Sun, 19 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে শিক্ষার্থী খুন
৯ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম
১০ ঘণ্টা আগে
অবশেষে লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
১০ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা
১০ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
১০ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
সদ্যপ্রাপ্ত
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বাবর আলীর মাউন্ট এভারেস্ট জয়।
অনুসন্ধান
দেশে ফিরতে শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানরা
লাখ লাখ বাস্তচ্যুত সিরিয়ান গত ১৩ বছর যে সময়টার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, অবশেষে দেখা মিলল সেই সন্ধিক্ষণের। লেবানন থেকে সিরিয়ার উদ্দেশে একে একে বের হয়ে গেল শরণার্থীবাহী ট্রাক। এরই মধ্য দিয়ে অবসান ঘটল দীর্ঘ প্রতীক্ষার। জীবন বাঁচাতে যে ঘরবাড়ি ও দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন এসব মানুষ, এবার ঘরে ফিরছেন তারা। শুরুটা স্বল্প পরিসরে হলেও জন্মভিটায় ফিরতে পারায় দারুণ আনন্দিত এসব মানুষ। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে জীবন বাঁচাতে পাশের দেশ লেবাননে আশ্রয় নেন অন্তত ৮ লাখ সিরিয়ান। এরই মধ্যে এত বেশি শরণার্থী আশ্রয় দিয়ে মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ড গড়েছে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে থাকা লেবানন। এবার সেই সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হচ্ছে। কারণ, দীর্ঘ আলোচনার পর শুরু হয়েছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্বেচ্ছায় সম্পন্ন হচ্ছে। যাদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে দেওয়া হয়েছে শতভাগ নিশ্চয়তা। প্রাথমিকভাবে ৩৩০টি পরিবারকে সিরিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা লাখে উন্নীত করা হবে। সানা নিউজ জানিয়েছে, সিরিয়ান কর্তৃপক্ষ দেশে ফিরে আসা এসব মানুষের বিষয়ে খুবই আন্তরিক। এরই মধ্যে তারা একটি তালিকা তৈরি করছে। যেখানে রয়েছে ফিরে আসাদের নাম, আবাসস্থলসহ বিস্তারিত তথ্য। ফলে যাদের সহায়তা দরকার, তাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। এ ছাড়া এসব ব্যক্তির জন্য পৃথক মেডিকেল টিমও গঠন করেছে দেশটির সরকার। এক যুগেরও বেশি সময় আগে শুরু হওয়া সিরিয়ান গৃহযুদ্ধ এখনো বন্ধ হয়নি। তবে কমে এসেছে এর মাত্রা। ফলে, অনেক অঞ্চলে বিরাজ করছে স্থিতিশীল অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননের সঙ্গে আলোচনায় বসে সিরীয় প্রশাসন। তাদের ঐকমত্যের ওপর ভিত্তি করেই প্রণয়ন করা হয় এই প্রত্যাবাসন রোডম্যাপ। এ জন্য কোনো শরণার্থীকে জোর করা হয়নি বলেও দাবি উভয় দেশের। এক শরণার্থী বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছায় এই প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছি, আমাদের জোর করা হয়নি। তবে, এই প্রক্রিয়ায় একটি সমস্যা রয়েছে। অনেকের গোটা পরিবার দেশে ফিরতে নিবন্ধন করে। কিন্তু তাদের কেউ কেউ বাদ পড়েছেন। ফলে, পরিবারের কিছু সদস্যকে ভিন দেশে রেখে বাকিদের দেশে ফিরতে হচ্ছে। এটার খুবই হতাশার। এখন তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে আগামী প্রত্যাবাসন পর্যন্ত।’ তবে ঘরে ফিরতে যাওয়া এসব মানুষ বলছেন, দীর্ঘ ১৩টি বছর তারা অপেক্ষা করেছেন। ফলে আরও কিছুটা সময়ও অপেক্ষা করতে পারবেন। তবে এই প্রক্রিয়া যেন বন্ধ না হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
১৬ মে, ২০২৪
রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনসংখ্যা, শরণার্থী এবং অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এবং এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে ৩০.৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তহবিলের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, বিশুদ্ধ পানি এবং আশ্রয়ের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা কমাতে স্বনির্ভরতা গড়ে তোলার উদ্যোগ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি অ্যাম্বাসেডর জেফরি প্রেসকট যুক্তরাষ্ট্র সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম দেখতে বাংলাদেশে সফরকালে নতুন এই সহায়তা তহবিলের ঘোষণা দেন। অ্যাম্বাসেডর প্রেসকট বলেন, আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশিদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মার্কিন দূতাবাস জানায়, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তার একক বৃহত্তম দাতা যুক্তরাষ্ট্র। এই সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট অর্থায়ন আগস্ট ২০১৭ থেকে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১.৯ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে শরণার্থী এবং আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রধান অ্যামি পোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় সফররত আইওএমের মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যামি পোপসহ সংস্থার প্রতিনিধিরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
০৯ মে, ২০২৪
পুরো বিশ্বের উচিত রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজে বের করা : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য ভারী বোঝা হয়ে উঠছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে ব্রিটিশ ক্রস পার্টির একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা যাতে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে এবং সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চিন্তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরো বিশ্বের উচিত এই সংকটের সমাধান খুঁজে বের করা, যাতে মিয়ানমারের নাগরিকরা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে এবং সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা শুরু হওয়া গণহত্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রায় ৬ লাখ ৫৫ হাজার থেকে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বিগত তিন দশক ধরে মিয়ানমার সরকারের সহিংস নির্যাতন থেকে ৩ লাখের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে অবস্থান করছে। এ মুহূর্তে কক্সবাজারে সব মিলিয়ে অন্তত ২২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
ইসরায়েলি হামলায় গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ লাখ বাস্তুচ্যুত
ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এমন তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। খবর আলজাজিরার। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, গাজায় গণহারে বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে। গাজার সব এলাকায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় অনেক পরিবার বারবার বাধ্য হচ্ছেন পালিয়ে যেতে। হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ২২ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৭ হাজার ৯১০ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তবে দক্ষিণ গাজাও নিরাপদ নয় বলেই জানিয়েছেন তারা। সম্প্রতি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, শহরটিতে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে হামাস।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪
ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা যুদ্ধাপরাধ
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে ব্রিকস জোটের নেতারা বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করাটা যুদ্ধাপরাধ। গাজায় দ্রুত অবনতিশীল মানবিক সংকট কমাতে উভয়পক্ষকে অবিলম্বে যুদ্ধ ও শত্রুতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বিশ্বের প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচ দেশের জোট ব্রিকসের নেতারা মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন নিয়ে এদিন ব্রিকসের এ শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা হয়। সম্মেলনে অংশ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ও অবস্থানকেও দায়ী করেন তিনি। খবর আলজাজিরা ও আনাদোলুর। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানানো হয় সম্মেলনে। গাজার মধ্যে বা বাইরে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করাকে জোটের অনেক নেতা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেন। সম্মেলনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ও অবস্থানকেও দায়ী করেন তিনি। ব্রিকসের এই বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে মস্কো থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু, বেসামরিক নাগরিকদের তাদের বাড়িঘর থেকে ব্যাপকভাবে বিতাড়নসহ গাজা উপত্যকায় যে মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পুতিন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনা বেড়েছে তা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ‘একচেটিয়া মধ্যস্থতা কার্যক্রমে’ মার্কিন অবস্থানের ‘প্রত্যক্ষ পরিণতি’। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে দুটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে নস্যাৎ করার কারণে ফিলিস্তিনিরা অবিচারের শিকার হচ্ছে এবং ইসরায়েল পুরোপুরি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। পুতিন আরও বলেন, ‘উত্তেজনা নিরসন, যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার জন্য উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। এ কাজে ব্রিকস জোটভুক্ত দেশ ও অঞ্চলটির দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’ তবে এমন উদ্যোগ কীভাবে নেওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট। সম্মেলন শেষে জোটটি অবশ্য কোনো যৌথ ঘোষণা দেয়নি। সম্মেলনের সভাপতির সারসংক্ষেপে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূমি থেকে যে কোনো ধরনের একক বা ব্যাপক জোরপূর্বক স্থানান্তর ও বিতাড়নের নিন্দা জানাই আমরা।’ সারসংক্ষেপে আরও বলা হয়, জোট বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে যে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও বিতাড়ন, তা গাজার অভ্যন্তরে হোক বা প্রতিবেশী দেশগুলোতে হোক, সেটি জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে ব্রিকস জোট গঠিত। তারা দীর্ঘদিনের পশ্চিমা আধিপত্যের বিপরীতে একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষায় রয়েছে। ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোকে প্রায়ই ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর নেতা হিসেবে দেখা হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রিকস সদস্য বাড়াতে সম্মত হয়। তারা আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সদস্য হিসেবে জোটে যুক্ত করতে রাজি হয়েছে। ব্রিকসে এই ছয় দেশের সদস্যপদ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি কার্যকর হবে। এই ছয় দেশের নেতারাও দক্ষিণ আফ্রিকার ডাকা মঙ্গলবারের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। তারাও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন। সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও যোগ দেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, হামাসের এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস। জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে। গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুই রয়েছে প্রায় ১০ হাজার।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩
ইউএনএইচসিআর যুদ্ধ-সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত সাড়ে ১১ কোটি মানুষ
যুদ্ধ, সংঘাত, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা কারণে বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বর মাসে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার কারণে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে গত বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। এতে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের এ সংখ্যা গত বছরের শেষের তুলনায় ৫৬ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭৫ সালে এ-সংক্রান্ত পরিসংখ্যান রাখা ও ডাটা নিবন্ধন শুরু করার পর থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের এ সংখ্যাটিই সর্বোচ্চ। ইউএনএইচসিআর জানায়, চলতি বছরের প্রথমার্ধে বাস্তুচ্যুতির প্রধান কারণগুলো ছিল— ইউক্রেন, সুদান, মিয়ানমার ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে সংঘাত, আফগানিস্তানে মানবিক সংকট, সোমালিয়ায় বন্যা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অস্থিতিশীলতা। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি যারা নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ ইউক্রেনীয়। তারা যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। সুদানের ৩০ লাখ মানুষ আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘাতে ঘরবাড়ি হারিয়েছে। ক্রমবর্ধমান এ সংখ্যার সঙ্গে চলতি মাসে নতুন করে যোগ হয়েছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যাও। চলতি মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলার ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি বাড়িঘর থেকে ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানায়, ইসরায়েলের নির্বিচার এ হামলায় গাজার অনেক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোকই আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং ইউক্রেনের। বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে সিরিয়ার অবস্থান বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটির ৬৫ লাখ মানুষ বিশ্বের ১৩০টি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। এ ছাড়া সিরিয়ায় অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরও ৬৭ লাখ। ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্দশাময় পরিস্থিতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করে সংকট নিরসনে নতুন করে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা গাজা, সুদান এবং তার বাইরের ঘটনাগুলো যখন দেখছি, তখন শরণার্থী এবং অন্যান্য বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য শান্তি নিশ্চিত ও সংকট সমাধানের সম্ভাবনা বেশ কঠিন বলেই মনে হবে। তাই বলে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে শরণার্থী সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে আমাদের চাপ অব্যাহত থাকবে।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩
লেবাননে বাস্তুচ্যুত সাড়ে ১৯ হাজার মানুষ
লেবাননের সীমান্ত এলাকায় গত কয়েকদিনে সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সমর্থনপুষ্ট শিয়াপন্থি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর লড়াইয়ের জেরে তারা ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির। গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের লড়াই চলছে। পাশাপাশি লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে লেবাননে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। প্রাণ গেছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারও। আইওএম জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের জেরে লেবাননের সীমান্ত এলাকা থেকে অন্তত ১৯ হাজার ৬৪৬ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত আরও জোরদার হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের ধারণা, হিজবুল্লাহ হামাসকে নানাভাবে সহায়তা করে।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪ লাখ মানুষ : জাতিসংঘ
টানা সপ্তম দিনে গড়িয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। এতে অবনতি হচ্ছে এলাকায় পরিস্থিতি। যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমবিষয়ক অফিস (ওসিএইচএ)। খবর রয়টার্স। জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে গাজার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ে অন্তত ২৩ স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি গাজা ও পশ্চিম তীরে মানবিক সহায়তার জন্য ২৯৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক এলাকা খাবার ও ওষুধ সংকটে ভুগছে। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাস্তুচ্যুতি লোকের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে ৪ লাখ ২৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এদের তিন ভাগের দুই ভাগ শরণার্থী স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ২৩ স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জন জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তাও রয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে সময় বেঁধে দেওয়া হলো। তাদের গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে এ সময়ের মধ্যে সরে যেতে হবে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ফিলিস্তিনের হাতে সরে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় আছে। আমরা তাদের সময় বেঁধে দিচ্ছি। এরপর সেখানে আমরা বড় অভিযান করতে যাচ্ছি। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, ইসরায়েলের এ আল্টিমেটামের কারণে এ অঞ্চলের ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে। ইসরায়েলের কাছে এ আল্টিমেটাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ। তিনি ইসরায়েলের এ ধরনের আদেশের ফলে ভয়াবহ বিধ্বংসী মানবিক বিপর্যয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেন।
১৩ অক্টোবর, ২০২৩
ইউনিসেফের প্রতিবেদন /
প্রাকৃতিক দুর্যোগে দৈনিক বাস্তুচ্যুত ২০ হাজার শিশু
২০১৬ থেকে ২০২১ সাল—এই পাঁচ বছরে বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে কমপক্ষে ৪ কোটি ৩১ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সে হিসাবে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শিশু বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এমন সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। ওই প্রতিবেদনে বাস্তুচ্যুত কয়েক শিশুর মর্মান্তিক জীবনের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বন্যা, ঝড়, খরা ও দাবানল বেড়েছে। এতে গত কয়েক বছরে ৪৪টি দেশের ৪ কোটি ৩১ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সহযোগী গবেষক লরা হিলি এএফপিকে বলেন বলেন, পুরো চিত্রটি এখানে উঠে আসেনি। এর বাইরেও অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুতদের পরিসংখ্যানে ক্ষতিগ্রস্তদের বয়স প্রকাশ করা হয় না। আলাদা করে শিশুদের সংখ্যা গণনা করতে ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের সঙ্গে কাজ করেছে ইউনিসেফ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনার ৯৫ শতাংশই বন্যা ও ঝড়ের কারণে। ইউনিসেফের প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বন্যা ও পানির কারণে আগামী ৩০ বছরে আরও ৯ কোটি ৬০ লাখ, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১০ কোটি ৩ লাখ এবং ঝড়ের প্রভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে ৭ কোটি ২ লাখ শিশু। চীন, ভারত ও ফিলিপাইনের শিশুদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি বলে জানানো হয়। বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি। বাস্তুচ্যুত শিশুরা কীভাবে নানা ঝুঁকির মধ্যে বাস করছে সেটিও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দুবাইতে অনুষ্ঠিত কপ-২৪ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানানো হয়।
০৮ অক্টোবর, ২০২৩
জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত কোটি কোটি শিশু : ইউনিসেফ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বন্যা, খরা, ঝড় ও দাবানলে বিশ্বব্যাপী গত পাঁচ বছরে ৪ কোটি ৩১ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে সংস্থাটি। ইউনিসেফ বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৪ কোটি ৩১ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চার ধরনের ক্রমবর্ধমান জলবায়ু বিপর্যয় (বন্যা, ঝড়, খরা ও দাবানল) ৪৪টি দেশে এসব শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই বাস্তুচ্যুতির ৯৫ শতাংশ বন্যা ও ঝড়ের কারণে হয়েছে। প্রতিবেদনের সহলেখক লরা হিলি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এটি প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শিশু বাস্তুচ্যুত হওয়ার সমান। তিনি বলেন, এসব তথ্যে খুব সামন্য অংশই উঠে এসেছে। এ প্রতিবেদনে আরও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হিসাব উঠে আসেনি। ইউনিসেফের এবারের প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া শিশুদের বিভিন্ন করুণ কাহিনীও তুলে ধরা হয়েছে। এসব শিশুর একজন হলো সুদানের খালিদ আবদুল আজিম। খালিদ বলেছে, ‘আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে সড়কে বসবাস করছি। সেখানেই আমাদের সব জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে।’ ভয়াবহ বন্যার পর তার গ্রামে বর্তমানে শুধু নৌকায় করে যাওয়া-আসা করা যায় বলেও জানায় খালিদ। সাধারণত জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের বয়সের হিসাব করা হয় না। তবে ইউনিসেফ এবার ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যাও হিসাবে নিয়ে এসেছে।
০৬ অক্টোবর, ২০২৩
আরও
X