শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানব পতাকা প্রদর্শনের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন করেন।  মানব পতাকা প্রদর্শনের পাশাপাশি সমাবেশে তারা ৩টি দাবি জানান। সেগুলো হলো- গাজায় গণহত্যা বন্ধ করা; বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দমননীতি বন্ধ করা এবং ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা বন্ধ করা। এসময় সমাবেশে যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে আজকে যা হচ্ছে তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর ঘটনা। গাজায় ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে ৬৭ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সবচেয়ে বড় ধ্বংসযজ্ঞের রেকর্ড ভেঙেও অনেক উপরে চলে গেছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলিরা। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ হচ্ছে নারী-শিশু এবং ৮০ শতাংশ সাধারণ নাগরিক। যাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।  তিনি আরও বলেন, গতকাল ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক মিসর সীমান্তে অবস্থিত রাফা দখলের মাধ্যমে আরও খারাপ অবস্থায় পড়বে গাজাবাসী। রাফা দখলের মাধ্যমে ইসরায়েলীরা মিসর-ইসরায়েলের যে ডেভিড চুক্তি সেটি ভঙ্গ করেছে। এটিই একমাত্র সীমানা যেখান দিয়ে আহত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য এইড আসতো, ক্ষুধার্ত লোকদের জন্য খাবার আসত। আজ সেই রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। আমরা আশা করবো ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হবে। মানবাধিকারকর্মী শারমিন মুরশিদ বলেন, ইসরায়েলকে সুস্পষ্ট মদদদাতা হল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিদের রক্তে-রন্ধ্রে জমে আছে গণহত্যা ও  দখলদারিত্ব। তারা একটার পর একটা দেশ ও জাতিকে শেষ করে আসছে। ইরাক, লিবিয়া  আফগানিস্তানের মতো দেশকে কতগুলো মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তারা নিধন করেছে। তাদের হাতে রয়েছে মিডিয়া, তাদের হাতে তথ্যের শক্তি এবং তাদের হাতে রয়েছে অর্থ। আর তারা সেটাকে অপব্যবহার করে প্রতিবার মিথ্যের দোহাই দিয়ে মানুষ খুন করেছে। লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট রাখাল রাহা বলেন, এই আগ্রাসন শুরু হয়েছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই। তারপর থেকেই নানা চড়াই উতরাই পার করে আজকের এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনকে জাতিগত উচ্ছেদ বা জাতিগত নির্মূলের অবস্থায় নিয়ে গেছে ইসরায়েল। এই উচ্ছেদ আয়োজন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই হামলায় সরাসরি মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্রকে এটার প্রতি সমর্থন থেকে ফিরে আসতে হবে।  ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, আজকের এই আয়োজনে আমরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমাদের কয়েকটি দাবি থাকবে। তা হল- গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে করতে হবে; আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও দমননীতি বন্ধ করতে হবে এবং ইসরায়েলকে সব প্রকার সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনের একটি মানব পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের আপামর জনতার সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।  
৪ ঘণ্টা আগে

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। একই সময়ে ভিন্ন স্থানে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী উত্তরের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।  বৃহস্পতিবার (০৯ মে) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন নেতৃত্ব দেন। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের সামনে থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, শামসুর রহমান, ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, সৈয়দ সিরাজুল হক, কামরুল আহসান হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি তাকরিম হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আলাউদ্দিন শেখ, ঢাকা কলেজের সভাপতি আনিসুর রহমানসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন থানা আমির ও সেক্রেটারিরা। অন্যদিকে মজলুম ফিলিস্তিন জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বিশ্ব জনমত গড়ে তোলা, ইসরায়েলিদের জুলুমের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের আয়োজনে বিক্ষাভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
১৩ ঘণ্টা আগে

কুবিতে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৮ মে) ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভিসি বাংলোর সামনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থী। পরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে মিছিল শেষ করে প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৫ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলসমূহ নিয়ে উপাচার্যের উসকানিমূলক ও মানহানিকর দাবি প্রত্যাহার করা এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে কক্ষ চাওয়ার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শিক্ষার্থীদের এ অবস্থান কর্মসূচি। কর্মসূচিতে এক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমি আজ বাসায় গেলাম মা-বাবা বলল বের হয়ে যাও! তখন কেমন লাগবে আমার? বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের অবস্থান এমন হয়েছে। উপাচার্য বলেছেন, হলের শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া হচ্ছে, আমাদের কাছে নাকি অস্ত্র আছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওনি এ বক্তব্য দিতে পারেন না। আমরা চাই ওনি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবে। আজ বা কাল হলগুলো যদি সিলগালা করে দেয় তাহলে আমরা কোথায় যাব? আমরা তো অনিরাপদ। যতদিন প্রশাসন আমাদের দাবি না মানবে ততদিন আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া সবুজ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কোনো কারণ ছাড়া ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এত অদূরদর্শিতা নিয়ে প্রশাসন চালানো যায় না। শিক্ষকদের সামান্য বিষয় সামলাতে না পেরে যদি ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেন তাহলে শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হলে প্রশাসনকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীরা মানে না। অতিদ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিন শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত করুন। দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রবিন চন্দ্র দাস বলেন, গত ৫ মে আমরা আবাসিক হলসমূহ রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিবাদলিপি জমা দেই। আজকে আমরা আবাসিক হলসমূহের শিক্ষার্থীরা জরুরি সিন্ডিকেট সভায় মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল সমূহ বন্ধের অবৈধ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে ক্যাম্পাস গেটে আমরা অবস্থান কর্মসূচি করি। প্রশাসন যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো খুলে না দেয় তাহলে আমরা আরও কঠোরতম পদক্ষেপে যাব। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
০৮ মে, ২০২৪

নাটোরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নাটোরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এ সময় তারা জেলা সভাপতি কামরুল ইসলামের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবি জানান।  সোমবার (৬ মে) বিকেলে আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।  সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন, ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মিনহাজুর রহমান মনির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর ইসলাম কাজল, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক এস এম জুবায়ের হোসেন, সদস্য সচিব মীর হাবীবসহ অন্য নেতারা।  এ সময় বক্তারা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি করে বলেন, বেগম জিয়া দীর্ঘদিন হলো অসুস্থ কিন্তু এ সরকার তাকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার পরও নিম্ন আদালতে আসলে তাকে আটক করা হয়। তাকে অতি দ্রত মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
০৬ মে, ২০২৪

স্টপেজ দাবিতে ফরিদপুরে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ
‘এক দফা এক দাবি, ফরিদপুরে স্টপেজ চাই, দিতে হবে দিতে হবে’ এমন স্লোগানে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। ফরিদপুর রেলস্টেশনে স্টপেজের দাবিতে রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোর ৫টা থেকে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। রাজবাড়ী থেকে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ফরিদপুর এসে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধরা ট্রেনটির সামনে অবস্থান নেন এবং গতিরোধ করেন। এ সময় তারা ফুল দিয়ে ট্রেনের পরিচালকসহ অন্যদের শুভেচ্ছা জানান। বিক্ষোভের মুখে এ সময় প্রায় ১০ মিনিট ট্রেনটি সেখানে অবস্থান করে। পরে অবস্থানকারীরা সরে গেলে ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেন। এর আগে বক্তব্য দেন রেল আন্দোলন কর্মী আবরার নাদিম ইতু, শরিফ খান, তুহিন বিন আলমগীর, আশিষ কুমার কুণ্ডু, সেলিম মিয়া, আলী মকিম, ইকবাল হোসেন, সোহান, আরিফ শেখ, ইকবাল মাহমুদ ইমন প্রমুখ। রেল যোগাযোগ চালু করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের আরেকটি নতুন অধ্যায় রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সঙ্গে নতুন দুটি কমিউটার ট্রেন চালু হওয়া। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, ফরিদপুরের ওপর দিয়ে ট্রেন গেলেও ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো স্টপেজ রাখা হয়নি। এতে ফরিদপুরের যাত্রীরা সুলভে ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। অনতিবিলম্বে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবি জানান বক্তারা। এদিকে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের পরিচালক মহিবুল ইসলাম বিক্ষুব্ধদের অবস্থানের মুখে ট্রেন থেকে নেমে আসেন। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মহিবুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত বিক্ষোভকারীদের বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা হয়তো আজই (গতকাল) এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাবেন। প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা পথে রোববার থেকে বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে গত শনিবার মাদারীপুরের শিবচরে ‘চন্দনা কমিউটার’র রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী ও ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে দুই জোড়া ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
০৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্ট’-এ সংহতি জানিয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বিকেলে ঢাবির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সলিডারিটি উইথ ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্ট ইন আমেরিকান ইউনিভার্সিটিজ’ শীর্ষক এ কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রা নিয়ে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত যান এবং সেখান থেকে ফের টিএসসিতে এসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সমাবেশে ফিলিস্তিনি মানুষ ও আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে’ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহকপাট’ গান পরিবেশন করেন সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ আবদুল্লাহ সালমান ও তার বন্ধুরা। কবিতা পাঠ করেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহীন ও আবিদ হাসান রাফি। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, এই আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য নয়। এই আন্দোলন মানবতার বিরুদ্ধে বিষফোঁড়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তথ্যপ্রমাণবহুল গণহত্যা এর আগে পৃথিবী কখনো দেখেনি। এই পরিমাণে তথ্যপ্রমাণবহুল গণহত্যা দেখার পরও পৃথিবীর মোড়লরা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। ফলে এ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন তুলতে হবে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য মর্মাহত। এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অক্টোবর থেকে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে, সারা বিশ্বের মানুষ তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছে, ইসরায়েলের বিরোধিতা করছে। এটি শুধু ফিলিস্তিনের পক্ষের লড়াই নয় বরং এটি সারা বিশ্বের আর্তমানবতার জন্য লড়াই। অন্যদিকে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঘোষণা দেওয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন। সংবাদ সম্মেলনে সাদ্দাম হোসাইন বলেন, গোটা পৃথিবীতেই ছাত্র আন্দোলন চলমান রয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে এবং ফিলিস্তিনে যে মানবতাবিরোধী নৃশংস অপরাধযজ্ঞ সংঘটিত হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। ফিলিস্তিনে শিশু, নারীসহ যখন কেউই এই হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পাচ্ছে না, ঠিক তখনই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংহতি জানাচ্ছে। এজন্য আমরা সোমবার থেকে জোরদার ছাত্র আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছি। বিশেষ করে, এদিন সকাল ১১টায় দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা এবং সংহতি সমাবেশ সফল করার জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এটি শুধু ছাত্রলীগের আন্দোলন নয়, বাংলাদেশের ৫ কোটি শিক্ষার্থীর আন্দোলন। ছাত্রলীগ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের এই পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পৃথিবীর সব মুক্তিকামী মানুষের কর্মসূচি। আমাদের এই সংহতি সমাবেশ পৃথিবীর সব অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে আন্দোলনরতদের জন্যই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর সৈকত, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডুসহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ন্যায়-ন্যায্যতা-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
০৬ মে, ২০২৪

আরেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ‘প্রো-প্যালেস্টাইন মুভমেন্ট’ ছড়িয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিও জানান তারা। শুক্রবার দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নিয়ে প্রো-প্যালেস্টাইন মুভমেন্ট শুরু করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করেন। আন্দোলন থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি। ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতি ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না। এদিকে এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত ইহুদি শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত। ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি। কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
০৫ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী
ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন ভালোভাবে নিচ্ছে না মার্কিন প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এজন্য নানাভাবে দমন পীড়ন চালানো হচ্ছে। করা হচ্ছে গণগ্রেপ্তারও। এরই মধ্যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (০৩ মে) বার্তাসংস্থা এপির  এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে সহিংস আচরণ করছে পুলিশ। এমনকি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি ছোড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে গুলি ছোড়ার ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পুলিশের এক সদস্য বন্দুকের সঙ্গে লাগানো ফ্লাশলাইট জ্বালানোর সময় ভুল করে একটি গুলি বের হয়ে দেয়ালে লাগে। তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির দপ্তর। এপির এক পরিসংখ্যনে দেখা গেছে, গত ১৮ এপ্রিলের পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেছে অন্তত অর্ধশত প্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময়ে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেবল শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সবশেষ বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ)  অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় তারা বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশের অনুরোধ অমান্য করায় তখন সেখান থেকে অন্তত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা বন্ধ চান শিক্ষার্থীরা। তারা চান, এ ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলকে চাপ দিক। এ ছাড়া তাদের একটি অংশ স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিও করছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটি শক্ত দাবি উত্থাপিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চান, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক চান না তারা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওই প্রতিষ্ঠানগুলো ইসরায়েলকে যুদ্ধে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা করছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে। এর মধ্যে আছে ইসরায়েলি কোম্পানি বা ইসরায়েলে ব্যবসা করে বা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থেকে মূলধন সংগ্রহ করে কার্যক্রম চালায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লভ্যাংশ দেয়। তা স্কলারশিপ, গবেষণা, পরীক্ষাগারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয়। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ইসরায়েলকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করে। যুদ্ধের বিশাল খরচ বহন, অস্ত্র কেনা, সামরিক রসদ পরিচালনায় ইসরায়েলের যে মহাশক্তি, তার পেছনে আছে প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ওইসব প্রতিষ্ঠানে শেয়ার বিক্রি, বিনিয়োগ ও সব ধরনের আর্থিক চুক্তি বাতিল চায়। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে হামাস। এর জবাবে গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, র‌্যালি, অনশন, সভা করে যুদ্ধ বন্ধের দাবি করছে।
০৩ মে, ২০২৪

রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কমলাপুর রেলস্টেশন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।  শুক্রবার (৩ মে) সকালে আয়োজিত এই সমাবেশে নেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এরপর গণপরিবহন রেলের টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও অতিষ্ঠ করে তুলবে।  এ সময় নেতারা ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, রেলের অপচয়, দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা দূর, এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি এবং রেলের বিভিন্ন প্রজেক্টের স্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান।  সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম। বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার, ও কাজী রুহুল আমিন।  সমাবেশে মো. শাহ আলম বলেন, বড় বড় প্রজেক্টের নামে রেলকে আধুনিকায়ন করার কথা বলা হচ্ছে অথচ এই টাকার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম্যে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। সরকার এদেরই পোষণ করে চলছে। সরকার শুধু সিন্ডিকেটের পাহারাদেরই নয়, সিন্ডিকেটেরই  অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে।  রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণবিরোধী আখ্যায়িত করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সরকার ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে সারা দেশে এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দুর্নীতি অপচয় ও ব্যবস্থাপনা দূর করতে পারলে রেলকে আরও লাভজনক খাতে পরিণত করা যেত। এটি না করে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রজেক্ট এর নামে দুর্নীতিবাজদেরই দায় মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রোজেক্টের ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। তিনি বলেন, রেলপথে খরচ বৃদ্ধি ও সংকুচিত করে রোড সিন্ডিকেট এবং বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। রেলের ভাড়া বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। রেলে পদ খালি থাকলেও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। বেসরকারি খাতে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের শতাধিক কোটি টাকা মুনাফা ও লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যোগ করেন তিনি।
০৩ মে, ২০২৪
X