সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিদ্যুৎ সংযোগে মাসে লাখ টাকার বাণিজ্য
টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৩ নম্বর ফটকের দোকানগুলোতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে প্রায় লাখ টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের উন্মুক্ত লাইব্রেরির তিন কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন উন্মুক্ত লাইব্রেরি দেখাশোনা ও পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা মফিজ, সা’দ আলী ওরফে চাঁদ ও রিয়াদ। তারা তিনজন লাইব্রেরির কোনায় অবস্থিত টিনের ঘরে থাকেন এবং এখান থেকেই এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সৈকতের ছত্রছায়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছেন। এর বাইরে শাহজাহান ও ইয়াসিন নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধেও কয়েকটি দোকানে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, উদ্যানের ৩ নম্বর ফটকে ‘স্বাধীনতা যাদুঘর’ লেখা পিলারে স্থাপিত বৈদ্যুতিক বাতির তার থেকে সংযোগ নিয়ে এ এলাকার সব দোকানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ফটকের পাশের ফুটপাতে অবস্থিত বিদ্যুৎ সংযোগের একটি বাক্স থেকে অবৈধভাবে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতেও সংযোগ নেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্যানের এই গেটে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শ দোকান বসে। এর মধ্যে প্রায় ৬৫টি দোকানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। প্রতি বাতি বাবদ বিল নেওয়া হয় দৈনিক ৩০ টাকা এবং দুই বাতির বিল একসঙ্গে ৫০ টাকা। প্রতিটি দোকানে গড়ে দুটি করে বাতি ধরা হলে প্রতিদিন মোট বিলের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার টাকার বেশি। এক মাসে প্রায় ৯৭ হাজার টাকা হয়। এ ছাড়া উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে রাতে প্রায় ২০টি উচ্চমাত্রার বাতি জ্বালানো হয়। লাইব্রেরির বিপরীত পার্শ্বে অভিযুক্ত শাহজাহানের একটি পানির পাইকারি দোকান রয়েছে। এ ছাড়া তার চটপটি, আইসিক্রম ও চায়ের আরও চারটি দোকান আছে। সবগুলোতে নেওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধ বলে তিনি স্বীকার করেছেন। একাধিক দোকানদার জানিয়েছেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরির তিন কেয়ারটেকারের একেকজন একেকদিন ঘুরে ঘুরে বিল তোলেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় সরেজমিন এর সত্যতাও পান এই প্রতিবেদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানদার বলেন, নতুন কেউ দোকান বসালেই সা’দ আলী নিজেই তার সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যোগাযোগ করেন। তবে অভিযোগ স্বীকার করে সা’দ আলী বলেন, ‘উদ্যানের লাইন থেকে সংযোগ নিয়ে আমরা কিছু দোকান চালাই। এখানকার দোকানগুলোও আসলে দুই নম্বর, আমাদের লাইনও দুই নম্বর। এভাবেই সংসার চালাই।’ অবৈধ সংযোগের বিলের টাকা আর কে পায়—জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাইনম্যান খোকা এসব দোকান নিয়ন্ত্রণ করেন। জানতে চাইলে লাইনম্যান খোকা বলেন, ‘আমি এসব কিছুতে নেই। এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ।’ এ বিষয়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এরকম ভোক্তা পর্যায়ের কিছু আমরা দেখি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন এই দিকটা দেখে।’ তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম আবু মুছা চৌধুরী জানান, এর খবর তারাও জানেন না। বিষয়টি তাদের আওতায় নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, ফুটপাতের যে বাক্স থেকে সংযোগ নেওয়া হয়েছে সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন নয়। এটা ডিপিডিসির আওতাধীন। এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের বক্তব্য জানতে তাকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
২১ মে, ২০২৪

৫ দফা দাবিতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির স্মারকলিপি প্রদান
পল্লীবিদ্যুতের বোর্ড ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মধ্যকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন চাকরিবিধি প্রণয়ন, বৈষম্য দূরীকরণ ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  রোববার (১৯ মে) সারা দেশের সব সমিতিতে একযোগে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।‌ এর আগে চলতি মে মাসের শুরুতে দাবি আদায়ে কর্মবিরতিতে যান সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১০ মে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাসে কাজে ফিরে যান তারা।   এ বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গত ১০ মে বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান, শেখ আকতার হোসেনসহ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক থেকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি-দাওয়া বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে আজ ১৯ মে সারা দেশের ৮০টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।  তারা জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকসই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উত্তম গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে এবং চাকরিতে বৈষম্য দূরীকরণে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে পাঁচ দফা দাবি সম্মিলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হলো। দাবিগুলো হলো :- ১. পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন।  ২. কারিগরি লোকবলের সংকট এড়াতে ও গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্মত  বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে লাইন ক্রু লেভেল ১ পদের চাকরি নিয়মিতকরণ করতে হবে। ৩. সরকারের রাজস্ব আদায় অব্যাহত রাখার স্বার্থে গ্রাহক পর্যায়ে মিটারসমূহ সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার পদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।  ৪. দৈনিক হাজিরাভিত্তিক বিল সহকারী ও বিদ্যুৎ লাইন শ্রমিকদের চাকরি নিয়মিতকরন করতে হবে।  ৫. বৈষম্য নিরসনের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বর্তমান ও ভবিষ্যতে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা যেমন, বরখাস্ত, বদলি, প্রমোশন স্থগিত ও তদন্তের নামে হয়রানি না করা এবং আন্দোলন চলাকালে যাদের সাময়িক বরখাস্ত, বদলিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তাদের পূর্বের পদে পদায়ন করতে হবে।
১৯ মে, ২০২৪

বিল বকেয়া থাকায় রেল কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
প্রায় দুই কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রামে অবস্থিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান কার্যালয় সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ে (সিআরবি) বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে প্রায় ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসটি। রোববার (১৯ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত বিল পরিশোধের আশ্বাসে ফের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ দক্ষিণাঞ্চল জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রেল পূর্বাঞ্চল অফিস ২ কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করছে না। বারবার এ বিষয়ে বলা হলেও, তারা টাকার সংকটের অজুহাত দিয়ে বিল পরিশোধ করেনি। এ জন্য রোববার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলীরা গিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাইন কেটে দেন। শিগগিরই বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা পাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, শুধু আমাদের ইউনিট রেলওয়ে থেকে এক কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাবে। আমরা এ বিষয়ে বারবার চিঠি দিলেও, তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সে জন্য লাইন কেটে দেওয়া হয়। পরে বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর আবার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ বিলের বাজেট আমরা পাইনি, সে জন্য বিল পরিশোধ করতে পারিনি। সামনের বাজেটে বিল পরিশোধ করব আমরা।
১৯ মে, ২০২৪

বিদ্যুৎস্পর্শে পল্লীবিদ্যুৎ শ্রমিকের মৃত্যু
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিদ্যুৎস্পর্শে পল্লীবিদ্যুতের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দড়িনগুয়া গ্রামে ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ উপকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সোহাগ মিয়া (৩০)। তিনি ফুলপুর উপজেলার ইমাদপুর গ্রামের আমিনের পুত্র। গুরুতর আহত ব্যক্তির নাম অলি (৩০)। তিনি একই উপজেলার নৈহাটি গ্রামের সাহাব উদ্দিনের পুত্র।    এ বিষয়ে উপকেন্দ্রের লাইনম্যান মোবারক হোসেন বলেন, সকাল বেলায় উপকেন্দ্রের বিদ্যুতের চারটি নতুন খুঁটি লাগাতে আসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চারজন নির্মাণ শ্রমিক। উপকেন্দ্রের বিদ্যুৎ পুরো স্টেশনের সাট ডাউন না নিয়েই কাজ শুরু করে দেয়। একপর্যায়ে খুঁটি সোজা করতে গিয়ে উপরের একটি তার সরানোর জন্য দুজন শ্রমিক উপরে ওঠে। একটি তার নিচে ফেলায় নিচ থেকে দুই শ্রমিক সোহাগ ও অলি ওই বিদ্যুতের তার সোজা করতে গিয়ে পাশে চালু থাকা লাইনে স্পর্শ করে। এ সময় দুজন আহত হন। সঙ্গে থাকা অপর শ্রমিকরা দুজনকেই উদ্ধার করে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহতাবস্থায় অলিকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নুরুল হুদা বলেন, উপকেন্দ্রের আপডেট কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চার নির্মাণ শ্রমিক খুঁটি লাগাতে যায়। তারা উপকেন্দ্রের বিদ্যুতের সব লাইন বন্ধ না করেই কাজ শুরু করে দেয়। এ ঘটনার জন্য তিনি নির্মাণ শ্রমিকদেরই দায়ী করেন। ঘটনার সময় উপস্থিত লাইনম্যান মোবারক আলী বলেন, আমি তাদের এক ঘণ্টা পর কাজ করতে বলেছিলাম। নিষেধ করেছিলাম কাজ করার জন্য। তারা না মেনে কাজ শুরু করে দেয়।  এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বলেন, পল্লীবিদ্যুতের লোকজন বা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ অবগত করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৮ মে, ২০২৪

ওয়ালটনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উন্মোচন
আসছে ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে ওয়ালটন। এর মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির মাল্টি-কালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের কম্বি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ভার্টিকাল ফ্রিজার, চকোলেট কুলারসহ মোট ৭ মডেলের ফ্রিজ। এ ছাড়া আছে সোলার হাইব্রিড প্রযুক্তির স্প্লিট টাইপ এসি, ৪ ও ৫ টনের সিলিং এবং ক্যাসেট টাইপ লাইট কমার্শিয়াল এসি, ৬৫ ইঞ্চির ওএলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স হলে এসব পণ্য উন্মোচন করেন ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রায়হান। অনুষ্ঠানে সারা দেশে একযোগে চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০-এর ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ অফারের শোভাযাত্রা উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডিএমডি ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), মফিজুর রহমান, ফিরোজ আলম, তানভীর রহমান, তাহসিনুল হক, সোহেল রানা, মোস্তফা কামাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান বলেন, প্রতি বছরই ঈদ সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক আনে ওয়ালটন। এবার নতুন মডেলের পণ্যগুলোয় ইনভার্টার প্রযুক্তিসহ ইন্টারনেট অব থিংসভিত্তিক স্মার্ট ফিচার সংযোজন করা হয়েছে। আশা করি, এসব পণ্য গ্রাহক পর্যায়ে সাড়া ফেলবে।
১৭ মে, ২০২৪

ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।  নতুন মডেলের পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির মাল্টি-কালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের কম্বি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ভার্টিকাল ফ্রিজার, চকোলেট কুলারসহ মোট ৭টি মডেলের ফ্রিজ।  এ ছাড়াও আছে সোলার হাইব্রিড প্রযুক্তির স্প্লিট টাইপ এসি, ৪ ও ৫ টনের সিলিং এবং ক্যাসেট টাইপ লাইট কমার্শিয়াল এসি, ৬৫ ইঞ্চির ওএলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের প্রোডাক্টস উন্মোচন করেন ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রায়হান।  অনুষ্ঠানে সারা দেশে একযোগে চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ অফারের বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধন করা হয়।  নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), মফিজুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. তানভীর রহমান, তাহসিনুল হক, সোহেল রানা, মোস্তফা কামাল প্রমুখ।   এ ছাড়া ভার্চুয়াল মাধ্যমে সারা দেশ থেকে ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার ও পরিবেশকরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন, জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান বলেন, প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক নিয়ে আসে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছি। নতুন মডেলের এসব পণ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তিসহ ইন্টারনেট অব থিংগস (আইওটি) বেজড স্মার্ট ফিচার সংযোজন করা হয়েছে। আশা করি নতুন মডেলের এসব পণ্য গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।  ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান বলেন, গ্রাহকদের হাতে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ নতুন উদ্ভাবিত পণ্য তুলে দিতে সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) টিমের প্রকৌশলীরা।  ওয়ালটন আর অ্যান্ড আই টিমের দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা, প্রোডাকশন, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টসহ সব বিভাগের সদস্যরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্বের সর্বাধুনিক ডিজাইন, প্রযুক্তি ও ফিচারের ইলেকট্রনিক্স পণ্য গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হচ্ছি। আমাদের এ ধরনের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম জানান, গ্রাহকদের হাতে উচ্চ গুণগতমানের পণ্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্রেতা সুবিধা প্রদানেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়ালটন। এরই প্রেক্ষিতে ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।  এরইমধ্যে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৫ জন গ্রাহক। ওয়ালটন থেকে পাওয়া ১০ লাখ টাকায় পরিবর্তন হয়েছে তাদের প্রত্যেকের ভাগ্য। গ্রাহকদের ওয়ালটনের এই ননস্টপ মিলিয়নিয়ার ক্যাম্পেইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।  ঈদ উপলক্ষে বাজারে আসা ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংগস বেজড ৬৪৬ লিটার ধারণক্ষমতার সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর, ৩৪৩ লিটারের ইউরোপিয়ান ডিজাইনের কম্বি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ৩৩৪ লিটারের ভার্টিকাল ফ্রিজারসহ মোট ৭টি মডেল। নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি ওয়ালটনের নতুন মডেলের এসব ফ্রিজ বাড়িয়ে দেবে ঘরের আভিজাত্য।  নতুন মডেলের এসব ফ্রিজ যেমন ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, তেমনি পরিবেশবান্ধবও। এসব ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ গ্যাস। এ ছাড়াও এসব ফ্রিজের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কমপার্টমেন্টের জন্য রয়েছে টারবো ও ইকো ফিচারসমৃদ্ধ ডুয়ো কুলিং টেকনোলজি।  এসব ফ্রিজের ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন (এমএসও) ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করে।  রেফ্রিজারেটরের ফ্রিজ ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমতো সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এসব ফ্রিজ নিশ্চিত করবে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুমুক্ত স্বাস্থ্যকর সতেজ খাবার।  এ ছাড়াও এসব ফ্রিজে রয়েছে ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর (আইজিটি), স্মার্ট কন্ট্রোল, ডোর ওপেনিং অ্যালার্ম, চাইল্ড লক, থ্রি লেয়ার ওডোর গার্ড ও হিউম্যান ডিটেক্টর। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় ফ্রিজের দরজা না খুলেই হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  ওয়ালটনের উন্মোচিত নতুন মডেলের এসির মধ্যে রয়েছে ১ ও ১.৫ টনের সোলার হাইব্রিড স্প্লিট টাইপ এসি। ওয়ালটনের নতুন এই এসিটি সুপার সেভিংস মডেলের। এই এসি দিনের বেলায় সোলার পাওয়ারের মাধ্যমে চলবে। যদি সোলার পাওয়ার কম থাকে, তখন সোলার পাওয়ার থেকে আগে বিদ্যুৎ নিয়ে তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী বৈদ্যুতিক লাইনের মাধ্যমে হাইব্রিড পদ্ধতিতে চলবে এই এসি।  এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এ ছাড়া রাতের বেলায় সোলার পাওয়ার ব্যাটারির মাধ্যমে বা বৈদ্যুতিক লাইনেও চলবে এটি। এতে আরও ব্যবহার করা হয়েছে মরিচা প্রতিরোধক কোটেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশন প্রযুক্তি। এই এসির কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হয়েছে সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসমুক্ত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। ইনভার্টার প্রযুক্তির বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ১.৫ টন থেকে শুরু করে ৫ টনের সিলিং টাইপ এবং ক্যাসেট টাইপের নতুন মডেলের ইনভার্ট্রনিক্স সিরিজের লাইট কমার্শিয়াল এসি উন্মোচন করেছে ওয়ালটন।  বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার আলোকে ওয়ালটনের এই লাইট কমার্শিয়াল এসিগুলো ডিজাইন করা হয়েছে। এসব এসি ৫৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা পর্যন্ত ফাংশনাল থাকবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাস্টমারদের কথা বিবেচনা করে মরিচা প্রতিরোধক ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। কম্প্রেসারের দীর্ঘস্থায়িত্বের পাশাপাশি হাই কুলিং এফিশিয়েন্সি নিশ্চিত করতে অ্যাকুমুলেটর ব্যবহার করা হয়েছে। লাইট কমার্শিয়াল ইনভার্টার মডেলগুলোকে সিঙ্গেল ফেজ পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে চালানো যাবে। এ ছাড়া সিস্টেমকে রক্ষা করার জন্য সার্জ প্রোটেকশন, হাই ও লো প্রেশার প্রোটেকশন, ইন্টারনাল প্রেশার রিলিভ ভাল্ব ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রাহক মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও ইনভার্ট্রনিক্স সিরিজের এসি পরিচালনা করতে পারবেন।  ঈদকে সামনে রেখে ওয়ালটন উন্মোচন করেছে ৬৫-ইঞ্চির আল্ট্রা স্লিম ডিজাইনের ওএলইডি টিভি। গ্রাহকরা তাদের ভিউং অ্যাঙ্গেল অনুযায়ী ইচ্ছামতো ঘুরিয়ে নিতে পারবেন ওয়ালটনের নতুন মডেলের এই টিভি। এতে রয়েছে হ্যান্ডস ফ্রি ভয়েস কমান্ড সুবিধা। আছে ৩ জিবি র‌্যাম এবং ৩২ জিবি রম। এ ছাড়াও রয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, গেমিং মুড, এমইএমসি, ডলবি এটমস ও ডলবি ভিশন সাউন্ড সিস্টেম।  এ ছাড়াও ওয়ালটন বাজারে এনেছে নতুন মডেলের ওয়াশিং মেশিন। এতে ব্যবহৃত হয়েছে বিএলডিসি ইনভার্টার মটর। ফলে বিদ্যুৎ খরচ যেমন কম হয়, তেমনি দীর্ঘস্থায়িত্বও অনেক বেশি। এই ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ওয়াশ করার সময় যদি লোডশেডিং হয় তখন বিদ্যুৎ আসার পর সর্বশেষ অবস্থা থেকে ওয়াশের কাজ সম্পন্ন হয়। পানির হিটিং লেভেল নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছালে হিটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। ওয়াশিং মেশিন চালানোর সময় কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসপ্লেতে এরোর কোড দেখা যাবে।        ওয়ালটন ঈদ কার্নিভালে বাজারে এসেছে নতুন মডেলের বিএলডিসি প্রযুক্তির সিলিং ফ্যান। বাজারের নরমাল ফ্যানগুলো হয় ৯০ থেকে ১০০ ওয়াটের। আর ওয়ালটনের বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান মাত্র ৩৫ ওয়াটের। ফলে ওয়ালটনের এই ফ্যানে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে প্রায় ৬৫ শতাংশ। এতে করে বছরে বিশাল অঙ্কের বিদুৎ বিল সাশ্রয় হবে গ্রাহকের। ওয়ালটনের বিএলডিসি ফ্যান রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সহজেই চালাতে পারবেন গ্রাহক।
১৬ মে, ২০২৪

জুনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম ১০-১২ শতাংশ বাড়তে পারে
আগামী মাসে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। এ পর্যায়ে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা মূল্য ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। যদিও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ভর্তুকি কমাতে এমনিতেই দাম বাড়াতে হতো। হঠাৎ করে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম এক লাফে সাত টাকা কমে যাওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় আগামী মাস থেকে দাম সমন্বয়ের মাধ্যমে বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দামও বাড়ানো হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পিডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে এখন যে মূল্যস্ফীতি আছে, তা আরও বাড়বে। প্রচণ্ড চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ। সামগ্রিক অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষকে না খেয়ে জীবনযাপন করতে হবে। তারা বলছেন, উৎপাদন পর্যায়ে খরচ কমানো এবং জ্বালানির সদ্ব্যবহার বাড়াতে পারলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। বিদ্যুৎ ও পিডিবির দুই কর্মকর্তা জানান, টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে অনেকখানি। এ কারণে জাতীয় বাজেটের আগে মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কাজ চলছে। জানা গেছে, ডলারের বিপরীতে এক টাকা অবমূল্যায়ন হলে পিডিবির বার্ষিক ব্যয় ৪৭৪ কোটি টাকা বেড়ে যায়। এ হিসেবে সাত টাকার অবমূল্যায়নের বিপরীতে পিডিবির বার্ষিক খরচ ৩ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা বেড়ে যাবে। এজন্য জুনে বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। খুচরা ও পাইকারি বিদ্যুতের দাম কম-বেশি ১০ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এখনো এটি চূড়ান্ত করা হয়নি। এরই মধ্যে বিদ্যুতের দাম বছরে চার-পাঁচবার সমন্বয়ের কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গত শুক্রবার তিনি বলেন, এ খাতে ধীরে ধীরে ভর্তুকি তুলে দেওয়া হবে। পিডিবির কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বব্যাপী ও দেশের নানামুখী সংকটে গত বছরগুলোতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সমানভাবে বিপাকে ফেলেছে সরকার ও গ্রাহকদের। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৯ বার। শুধু গত দেড় বছরেরও কম সময়ে এ দাম বাড়ে চারবার। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক পর্যায়ে ৩ টাকা ৭৩ পয়সায় থাকা ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ১৪০ শতাংশ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। এর পেছনে কারণ হিসেবে তারা বলছেন, আমদানিনির্ভর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত প্রায় পুরোপুরি ডলারকেন্দ্রিক। তেল, কয়লা, এলএনজি কিংবা ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুৎকেন্দ্রের দেনা, বিদেশি কোম্পানির পাওনা—সবই পরিশোধ হচ্ছে ডলারে। পাশাপাশি আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিতে গিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ভর্তুকিমুক্ত করাসহ নানা সংস্কারের পথে হাঁটতে হচ্ছে সরকারকে। জানা গেছে, গত বছর দেশে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে। আর এলএনজি আমদানি ও টার্মিনাল ভাড়া বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে ৩০০ কোটি ডলার। জ্বালানি খাতের ব্যয় মোট আমদানি ব্যয়ের ১৫ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে ৭ টাকা অবমূল্যায়নের কারণে টাকার অঙ্কে খরচ বাড়বে ৬ শতাংশ। ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম কালবেলাকে বলেন, বিদ্যুৎ খাতে অযৌক্তিক ব্যয় কমাতে হবে। ট্যাক্স-ভ্যাটের মতো রাজস্ব খাত থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত মুক্ত রাখতে হবে। জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার বাড়াতে হবে। এ ছাড়া কিছু নীতি সংস্কার করলে দাম না বাড়িয়েও ঘাটতি সমন্বয় সম্ভব। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় কমিয়ে আনলে দাম বাড়াতে হবে না। সর্বশেষ সরকার নির্বাহী আদেশে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ায়। খুচরায় দাম সাড়ে ৮ শতাংশ এবং পাইকারিতে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। ওই সময় আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিটের দাম ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৩৫ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিটের দাম ৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৮৫ পয়সা, ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিটের দাম ৬ টাকা ১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬৩ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিটের দাম ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৯৫ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের দাম ৬ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৩৪ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের দাম ১০ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১ টাকা ৫১ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের দাম ১২ টাকা ৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন অধ্যাদেশ-২০২২ সংশোধনের কারণে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পায় সরকার।
১৬ মে, ২০২৪

সাত বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল দেয় না পৌরসভা
পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল ৭ বছরে অর্ধকোটি টাকা বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।  জানা যায়, মঠবাড়ীয়া পৌরসভার কাছে ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩০ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাওনা রয়েছে পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি মঠবাড়ীয়া জোনাল অফিসের। পৌরসভার মূল ভবন, পানি পরিশোধনাগার, বহুমুখী বাজার ও সড়ক লাইনসহ বিদ্যুৎ সংযোগের অন্তত ১১টি হিসাব নম্বর রয়েছে।  এসব হিসাব নম্বরের কোনোটিতেই ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে মঠবাড়ীয়া জোনাল অফিস। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৯টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় সংযোগ চালু করা হয়। মঠবাড়ীয়া পৌরসভা ও পল্লীবিদ্যুতের মঠবাড়ীয়া জোনাল অফিস কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পল্লীবিদ্যুতের মঠবাড়িয়া জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার কয়েকটি সংযোগ বাবদ প্রতি মাসে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। সংযোগগুলোর বিপরীতে পৌরসভার হিসাব নম্বরে ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩০ টাকা বকেয়া পড়েছে। নোটিশ করার পরও বছরের পর বছর ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় এ ব্যবস্থা নিয়েছে।  পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল ২০১৭ সাল থেকে বকেয়া চলে আসছে। বকেয়া বিলের কিছু পরিশোধ করে সংযোগ চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ছয় মাসের বিভিন্ন সময় বকেয়া বিলসহ ৩০ লাখ ৩ হাজার ২৭৩ টাকা পরিশোধ করেছি। মঠবাড়ীয়ার জোনাল অফিসের ডিজিএম মোতালেব হোসেন বলেন, অর্ধ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। তখন বলা হয় সম্মানজনক একটা বিল তারা পরিশোধ করবেন। কিন্তু এতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
১৪ মে, ২০২৪

চাঁদপুরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু
গ্যাস সংকট কাটিয়ে চাঁদপুরে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এটি ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদনকেন্দ্র হলেও এখন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মোহাম্মদ নূরুল আবছার।  এর আগে নানা জল্পনা কল্পনার পর শুরু হয়েও এক মাস আট দিন বন্ধ ছিল চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র। গত ৫ এপ্রিল জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মোহাম্মদ নূরুল আবছার জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের মার্চের ১০ তারিখ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিট উৎপাদনে আসে। তবে অপর ৫০ মেগাওয়াট ইউনিট তখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। মার্চ মাস চালু ছিল। এপ্রিল মাসের ৫ তারিখে জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরও জানান, বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ মেরামত কাজের জন্য এক মাস আট দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে গ্যাস সংকটের কারণে এখন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়লে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হবে। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। চাঁদপুরের এই বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট। একটি ১০০ মেগাওয়াট এবং অপরটি ৫০ মেগাওয়াট। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। চীনা কোম্পানি চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করেছিল।
১৪ মে, ২০২৪

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে ইবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলসংলগ্ন নুরজাহান ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত বলে জানা গেছে। এতে আহতরা হলেন- আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবু হানিফ পিয়াস, সমাজকল্যাণ বিভাগের সাকিব আহমেদ,  ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের নাইম রেজা ও ইংরেজি বিভাগের হৃদয় আবির। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আহত অন্যরা হলেন- মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস, স্থানীয় বাসিন্দা আশিক হোসেনসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক। জানা যায়, নুরজাহান ছাত্রীনিবাসে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন। ওই ছাত্রীনিবাসের ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকাকে কেন্দ্র করে ফারিহার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। একই সঙ্গে ম্যানেজার তাকে অশালীন ইঙ্গিত দেয় বলে জানান মেয়েটি। পরে মেয়েটি তার সহপাঠী আবু হানিফ পিয়াসকে বিষয়টি জানান। এ বিষয়ে পিয়াসের সঙ্গে মেস ম্যানেজারের কথাকাটাকাটি হয়। পরে পিয়াস তার বন্ধুদের নিয়ে পুনরায় মেসে গেলে ম্যানেজারকে মারধর করার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  ফারিহা খাতুন জানান, বিদ্যুৎ বিল চাওয়া নিয়ে মেস ম্যানেজার আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। গতকাল সন্ধ্যায় ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গেলে তিনি আমাকে বাজে ইঙ্গিত দেন। টাকা নেওয়ার সময় ম্যানেজার আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। আমি ৫০০ টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের ৪১৫ টাকা কেটে নিতে বলি। কিন্তু তিনি বাজে ইঙ্গিত করায় আমি টাকাটা ছুড়ে দিলে তিনি আমার বাসার নম্বর চান এবং বলেন, ‘বেয়াদব মেয়ে। তুমি আজকেই মেস ছেড়ে দেবে।’ এ বিষয়টি আমি আমার বিভাগের বন্ধু আবু হানিফ পিয়াসকে জানাই। পরে সে আমার বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার ও নিরাপত্তাকর্মী তার সঙ্গেও বাজে আচরণ করে। পরে সে তার কিছু বন্ধুদের নিয়ে আবারও ম্যানেজারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার তাকে (আবু হানিফ পিয়াস) জামার কলার ধরে বের করে দেয়। তখন হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে মেয়েটি ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এ বিষয়ে তাদের ডাকা ঠিক হয়নি। বিষয়টির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করব। মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস জানান, গত জানুয়ারি মাসে ওই মেয়ে মেসে ওঠে। এরপর সে এতদিন থেকেছে কিন্তু কোনো বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। তার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় এক হাজার টাকা। আমি কয়েকবার বিল চাইতে গেলে সে বিভিন্নরকম বাহানা দিতে থাকে। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি তার সঙ্গে কোনো বাজে আচরণ করিনি। তাকে থাপ্পড় মারার কথাও বলিনি। বরং ওই মেয়ে জোরে কথা বলে এমনকি দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর রেজাউল করিম খান বলেন, মেসের মধ্যে কোনো ঝামেলা হলে বা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তা মেসের মালিককে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু ওই মেয়েটা তা না করে বন্ধুদের দিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধিয়েছে, যেটা ঠিক হয়নি। স্থানীয়দের ওপর মারধর করা হলে তারা তো বসে থাকবে না। স্থানীয়দের সঙ্গে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হোক আমরা চাই না। যেসব শিক্ষার্থী আজকে ঝামেলা করেছে তাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফারিয়ার বন্ধু আবু হানিফ পিয়াস বলেন, মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস প্রায় সময়ই আমাদের বান্ধবীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে। এ ছাড়াও মেসের অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গেও প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করে। আজকেও আমার বান্ধবীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করতে যাই। তখন তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবেক আমার বন্ধু নাইমকে চড় মারে। পরে আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমরা ৪ বন্ধু আহত হই। পরে আমরা সেখান থেকে কেটে পরি। এ বিষয়ে শৈলকূপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই আমরা এখানে এসেছি। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে কেউ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদত হোসেন আজাদ বলেমন, লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ মে, ২০২৪
X