এলসভিয়ার থেকে ফ্রি ই-বুকের সুবিধা পাবে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এলসভিয়ারস (Elsevier) ই-বুক অ্যাক্সেস এবং ডাউনলোডের উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়েছে।  জানা যায়, এলসভিয়ার ই-বুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ১ বছরের জন্য সাবক্রাইব করা হয়েছে। এলসভিয়ার ই-বুকের এক্সেস এবং ডাউনলোডের আওতায় ৪১০০ ই-বুকের সুবিধা পাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইপি রেঞ্জের মধ্যে থাকলেই শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এলসভিয়ার ফ্রি এক্সেসের লিংক  https://www.sciencedirect.com/. বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ উদ্বোধনীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার শাখা।  বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে এবং লাইব্রেরিয়ান (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জয়নুল আবেদিন, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. ছাদেজা আখতার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলসভিয়ার ই-বুকের এক্সেস একটি যুগান্তকারী ঘটনা। পরে সময়ে এই এক্সেসের সঠিক ব্যবহার এবং যথাযথ সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।  অনুষ্ঠানের সভাপতি আবু হাদী নূর আলী খান তার বক্তব্যে জানান, লাইব্রেরিতে প্রচুর হার্ডকপি বই রয়েছে। সেগুলোর ব্যবহার কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে স্প্রিঞ্জার কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছাও আমাদের রয়েছে। যদিও আমরা আপাতত ই-বুকের এক্সেস এক বছরের জন্য নিয়েছি, পরে এই এক্সেসের সঠিক মূল্যায়ন দেখতে পেলে আমরা পরবর্তীতে আরও বড় চুক্তিতে আবদ্ধ হবো।  প্রধান অতিথি বাকৃবি উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে জানান, ইদানীং হার্ডকপির চেয়ে সফটকপি বেশি গুরত্বপূর্ণ। এটি কম সময় সাপেক্ষ ও কম পরিশ্রমের। টাকা দিয়ে জিনিস কিনলে হবে না। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আমাদের প্রয়োজনীয় বইগুলো সেখানে থাকতে হবে। ব্যয় করা অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। স্ব স্ব অনুষদে ফোকাল পয়েন্ট বানাতে হবে যাতে তাদের অনুষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বইগুলো তারা ডাউনলোড করে রাখেন।
১৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনের পক্ষে পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা করল ছাত্রলীগ
ন্যায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে পদযাত্রা ও পরে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে দেবদারু রোড, টিএসসি এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে  আবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে ছাত্রলীগের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশের পতাকার সঙ্গে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন অনুষদ ও বর্ষের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।  পদযাত্রা পরবর্তী বক্তব্যে মো. মেহেদী হাসান বলেন, নিরীহ-নিরপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সঙ্গে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে তার সঙ্গে আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর জলুম ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।  খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা পরিচালনাকারী জায়নবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে জায়নবাদী গোষ্ঠীর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমেরিকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীদের সংহতি প্রকাশের আহবান জানাই। গণহত্যার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক। ফিলিস্তিনের মানুষ মুক্তি পাক।
০৬ মে, ২০২৪

ভ্যাকসিনের লভ্যাংশ দিয়েই ল্যাব গড়ছে বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গবেষণার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ছয় তলা বিশিষ্ট রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড ডেভেলেপমেন্ট (আরটিএন্ডডি) ল্যাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সামনে ওই ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উচ্চতর গবেষণা ও শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগ তাদের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। বিভাগের লাইভস্টক অ্যান্ড পোল্ট্রি ভ্যাকসিন রিসার্চ অ্যান্ড প্রোডাকশন সেন্টারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশের প্রান্তিক খামারিদের কাছে স্বল্পমূল্যে কলেরা ও সালমোনেলা রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনগুলো বিক্রির লভ্যাংশ থেকেই ছয়তলা বিশিষ্ট রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ল্যাবটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উচ্চতর গবেষণা, গবেষণার মান যাচাই ও একাডেমিক শিক্ষার কাজেও ব্যবহৃত হবে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মারজিয়া রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। এসময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যোগ্যতা অনেক। তাদের শিখানোর সক্ষমতাও অনেক ভালো। এখানে শতকরা ৯৫ ভাগ শিক্ষক পিএইচডিধারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান আরও বৃদ্ধি করতে ও সকল পর্যায়ের গবেষকদের উৎসাহিত করতে এই রিসার্চ ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আগামী ৩০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ভোটগ্রহণ করা হবে। এবার নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের দুটি এবং বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সোনালি দলের একটিসহ মোট তিনটি প্যানেল অংশগ্রহণ করছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক কমপ্লেক্স ভবনে ওই দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুরর ২টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। তথ্যগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একটি প্যানেল থেকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী যথাক্রমে কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরী এবং সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম। গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের আরেকটি প্যানেল থেকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী যথাক্রমে প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান এবং কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রমিজ উদ্দিন। সোনালী দল থেকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী যথাক্রমে ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার এবং কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার। শিক্ষক সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনটি দল থেকে মোট ৪১ জন পদপ্রার্থী শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন পদের জন্য প্রতিযোগিতা করছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের প্রধান প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে থাকবেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে আরও থাকছেন সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বাকৃবি শিক্ষার্থী সিনথিয়া
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী সিনথিয়া আক্তার সুজানা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, সিনথিয়া সুজানার জানাজা বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা যায়, সিনথিয়া সুজানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা মো. আশরাফুল ইসলাম। সিনথিয়ার বাসা ময়মনসিংহের সেন বাড়ী রোডে। সিনথিয়া সুলতানার সহপাঠীরা জানান, হাত-পায়ের হাড়ের ব্যথার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারত যান সিনথিয়া। এরপর অনেকদিন ধরে তাকে ক্লাসে অনুপস্থিত দেখে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ভারতের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ১০ দিন ওষুধ খাওয়ার পর সিনথিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়া ফাটতে শুরু করে। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে শরীরের চামড়া পড়া শুরু হয়। মঙ্গলবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সিনথিয়ার বাবার বন্ধু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. হারুণ-অর-রশিদ জানান, সিনথিয়ার বাবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হয়। এক পর্যায়ে সিনথিয়া মারা যায়।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

নবীনদের বরণ করে নিল বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ নবীনবরণের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবাগত সকল শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন বই প্রদান করা হয় যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিচিতি ও অর্জন তুলে ধরা হয়েছে। তবে আগে নতুনদের যে আগে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হতো সেটি এবার দেখা যায়নি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, ছাত্র বিষয়ক বিভাগ, প্রক্টরিয়াল বডি, রেজিস্ট্রার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নবীনদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নবীনদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করেন সংগঠনের নেতারা। পরে দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং প্রাতিষ্ঠানিকসহ সার্বিক বিষয়ে নবীনদের অবগত করানোর জন্যে একটি উপস্থাপনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, বর্তমান সমাজের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খাদ্যশস্য, ফলমূল, বীজ উৎপাদনে বাকৃবির অবদান অনস্বীকার্য। আমি আশা করছি আজকের নবীনরা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শিক্ষক হিসেবে আমরা তখনই গর্ববোধ করবো, যখন আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববাসীর কাছে দেশ এবং কৃষির সাফল্য তুলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার অনেক কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে বাকৃবিতে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছো তোমরা। দেশকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজারের বেশি কৃষি গ্র্যাজুয়েট দিয়েছে বাকৃবি। আয়তনে দেশের অবস্থান বিশ্বব্যাপী ৯৬ তম হলেও কৃষিপণ্য উৎপাদনে অবস্থান ১৪ তম। দেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বার্ষিক আর্থিক মূল্য ৪ লাখ কোটি টাকারও অধিক। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে জলবায়ুগত প্রতিবন্ধকতা এখন বিরাট হুমকি। এ সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। সমান্তরাল জমি ছেড়ে ভার্টিক্যাল কৃষি নিয়ে এগোতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আইএলটিএসের একটি শাখা চালু করা হবে। যেকোনো পর্যায়ে উপযুক্ত সময়, উপযুক্ত কাজ এবং উপযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারণ করতে হবে। সকল চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে স্মার্ট কৃষিবিদ হতে হবে।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকৃবি অধ্যাপকের মৃত্যু
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক  ড. মো. আব্দুল কাফি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে বাকৃবি পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মারজিয়া রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি  অধ্যাপক ড. আব্দুল কাফি ব্রেন স্ট্রোক করেন। পরে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রেখে মস্তিস্কে অপারেশন করা হয়। অধ্যাপক মারজিয়া রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় অধ্যাপক ড. আব্দুল কাফি মারা যায়। তার প্রথম জানাজার নামাজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জানাজা শেষে তাকে নিজ বাড়ি বগুড়াতে নেওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজার পর তাকে দাফন করা হবে।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বাধীনতার ইতিহাস হৃদয়ে ধারণ করতে হবে : বাকৃবি উপাচার্য
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দ্রুতই চার হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হবে। স্বাধীনতার পর আমরা শিক্ষা, দারিদ্র্যতার হার হ্রাসসহ নানা দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের জীবনযাত্রার মানের দিক দিয়ে আমরা দ্রুতই ভারত, পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাব। তবে স্বাধীনতা ও দেশের ইতিহাস সব সময় আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ মরণসাগরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এ সময় শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে জাতীয় সংহতি ও অগ্রগতির জন্য মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বিকেল ৩টায় আবাসিক হলগুলোতে প্রীতি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

কুয়াশার নির্জনতায় বাকৃবি
ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। নদীর পাশে প্রাকৃতিক দোলাচলে এখানকার পরিবেশ প্রতিটি ঋতুতেই আলাদা করে সাজে। আর শীত এলে তো কথাই নেই। কুয়াশারা দল বেঁধে যেন বাকৃবিতে আসে শীতের গাছপালা আর সবজি ক্ষেতে পরশ বোলাতে। এবার সময়ের একটু আগেই দুয়ারে জানান দিল শীতের আগমনী বার্তা। ক্যাম্পাসের সুবিশাল দেহ ঢাকা পড়ছে কুয়াশার নির্জনতার চাদরে। শীতের আমেজ বাড়িয়ে দিতে ক্যাম্পাসের কেয়ার মার্কেট ও শেষ মোড় জুড়ে বসতে শুরু করেছে পিঠার দোকান। সকালেই কুয়াশা ঢেকে দেয় সবকিছু। নির্জনতা ভেঙে ছুটে আসে ট্রেন। দিন যত বাড়ে নীল আকাশে কুয়াশা কিছুটা মলিন হয় ঠিকই। পড়ন্ত বিকেলে আবারও কাঁথামুড়ি দেয় ক্যাম্পাস। দূর হতে আসা শীতল বাতাস আর হালকা মেঘের সঙ্গে কুয়াশার পাল ছুটে আসে। রাতে নিঃশ্বাস দূরত্বেও মনে হয় জমাট বেঁধে আছে এক রাজ্যের রহস্য। আর সেই আবছায়ায় শুরু হয় শিয়ালের ডাক। সঙ্গে বানর আর নানা জাতের পাখিও জানান দেয় তাদের উপস্থিতি। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও এ সময়টায় সাতসকালে অনেককে যেতে হয় ক্লাসে। শিশির ভেজা রাস্তা মাড়িয়ে কিংবা সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথটা কিন্তু বেশ উপভোগ্য। এমনকি এসময় দেখা মিলে গরুর পাল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠের সামনে চরানো হয় গরু। শীতের সন্ধ্যায় এমন পরিবেশে বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা না জমে পারে না। পিঠা বিক্রেতা আকরাম শেখ জানান, ‘সাত রকমের পিঠা বানাই। এগুলোর মধ্যে ঝাল-মিষ্টি পুলি, সবজি রোল, ভাপা পিঠা আর গোটা পিঠা খুবই চলে। ভেটেরিনারি অনুষদের আশিক জানালেন, রাতের কম্বল মুড়ির ঘুম শেষে সকালে ক্লাসে যেতে ইচ্ছে করে না। তবে পিঠা খেতে ঠিকই যাই। ব্যাডমিন্টনটাও খুব উপভোগ করি। সন্ধ্যায় চলে আড্ডা। রাতে হলের আসার সময় দেখা যায় শিয়াল। শীত মানেই দারুণ কিছু মুহূর্ত।’ সন্ধ্যা হলে বাইরের শীতে যাদের বড় ভয়, তারা হলের কমনরুমে গল্প করে সময় কাটায়।   লেখক : শিক্ষার্থী, বাকৃবি
১৯ নভেম্বর, ২০২৩

জাতীয় কৃষি দিবস পালন করবে বাকৃবি
জাতীয় কৃষি দিবস পালন বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেছেন, বাকৃবিতে কৃষিবিদ দিবস পালিত হয়ে থাকে। জাতীয় কৃষি দিবস আগে পালন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেউ আগে তাকে এ বিষয়ে জানায়নি। তবে এখন আগামী বছর থেকে বাকৃবিতে জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হবে। বাংলা ১৪১৫ (২০০৮ সাল) সাল থেকে জাতীয় কৃষি দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সরকারি-বেসরকারি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন আয়োজনের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করা হয়। এ বছরও দেশের কৃষি ও কৃষকদের এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে নবান্নের সঙ্গে সংযোগ রেখে ১ অগ্রহায়ণ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) পালন করা হয় জাতীয় কৃষি দিবস। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখার উপপ্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক জিয়াউর রহমান বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিম দিবস, দুধ দিবস পালন করা হয়। তবে কৃষি দিবস পালন করা হয় না। ২০১৪ সালের আগে খামার ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে নবান্ন উৎসব পালন করা হতো। তবে এখন সেটিও আর হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলেই দিবসটি পালন করা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কৃষি দিবস পালন করা হয়নি। সরকারিভাবে নির্দেশনা না পেলে আমরা পালন করতে পারি না। তবে কৃষি অনুষদ, ডিন কাউন্সিল চাইলে দিবসটি পালন করতে পারে। সরকারিভাবে পালন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাজেট দিতে পারে না। আশা করি, আগামীতে দিবসটি পালন করা হবে।
১৮ নভেম্বর, ২০২৩
X