কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নবীনদের বরণ করে নিল বাকৃবি

বাকৃবি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা
বাকৃবি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ নবীনবরণের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবাগত সকল শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন বই প্রদান করা হয় যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিচিতি ও অর্জন তুলে ধরা হয়েছে। তবে আগে নতুনদের যে আগে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হতো সেটি এবার দেখা যায়নি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, ছাত্র বিষয়ক বিভাগ, প্রক্টরিয়াল বডি, রেজিস্ট্রার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নবীনদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নবীনদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করেন সংগঠনের নেতারা।

পরে দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং প্রাতিষ্ঠানিকসহ সার্বিক বিষয়ে নবীনদের অবগত করানোর জন্যে একটি উপস্থাপনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, বর্তমান সমাজের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খাদ্যশস্য, ফলমূল, বীজ উৎপাদনে বাকৃবির অবদান অনস্বীকার্য। আমি আশা করছি আজকের নবীনরা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শিক্ষক হিসেবে আমরা তখনই গর্ববোধ করবো, যখন আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববাসীর কাছে দেশ এবং কৃষির সাফল্য তুলে ধরবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার অনেক কঠিন সময় পাড়ি দিয়ে বাকৃবিতে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছো তোমরা। দেশকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজারের বেশি কৃষি গ্র্যাজুয়েট দিয়েছে বাকৃবি। আয়তনে দেশের অবস্থান বিশ্বব্যাপী ৯৬ তম হলেও কৃষিপণ্য উৎপাদনে অবস্থান ১৪ তম। দেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বার্ষিক আর্থিক মূল্য ৪ লাখ কোটি টাকারও অধিক। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে জলবায়ুগত প্রতিবন্ধকতা এখন বিরাট হুমকি। এ সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। সমান্তরাল জমি ছেড়ে ভার্টিক্যাল কৃষি নিয়ে এগোতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আইএলটিএসের একটি শাখা চালু করা হবে। যেকোনো পর্যায়ে উপযুক্ত সময়, উপযুক্ত কাজ এবং উপযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারণ করতে হবে। সকল চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে স্মার্ট কৃষিবিদ হতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

যশোরে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতার মৃত্যু

আমিরাতে লটারিতে ৬৬ কোটি টাকা জিতলেন প্রবাসী হারুন

আকাশপ্রেমীদের জন্য এ মাসে দারুণ খবর

আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

এসএসসি পাসেই চাকরি দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

৪ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

সেপ্টেম্বরে বিশ্ব খাদ্যমূল্য সূচক কমেছে : এফএও

টিভিতে আজকের যত খেলা

১০

‘বিদেশি নম্বর’ থেকে ফোন করে ওসিকে হত্যার হুমকি

১১

ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান

১২

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

১৩

৪ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৪

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৫

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

১৬

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

১৭

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

১৮

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

১৯

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

২০
X