ভিকারুননিসা ঘিরে কোচিং হাব
ব্যাচভিত্তিক প্রাইভেট কিংবা কোচিং সেন্টারে পড়িয়ে বেতনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি আয় করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা। এ কারণেই এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একেকটি শাখা কেন্দ্র করে বিস্তৃত কোচিং হাব তৈরি করেছেন তারা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভিকারুননিসার চারটি শাখার আশপাশে গড়ে উঠেছে তিন শতাধিক কোচিং ও ব্যাচে পড়ানোর সেন্টার। অভিযোগ আছে, স্কুলের বাইরে এসব প্রতিষ্ঠানে না পড়লে ছাত্রীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন শিক্ষকরা। আবার প্রাইভেটের নামে প্রায়ই ঘটছে যৌন হয়রানির ঘটনা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে ২০১২ সালে একটি নীতিমালা জারি করে সরকার। ওই নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারেন না। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বাধিক ১০ শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধিকাংশ শিক্ষকই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ নীতিমালা মানছেন না। প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হলেও প্রতিষ্ঠানটির সব শিক্ষক ক্লাসে ঠিকমতো পড়ান না। বরং পরীক্ষায় ভালো নম্বরের লোভ দেখিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময়ই কোচিং ও ব্যাচে প্রাইভেট পড়ার পরামর্শ দেন তারা। কেউ কেউ আবার চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়েও ছাত্রীদের নিজের প্রতিষ্ঠানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ছাত্রীরাও নিরুপায়। কারণ, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়া হয়—এমন একটি ধারণা দীর্ঘদিন ধরে চালু রয়েছে।
জানা গেছে, বাড়তি আয়ের পাশাপাশি এই কোচিং ও প্রাইভেট অনেক শিক্ষককে ক্ষমতাবানও করে তোলে। এর মধ্যে মূল শাখার কলেজ শিক্ষক ফারহানা খানম পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশকে ব্যাচে প্রাইভেট পড়ান। এতে ফারহানা খানমের প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির নির্বাচনে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাহস পান না। যার ফলে তিনি বারবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি হচ্ছেন।
ভিকারুননিসার একজন শিক্ষক কালবেলাকে বলেন, ‘আগে চাকরিতে যোগ দেওয়ার এক থেকে দেড় বছর পর শিক্ষকরা কোচিং বা ব্যাচে পড়ানো শুরু করতেন। কিন্তু খণ্ডকালীন শিক্ষকরাও শুরু থেকেই কোচিং ও ব্যাচ পড়ান। মূলত কোচিং করিয়ে টাকা কামানোর জন্যই তারা ভিকারুননিসায় খণ্ডকালীন শিক্ষক হয়ে আসেন।’
তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ শিক্ষকই প্রাইভেট ব্যাচে পড়ান। এমনো শিক্ষক আছেন, যারা সকাল থেকে ব্যাচে পড়ানো শুরু করেন। মাঝে ক্লাস করিয়ে আবার বিকেল থেকে শুরু করে রাত অবধি ব্যাচে পড়ান। এ ছাড়া কিছুসংখ্যক শিক্ষক কোচিংয়ে পড়ান। গণিত ও ইংরেজির পাশাপাশি বিজ্ঞান এবং বাণিজ্যের বিশেষায়িত বিষয়গুলোর জন্যই শিক্ষকদের কাছে বেশি শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে যায়।’
ব্যাচে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে কথা বলার জন্য ড. ফারহানা খানমের সঙ্গ যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারেন না। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানেই এটি মানা হচ্ছে না। মাউশির পক্ষে দেশের লাখ লাখ শিক্ষক কোথায় কোচিং বা ব্যাচে পড়াচ্ছেন, তার খোঁজ রাখা অসম্ভব। এজন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিলে মাউশির পক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে।’
ভিকারুননিসা ঘিরে তিন শতাধিক কোচিং
ভিকারুননিসার চারটি শাখার আশপাশে কোচিং ও ব্যাচ পড়ানোর সেন্টার রয়েছে তিন শতাধিক। এর মধ্যে ধানমন্ডি শাখা ঘিরে ৯টি, আজিমপুরে ৩৩টি, বেইলি রোডে মূল শাখায় দুই শতাধিক এবং বসুন্ধরা শাখার আশপাশে পঞ্চাশের বেশি কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট ব্যাচ গড়ে উঠেছে। এসব কোচিং সেন্টার ও ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ভিকারুননিসার।
রাজধানীর গ্রিন রোডের গ্রিন কর্নার পরিচিত কোচিং হাব হিসেবে। এখানে অর্কিড এডুকেয়ার, তাকওয়া কোচিং, প্রতিভা বিকাশ কোচিং, নলেজ কর্নার ছাড়াও রয়েছে একাধিক প্রাইভেট ব্যাচ। সব মিলিয়ে অন্তত ৯টি কোচিং ও প্রাইভেট ব্যাচ রয়েছে এখানে। যেখানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ভিকারুননিসা ধানমন্ডি শাখার।
গ্রিন কর্নার গলির একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক কালবেলাকে বলেন, ‘এখানে চারশ’র মতো শিক্ষার্থী আছে, যার বেশিরভাগই ভিকারুননিসার। এর বাইরে ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী পড়ে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য নেওয়া হয় ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। তবে ভিকারুননিসার কোনো শিক্ষক এখানে পড়ান না।’
ভিকারুননিসার আজিমপুর শাখার পাশের ১০৩ নম্বর ভবনে চলে কোচিং ও প্রাইভেট ব্যাচ। সেখানে গোল্ডেন টাচ, প্রত্যাশা একাডেমিক কোচিং ছাড়াও কয়েকটি প্রাইভেট ব্যাচে পড়ানো হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গোল্ডেন টাচ একাডেমিক কোচিং। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ওই কোচিংয়ের রয়েছে ছয়টি কক্ষ, প্রতিটিতে ১২টি করে বেঞ্চ। প্রত্যেক বেঞ্চে তিনজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারেন।
এই ভবনের ভেতর দিয়ে আরেকটি ভবনে যেতে হয়। সেই ভবনের তৃতীয় তলায় ব্যাচে গণিত পড়াতেন আজিমপুর শাখার শিক্ষক মুরাদ হোসেন। সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিনি এখন জেলে।
এ ছাড়া ওই ভবনে রয়েছে বিসিএ কোচিং। ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিজের বাসায় প্রতিদিন দুটি করে ব্যাচ পড়ান ভিকারুননিসার আজিমপুর শাখার ইংরেজির শিক্ষক আলী আনোয়ার।
বিসিএ ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক মশিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের কারণে কোচিংয়ে শিক্ষার্থী কমে গেছে। ভিকারুননিসার বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এখন শ্রেণিশিক্ষকের প্রাইভেট ব্যাচে অথবা নামকরা একটি কোচিং সেন্টারের চানখারপুল শাখায় পড়েন।’
বিসিএতে কোচিং করা ১৫০ জনের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ জনই ভিকারুননিসা বলে জানান তিনি।
আজিমপুর শাখার কাছেই চায়না গলি। সেখানে গুরুকুল, কমপ্লিট কমার্স, উদয় ক্যাডেট অ্যান্ড একাডেমিক কোচিং, মেধাবিকাশ একাডেমিক অ্যান্ড সেরা স্কুল ভর্তি কোচিং, হানিফস এডুকেয়ার, আতিক একাডেমি, ডিভাইন সায়েন্স একাডেমি, সাফওয়ানস এডুকেয়ার, ভার্টেক্স, একিউ ক্যাডেট একাডেমি, কনফিডেন্স টিচিং কেয়ার, সাকসেস একাডেমিক কেয়ার, এএইচডি লার্নিং পয়েন্ট, সন্ধান একাডেমিয়া সেন্টার, ইয়থ, আইডিয়াল ক্যাডেট কোচিং অ্যান্ড একাডেমিক কেয়ার, অনন্যা কোচিং সেন্টার, গণিত চর্চা কেন্দ্রসহ কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট ব্যাচ রয়েছে অন্তত ৩৩টি।
ভিকারুননিসার মূল শাখার আশপাশে কোচিং-টিউশনের বিশাল হাব। বইঘর গলি, খন্দকার গলি ও কালীমন্দির গলিতে এগুলোর অবস্থান। ভিকারুননিসা শিক্ষকদের পাশাপাশি নটর ডেম, মতিঝিল আইডিয়ালের শিক্ষক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোচিং হাব গড়ে তুলেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, বইঘর গলির ৬৩/এ নম্বর বাড়িতে বিটপ একাডেমিক অ্যান্ড অ্যাডমিশন কেয়ার ও প্রজ্জ্বল ইংলিশ ভার্সন একাডেমিক কেয়ারে শিক্ষার্থীরা কোচিং করছেন। এ ভবনেই ভিকারুননিসার পাঁচ শিক্ষক ব্যাচে পড়ান। তারা হলেন, সহকারী অধ্যাপক সীমা সারমিন ও মোরশেদা আইরিন এবং প্রভাষক সুমন ফকির, মোছা. শাহানাজ বেগম ও মো. শরিফুল ইসলাম। সব মিলিয়ে এই ভবনে কোচিং ও ব্যাচ আছে ১২টি। এখানে কোচিং সেন্টারের এত জনপ্রিয়তা যে, কোচিং রুম ভাড়া দেওয়ার বিজ্ঞাপনও চোখে পড়বে।
পাশেই ৬৩/ডি বাড়িতে তানভীর আইসিটি কেয়ারসহ কোচিং ও ব্যাচ তিনটি। ৬৩/সি নম্বর বাড়িতে এমআইটি কোচিং বাদেও ব্যাচে পড়ান আরও চারজন।
৬৪ নম্বর বাড়িতে পড়ান ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম। এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই ভবনেই ভিকারুননিসার প্রভাষক মো. মেহেদী হাসানসহ অন্য প্রতিষ্ঠানের মোট পাঁচজন শিক্ষক ব্যাচে পড়ান। একইভাবে বইঘর গলি, খন্দকার গলি ও কালীমন্দির গলিতে কোচিং ও প্রাইভেট ব্যাচ আছে দুশর বেশি।
এ ছাড়া বসুন্ধরা শাখায় অধিকাংশ শিক্ষকের বাসায় রয়েছে মিনি কোচিং সেন্টার। শিক্ষকদের বাসা ওই শাখার আশপাশের বিভিন্ন ব্লকে। বাসার ভেতরে একটি রুমে হোয়াইট বোর্ড ঝুলিয়ে সেখানে বেঞ্চ, টেবিলসহ ক্লাসরুমের আদলে গড়ে তুলেছেন কোচিং সেন্টার। সেখানেই প্রতিদিন পাঁচ থেকে আটটি ব্যাচ পড়ানো হয়। প্রতি ব্যাচে পড়ে ২০ থেকে ৪০ শিক্ষার্থী। সকালে শুরু হয়ে বিরতি দিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে কোচিং ক্লাস। এমন মিনি কোচিংয়ের সংখ্যাও পঞ্চাশের বেশি।
খণ্ডকালীন শিক্ষকরা আবার যৌথভাবে বাড়িভাড়া নিয়ে প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ান। গণিত, বাংলা, ইংরেজি ও পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষকদের বাসায় এমন মিনি কোচিং সেন্টার বেশি। এসব কোচিংয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যাও কম নয় বলে জানা গেছে।
ভিকারুননিসার মূল শাখার একজন শিক্ষক কালবেলাকে বলেন, ‘শিক্ষকদের এই কোচিং বাণিজ্যের জন্য অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকরাও দায় এড়াতে পারেন না। কারণ, প্রত্যেকেই নিজের সন্তানকে ক্লাসে সবার আগে দেখতে চান। এজন্য তারা স্কুলের বাইরে কোচিং কিংবা ব্যাচে পড়াতে ব্যাপক উৎসাহী, যার অনৈতিক সুযোগ নেন কিছু শিক্ষক।’
এদিকে শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ সামনে আসার পর শিক্ষকদের কোচিং বা প্রাইভেটে পড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে কোচিং প্রাইভেট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তদারকি করা হবে।’
কোচিং-প্রাইভেট ঘিরে যৌন হয়রানি
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার বাংলার শিক্ষক পরিমল জয়ধর স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে কোচিং করানোর সময় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন ২০১১ সালে। ওই ঘটনার ভিডিও ফাঁস হলে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ছাত্রী ধর্ষণের সেই মামলায় ২০১৫ সালে পরিমলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০২২ সালের বসুন্ধরা শাখার ইংরেজির শিক্ষক আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সর্বশেষ কয়েক দিন আগে আজিমপুর শাখার গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন একাধিক ছাত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে আন্দোলনের মুখে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একজন অভিভাবকের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই দিনের রিমান্ড শেষে এখন তিনি কারাগারে আছেন।
নতুন আইনে আসছে নিষেধাজ্ঞা
শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত ‘শিক্ষা আইন’-এর খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং সেন্টারে পাঠদান বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
০৩ মার্চ, ২০২৪