পাওনা আদায়ে অনীহা, ‘উদার’ বিটিআরসি
একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাজ গ্রাহকের সুষ্ঠু সেবাদান। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, উল্টোরথে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কাজই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করা। ব্যান্ডউইথ বিক্রির আয়ের অংশ থেকে (রেভিনিউ শেয়ারিং) ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের কাছে রাজস্ব বাবদ কমিশনের পাওনা ১০৯ কোটি টাকার ওপরে। এই পাওনা আদায়ে অনীহা দেখা গেছে বিটিআরসির। একই সঙ্গে কমিশনের সতর্কতা অমান্যকারী সর্বাধিক পাওনা থাকা ‘আর্থ টেলিকমিউনিশন প্রাইভেট লিমিটেড’-এর অনিয়ম অন্ধের মতো এড়িয়ে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। অভিযোগ উঠেছে, কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের অসহযোগিতায় আদায় হচ্ছে না এসব বকেয়া। গত বছরের ৭ জুন কমিশনের ২৭৫তম সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, কমিশনের এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন (ইঅ্যান্ডআই) বিভাগ ২৭টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত বিভিন্ন সময় পরিদর্শনের ভিন্ন ছয়টি প্রতিবেদন তৎকালীন চেয়ারম্যান বরাবর দাখিল করে ইঅ্যান্ডআই। এসব প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ৩০টিরও বেশি অনিয়ম ও অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অনিয়মের মধ্যে আছে ক্রয়কৃত আপস্ট্রিম ব্যান্ডউইথের তুলনায় খুবই কম পরিমাণে ডাউনস্ট্রিম ব্যান্ডউইথের বিক্রয় দেখানো; বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ঠিকানা কমিশনের অনুমতি ছাড়াই পরিবর্তন; প্রকৃত ব্যান্ডউইথের তুলনায় কম ব্যান্ডউইথ দেখিয়ে ‘আন্ডার ইনভয়েসিং’ করা; মাল্টি রাউটার ট্র্যাফিক গ্রাফার (এমআরটিজি) না রাখা অন্যতম। আপস্ট্রিমে ব্যান্ডউইথ কিনে ডাউনস্ট্রিমে বিক্রির মাধ্যমে আয় করে আইআইজিগুলো। রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন অন আইআইজি সার্ভিসেসের অনুচ্ছেদ ১৬.০৩ (ডি) এবং ৩৩.০১ অনুযায়ী, এই আয়ের একটি অংশ রেভিনিউ শেয়ারিং হিসেবে বিটিআরসিকে দিতে বাধ্য টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলো। একটা সিস্টেমে নেটওয়ার্কের তদারকি এবং ট্রাফিকের পরিমাণ নির্ণয় হয় এমআরটিজি সফটওয়্যারের মাধ্যমে। মূলত এমআরটিজি যথাযথভাবে না রেখেই ‘ব্যাকআপ ব্যান্ডউইথ’-এর নামে বিক্রীত ব্যান্ডউইথের একটি বড় অংশ অবিক্রীত দেখায় আইআইজিগুলো। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়াসহ ৩০টিরও বেশি অনিয়ম ও অভিযোগ পাওয়ায় আইআইজিগুলোকে সতর্ক করাসহ বিভিন্ন অঙ্কে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। কালবেলার অনুসন্ধান বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক জরিমানা পরিশোধ করলেও রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ মূল পাওনা এখনো আদায় হয়নি। পাশাপাশি ৩৪টি আইআইজি প্রতিষ্ঠানের কাছে রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ বিটিআরসি কত টাকা পাবে, সে বিষয়ে ইঅ্যান্ডআই বিভাগের তৈরি একটি হিসাব এসেছে কালবেলার কাছে। এই হিসাব বলছে, ১০ শতাংশ ‘ব্যাকআপ ব্যান্ডউইথ’ অবিক্রীত হিসেবে বাদ দিলে বিটিআরসির মোট পাওনা ১০৯ কোটি ২০ লাখ ৬২ হাজার ২২৬ টাকা। ২০, ২৫ এবং ৩০ শতাংশ হিসাবে এই পরিমাণ যথাক্রমে ৮৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৩ টাকা; ৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ১০৩ এবং ৬৬ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার ১২৮ টাকা। অবশ্য আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজেদের একটি হিসাব কমিশনে জমা দেয়। সেই হিসাব অনুযায়ী, রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ। ব্যাকআপ ব্যান্ডউইথ বাদ দিলে সর্বোচ্চ ৮৬ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ৪৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ হিসাবে সর্বনিম্ন ৫০ কোটি ৮২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭১ টাকা। তবে যার যে হিসাবই গণনায় নেওয়া হোক না কেন, কোনো অর্থই বিটিআরসি আদায় করতে পারেনি। অভিযোগ উঠেছে, আর্থ টেলিকমিউনিকেশনকে বাড়তি সুবিধা দিতেই এই পাওনা আদায়ে গড়িমসি করছেন বিটিআরসির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। পরিদর্শক দল, কমিশনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এমন একাধিক সূত্র কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিটিআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার কালবেলাকে বলেন, আমার সময়েই আর্থ কমিউনিকেশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিষয়টি ইঅ্যান্ডআইয়ের তদন্তে উঠে আসে। এতে ফাঁকি দেওয়া রাজস্বের একটা পরিমাণও প্রাথমিকভাবে নিরূপণ করা হয়। কিন্তু তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের বিরোধিতার কারণে অর্থ আদায় করতে পারিনি। তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, ব্যাকআপ ব্যান্ডউইথের পরিমাণ কী হবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। তাই ফাঁকি দেওয়া রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের পরিমাণ অডিটে নির্ধারণ হওয়ার পরে আদায় করা সমীচীন হবে। পরে ২৭৫তম সভায় দীর্ঘক্ষণ বিতর্কের পর আমার চাপেই স্পেকট্রাম (এসএম) বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েলের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি করা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই কমিটির দায়িত্ব ছিল লাইসেন্স প্রাপ্তির পর কার্যক্রমের শুরু থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত আইআইজি অপারেটরদের অপ্রদর্শিত ডাউনস্ট্রিম ব্যান্ডউইথ নিরূপণ করে বিটিআরসির পাওনা রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করা। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা থাকলেও আমার মেয়াদকালে প্রতিবেদন জমা পড়েনি। ফলে আমি থাকাকালীন সেই রাজস্ব আদায় করা যায়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসএম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি চলতি বছরের মার্চে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে সেই প্রতিবেদন নিজের কাছে গোপন রেখেছেন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জেনারেল মুনিরুজ্জামান। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘ব্যাকআপ ব্যান্ডউইথের পরিমাণ নির্ধারণে আমাকে প্রধান করে যে কমিটি হয়েছিল, তার প্রতিবেদন সাবেক চেয়ারম্যানের মেয়াদকালেই কিন্তু জমা দিয়েছিলাম। তবে সেটি অনুমোদন না দিয়ে আরও একটি কমিটি করা হয়। সেই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বিষয়টি আগামী কমিশন সভায় উত্থাপিত হবে। সেখানে আলোচনা হবে। কমিশনে ওঠার আগে প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না।’ পাশাপাশি আইআইজিগুলোর কাছে পাওনার অর্থ শতাধিক কোটি নয় বলেও দাবি করেন চেয়ারম্যান। তবে পাওনা রাজস্বের পরিমাণ কত—সে বিষয়েও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। কবে নাগাদ পাওনা আদায় হতে পারে সে বিষয়েও নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। কমিশনে সবকিছু বিধি অনুযায়ী এবং সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হয় বলে তিনি দাবি করেন। চেয়ারম্যান হিসেবে এককভাবে কোনো অনিয়মের সুযোগ তার নেই বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত কমিশনের ২৭৩তম কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ইঅ্যান্ডআই বিভাগের তৎকালীন পরিচালক এম এ তালেব হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পরিদর্শক দল আর্থ টেলিকমিউনিকেশনের ঠিকানায় পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এমআরটিজি সংরক্ষণ না করা, কমিশনের অনুমোদন ছাড়া রেজিস্টার্ড ঠিকানা পরিবর্তন, ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকলে (ভিওআইপি) ব্যবহৃত ‘ভয়েস পোর্ট’ চালু রাখা এবং আন্ডার ইনভয়েসিং করাসহ কমিশনের নির্দেশনা ভঙ্গের মাধ্যমে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের মতো বিষয় উঠে আসে। প্রতিষ্ঠানটিকে দফায় দফায় সতর্ক করা হলেও এর অনিয়ম থামেনি। সাবেক চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করলেও আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাওনা রাজস্ব আদায় হয়নি। ৩৪টি আইআইজি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বাধিক পাওনা আর্থ টেলিকমিউনিকেশনের। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব হিসেবেই ১০ শতাংশ অবিক্রীত ব্যাকআপ ব্যান্ডউইথ হিসেবে বিটিআরসি পায় ২৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৭১ টাকা। আর একই হিসাবে বিটিআরসি এই পরিমাণ নিরূপণ করেছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ ৪৬২ টাকা।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

বিটিআরসি ও বিআইজিএফ-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি কার্যালয়ে কমিশনের পক্ষে সিস্টমস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান এবং বিআইজিএফ-এর পক্ষে সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ইন্টারনেট গভার্নেন্স বিষয়ে গণসচেতনতা ও অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় ‘সামিট ফর দ্য ফিউচার’ এবং ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপেক্ট’ সম্মেলনে বাংলাদেশের মতামত ও অবস্থানবিষয়ক কর্মকাণ্ড পারস্পরিক সহযোগিতা কার্যক্রম সম্পাদনে সহায়তা করবে। ওই অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিআরটিসি বিগত বছরগুলোতে বিআইজিএফকে ইন্টারনেট পলিসি গভর্নেন্সবিষয়ক নানা কার্যক্রমে সহায়তা করে আসছে এবং এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এই কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও অর্থবহ করবে। বিআইজিএফ-এর চেয়ারপারসন হাসানুল হক ইনু বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বিটিআরসির সঙ্গে ‘সামিট ফর দ্য ফিউচার’ এবং ডিজিটাল কমপ্যাক্ট বাস্তবায়ন ও ইন্টারনেট পলিসি বিষয়ে কাজ করার আরও সুযোগ তৈরি হলো। বিটিআরসির সিস্টেমস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমানের সঞ্চালনায় সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন, কমিশনের সব বিভাগের মহাপরিচালকরা এবং বিটিআরসি ও বিআইজিএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

শিশুদের স্বার্থে একসঙ্গে বিটিআরসি ও সিসিমপুর
ইন্টারনেট জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখা ও ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে শিশু ও অভিভাবকদের উৎসাহী করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুর। পাশাপাশি বিটিআরসি পরিচালিত ‘সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালকরণ’ প্রকল্পের ১০০ স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করা হবে। সিসিমপুর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। সোমবার (০১ এপ্রিল) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)-এর মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান, পিএসসি, সিগন্যাল এবং এসডব্লিউবির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান উপস্থিত ছিলেন। ২০২১ সাল থেকে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত এবং ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যেই শিশুদের জন্য গল্পের বই, শিশু ও অভিভাবকদের জন্য সচেতনতামূলক ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, গেমস তৈরি ছাড়াও বিটিআরসির সঙ্গে যৌথভাবে অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টাল ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ মার্কিন প্রতিনিধিদলের
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদল। এ দলে ছিলেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জন ফে এবং ইকোনমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান দপ্তরে এ সাক্ষাৎ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন প্রতিনিধিরা টেলিযোগাযোগ খাতে দুদেশের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিনিময় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারের বিনোয়োগবান্ধব নীতির ফলে বিনিয়োগের জন্য লাভজনক দেশ বাংলাদেশ। দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অধিকতর বিনোয়োগে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
২৯ মার্চ, ২০২৪

বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাস প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জন ফে এবং ইকোনমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান দপ্তরে এই সাক্ষাৎ পর্ব আয়োজিত হয়।   মার্কিন প্রতিনিধিরা টেলিযোগাযোগ খাতে দুই দেশের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিনিময় এবং পারস্পারিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারের বিনোয়োগবান্ধব নীতির ফলে বিনিয়োগের জন্য লাভজনক দেশ বাংলাদেশ। দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অধিকতর বিনোয়োগে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  
২৮ মার্চ, ২০২৪

মোবাইল ব্যালেন্সে সেবা কেনার সুবিধা বাড়াতে চায় বিটিআরসি
মোবাইল সিমের ব্যালেন্স দিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা ক্রয়ে খরচযোগ্য অর্থের সীমা তথা লিমিট শিথিলে আগ্রহী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ লক্ষ্যে ডিজিটাল অপারেটিং বিলিং (ডিওবি) সংক্রান্ত নির্দেশনার বিদ্যমান শর্ত এবং ট্যারিফ আরও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। এজন্য খসড়া প্রণয়নে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি এবং খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিওবির লিমিট বৃদ্ধি পেলে একদিকে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়বে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অধিক ডিজিটাল সেবা নিতে পারবে। বিষয়টি অবদান রাখবে ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ গঠনেও। মোবাইলের এয়ারটাইম ব্যালেন্সকে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড অথবা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মতো মূল্য পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করাকে ডিওবি বলা হয়। বাংলাদেশে দেশি বা আন্তর্জাতিক অ্যাপ স্টোর বা ডিজিটাল কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট বা সংযোগকারী (এগ্রিগেটর) প্রতিষ্ঠান ডিওবি পদ্ধতিতে মোবাইল অপারেটরের অবকাঠামো ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা ও পণ্য বিক্রি করছে। পৃথিবীর অনেক দেশের মতোই বাংলাদেশেও এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সেবা ক্রয়ে ডিওবির প্রচলন থাকলেও এর সীমাবদ্ধতা বেশি। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সেবা বা পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ডিওবির সীমাবদ্ধতা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় খুবই বেশি। ২০১৮ সালে বিটিআরসি ডিওবি সংক্রান্ত প্রথম নির্দেশনা জারি করে। সে বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে এয়ারটাইম ব্যালেন্স ব্যবহার করে একজন মোবাইলফোন গ্রাহককে এক মাসে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা (৫ মার্কিন ডলার) এবং এক বছরে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা (২৬ ডলার) মূল্যমানের ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রয়ের অনুমোদন দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ডিসেম্বরে মোবাইল ডিজিটাল কনটেন্ট সার্ভিস পরিচালনার জন্য কমিশন ডিওবি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। অথচ ভারতে মাসে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার এবং একক লেনদেনে সর্বোচ্চ ৬০ ডলার খরচ করা যায়। তবে বার্ষিক খরচে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। বাংলাদেশে বিদ্যমান ডিওবি নির্দেশনার সীমাবদ্ধতার কারণে মোবাইল অপারেটররা বিদেশি কনটেন্ট (নেটফ্লিক্স, হৈচৈ) চালু করতে পারছে না। দেওয়া যাচ্ছে না বিভিন্ন সরকারি সেবাও। ট্যারিফ অপর্যাপ্ত হওয়ায় দেশি অনেক প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল সেবা দিতে আগ্রহী হচ্ছে না। এসব বিবেচনায় বিটিআরসি বিদ্যমান নির্দেশনা আরও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি এর আর্থিক সীমা বৃদ্ধিতে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে একটি খসড়া নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য বিটিআরসি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। গত ২৯ জানুয়ারি কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ডিওবিতে অর্থ খরচের সীমাবদ্ধতা কমে এলে সরকারের পাশাপাশি দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সর্বাধিক উপকৃত হবে বলে মনে করেন এস্পায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) সার্ভিস ডেলিভারি এক্সপার্ট মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, টেলকো প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সরকার ৩৭ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স নেয়। ফলে এ ধরনের ডিজিটাল সেবা ক্রয়ের লেনদেন টেলিকম প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষে লেনদেনে নজরদারি রাখা সহজ হবে। এ ছাড়া অন্যদের ডোমেইন বা হোস্টিং কিনতে হতে পারে। তারা খুব সহজেই ডিওবি সুবিধায় এমনটা করতে পারবে। বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান কালবেলাকে বলেন, ব্যালেন্স ব্যবহারের লিমিট কতটুকু বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছ থেকে পরামর্শ চাচ্ছি। তাদের মূল্যায়ন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা এটিকে যুগোপযোগী করতে চাই, যেন জনগণ আরও বেশি এর সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
০৮ মার্চ, ২০২৪

৭ মার্চ স্মরণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিটিআরসি চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, সচিব (বিটিআরসি) নূরুল হাফিজ এবং কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার তৎকালীন রমনা রেসকোর্স ময়দানের (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণে জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে উদ্দীপ্ত করেছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’-এ দৃপ্ত উচ্চারণে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের নিষ্পেষণ থেকে বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্র ঘোষণা করেছিলেন তার ভাষণে। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।
০৭ মার্চ, ২০২৪

ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসে বিটিআরসি চেয়ারম্যান
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ। স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত টেলিযোগাযোগ খাতের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী এটি। ‘ফিউচার ফার্স্ট’ প্রতিপাদ্যে গত সোমবার শুরু হওয়া মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। চার দিনব্যাপী এ কংগ্রেসের আয়োজক মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ)। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, কংগ্রেসে মহিউদ্দিন আহমেদ রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি নির্মাতা হুয়াওয়ে এবং চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সময় তিনি ৫জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের স্টল পরিদর্শন করেন। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে চান বিটিআরসি চেয়ারম্যান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে চান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি ভবনে টেলিযোগাযোগ বিটের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান। প্রকৌশলী মহিউদ্দিন বলেন, গণমাধ্যম আমাদের কাজ দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরে। আপনারা এবং বিটিআরসি আলাদা কিছু নয়, অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। আর সেই লক্ষ্য হচ্ছে একটি উন্নত বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে সবার থেকে এগিয়ে যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, স্মার্ট বাংলাদেশও করব। সেই কাজে আপনারা সাথে থাকবেন বলে আমার প্রত্যাশা। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের তথ্য প্রাপ্তির প্রক্রিয়া আরও দ্রুত এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে কমিশনের পক্ষ থেকে কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি। কমিশনের স্বাতন্ত্র বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, দুইবার সংশোধনী হওয়ার পর বিটিআরসি আইন নিয়ে খোলামত না দিয়ে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত থেকেও বিটিআরসি ‘স্বাধীন’ না হয়েও কমিশন হিসেবে স্বাতন্ত্র্যতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি সচিব নূরুল হাফিজের সঞ্চালনায় কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, আমিনুল হক, মুশফিক মান্নান চৌধুরী, মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আশীষ কুমার কুণ্ড, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুজ্জামান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মোবাইল ফোনসেটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে : বিটিআরসি চেয়ারম্যান
দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইল ফোনসেটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসিতে অনুষ্ঠিত ‘ভিওএলটিই সক্ষম মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন’বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, গ্রাহকের জন্য ৪জি প্রযুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে গ্রাহকের জন্য সুলভ মূল্যে মোবাইল হ্যান্ডসেট নিশ্চিত করতে হবে।  কর্মশালায় ভিওএলটিইর গুরুত্ব ও সুযোগ, কারিগরী পদ্ধতি ও কার্যনীতি এবং কৌশল বাস্তবায়নের বিষয়ে বিশদ উপস্থাপনা করেন কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল আউয়াল উদ্দীন আহমেদ। কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ ভিওএলটিই অভিযোজনে সব অপারেটরের সমান প্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।  ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া, সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেন সঠিক সময়ে গ্রাহকের নিকট পৌঁছায়- এ বিষয়ে কমিশনের অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী গুরুত্বারোপ করেন। কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বিটিআরসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধি, মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতা, সংযোজনকারী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X