চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত পাইলট নিহত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কর্ণফুলীর জুলধা মাতব্বর ঘাটসংলগ্ন এইচএম স্টিল কারখানার পাশে কর্ণফুলী নদী থেকে বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ আসিম জাওয়াদ নিহত হন। আহত হয়েছেন উইং কমান্ডার সোহান হাসান খান। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। বিমান বিধ্বস্তের সেই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকার আকাশে উড়ছিল ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমানটি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই বিমানের পেছনে জ্বলে ওঠে আগুন। মুহূর্তেই বিধ্বস্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যায় বিমানটি। পতেঙ্গা থানার ওসি কবীরুল ইসলাম বলেন, বিমানে আগুন লাগার পর দুজন পাইলট প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে আসেন। এ সময় কর্ণফুলী নদী থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। দুর্ঘটনার পর দুই বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ প্যারাস্যুট দিয়ে নদীতে অবতরণ করেন। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুই ঘণ্টা পর তিনি মারা যান। আহত অন্য বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান চিকিৎসাধীন। জাওয়াদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটি উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বৈমানিকরা অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমানটিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন। নিহত আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের একমাত্র ছেলে। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে যোগদান করেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এ সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে আসেন। এদিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বিধ্বস্ত বিমানটি শনাক্ত করা হয়। উদ্ধারে কাজ করেছে নৌবাহিনীর জাহাজ বলবান। মানিকগঞ্জে আসিমের বাড়িতে মাতম: বিমান দুর্ঘটনায় নিহত আসিম জাওয়াদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। গতকাল বিকেলে জাওয়াদের জেলা শহরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর খবরে আহাজারি করছেন মা নিলুফা। বিলাপ করে তিনি বলছিলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন ফোন করে আমাকে খাবারের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত কোনো ফোন করেনি। কখন আসবে জাওয়াদের ফোন।’ তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্বজনরা। ছেলে শোকে তিনি বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। সাংবাদিকদের দেখে তার প্রশ্ন, ‘বাড়িতে এত সাংবাদিক এসেছে কেন। আমার ছেলে কই, আমি আছি আমার ছেলে তো নেই।’ জাওয়াদের মামা সাংবাদিক সুরুয খান বলেন, মেধাবী জাওয়াদের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। আজ তাকে হরিয়ে পরিবারের মাথায় বাজ পড়েছে। তিনি জানান, আজ শুক্রবার জাওয়াদের লাশ মানিকগঞ্জে আসবে। এরপর তাকে শহরের সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১০ মে, ২০২৪

ফ্লোরিডায় বাড়িতে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত কয়েকজন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্লিয়ারওয়াটার শহরে ছোট একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিমানটি একটি ভ্রাম্যমাণ বাড়িতে (মোবাইল হোম) আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়। তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাড়িঘরের ওপর সেটি আছড়ে পড়ার পর বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে আগুন ধরে যায়। শহরটির অধিকাংশ বাড়িঘর ভ্রাম্যমাণ কিংবা অস্থায়ী (মোবাইল হোম)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ছবিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি থেকে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি একটি সিঙ্গেল ইঞ্জিন বিচক্র্যাফট বোনানজা ভি ৩৫ বিমান। এসব বিমান বেশ হালকা এবং সর্বোচ্চ ছয় আসনের হয়।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্ব মিনাস গেরাইস প্রদেশে ছোট একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। উদ্ধারকর্মীরা এএফপিকে জানিয়েছেন, প্রতিবেশী সাও পাওলো প্রদেশের ক্যাম্পিনাস ছেড়ে যাওয়ার পর একক ইঞ্জিনের এই বিমানটি দৃশ্যত মাঝ-আকাশ থেকে ভেঙে পড়ে এবং সকাল সাড়ে ১০টায় খনিসমৃদ্ধ শহর ইতাপেভাতে বিধ্বস্ত হয়। দমকলকর্মীরা ‘বিমানটিতে সাত আরোহীকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পেয়েছেন’ বলেও বিভাগটি এক বিবৃতিতে বলেছে। এর আগে তারা তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে ঘোষণা করেছিল। স্থানীয়দের তোলা ছবিতে ঘাস এবং গাছে ঢাকা পাহাড়ের পাশে ভেঙে পড়ার কিছুক্ষণ পরে প্লেনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। দেশটির সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং ব্রাজিলিয়ান মিডিয়াতেও এসব ছবি প্রচারিত হয়েছে।  
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

ইউক্রেনের হামলায় রুশ বিমান বিধ্বস্ত
ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুদেশের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ৭৪ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে। কিন্তু বিমানটিতে থাকা আরোহীদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়া বলছে, বিমানটিতে ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধবন্দি ছিল। অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র বহন করা হচ্ছিল। এতে ইউক্রেনের কোনো নাগরিক ছিল না। খবর সিএনএনের। সামরিক ওই বিমানটির সব আরোহী মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্লাদকভ। টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘একটি পরিবহন বিমান বেলগোরোদের কোরোচানস্কি জেলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। সেটি বিধ্বস্ত হয়ে একটি মাঠে পড়েছে। আরোহীরা সবাই মারা গেছেন।’ স্থানীয় বেলগোরোদ চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে, যেখানে দেখা যায়, একটি বিমান দ্রুত নেমে আসে এবং মাটিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়। রাশিয়ার পার্লামেন্ট সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আন্দ্রেই কারতাপোলভ বলেন, বিমানটি তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে তিনি কোথা থেকে এ তথ্য পেয়েছেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইলিউশিন-৭৬ পরিবহন বিমানটি মস্কোর নিকটবর্তী চকলোভস্কি থেকে বেলগোরোদ আসার পথে সীমান্তের কাছে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধিবন্দিসহ ছিলেন যাদের বিনিময় করার জন্য নেওয়া হচ্ছিল। তারা ছাড়া ছয় ক্রু এবং তিন নিরাপত্তাকর্মীও ছিলেন ওই ফ্লাইটে। তবে ইউক্রেন বলছে, বিমানটিতে কোনো ইউক্রেনের নাগরিক ছিল না। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এটি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছিল। সিএনএন ও রয়টার্স উভয়পক্ষের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। অবশ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়মিত বন্দি বিনিময় করে আসছে।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

৬৫ বন্দি নিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
ইউক্রেনের সীমান্তে রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বন্দি বিনিময়ের আওতায় বন্দিদের নিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।  আরআইএ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটিতে ৬৫ জন বন্দি ছিলেন। এছাড়া বিমানে ছয়জন ক্রু ও তিনজন লোক ছিলেন। এটি রাশিয়ান ইলিউশিন ইল-৭৬ বিমান ছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি।  রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় ৬৫ বন্দিরা সবাই নিহত হয়েছেন।  রয়টার্স জানিয়েছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিমানটিতে কারা ছিল তা যাচাই করতে পারেনি।  রাশিয়ার নিরাপত্তা সেবা সংশ্লিষ্ট চ্যানেল বাজা টেলিগ্রামে ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা গেছে, একটি বিশাল বিমান মাটিতে পতিত হয়েছে। এ সময় এটি বিশাল ফায়ারবল আকারে বিস্ফোরিত হয়।  The moment the plane crashed was caught on video. It seems the plane already occurred severe damage before going down to the ground. https://t.co/XE4r9dJ3Ff pic.twitter.com/op4RNR4m4R — NOELREPORTS (@NOELreports) January 24, 2024 ইল-৭৬ একটি সামরিক বিমান। এটি সেনা, কার্গো, সামরিক রসদ ও অস্ত্র পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এ ধরনের বিমানে সাধারণত পাঁচজন ক্রু ও ৯০ যাত্রী পরিবহন করা যায়।  স্থানীয় গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ বলেন, বেলগ্রুদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের কোরোচানস্কি জেলায় একটি অনির্দিষ্ট ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন। এছাড়া তদন্তকারী এবং জরুরি কর্মীরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে রয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।   
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ভারতে অবতরণকালে মিয়ানমারের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
ভারতে অবতরণের সময় মিয়ানমারের একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। মূলত অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমানটি। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের একটি সামরিক বিমান মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফেরানোর জন্য বিমানটি মিজোরামে এসেছিল। চ্যালেঞ্জিং প্রকৃতির জন্য পরিচিত লেংপুইয়ের বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। মিজোরামের ডিজিপির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বিমানটি ছোট ছিল এবং পাইলটসহ ১৪ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের লেংপুই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলছে সামরিক বাহিনীর এই সংঘাত। আর সংঘর্ষের মধ্যেই গত সপ্তাহে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে পালিয়ে যান মিয়ানমারের ২৭৬ জন সেনা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের পর তারা ভারতে ঢুকে আশ্রয় নেন। ভারত সোমবার অন্তত ১৮৪ মিয়ানমারের সেনাকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ভারত থেকে মস্কোগামী বিমান বিধ্বস্ত
আফগানিস্তানে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এটি ভারত থেকে মস্কো যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় সব আরোহী নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) দেশটির  এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। খবর এনডিটিভির।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাদাখশান প্রদেশে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এলাকাটি চীন, তাজাকিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী। তবে ঠিক কোথায় এটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা জানা যায়নি।  প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান জাবিহুল্লাহ আমিরি এএফপিকে বলেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তবে এটি ঠিক কোথায় দুর্ঘটনায় পড়ে তা জানা যায়নি। আমরা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি। তবে তারা এখনও পৌঁছায়নি। এ ছাড়া তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।  তিনি জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি আমরা সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।  স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় রাতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আফগানিস্তানের সুদূর উত্তরের বাদাখশানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তিনি বিমানের ধরন বা বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।  এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এটি রাশিয়ার নিবন্ধিত বিমান। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০ জানুয়ারি রাতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ভারতীয় যাত্রীবাহী বিমান ছিল না। বিভিন্ন সূত্র বিষয়টি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে। মন্ত্রণালয় এটিকে মরক্কোর নিবন্ধিত ছোট বিমান বলে জানিয়েছে।  রুশ বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাশিয়ার নিবন্ধিত বিমানটিতে ছয়জন যাত্রী ছিলেন। এটি গতরাতে আফগাতিস্তানের আকাশসীমায় থাকাকালে রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্যদিকে আফগানিস্তানের পুলিশ জানিয়েছে, তারা একটি বিমান বিদ্ধস্তের তথ্য পেয়েছে।  রুশ কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বিমানটি একটি চার্টার অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এটি ভারত থেকে উজবেকিস্তান হয়ে মস্কো যাচ্ছিল।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের সুপারসনিক বোমারু বিমান বিধ্বস্ত
যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটার এলসওয়ার্থ বিমানঘাঁটিতে একটি মার্কিন সুপারসনিক বোমারু বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানঘাঁটিতে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর সিবিএস নিউজের। এক বিবৃতিতে মার্কিন বিমানবাহিনী জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বোমারু বিমানটি বি-১ শ্রেণির। দুর্ঘটনার সময় এটি প্রশিক্ষণ মিশনে ছিল। এ সময় বিমানে চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। তারা চারজনই বিমান থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসতে পেরেছেন। স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় বিমানঘাঁটি এলাকায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে বিরাজ করা ছাড়াও দৃশ্যমানতা কম ছিল। আকাশে মেঘের পরিমাণও কম ছিল। মার্কিন বি-১ একটি গতানুগতিক সুপারসনিক বোমারু বিমান। ১৯৮০-এর দশকে এই যুদ্ধবিমান মার্কিন বিমানবাহিনীর হাতে দেওয়া হয়। মূলত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখতে এবং আফগানিস্তানে খুব কাছ থেকে মার্কিন অভিযানে সহায়তা করতে এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহৃত হয়েছে। তবে এই সামরিক বিমান কোনো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে না। প্রথম দিকে ১০০টির মতো বি-১ বোমারু বিমান তৈরি করা হলেও বর্তমানে ৬০টির কম টেক্সাসের ডাইস বিমানঘাঁটিতে রয়েছে।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

প্যারাগুয়েতে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এমপিসহ নিহত ৪
লাতিন আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দেশটির একজন সংসদ সদস্যসহ (এমপি) চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (২ ডিসেম্বর) প্যারাগুয়ের রাজধানী আসানসিয়ন থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সংসদ সদস্যের নাম ওয়াল্টার হার্মস। তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন কলোরাডো দলের একজন এমপি ছিলেন। পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসানসিয়ন থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরের একটি এলাকায় বিমানটি আকাশে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। মূলত বিমানটি উড্ডয়নের সময় একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এরপর এটি মাটিতে পড়ে আগুন ধরে যায়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মাঠে বিমানের ধ্বংসাবশেষে আগুন জ্বলছে। ওয়াল্টার হার্মসের নিহতের খবরে প্যারাগুয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট পেড্রো আলিয়ানা সামাজিক মাধ্যম এক্সে বলেছেন, আমাদের সহকর্মী, বন্ধু ও স্বপ্নবাজ ভাই ওয়াল্টার হার্মসের মৃত্যুতে আমি গভীর বেদনা অনুভব করছি।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান জাপানের ইয়াকুশিমা আইল্যান্ডে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ৮ জন যাত্রী ছিলেন। জাপানের কোস্ট গার্ড বিবিসিকে জানিয়েছে, জেলেরা একজন ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছে। তবে তাদের অবস্থা কেমন তা জানানো সম্ভব হয়নি।  স্থানীয় গণমাধ্যমকে কোস্ট গার্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়াকুসিমায় বিমানের ভগ্নস্তূপ পাওয়া গেছে। জাপানের  এনএইচকে  সংবাদ মাধ্যম জানায় CV-22 ওস্প্রে  মডেলের বিমানটি ইয়াকুশিমা বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করছিল। ধারণা করা হচ্ছে বিমানটি ইয়ামাগুচির আইওয়াকোনি বেইজ থেকে ওকিনাওয়ার কাদেনা বেইজে যাচ্ছিল।   রয়টার্স জানায়, জাপানের প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিরোকাজু বলেন, স্থানীয় সময়  দুইটা চল্লিশ মিনিটে রাডার থেকে হারিয়ে যায়। 
২৯ নভেম্বর, ২০২৩
X