গাজীপুরে ছাত্র ও পরিবহন শ্রমিকের মারামারি, বাস চলাচল বন্ধ
গাজীপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ছাত্র ও শ্রমিকদের সঙ্গে মারামারি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে গাজীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢাকার সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অন্যান্য রোডের বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে। সদর থানার ওসি (তদন্ত) নন্দলাল চৌধুরী জানান, গত রাত একটার দিকে ডুয়েটের তিনজন শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলে শিববাড়ি মোড় থেকে ডুয়েট যাওয়ার সময়ে বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে প্রায় ধাক্কা লাগিয়ে দেয়। এতে ওই শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে  শ্রমিকদের ওপর চড়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ডুয়েট শিক্ষার্থীরা এসে বাস স্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি বাসের জানালা-কাচ ভাঙচুর করে এবং শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। এই ঘটনার জেরে সকাল থেকে গাজীপুর বাস স্ট্যান্ডের শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে বাস চলাচল বন্ধ রাখে। তবে অন্যান্য সকল পরিবহন স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি সুরাহা করে বাস চালানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
০৩ মে, ২০২৪

চার জেলার সঙ্গে রংপুরের বাস চলাচল বন্ধ
রংপুর থেকে উত্তরের চার জেলার সঙ্গে ছয় দিন ধরে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। দিনাজপুর ও রংপুর জেলা মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রংপুর এবং সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার বাস চলাচল করছে। সৈয়দপুর শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে যেসব বাস গেটলক নামে সরাসরি রংপুরে চলাচল করত, সেগুলো সৈয়দপুরে সব যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। সেগুলো সরাসরি যাচ্ছে না। রংপুরের গেটলক গাড়ি সৈয়দপুর টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে।  একইভাবে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃজেলা কোনো বাস সৈয়দপুর ছেড়ে যাচ্ছে না। সেগুলোও সৈয়দপুর থেকে যাত্রী নিয়ে নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় যাচ্ছে। এতে করে চাপ বেড়েছে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে। ফলে দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি। দিনাজপুর ও নীলফামারী বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পঞ্চগড় থেকে রংপুর হয়ে বগুড়া ও রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী হয়ে জয়পুরহাট পর্যন্ত গেটলক বাস চলাচলের কথা। কিন্তু রংপুরের নেতারা পঞ্চগড় থেকে বগুড়ায় বাস চলাচল করতে না দিয়ে রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী হয়ে জয়পুরহাট রুটে তাদের বাস চলাচল করাতে চায়। এ নিয়ে দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও রংপুর মোটর মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৪ এপ্রিল থেকে উভয় গ্রুপ গেটলক নামে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচল করাচ্ছে। উভয় মালিক গ্রুপের বাস সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে নিজ নিজ জেলা রুটে চলাচল করছে।  দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ভবানী শংকর আগরওয়ালা বলেন, এ ঘটনার জন্য রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপন সম্পূর্ণ দায়ী। তার হঠকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কারণে এমন নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।  এ বিষয়ে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি কল রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কেএনএফের হুমকি রুমা ও থানচিতে বাস চলাচল বন্ধ
পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হুমকিতে বান্দরবানের রুমা ও থানচি সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ পর্যটকরা। গতকাল রোববার সকাল থেকে দুই উপজেলার সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সকালে কেএনএফ সদস্যরা পরিবহন লাইনম্যান শ্রমিক লুপ্রু মারমাকে ধরে নিয়ে মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এরই জের ধরে রুমা থানচি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি রুমা উপজেলার রিজুক ঝরনাপাড়ার এক যুবককে গুলি করার অভিযোগ ওঠে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত কেএনএফের বিরুদ্ধে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন রুমা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন স্থানীয়রা। সেখানে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকেও দেখা যায়। বান্দরবান-রোয়াংছড়ি- রুমা-থানচি মোটরযান পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আলম বলেন, রুমা ও থানছি স্টেশন থেকে সকাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে আসেনি। কেএনএফ বাস না চালানোর হুমকি দেওয়ায় বাস চলাচলের বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, তার ছোটভাই লুপ্রু (৫৩) মারমা দীর্ঘদিন ধরে রুমা বাসস্টেশনের লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। সকালে বাড়ি থেকে বাসস্টেশনে যাওয়ার সময় পলিকা পাড়া শ্মশান এলাকায় কেএনএন সদস্যরা তার ভাই লুপ্রুকে ধরে নিয়ে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টার মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে লুপ্রুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বান্দরবানে দুই উপজেলায় বাস চলাচল বন্ধ
পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ)  হুমকিতে বান্দরবানের রুমা ও থানচি সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীসহ পর্যটকরা। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুই উপজেলার সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, সকালে কেএনএফ সদস্যরা পরিবহন লাইম্যান শ্রমিক লুপ্রু মারমাকে ধরে নিয়ে মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে রুমা থানচি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি রুমা উপজেলার রিজুক ঝরনাপাড়ার এক যুবককে গুলি করার অভিযোগ ওঠে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত কেএনএফের বিরুদ্ধে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে পর দিন রুমা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন স্থানীয়রা। সেখানে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকেও দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, রুমা ও থানচি স্টেশনে কোনো গাড়ি না পেয়ে কয়েকঘণ্টা ধরে বসে আছে থুইম্রাচিং মারমা ও প্রদীপ তচঙ্গ্যা। তারা জানান, সকাল থেকে স্টেশনে বসে আছি। নিজ গন্তব্য যাব বলে বিভিন্ন মালামাল আর বাচ্চা নিয়ে স্টেশনে হাজির হয়েছি। শুনেচ্ছি কেএনএফ হুমকি কারণে বাসে মালিক পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। এতে আমাদের চলাচলের ভোগান্তি হচ্ছে। বান্দরবান-রোয়াংছড়ি-রুমা-থানছি মোটরযান পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আলম বলেন, সকাল থেকে বান্দরবান থেকে বাঘমারা ও রোয়াংছড়ি বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে। কিন্তু রুমা ও থানছি স্টেশন থেকে সকাল হতে কোনো বাস ছেড়ে আসেনি। কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএফ) বাস না চালানোর হুমকি দেওয়ায় বাস চলাচলের বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, তার ছোটভাই লুপ্রু (৫৩) মারমা নামে দীর্ঘদিন ধরে রুমা বাস স্টেশনের লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। সকালে বাড়ি থেকে বাস স্টেশনে যাওয়ার সময় পলিকা পাড়া শ্মশান এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএন) সদস্যরা তার ভাই লুপ্রুকে ধরে নিয়ে যায়।  প্রায় আধা ঘণ্টার মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে লুপ্রুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রুমা ২নং রুমা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শৈমং মারমা (শৈবং) বলেন, রুমায় এখন রাস্তায় রাস্তায় কুকিচিন আর্মির সদস্যরা টহল দিচ্ছে। মানুষজনকে হুমকি ও মারধর করছে। গাড়ি না চালানোর জন্য বলা হচ্ছে। এ কারনে রুমা থেকে বান্দরবান কোনো বাস ও যানবাহন ছাড়েনি। রুমা থানার ওসি মো. শাহজাহান জানান, রুমা থেকে বান্দরবান সদরে সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে শুনেছি। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি, পেলেআইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। থানচির উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ বলেন, এখন পর্যন্ত থানচি থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টানা ২ দিন রাজশাহী-রংপুর বাস চলাচল বন্ধ
রাজশাহী-রংপুর বিভাগের মধ্যে শুক্রবারেও (১৯ জানুয়ারি) সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়নি। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাস চলাচলে বাধা দেওয়ার ঘটনার সমাধানে ডাকা বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। এতে রাজশাহী বিভাগ থেকে রংপুর বিভাগে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকাগামী কোচ যথারীতি চলাচল করবে। এদিকে দুই বিভাগের মধ্যে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কষ্ট করতে হচ্ছে বেশি। যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে চলাচল করায় খরচ বেড়ে গেছে।    বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রংপুর, গাইবান্ধাসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার পরিবহন মালিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, সভায় পলাশবাড়ীর ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি। তাই আগের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পলাশবাড়ীর সমস্যা সমাধান না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে রাজশাহী বিভাগের কোনো বাস চলাচল করবে না। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহী বিভাগের কোনো বাস রংপুরে চলাচল করবে না বলে ঘোষণা দেন পরিবহন মালিক সমিতি। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাস আটকে চাঁদাবাজি করার প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বরিশালে বাস চলাচল বন্ধ
বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে বরিশাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে লঞ্চ চলাচল অব্যাহত। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে নগর ও জেলার কোথায় কোনো বিএনপি বা জামায়াতের মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ ও জেলার বাইরের বিভিন্ন রুটে স্বাভাবিক নিয়মে লঞ্চ চলাচল করছে। তবে স্বাভাবিক দিনের থেকে যাত্রী কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন বরিশাল থেকে ভোলাগামী সোহাগী-১ লঞ্চের মাস্টার নয়ন। তিনি বলেন, দূরপাল্লার বাস চলাচল কম থাকায় যাত্রীর সংখ্যা কম রয়েছে। তবে অফিস সময়ের সঙ্গে লঞ্চগুলোতে যাত্রী সংখ্যা আগের মতোই ছিল বলে জানিয়েছেন বন্দরের স্টাফরা। এদিকে বরিশাল নগরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এক্সক্লুসিভ নামে একটি বাস ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়েছে। এরপর থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে সাকুরার বরিশাল ডিপো ম্যানেজার আনিচুর রহমান জানিয়েছেন, বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকেলের দিকে বাস চালু হতে পারে।  এ ছাড়া স্বাভাবিক নিয়মে সকাল থেকে বিআরটিসির বাসগুলো সব রুটে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে, যাতে যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল কম। সকাল থেকে বরিশাল নগরে ও উপজেলা সদরগুলোতে সিএনজি, মাহিন্দ্রা, অটোরিক্সাসহ সকল ধরনের  থ্রি-হুইলার স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করছে। এমনকি বরিশাল নগর থেকে উপজেলাগুলোতে সমানে যাত্রী পারাপার করছে এসব যানবাহন। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানপাট খুলতে শুরু করার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, ব্যাংক, অফিস-আদালত যথানিয়মে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে পুলিশ সদস্যদের মোতায়েনের পাশাপাশি সড়ক-মহাসড়ক ধরে র‌্যাব-পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। বিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে এ পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে, আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও অব্যাহত, নজরদারি রয়েছে।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের বাস চলাচল বন্ধ
সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা আজকের মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের বাস চলাচল কার্যত বন্ধ। শহরতলীর বাসও রাস্তায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। মহাসড়কগুলো ফাঁকা। পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে মাঝে মধ্যে দুই একটি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার নগরীতে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে। ঢাকা-নারায়নগঞ্জ, ঢাকা-মাওয়া-কেরানীগঞ্জ,  ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ-সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটে এ চিত্র দেখা যাচ্ছে। সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ কালবেলাকে বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে নাশকতার শঙ্কায় মালিক শ্রমিকরা বাস বন্ধ রেখেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাস চলাচল শুরুর কথা জানান তিনি। তবে বাস বন্ধে সমিতি থেকে কোনো নির্দেশনা নেই।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ও শ্রমিকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এ পথের যাত্রীরা। রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহগামী কয়েকটি এনা পরিবহন সকালে আসলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়। আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব প্রকার যাত্রীবাহী বাস বন্ধ রয়েছে। তবে সকাল থেকে টার্মিনালটিতে ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের ভিড় হয়েছে। নগরীর মাসকান্দ বাসটার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা শহিদুল্লাহ নামের একজন বলেন, বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ করে সড়কপথে ময়মনসিংহকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। শিশিতা নামের আরেকজন বলেন, আমার মা অসুস্থ থাকায় তাকে দেখতে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার উদ্দেশে বাস টার্মিনালে এসে দেখি বাস বন্ধ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আমি মাকে দেখতে যেতে পারছি না। ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার খোরশেদ আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মালিক সমিতির নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও রাস্তায় বাস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) বাস চলাচল বন্ধ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

তিন দিন ধরে ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে বাস চলাচল বন্ধ
ফরিদপুরের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত সোমবার (২ অক্টোবর) ভোর থেকে এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ বাস বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগ বেড়েছে। অনেক যাত্রী বাস কাউন্টারে এসে ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেক যাত্রী থ্রি-হুইলারে করে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে নদী পার হয়ে রাজধানীর ঢাকায় গন্তব্যে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন জানান, এখনো সমস্যা সমাধান হয়নি। এ বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান জানান, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে পুনরায় বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে। প্রসঙ্গত, রাজবাড়ীর কোনো বাস পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যায় না। কিন্তু গোল্ডেন লাইন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যায়। এ ছাড়া গোল্ডেন লাইন রাজবাড়ীর পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা না করে তারা নিজেদের মতো ট্রিপ পরিচালনা করছিল। এতে প্রথমে তাদের বাধা দেওয়ায় তারা ঢাকার গাবতলীতে রাজবাড়ীর কাউন্টারগুলোতে ভাঙচুর চালায়। পরে ঢাকার বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করা হয়। এরপর সিদ্ধান্ত হয় গোল্ডেন লাইন রাজবাড়ীতে দুটি ট্রিপ চালাবে। কিন্তু তারা এই সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে একাধিক ট্রিপ চালাচ্ছিল। তাই গত শুক্রবার রাজবাড়ী পরিবহন মালিক গ্রুপের লোকজন বাস মালিক সমিতির সামনে থেকে গোল্ডেন লাইনের একটি বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে ঢাকায় ফেরত পাঠায়। এতেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর আগেও গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩

ফরিদপুর-রাজবাড়ী রুটে ৪ দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ
রাজবাড়ী-ফরিদপুরের বাস শ্রমিক ও মালিকদের দ্বন্দ্বে দুই রুটে ৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। এর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। পুলিশ প্রশাসন বলছে, দুই জেলার মালিক ও শ্রমিক সমিতির মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরিদপুর বাস মালিকের এক নেতা বলেছেন, এ উদ্যোগ তাদের পক্ষ থেকে কিংবা রাজবাড়ীর পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ার চেয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব। জানা গেছে, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর শহর থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টায় রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। প্রতি ১০ মিনিট পরপর একটি করে বাস ছেড়ে যায়। রাত ৮টা পর্যন্ত এভাবে বাস চলতে থাকে অপরদিকে ফরিদপুর থেকে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পর্যন্ত বাস চলাচল করত ৩০ মিনিট পর পর। রাজবাড়ী-ফরিদপুর রুটে প্রতিদিন অন্তত ৮০ বার বাস চলাচল করে। সকাল ৬টা থেকে বাস চলা শুরু হয় এবং রাত ৮টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। অপরদিকে ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পথে প্রতিদিন ৪০ বার বাস চলাচল করে। এ পথে বাস চলাচল করে আধা ঘণ্টা পরপর। দৌলতদিয়া-ফরিদপুর রুটে বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে দুই জেলার বাস মালিকদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের দাবি তাদের কোন হিস্যা না দিয়েই ফরিদপুরের বাস মালিকরা এ রুটে তাদের বাস চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে তাদের হিস্যার ব্যাপারে বারবার বলা হলেও তারা শোনেননি। এ ছাড়া গত ২৯ আগস্ট বিকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের বাস শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ফরিদপুরের রাজবাড়ীর রাস্তার মোড় থেকে রাজবাড়ীর মালিকদের বাসগুলো আবার রাজবাড়ীর দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরপরই রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুরের মালিকানাধীন বাসগুলোও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ জের ধরে পরবর্তীতে দুই রুটে বাস চলাচল চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বলেন, ৩০ আগস্ট রাতে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল দুই জেলার বাসগুলো নিজ নিজ জেলার সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত যাবে। কিন্তু পরে চিন্তা করে দেখা যায় এতে যাত্রী কম হবে, তেল খরচ উঠবে না এবং যাত্রীদের ভোগান্তি হবে। এ বিবেচনা করে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।  রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন বলেন, ২৯ আগস্ট বিকালে ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ীর একটি বাস ফিরিয়ে দেয় সেখানকার বাস মালিক সমিতি। এরই প্রতিবাদে ৩০ আগস্ট সকাল থেকে কোনো বাস ফরিদপুরে যাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সিদ্ধান্ত হলে বাস চলাচল শুরু করা হবে। এদিকে রাজবাড়ী-ফরিদপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ার দিক থেকে আসা বাসগুলো ফরিদপুরের সীমান্তবর্তী সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত যাচ্ছে। পরে ওই যাত্রীরা পায়ে হেঁটে কিছুটা পথ অতিক্রম করে ফরিদপুরের সীমানায় এসে মাহেন্দ্র কিংবা ইজিবাইকে করে ফরিদপুর যাচ্ছে। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রনি ও সোহান খান বলেন, রাজবাড়ীর বড়পুল মোড়ে এসে দেখি বাস বন্ধ। মাহেন্দ্র অটোতেও অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে। ফরিদপুরের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক তুহিন লস্কর বলেন, দুই জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বসে গত ৩০ আগস্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা নিজ নিজ জেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত বাস চালাবেন। তবে রাজবাড়ী এ সিদ্ধান্ত মেনে ফরিদপুরের সীমান্ত পর্যন্ত বাস চলাচল শুরু করলেও ফরিদপুর থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X