পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। গতকাল শনিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। এর দিন কয়েক আগে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে ভারত সরকার। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে তারা প্রথম পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস-এমইপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫০ ডলার। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এর মধ্যেই পণ্যটি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো। ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই মহারাষ্ট্রের চাষিরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছিলেন। এবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রপ্তানি একেবারে বন্ধ করেনি ভারত। এপ্রিলে বাংলাদেশসহ ৬ দেশে প্রায় এক লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় তারা। বাকি পাঁচটি দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।
০৫ মে, ২০২৪

বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ফিরল ২০ বাংলাদেশি
কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু পাচার রোধবিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভারত থেকে ২০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার যশোরের বেনাপোল সীমান্তে তাদের প্রত্যাবাসন করে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রত্যাবাসনকালে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, কলকাতায় কর্মরত মিনিস্টার কাউন্সেলর সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা এবং বিজিবি কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।  বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানবপাচার ও প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতে প্রবেশকালে ও অবস্থানকালে আটক হওয়া এ সব বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে রাখা হয়েছিল। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থানরত এসব বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের নাগরিকত্ব যাচাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে তাদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। 
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

রাবার খাতের উন্নয়নে সহায়তা দেবে ভারত
বাংলাদেশে রাবার খাতের উন্নয়নে আশ্বাস দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের একটি হোটেলের রেসিডেন্স হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়। ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন রাবার বোর্ডের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম সফর করে। প্রতিনিধি দলের প্রধান ও ভারতীয় রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসান এ সহায়তার কথা জানান। এর আগে ভারতের রাবার বোর্ডের প্রতিনিধি দল বিএফআইডিসি’র অধীন ফটিকছড়ির দাঁতমারা রাবার বাগান, নার্সারি ও রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতিবিনিয় করেন তারা। বাংলাদেশ রাবার বোর্ড এ সভার আয়োজন করে। ইন্টারন্যাশনাল রাবার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (আআরআরডিবি) সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সম্পাদিত ক্লোন এক্সচেঞ্জ সমঝোতা স্মারক চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে ক্লোন গ্রহণ সংক্রান্ত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। সৈয়দা সারওয়ার জাহান বলেন, আমাদের দেশে রাবার উৎপাদনের জন্য উর্বর ভূমি ও পরিবেশ রয়েছে। তারা সেখানে আমাদের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ করতে পারে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছে, আমাদের বর্তমানে যেসব জাত রয়েছে সেগুলো যেন প্রোপারলি নার্সিং করি। একই সঙ্গে এখানের জন্য যেগুলো সুইটেবল হবে সেগুলো তারা আমাদের সরবরাহ করবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দেবে। বাংলাদেশ থেকে গিয়ে প্রতিনিধি দল বিষয়টি ভারতের সরকারের কাছে জানাবে। সরকার অনুমোদন দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান ভাসান তাগেসান বলেন, বাংলাদেশের রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে এসেছি। দুই দেশের আবহাওয়াগত মিল থাকলেও রাবার চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পার্থক্য রয়েছে। ফলে রাবারের মানের তারতম্য হচ্ছে। উন্নতজাতের গাছের চাষ হলে রাবার উৎপাদন বাড়বে এবং তা ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বিশ্ববাজারে রপ্তানি করা যাবে। রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা ১৯৬০ সালের পুরোনো কয়েকটি ক্লোন দিয়ে এখনো রাবার চাষ করছি। ফলে উৎপাদন ভালো হচ্ছে না। আমাদের দেশে প্রতি হেক্টর জমিতে যে পরিমাণ রাবার উৎপাদন হয় সে পরিমাণ জায়গায় মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে তার পাঁচগুণ বেশি উৎপাদন হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। ভারতীয় রাবার বোর্ড প্রতিনিধি দলকে আমরা ত্রিপুরা রাজ্যের ক্লোন দিতে বলেছি। সেগুলো বাংলাদেশেও ভালো ফলন হবে। পাশাপাশি পরিচর্চার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কথা বলেছি। বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মঈনুল ইসলাম বলেন, রাবারের উচ্চ ফলনশীল জাত আমদানির দাবি আমাদের দীর্ঘ দিনের। রাবার খাতে ভারতের অনেক পুরোনো অভিজ্ঞতা। ভারতের রাবার বোর্ডের প্রতিনিধি দল আমাদের বাগান ও কারখানা পরিদর্শন করে আমাদের উন্নত জাতের ক্লোন দেবে বলেছে। এখন প্রয়োজন দ্রুত সেগুলো আনার ব্যবস্থা করা। কারণ ক্লোন দেশে আনার পর নার্সারি ও প্লান্টেশন করে উৎপাদনে যেতে অন্তত ৮ বছর লাগবে। উৎপাদন বাড়লে খরচ কমে আসবে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাজার ধরতে পারবে। পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন সোহাগ বলেন, বাংলাদেশে যখন ‘সাদা সোনা’ খ্যাত রাবার চাষ শুরু হয়েছে তখন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি বর্তমান সময়ের মতো ছিল না। অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে সেখানে রাবার চাষ শুরু হয়েছিল। আমরা এই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে চাই। বাংলাদেশ এবং ভারত সরকার রিজিউনাল কো-অপারেশনে আন্তরিক। ভারতের রাবার বোর্ড অনেক পুরোনো; তাদের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারি। প্রশিক্ষণ ও টেকনিক্যাল সহযোগিতা পেলে এখাতের উন্নয়ন ঘটবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছলিমুল হক চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, ফজলুল কাদের, সহসভাপতি মোমিনুল হক চৌধুরী, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সালা উদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব কাউছার জামাল, সাবেক সহসভাপতি নুরুল ইসলাম মিয়া, ভারতীয় রাবার বোর্ডের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এমজে রাজু, যুগ্ম রাবার কমিশনার সালি এন, পরিচালক (গবেষণা) ড. জেসি এমডি ও সহকারী পরিচালক সাজু কোরিয়ান।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

জ্যোতিদের দেওয়া ১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে ভারত
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভালো শুরু এনে দিয়েছিল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ আসেনি। মুর্শিদা খাতুনের দৃঢ়তায় অবশ্য লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বাঘিনীদের দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে ভারতের নারীরা। সিলেটে বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথমেই চার দিয়ে শুরু করা ওপেনার দিলারা আক্তার ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ৬ বলে ১০ রানে থামে তার ইনিংস। দিলারার পর তিনে নেমে সোবহানা মোস্তারিও হাত খুলে খেলতে থাকেন। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ১৫ বলে ১৯ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এরপর নামেন গত ম্যাচে ফিফটি করা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে আজ পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন তিনি। মাত্র ৬ করে ফিরতে হয় তাকেও। জ্যোতির বিদায়ের পর বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে। ৫ রানের ব্যবধানে তিন উকেট খুঁইয়ে বসে তারা। এরপর বাংলাদেশকে সামিয়িক স্বস্তি দিতে নামে বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকার পর ম্যাচের দৈর্ঘ্য না কমে আবার শুরু হয় খেলা।   নতুন করে খেলা শুরু হলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ভাগ্যে পরিবর্তন আসে নি। এক প্রান্তে ওপেনার মুর্শিদা খুঁটি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেক প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল লেগেই ছিল। মুর্শিদার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৬ রান। ভারতের পক্ষে রাধা যাদব সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে ভারত
আর মাত্র এক মাস পরেই পর্দা উঠছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের। বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে ব্যস্ত আসরের ২০ দেশ। ক্রিকেটের অন্যতম বড় পরাশক্তি ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল চলছে। তবে আইপিএল চলার মধ্যেই পুরো ভারতজুড়ে বিশ্বকাপের দল নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। কে জায়গা পাবে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে এই আলোচনা চলছিল পুরো ভারত জুড়ে। অবশেষে সেই আলোচনার সমাপ্তি ঘটিয়ে দল ঘোষণা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে জুনের ২ তারিখ শুরু হতে যাওয়া এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে দেওয়া এই দলে রয়েছে বেশ কয়েকটি চমক। আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ দলে জায়গা করে নিয়েছেন শিভম দুবে। তবে সেই ভাগ্য হয়নি লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল ও রিঙ্কু সিংয়ের মতো তারকার। এর মধ্যে গিল ও রিঙ্কু রিজার্ভ দলে জায়গা পেলেও রাহুলের সেই ভাগ্যও হয়নি। এবারের আইপিএলে মুম্বাইয়ের অধিনায়কত্ব করা হার্দিক পান্ডিয়ারও দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে সন্দেহ ছিল তবে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন তিনি। বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার ডেপুটি হিসেবে থাকছেন তিনি। ওপেনার হিসেবে রোহিতের সঙ্গী হচ্ছেন যশস্বী জয়সওয়াল।     Indias squad for ICC Mens T20 World Cup 2024 announced Let's get ready to cheer for #TeamIndia #T20WorldCup pic.twitter.com/jIxsYeJkYW— BCCI (@BCCI) April 30, 2024 এবার ভারতের বিশ্বকাপ দলে উইকেটকিপার কে হবে তা নিয়ে ছিল সবচেয়ে বেশি জল্পনা। তবে শেষ পর্যন্ত রাহুল ও দিনেশ কার্তিককে টপকে সে জায়গাটা নিজেদের করে নিয়েছেন ঋষভ পান্ট ও সাঞ্জু স্যামসন। বিশ্বকাপে ভারত বোলিং আক্রমণ যাচ্ছে জাসপ্রীত বুমরাহর নেতৃত্বে । সঙ্গে পেসার হিসেবে থাকছে মোহাম্মদ সিরাজ ও আর্শদীপ সিং। আর চার স্পিনারের মধ্যে রয়েছে  এবারের আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ইউজবেন্দ্র চাহল ও কুলদীপ যাদবের সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজাও। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না হলেও রিজার্ভ দলে আছেন শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং। সেখানে তাদের সঙ্গী দুই পেসার খলিল আহমেদ ও আভেশ খান। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, যশস্বী জয়সওয়াল, সূর্যকুমার যাদব, রিসব পন্ত (উইকেটকিপার), সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), শিভম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, ইউজবেন্দ্র চাহল, আর্শদীপ সিং, জশপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। রিজার্ভ- শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ, আভেশ খান।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ভারত মহাসাগরে ৪ জাহাজে ইয়েমেনিদের হামলা
ভারত মহাসাগরে ৪টি জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীরা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হুতি বিদ্রোহীরা জানান, চলমান ইসরায়েলিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভারত মহাসাগরে ড্রোন হামলায় এমএসসি ওরিয়ন কন্টেইনার জাহাজে হামলা করেছেন তারা। পর্তুগালের পতাকাবাহী জাহাজটি পর্তুগালের সাইন্স থেকে ওমানের সালালাহ বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজটির নিবন্ধিত মালিক হলো জোডিয়াক মেরিটাইম। এই জাহাজ কোম্পানিতে ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ইয়াল ওফারের মালিকানা রয়েছে। এ ছাড়া লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ সাইক্লেডস এবং দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়েছে ইরানপন্থি গোষ্ঠীটি। মঙ্গলবারের এ তথ্য জানিয়েছেন হুতিদেরে এক মুখপাত্র। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হুতিরা বলছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি এবং ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে তারা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা করে আসছে। মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৫০টির বেশি জাহজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা। হুতিদের হামলার জবাবে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টহল জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। এই জোট গঠন করেও ইরানপন্থি যোদ্ধাদের থামাতে না পেরে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। তবে হামলা করেও এখন পর্যন্ত তাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল শনিবার ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রপ্তানির তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে নিম্ন খরিফ ও রবি মৌসুমে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা বাড়ায় পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এসব পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। সর্বনিম্ন দর (এল১) মূল্যে ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তারা অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে। তারপর শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে রেট নির্ধারণ করে গন্তব্য দেশগুলোতে এজেন্সি বা সরকার মনোনীত এজেন্সিকে সরবরাহ দিয়ে থাকে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত এ পণ্য রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। তখনকার ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার মধ্যেই গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশসহ কয়েক দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল ভারত। পরে নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর এখন এই ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দিল দেশটি। যেসব দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে এনসিইএল। এখন যে দেশগুলোয় পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
বাংলাদেশ-ভুটানসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকায় ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত সরকার। নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়। যার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে। যদিও শেষ পর্যন্ত পূর্বের  নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ভারত সরকার। ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডকে (এনসিইএল) এই পেঁয়াজ রপ্তানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ এবং আলোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে, এই ৬ দেশে এনসিইএল পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানা যায়। যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে থাকে এনসিইএল। আর যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়। এছাড়া ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ভারত সিরিজকে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির ভালো সুযোগ হিসেবে দেখছেন জ্যোতি 
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হওয়া ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে শেষ সিরিজ জ্যোতিদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই সিরিজকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে দুই বোর্ড। বাংলাদেশের মাটিতে বৈশ্বিক এই আসরের আগে এই সিরিজ দিয়েই প্রস্তুতি সারতে চাচ্ছে দুই দলই। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগামীকাল দুই দল মুখোমুখি হবে। সিরিজ শুরুর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দুই দলের অধিনায়ক। ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। জ্যোতি বলেন, ‘আমি যেটা চিন্তা করছি এটা সুযোগ হিসেবে দেখছি। কারণ ভারত ভালো দল এবং তারা কিন্তু ফুল প্যাকেজ নিয়ে এবার এসেছে। বিশ্বকাপে হয়তো তারা এই টিমটাই খেলবে। ওদের জন্য একটা ভালো প্রস্তুতির সুযোগ, আমাদের জন্যও।’ ‘ভারতের মতো দলের বিপক্ষে পাঁচটা টি-টোয়েন্টি খেলা এবং দলটা যে কঠিন সময় পার করে এসেছে সেটা থেকে কামব্যাক করতে হলে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের জন্য এটা বড় সুযোগ। সিলেটের মাঠ, এখানে আমাদের অনেক বড় অর্জন নেই হয়তো। কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলার কিছু স্মৃতি আছে। সেগুলোকে নিয়েই ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে। আর কালকের ম্যাচটা যেন ভালোভাবে শুরু করতে পারি।’ -যোগ করেন জ্যোতি। এর আগের সিরিজে দুই দলের মধ্যে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর পরিবেশও পিছনে ফেলে এসেছে দুই দল। বাংলাদেশে খেলতে আসা উপভোগ করেন বলে জানান সেই ঘটনার নায়িকা হারমানপ্রীত কৌর। তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা বিশ্বকাপ খেলব। তার আগে বাংলাদেশে খেলতে আসা এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার খুব ভালো সুযোগ আমাদের জন্য।’    গত বছরের ভারতের বিপক্ষে সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সুখকর অভিজ্ঞতাই বটে। সেবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতকে ১ ম্যাচে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও টাইগ্রেসরা সিরিজ হারে ২-১ ব্যবধানে। আর ওয়ানডে সিরিজটা দুই দল শেষ করেছিল ১-১ সমতায়।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

পুড়ছে ভারত বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ভারত। বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড ও কর্ণাটকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। তা ছাড়া তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি নাকাল অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে তাপপ্রবাহ পূর্বাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই থেকে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আইএমডি বলেছে যে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ উপদ্বীপের ভারতে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। পরবর্তী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব ভারতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মহারাষ্ট্রে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ কর্ণাটক, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, বিহার, সিকিম, এবং ঝাড়খন্ডের কিছু অংশে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। ২৫-২৭ এপ্রিল ওড়িশায় সবচেয়ে উষ্ণ রাতের অবস্থার সম্ভাবনা রয়েছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
X