আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন আরেক প্রার্থী। সোমবার (২০ মে) বিকেলে গৌরনদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়া অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর থেকে আমার জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে সুপার এডিট করে আমার আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে হারিছুর রহমানের নির্দেশে তার কর্মী সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ ঘটনায় আমি সাইবার আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় গৌরনদী প্রতিনিধি নামের ফেসবুক আইডি থেকে ২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। এতে মনির হোসেন মিয়াকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। পরে এই ভিডিও প্রার্থী হারিছুর রহমানের একাধিক সমর্থক ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হারিছুর রহমান বলেন, ‘মনিরের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কথা শুনেছি। তবে মনিরের অভিযোগ সত্য নয়। এ ঘটনায় আমি এবং আমার সমর্থক কেউ জড়িত নই। এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, সন্ত্রাসমুক্ত গৌরনদী গড়তে আমরা দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছি। মনির হোসেনের বিজয় নিশ্চিত জেনে এবং মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে

আ.লীগ নেতার অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল
নওগাঁর সাপাহারে এক নারীর সঙ্গে এক আওয়ামী লীগ নেতার অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। রোববার (১৯ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সোহান চৌধুরী নামের এক আইডি থেকে অন্তরঙ্গের দুটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিও ভাইরাল হওয়া ওই নেতার নাম শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরী। তিনি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফেসবুকে পোস্ট করা ওই ভিডিওর ক্যাপশনে সোহান লিখেন- ‘সাপাহার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম শাহ (অশ্লীল ভাষায়) কি তাহলে আর ভালো হবে না? ...... ছিঃ ছিঃ ছিঃ, ধিক্কার জানাই।’ এরপর বিষয়টি নিয়ে টক অব দ্য শহরে পরিণত হয়। এদিকে ভিডিও ভাইরাল হওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার রাত ৯টায় উপজেলা সদরের কলেজ গেট মহুরি পট্টিতে সাপাহারবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।  জানতে চাইলে সাপাহার উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহজাহান হোসেন মণ্ডল কালবেলাকে বলেন, শামসুল আলমের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এটা জনগণ তাদের দৃষ্টিতে দেখবে। আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। সামনে নির্বাচনের সে প্রার্থী। তাই জনগণই বক্তব্য দিবে। তবে এটা একটা ন্যক্কারজনক কাজ বলে মনে করি। ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরী বলেন, ওটা কয়েকদিন ধরেই চলছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট। মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য এটা করা হচ্ছে। মানববন্ধন ও নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা প্রতিপক্ষ তারা এসব করছে।
২০ মে, ২০২৪

ঘুষ নিয়ে এএসআইয়ের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল
বাদীপক্ষের কাছে টাকা দাবি ও বিবাদীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আলতাফ হোসেনের।   অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্পের উপ পরিদর্শক। ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।  এর আগে গত ১৩ মে এএসআই আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের আফরোজা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী নারী। এরপরই পুলিশ সুপার অভিযোগটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী নারী আফরোজা খাতুন বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর যাবত আমার স্বামী আতিয়ার হোসেন অসুস্থতার জন্য কোনো কাজ করতে পারেন না। তিন ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। কখনো দর্জির কাজ ও পাড়া-মহল্লার বাড়ির কাঁথা সেলাই করে সংসার চালিয়েছি। গত ১০ মাস যাবত স্থানীয় একটি বেসরকারি এনজিওতে রান্নার কাজ করছি। এ কাজ করি বিধায় আমার দেবর আক্তার আলী ও মেজো ভাসুর হাশেম আলী আমাকে নিয়ে আমার স্বামীকে বিভিন্নভাবে ভুল বোঝাতে থাকেন।  তারা আমার স্বামীকে বলেন, আফরোজার জন্য আমাদের মানসম্মান চলে গেল, সে খারাপ কাজ করে। তাদের কথা শুনে আমার স্বামীও আমাকে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকেন। এ ঘটনার জেরে গত ৯ মে আমার দেবর ও মেঝ ভাসুর হত্যার উদ্দেশে বাড়িতে আসেন। প্রাণ রক্ষার্থে আমি আমার দুই ছেলে আরেফিন রহমান (১৭) ও আল মেরাজকে (১২) নিয়ে ঘরের দরজা আটকে দিই। পরে ঘরে ঢুকতে না পেরে চাইনিজ কুড়াল ও হাঁসুয়া দিয়ে টিনের বেড়া এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায় তারা।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরদিন ১০ মে আমার বড় ছেলে আরেফিন বাড়িতে এসে তার বাবাকে বিষয়টি বলছিল। এ সময় আমার দেবর ও মেঝ ভাসুর লোহার রড, লোহার পাইপ নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমাকে ও আমার সন্তানদের বেধড়ক মারপিট করে। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মেঝ ছেলেকে ভর্তি করি এবং আমার বড় ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার দিন ১০ মে আমার স্বামী, দেবর ও মেঝ ভাসুরের বিরুদ্ধে আসমানখালী ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করি।  ক্যাম্পের পুলিশ উভয় পক্ষকে ডেকে আপস-মীমাংসা করে দেয়। এরপর আমি আমার সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিবাদীরা আমাদেরকে ঢুকতে দেয়নি। সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় খেয়ে না খেয়ে দুইদিন ঘুরেছি। আমার বড় ছেলে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। সামনে তার এইচএসসি পরীক্ষা। এমন অবস্থায় তার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আফরোজা খাতুন বলেন, গত ১৩ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসানখালী ক্যাম্পের এএসআই আলতাফ হোসেন আমার বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার বড় জা, তার পুত্রবধূ ও তার মেয়ের সঙ্গে আমার নামে অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলেন এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসমানখালী ক্যাম্পে দেখা করার জন্য বলেন। আমি একজন অসহায় গরিব মানুষ, আমার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা সম্ভব না। সে কারণে সঠিক বিচারের আশায় বড় স্যারের (পুলিশ সুপার) নিকট অভিযোগ করেছি। এদিকে এ ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অডিও ক্লিপটিতে এএসআই আলতাফ হোসেন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজনের কণ্ঠ শোনা যায়। এএসআই আলতাফ হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘এই মানুষই ভালো করে, আবার এই মানুষই খারাপ করে। আমি যেভাবে বলব সেভাবে হবে।’ এমন কথা বলার পর ৫০ হাজার টাকা দাবি করতে শোনা যায় এএসআই আলতাফ হোসেনকে। এ নিয়ে দর-কষাকষি হতে থাকে।  এএসআই আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমার একটা পাওয়ার আছে, সার্কেল স্যার আমার কাছের লোক (চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান)। তাকে আমি বুঝ দিতে পারব। আমার ব্যাকআপ কিন্তু সে।’    এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এএসআই আলতাফ হোসেন বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।  চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযোগটির তদন্ত চলছে। ভাইরাল অডিও ক্লিপটিতে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত এএসআই আলতাফ হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবি অডিও ক্লিপটি এডিট করা। প্রয়োজন হলে আমরা অডিও ক্লিপটি ফরেনসিকে পাঠাব। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
২০ মে, ২০২৪

চাঁদার টাকা রফাদফার সেই পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর প্রত্যাহার
দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর চাঁদপুরের হাইমচরের নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দাপ্তরিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) রাতে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। নৌপুলিশ জানায়, নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্ব পেয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন ইলিশের নিষেধাজ্ঞাকালীন দুই মাসে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি করে জেলেদের থেকে। সেই টাকা নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বসে ভাগাভাগির দরবারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। আর এরপরই তাকে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একটি মাধ্যম জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর হোসেনকে নীলকমল থেকে সরিয়ে নৌপুলিশের টাঙ্গাইল অঞ্চলে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নীলকমল নৌ-ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশ নৌপুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তার এমন অনৈতিক কাজে নৌপুলিশ বাহিনী কোনো অবস্থায় দায় নেবে না। তাই তাকে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহম্মেদকে প্রধান করে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। যারা সরেজমিনে এটার তদন্ত করে এর একটি প্রতিবেদনও দ্রুত সময়ের মধ্যে নৌপুলিশ হেডকোয়ার্টারে জমা দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীর হোসেন ক্লোজড হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নেবে। এর আগে নদীতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির টাকা তোলা এবং সেই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা এবং তর্কে জড়িয়েছেন। এমন একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে জেলেদের কাছ থেকে তোলা টাকার কে কত পাবে, তা নিয়ে তর্কাতর্কি করেন উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে ওই জাহাঙ্গীর হোসেন।
১৯ মে, ২০২৪

ইনচার্জ জাহাঙ্গীরের চাঁদার টাকা রফাদফার ভিডিও ভাইরাল
চাঁদপুরে ইলিশ অভয়াশ্রমের দু’মাসের নিষেধাজ্ঞাকালে অর্থের বিনিময়ে নদীতে জেলেদের নৌকা নামিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরার শর্তসহ একাধিক সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার শর্তে মোটা অঙ্কের চাঁদার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে। এরপর সঙ্গীয় ফোর্সদের সে টাকার ভাগ দেওয়া নিয়ে দরবার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (১৮ মে) প্রতিবেদকের হাতে আসে ৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও।  ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, নিজ কার্যালয়ের চেয়ারে বসে সোর্সদের সঙ্গে রফাদফার দরবার শুরু করেন জাহাঙ্গীর হোসেন। তর্কের একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর তার সোর্সদের বলেন, এখানে তো কোটি কোটি টাকা না। মাত্র ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা।  এ সময় সোর্সদের বলতে শোনা যায়, দুই মাসের চাঁদার টাকা যদি এক মাসেই নিয়ে নেন, তাহলে কেমনে কী। উত্তরে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কোটি কোটি টাকা না। সুলতান মেম্বারের সেখানে ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ওই টাকাটা আমাকে দেয় নাই, হয়তো দিবে। সামনে থাকা সোর্সরা তখন বলেন, টাকা তো শিউর না, শিউর করে দিলে হতো। উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, সোর্সদের টাকা আমি দিতে পারব না এবং আমি দিবও না। এরপর সোর্সরা বলেন, দুই মাসের প্যাকেজে নৌকাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা যারা অগ্রিম দিয়েছে তাদের কি পুনরায় ধরতে পারব? এখন যদি পুরোটাই আপনি নিয়া যান আমরা কী করে ধরব? উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, আচ্ছা শোনেন, আপনারা সব টাকা নিয়ে নেন। আর আমি যে কয় টাকা নিছি সব টাকা প্রয়োজনে সমান ভাগ করে নেন। বাকি এক মাসের যে টাকা আছে তা আপনারা নিয়ে নেন। আমার কোনো কন্টাক্ট নাই। আপনারা যা পাবেন নিয়ে নেন। ১ লাখ ৩০ হাজার উচ্চারণ করে, আমার কোনো কন্টাক্ট নাই, আপনারা যা পাবেন নিয়ে যান। আমি ওই ৪৫ হাজার টাকা আমার থেকে দিয়ে দিব। ঠিক আছে? আর আপনারা যেভাবে পারেন টাকা আদায় করে নিয়ে নেন। এ বিষয়ে আমার কোনো কন্টাক্ট নাই। ভাইরাল ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৪ জুন নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়িতে ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন জাহাঙ্গীর। এর পরই তিনি নৌপুলিশের ভাবমূর্তির দিক বিবেচনায় না নিয়ে নানা অপতৎপরতায় টাকা কামানোর চেষ্টা চালাতে থাকেন। এর মধ্যে এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তার অবৈধ পন্থায় টাকা আয়ের বিষয়টি সামনে আসে। ইলিশ অভয়াশ্রমে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবীর পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা মার্চ-এপ্রিল দু’মাস পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকে।
১৮ মে, ২০২৪

২ কেজি ওজনের সিঙ্গাড়া ভেজে ভাইরাল চুয়াডাঙ্গার জসিম
‘সিঙ্গাড়ার মধ্যে আলু ঢুকল ক্যামনে’- এমন আরও নানা জিজ্ঞাসা প্রচলিত আছে সিঙ্গাড়া নিয়ে। আবার বৃষ্টির দিনে গরম গরম সিঙ্গাড়ার মজাই আলাদা। এ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ অফিসের নাস্তায় জুড়ি নেই সিঙ্গাড়ার। এবার ২ কেজি ওজনের সিঙ্গাড়া ভেজে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জসিম উদ্দীন। চুয়াডাঙ্গার দামড়হুদা উপজেলার বাসিন্দা চারুলিয়া গ্রামের জসিম উদ্দীন। ৩ বছর ধরে সিঙ্গাড়া-পিঁয়াজু ভাজার ব্যবসা করে আসছেন তিনি। একদিন হঠাৎ মাথায় আসল সিঙ্গাড়ার হাইজ বড় করবেন। যেই কথা সেই কাজ। প্রথমে এক কেজি, তারপর দুই কেজি- এভাবে সিঙ্গাড়া তৈরি করে ভাজতে থাকেন জসিম উদ্দীন। এই সিঙ্গাড়ায় আলু, গোশত এবং বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করেন জসিম। যার ফলে স্বাদে অতুলনীয় হয় এই সিঙ্গাড়া। এই সিঙ্গাড়ার সুনাম ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে ১ কেজি, ২ কেজি ওজনের এই সিঙ্গাড়া খেতে চারুলিয়া গ্রামে ছুটে আসে নানা পেশার মানুষ। ১ কেজি ৩০০ টাকা, ২ কেজি ৬০০ টাকা দামে এই সিঙ্গাড়া বিক্রি করেন জসিম। নিজের বাড়ির সঙ্গে একটি ছোট্ট জায়গায় এই সিঙ্গাড়া তৈরি করেন তিনি। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৮টা-৯টা অবদি চলে এই সিঙ্গাড়া ভাজা। এ সময় ভিড় জমে যায় তার দোকানে। তবে জসিম উদ্দিনের এই সিঙ্গাড়া ভাজার পরিবেশ, উপাদান আরও সুন্দর হওয়া দরকার বলে মনে করেন ভোজনবিলাসীরা। একটু সহযোগিতা পেলে ২ কেজি ওজনের এই সিঙ্গাড়া তৈরির কাজ আরও ভালো পরিবেশে করতে পারবেন বলে জানান জসিম উদ্দিন।
১৭ মে, ২০২৪

‘পিডাইয়া’ লম্বা করে দিতে বলা সেই প্রার্থীকে শোকজ
নির্বাচনী পথসভায় পিটিয়ে লম্বা করে দেওয়ার বক্তব্যের জেরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম সারওয়ারকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে এ নোটিশের জবাব দিতে বলেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে গত ১৪ মে রাতে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর বাজারে এক নির্বাচনী পথসভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন। দশ মিনিট ৬ সেকেন্ডের ওই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ‘উপরের নির্দেশ আছে, পিডাইয়া লম্বা করে দাও’ বলে গোলাম সারওয়ার বক্তব্য রেখেছেন। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এর ১৮ (ক) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হাই বাবলু লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০১৩-এর বিধি (২২) এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী কেন আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই বাবলুর অভিযোগ এবং প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৪ মে রাতে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর বাজারে নিজের কাপ-পিরিচ প্রতীকের পথসভায় বক্তব্য দেন গোলাম সারওয়ার। এ সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহযোগিতাকারীদের ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ আছে’ বলে হুমকি দেন তিনি। গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই। সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান সারওয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। পাশাপাশি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।
১৭ মে, ২০২৪

‘এমন খুচরা এমপি আমি পকেটে রাখি’
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শিল্পপতি ড. আশ্রাফ আলী চৌধুরী সারুর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) আলেকজান্ডার বাজারের আ.লীগের দলীয় অফিসে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় বক্তৃতা দেন তিনি। তার দেওয়া বক্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশ্রাফ আলী সারু বলেন, ‘এমন ছোটখাট খুচরা এমপি আমি পকেটে রাখি।’ বক্তব্যে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে এম মেজবাহ উদ্দিনকে মেয়র হিসেবে জয়ী করতে এক হাজার মানুষকে তাঁবু টানিয়ে দুদিন ভাত খাইয়েছি। প্রায় ১৩ লাখ টাকা খরচ করেছি। এরপর সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাকে চাপ দেওয়া হলেও তিনি তা নাকচ করে দেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু এমপি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, ডিসি, ইউএনও, ওসিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিকে লাখ লাখ টাকা সহায়তা করেন এবং উপঢৌকন দেন। করোনাকালীন প্রশাসনকে উপকরণ সহায়তাসহ নগদ টাকা দিয়েছেন।  স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের নির্বাচনে টাকা ব্যয় করার কথা উল্লেখ করে সারু বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাকে ব্ল‍্যাকমেইল করেছেন। আমি নির্বাচনের সময় তার জন্য ১৪ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন তিনি বিএনপি-জামায়াতকে রামগতিতে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছেন।  উপজেলা নির্বাচনে এমপি মামুন বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দীন আজাদ সোহেলের পক্ষাবলম্বন করার তীব্র সমালোচনা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, এমপি সাহেব আমাকে ব্ল‍্যাকমেইল করেছেন। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেননি। তিনি এখন বিএনপি নেতাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত রামগতি- কমলনগরকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছেন।  ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এমপির পক্ষে নির্বাচন করার কথা উল্লেখ করে ড. সারু বলেন, এমপি আব্দুল্লাহ অতীতের মতো আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রশ্রয় দেবেন না এবং জামায়াত বিএনপিকে লালন-পালন করবে না বলে ওয়াদা করায় আমি তার নির্বাচন করেছি। কিন্তু এখন তিনি তার কথা রাখেননি। তিনি আবারও সেই আগের মতোই কাজ করছেন। এমপি এলাকায় সন্ত্রাস নৈরাজ্যকর পরিবেশ তৈরি করেন। স্বতন্ত্র এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে নির্বাচন করায় রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ মুরাদকে অথর্ব উল্লেখ করে তার কড়া সমালোচনা করেন তিনি। উপজেলা নির্বাচনে ড. সারু ভোট করেছেন রোকেয়া আজাদের আনারস প্রতীকের। সেখানেও তিনি ৭ লাখ টাকা খরচ করেছেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেলের কঠোর সমালোচনা করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম নিজাম, সহসভাপতি একরামুল কবির টিটু, সদস্য ও পৌর মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সদস্য সাহেদ আলী মনুসহ অনেকে।  বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. সারু বলেন, আমি যা বলেছি সবই সত্য। আমার বক্তব্যেই আমার উত্তর রয়েছে।  স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল্লাহ  বলেন, আশ্রাফ আলী সারু সংসদ নির্বাচনে আমার পক্ষে ২২ দিন প্রচার করেছেন। বিনিময়ে আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাও নিয়েছেন।
১৭ মে, ২০২৪

‘পিডাইয়া লম্বা করে দেন, বহু উপরের নির্দেশ’
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহযোগিতাকারীদের পিটিয়ে লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ আছে বলে হুমকি দিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।  মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ৯টার দিকে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর বাজারে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পথসভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ১০ মিনিট ৬ সেকেন্ডের বক্তব্যটি ভাইরাল হয়েছে।  ক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যারা তাদের সহযোগিতা করে আগে তাদের পিডাইয়া লম্বা করেন। একদম সোজা করে পিডান। এটা আমাদের বহু উপরের নির্দেশ, এটা অনেক উপরে আলোচনা হইছে।’ গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘তোমরা কী করো? তোমরা পিডাচ্ছো না কেন? হুকুম দেওয়া লাগবে? তোমরা যদি তোমাদের অধিকার ছাইড়া দেও আমাদের কিচ্ছু করার নাই।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যার যা আছে তা নিয়ে আপনারা প্রস্তুত হন। সাড়ে তিন হাইত্যা লাডি, আড়াই হাইত্যা লাডির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র অইতে পারে না। এডা আরম্ভ করেন, দেখবেন সব দালালের দালালি বন্ধ হয়ে যাবে। সব সোজা হয়ে যাবে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম সারওয়ার বলেন, হ্যাঁ আমি এসব বলেছি। এতে কি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে? আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিনিয়ত আমার নেতাদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আত্মরক্ষার্থে আমি এসব কথা বলেছি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল হাই বাবলু বলেন, তিনি এভাবে আমার লোকজনকে হুমকি দিচ্ছেন। অথচ উলটো আমার বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। ভোটকে তিনি ভয় পান তাই প্রভাব খাটিয়ে জোর করে জিততে চান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি প্রার্থীরা এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না যাতে করে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হয়। ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই। তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান সারওয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন। হেলিকপ্টার প্রতীকের আবদুল হাই বাবলু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের টানা তিনবারের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবলু কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী। অপরজন হলেন, ব্যবসায়ী ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন।
১৬ মে, ২০২৪

‘নামাজের বিরতিতে সিল মেরে ব্যালট ঢুকানো হতো বক্সে’
‘নির্বাচনগুলোতে জালিয়াতির একটা রহস্য আছে। রহস্যটা হচ্ছে, শুধু যে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে তা না। খেলাটা চলছে প্রিসাইডিং অফিসারের দ্বারা।’ ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রচারে এমন মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক কামরুল হাসান খোকন।  বুধবার (১৫ মে) সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে এ মন্তব্য করেন তিনি। খোকন বর্তমানে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সদস্য।  তার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলেন, প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আমাদের নেতারা ২শ পাতার একটি করে বই (ব্যালট পেপার) দেন। জোহরের নামাজের বিরতির সময় সিল মেরে এই বইয়ের পাতাগুলো বক্সে ঢুকানো হতো। এভাবে প্রার্থী নির্বাচনে জিতে যায়। তিনি আরও বলেন, মানুষের ভোট হচ্ছে পবিত্র আমানত। আমানতকে যারা খেয়ানত করেছে তাদের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে আগামী ২১ তারিখের নির্বাচনে। ১৫ বছর আমরা ক্ষমতায় আছি। নির্বাচন এলে আমরা জনগণের কাছে গুছিয়ে গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলি। এত গুছিয়ে মিথ্যা বলি, জনগণ বিভ্রান্ত হয়। খোকন বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে একজন নয়া মৌলভি সাজছে। মসজিদে মসজিদে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। নানা রকম ফন্দি করছেন। আরেকজন প্রার্থী মন্দিরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। মানুষের কাছে কেউ যায় না। ১৫ বছর ধরে আমরা ক্ষমতায়। অথচ, ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষিভিত্তিক একটি ইন্ডাস্ট্রি আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। অনেক আগে এ জেলায় একটি বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এখন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। এই বিমানবন্দরটিও আমরা চালু করতে পারিনি। আমাদের এই জেলায় অনেক রাস্তা এখনো কাঁচা। যেখানে সাইকেল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে পর্যন্ত যাওয়া যায় না। আমাদের নেতাগুলো ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনছে। আবার ঢাকায় যাদের বাড়ি হয়েছে তারা আবার দেশের বাইরে গিয়ে বাড়ি কিনছে। তিনি বলেন,  স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমরা কী দিতে পেরেছি এ দেশের জনগণকে? টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও আমরা কী করতে পেরেছি জনগণের জন্য? এভাবে দেশ চালানো নিয়ে আমাদেরও সংশয় আছে। আমাদেরও বুকে রক্তক্ষরণ হয়। আমরা মানুষের কাছে যায় না, মানুষকে ধোকা দিই, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিই।  এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে নির্বাচনী সভায় এমন বক্তব্য কোনোভাবেই আশা করা যায় না। এ বিষয়ে তাকে সর্তক করা হবে।  তবে কামরুল হাসান বলেন, ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে। আমি আওয়ামী লীগ করি বলে এটা তো অস্বীকার করতে পারি না। ভোটারের ক্ষোভ কমিয়ে এনে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করতেই এমন বক্তব্য দিয়েছি।
১৬ মে, ২০২৪
X