টানা সপ্তম দিনে গড়িয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। এতে অবনতি হচ্ছে এলাকায় পরিস্থিতি। যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমবিষয়ক অফিস (ওসিএইচএ)। খবর রয়টার্স।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে গাজার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ে অন্তত ২৩ স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি গাজা ও পশ্চিম তীরে মানবিক সহায়তার জন্য ২৯৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক এলাকা খাবার ও ওষুধ সংকটে ভুগছে।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাস্তুচ্যুতি লোকের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে ৪ লাখ ২৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এদের তিন ভাগের দুই ভাগ শরণার্থী স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ২৩ স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জন জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে সময় বেঁধে দেওয়া হলো। তাদের গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে এ সময়ের মধ্যে সরে যেতে হবে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ফিলিস্তিনের হাতে সরে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় আছে। আমরা তাদের সময় বেঁধে দিচ্ছি। এরপর সেখানে আমরা বড় অভিযান করতে যাচ্ছি।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, ইসরায়েলের এ আল্টিমেটামের কারণে এ অঞ্চলের ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে। ইসরায়েলের কাছে এ আল্টিমেটাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ। তিনি ইসরায়েলের এ ধরনের আদেশের ফলে ভয়াবহ বিধ্বংসী মানবিক বিপর্যয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেন।
মন্তব্য করুন