কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দেশে ফিরতে শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানরা

যুদ্ধের ভয়াবহতা কমে আসায় বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানরা নিজ ভিটায় ফিরতে শুরু করেছেন। ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধের ভয়াবহতা কমে আসায় বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানরা নিজ ভিটায় ফিরতে শুরু করেছেন। ছবি : সংগৃহীত

লাখ লাখ বাস্তচ্যুত সিরিয়ান গত ১৩ বছর যে সময়টার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, অবশেষে দেখা মিলল সেই সন্ধিক্ষণের। লেবানন থেকে সিরিয়ার উদ্দেশে একে একে বের হয়ে গেল শরণার্থীবাহী ট্রাক।

এরই মধ্য দিয়ে অবসান ঘটল দীর্ঘ প্রতীক্ষার। জীবন বাঁচাতে যে ঘরবাড়ি ও দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন এসব মানুষ, এবার ঘরে ফিরছেন তারা। শুরুটা স্বল্প পরিসরে হলেও জন্মভিটায় ফিরতে পারায় দারুণ আনন্দিত এসব মানুষ।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে জীবন বাঁচাতে পাশের দেশ লেবাননে আশ্রয় নেন অন্তত ৮ লাখ সিরিয়ান। এরই মধ্যে এত বেশি শরণার্থী আশ্রয় দিয়ে মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ড গড়েছে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে থাকা লেবানন। এবার সেই সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হচ্ছে। কারণ, দীর্ঘ আলোচনার পর শুরু হয়েছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্বেচ্ছায় সম্পন্ন হচ্ছে। যাদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে দেওয়া হয়েছে শতভাগ নিশ্চয়তা। প্রাথমিকভাবে ৩৩০টি পরিবারকে সিরিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা লাখে উন্নীত করা হবে।

সানা নিউজ জানিয়েছে, সিরিয়ান কর্তৃপক্ষ দেশে ফিরে আসা এসব মানুষের বিষয়ে খুবই আন্তরিক। এরই মধ্যে তারা একটি তালিকা তৈরি করছে। যেখানে রয়েছে ফিরে আসাদের নাম, আবাসস্থলসহ বিস্তারিত তথ্য। ফলে যাদের সহায়তা দরকার, তাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। এ ছাড়া এসব ব্যক্তির জন্য পৃথক মেডিকেল টিমও গঠন করেছে দেশটির সরকার।

এক যুগেরও বেশি সময় আগে শুরু হওয়া সিরিয়ান গৃহযুদ্ধ এখনো বন্ধ হয়নি। তবে কমে এসেছে এর মাত্রা। ফলে, অনেক অঞ্চলে বিরাজ করছে স্থিতিশীল অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননের সঙ্গে আলোচনায় বসে সিরীয় প্রশাসন। তাদের ঐকমত্যের ওপর ভিত্তি করেই প্রণয়ন করা হয় এই প্রত্যাবাসন রোডম্যাপ। এ জন্য কোনো শরণার্থীকে জোর করা হয়নি বলেও দাবি উভয় দেশের।

এক শরণার্থী বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছায় এই প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছি, আমাদের জোর করা হয়নি। তবে, এই প্রক্রিয়ায় একটি সমস্যা রয়েছে। অনেকের গোটা পরিবার দেশে ফিরতে নিবন্ধন করে। কিন্তু তাদের কেউ কেউ বাদ পড়েছেন। ফলে, পরিবারের কিছু সদস্যকে ভিন দেশে রেখে বাকিদের দেশে ফিরতে হচ্ছে। এটার খুবই হতাশার। এখন তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে আগামী প্রত্যাবাসন পর্যন্ত।’

তবে ঘরে ফিরতে যাওয়া এসব মানুষ বলছেন, দীর্ঘ ১৩টি বছর তারা অপেক্ষা করেছেন। ফলে আরও কিছুটা সময়ও অপেক্ষা করতে পারবেন। তবে এই প্রক্রিয়া যেন বন্ধ না হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালাহউদ্দিন আহমদের আসনে এনসিপির প্রার্থী হলেন যিনি

সিলেটের ভাষায় সমর্থকদের যা বললেন আমির

ফেসবুক অ্যাপে আবারও বড় পরিবর্তন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় সেই গৃহকর্মী গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগকে নিয়ে জরিপ চালানোয় প্রশ্ন তুললেন প্রেস সচিব

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে সিইসিসহ কমিশনাররা 

বাগেরহাট ও গাজীপুরের সীমানা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল

খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দিল এনসিপি

কাজের সন্ধানে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন শুক্কুর

বিএনপির যে প্রার্থীর বিপক্ষে লড়বেন নাহিদ ইসলাম

১০

কোচকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল ৩ ক্রিকেটার, জানা গেল কারণ

১১

আগুনে পুড়ল ঝুট গুদামসহ ১৩টি দোকান 

১২

এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা / নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়ছেন হান্নান মাসউদ-সারোয়ার তুষার    

১৩

এই ৬ অভ্যাস নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে আপনার মেরুদণ্ডকে

১৪

বিপিএল: স্বস্তির বার্তা দিল বিসিবি

১৫

মাটি খননে আনা ভেকুসহ মোটরসাইকেলে আগুন

১৬

এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা / নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়ছেন জারা-আখতার-পাটওয়ারী    

১৭

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এড়াতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

১৮

দিঘিতে ভেসে উঠল মরদেহ

১৯

এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা / নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়ছেন নাহিদ, সারজিস ও হাসনাত

২০
X