশালায়ের প্রশিক্ষকদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করার পাশাপাশি সদ্য যুক্ত হওয়া ৫টি অনুষদের অ্যাম্বাসাডর, সংসদের বিভিন্ন উইংয়ের ম্যানেজার ও এক্সিকিউটিভ এবং ২৩টি ডিপার্টমেন্টের রিপ্রেজেনটেটিভদের বরণ, সদ্য বিদায় নেওয়া নেতারা সার্টিফিকেট ও সম্মান স্মারক এবং ‘বেস্ট পারফরমার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিতদের পুরস্কার দেওয়া হয়।  যেখানে ৫টি ক্যাটাগরিতে জারিন তাসনিম (লিডারশিপ), তুষার ইমরান (অরগানাইজার), মাহফুজুর রহমান নাজিম (কমিউনিকেশন), রাকিব হোসাইন (ম্যানেজমেন্ট) এবং সাদিয়া আফরিন (টিমওয়ার্ক) নির্বাচিত হয়। উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্য ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটি শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করা, শিক্ষার্থীদের মাঝে গবেষণাকে আকর্ষণীয়, সহজবোধ্য ও তাদের গবেষণামুখী করতে বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা, সেমিনার, আন্তর্জাতিক গবেষণা সফরসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।  
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
এবার নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। গত ২০ নভেম্বর ক্যাম্পাসে রাত ১০টার পরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিরাগতরা ঘোরাঘুরি বা প্রবেশ করলে তার/তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান ওই প্রজ্ঞাপনে। এদিকে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সৌজন্য সাক্ষাৎকারে প্রক্টর খোরশেদ আলম জানান, উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়। যেখানে পুরো ক্যাম্পাসে মাদক রোধ ও বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করবেন। কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্যাম্পাসে আলোকস্বল্পতা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি প্রকৌশলী দপ্তরে বলা হবে। তারা যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ক্যাম্পাস যে আলোয় পরিপূর্ণতা পায় সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এক সহকারী প্রক্টর বলেন, সামনে নির্বাচন তাই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে সেজন্য আমরা সজাগ। তিনি বলেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনে সব সময়ই প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু বহিরাগতরা রাত ১০টার পরে প্রবেশ করতে পারবে না। সার্বিক দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা বিবেচনা রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’
২১ নভেম্বর, ২০২৩

অস্থিতিশীল পরিবেশ রুখতে সজাগ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশের হাত থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত রাখতে সজাগ থাকার কথা জানিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশেষ করে গতকাল শনিবার রাজধানীতে (ঢাকায়) বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচি পরবর্তী উত্তাপের ঢেউ যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত না করতে পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। যথাযথ নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা,পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে নির্বিঘ্নে চলাচল করবে এমনটি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। গত ২৩ অক্টোবর শুরু হওয়া দুর্গা পূজার ছুটি শেষে রোববার থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজনীতিতে সরকার বিরোধী নানা পক্ষ আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের। এরকম প্রেক্ষাপটে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সচেতন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে সরকার বিরোধী শক্তিরা সংগঠিত হবার চেষ্টা করতে পারে এটা আমাদের মাথায় আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এবং শিক্ষা কার্যক্রমে যেন কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে সে বিষয়ে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের এ বিষয়ে কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর বসবাস। হলগুলো যেন সরকার বিরোধী কোনো পক্ষের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু না হয় সে বিষয়ে সচেতন আছে প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ।  শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হল প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

কাশফুলের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে সেজেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকৃতি অনেক রঙে সাজে। কখনো সাদা রঙে, কখনো কালো মেঘ, আবার কখনো সৌন্দর্যের কোনো প্রতীক নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতির মাঝে। যেখানে নির্মল দখিনের বাতাসে, পাখির ডাকে, নদীর কলকল ধ্বনিতে মানুষের মাঝে প্রাণশক্তি সঞ্চার করে। প্রতিবছর শরৎকাল ও ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতে এমন সৌন্দর্যের প্রতীক নিয়ে কাশফুলে ভরে ওঠে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। সবুজের মাঝে কাশফুলের সৌন্দর্যকে বিমোহিত করে তোলে শিক্ষার্থীদের।  নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলায়, কাশফুলে অনেকে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। বসন্তের থোকায় থোকায় যেমন ফুল ফোটে, গাছে জাগে কচি পাতা। ঠিক তেমনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সৌন্দর্যের কাছে শিক্ষার্থীরা নতুন করে উদ্যমী হয় ও নিজেদের পরিস্ফুটিত করে। মনে-প্রাণে আনন্দের গান ও মনকে পুলকিত করে রাখে কাশফুলের সৌন্দর্যকে ঘিরে। শরতের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ কাশফুল। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে কাশফুলের মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া প্রকৃতিতে শুধুই মুগ্ধতা ছড়ায়। ‘শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি’ এভাবেই শরতের সৌন্দর্য উপস্থাপন করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবি নির্মলেন্দু গুণ তার একটি কবিতায় লিখেছিলেন- ‘শরত রানী যেন কাশের বোরখাখানি খুলে, কাশবনের ওই আড়াল থেকে নাচছে দুলে দুলে।’ ঋতুচক্রের পরিক্রমায় বর্ষার পরেই আগমন ঘটে প্রকৃতির রানী শরতের। মায়াবী শরতের স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার ভালোলাগা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। বরিশাল বিশ্যবিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী মোশাহিদ আনসারী বলেন, কোনো নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানকে ঘিরে ক্যাম্পাসকে কৃত্রিমভাবে সাজানো হয়। তবে আমাদের ক্যাম্পাস প্রকৃতির কিছু ছোঁয়াতে সেজে থাকে। কখনো কালো মেঘে ছেয়ে যাওয়া, আবার শরৎকালের কাশফুলের সমারোহে সাজে পুরো ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধের দিনেও দেখা মিলে দর্শনার্থীদের। বিকেল নামলেই একঝাঁক বালক-বালিকে এই সৌন্দর্যের দেখতে আসে আমাদের ক্যাম্পাসে। নদীর পাশে, মহাসড়কের গা ঘেঁষে অবস্থান হওয়ায় সৌন্দর্যের ঘ্রাণে মেতে ওঠে সবাই। সর্বদা আমেজ লেগেই থাকে।বিকাল হলেই বিভিন্ন টংয়ে চা ও প্রকৃতির সুবাতাস নিতে বেরিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পশ্চিম আকাশে সূর্য যাওয়ার পূর্বক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেরিন একাডেমি রোডে ভিড় বাড়ে শিক্ষার্থীদের। স্নিগ্ধের আলোয়, কাশফুলের সৌন্দর্যে প্রিয়তমাকে নিয়ে আসে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে যায়। অনেকে পরিবার নিয়েও ঘুরতে আসে। হালকা বাতাসে কাশফুলের দোলের মাঝে যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলে কিছু সময়ের জন্যে । অনুভূতিগুলো অনেকে ক্যামেরাবন্দি করে ফেলে। কাশফুল অন্য ফুলের মতো গন্ধ না থাকলেও সকলের পছন্দের একটা ফুল বিশেষ করে মেয়েদের। এটিও  প্রিয়জনের জন্য উপহারণস্বরূপ দেওয়া যায়। বন্ধু তার বন্ধুকে বা বান্ধবিকে, প্রিয়তমাকে, স্বামী তার স্ত্রীকে কাশফুল দিয়ে রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি করে তোলে। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী হাদিউজ্জামান সুজন জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শরৎকাল আসলেই মাতিয়ে তোলে কাশফুলে। শরতের কাশফুল মানে শুভ্রতা। কাশফুলের ছোঁয়ায় ক্যাম্পাস নতুনরূপে সেজেছে। ক্যাম্পাসের এমন নবরূপে আমাদের মুগ্ধ করে। আমরা অনেক মেয়েরা নিজেকে সাজিয়ে কাশফুলের সঙ্গে মিশে ক্যামেরাবন্দি করে রাখি।
০২ অক্টোবর, ২০২৩

র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
র‍্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কোনো শিক্ষার্থীর র‍্যাগিংয়ের শিকার হলে অভিযোগ করতে হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম সাক্ষরিত এক নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‍্যাগিং/বুলিং একটি সামাজিক ও শান্তিযোগ্য অপরাধ। র‍্যাগিং/বুলিং হলো কোনো ব্যক্তির প্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিকর/বেদনাদায়ক এবং আক্রমণাত্মক ব্যবহার। যা শারীরিক বা মানসিক, একক অথবা দলবদ্ধভাবে হতে পারে। র‍্যাগিং/বুলিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিঘ্নিত করে। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক র‍্যাগি/বুলিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩ অনুযায়ী এটি মারাত্মক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেখানে আরও বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ীও র‍্যাগিং/বুলিং সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। কোনো শিক্ষার্থী যদি র‍্যাগিং/বুলিং এর শিকার হয় তাহলে প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান বা ছাত্র উপদেষ্টার শরণাপন্ন হবেন। তাতে সমাধান না হলে বিভাগের সভাপতি বা ছাত্র উপদেষ্টার মাধ্যমে প্রক্টর অথবা ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালকের অফিসে সরাসরি অথবা অফিসিয়াল ই-মেইলে পত্র প্রেরণের মাধ্যমে অভিযোগ করা যাবে। কোনো শিক্ষার্থী র‍্যাগিং/বুলিং করলে অথবা উদ্বুদ্ধ করলে প্রমাণ সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম জানান, কিছুদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হবে। নবাগত শিক্ষার্থী বা কোন শিক্ষার্থীরা যাতে খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকবে প্রক্টরিয়াল বডি। তাছাড়া সব বিভাগকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে কেউ র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে। বুলিং বা র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নিবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X