দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর চাঁদপুরের হাইমচরের নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দাপ্তরিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) রাতে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
নৌপুলিশ জানায়, নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্ব পেয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন ইলিশের নিষেধাজ্ঞাকালীন দুই মাসে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি করে জেলেদের থেকে। সেই টাকা নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বসে ভাগাভাগির দরবারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। আর এরপরই তাকে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একটি মাধ্যম জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর হোসেনকে নীলকমল থেকে সরিয়ে নৌপুলিশের টাঙ্গাইল অঞ্চলে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নীলকমল নৌ-ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশ নৌপুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তার এমন অনৈতিক কাজে নৌপুলিশ বাহিনী কোনো অবস্থায় দায় নেবে না। তাই তাকে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহম্মেদকে প্রধান করে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। যারা সরেজমিনে এটার তদন্ত করে এর একটি প্রতিবেদনও দ্রুত সময়ের মধ্যে নৌপুলিশ হেডকোয়ার্টারে জমা দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীর হোসেন ক্লোজড হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে নদীতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির টাকা তোলা এবং সেই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা এবং তর্কে জড়িয়েছেন। এমন একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে জেলেদের কাছ থেকে তোলা টাকার কে কত পাবে, তা নিয়ে তর্কাতর্কি করেন উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে ওই জাহাঙ্গীর হোসেন।
মন্তব্য করুন