কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৬ এএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিকারুননিসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ ও অভিযুক্ত শিক্ষক। ছবি : সংগৃহীত
যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিকারুননিসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর লালবাগ থানায় এ মামলা করা হয়।

অভিযুক্ত মুরাদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের আজিমপুর শাখার গণিতের শিক্ষক। সালাম হক নামের এক অভিভাবক তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১৭/৩৮।

মামলার আবেদনে বলা হয়, আমার মেয়ে বর্তমানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের আজিমপুর দিবা শাখায় ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ২০২২ সালে আমার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন সময়ে মুরাদ হাসান সরকার শ্রেণিতে গণিতের ক্লাস নেওয়ার সময় তার ব্যক্তিগত বসার ডেস্ক ছেড়ে চেয়ার টেনে নিয়ে আমার মেয়ের বসার বেঞ্চের সামনে নিকটে বসতো। আমার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিল এবং গণিতে মেধাবী ছিল। যে কোনো গণিত প্রতিযোগিতায় মেয়ের দিকে বিবাদী বেশি মনোযোগ দিত এবং আমার মেয়ের ব্যক্তিগত বইয়ের পিছন দিকে মেয়ের নাম লিখত। প্রায় সময় বিবাদী আমার মেয়ের মেধার বিষয়ে প্রশংসা সুলভ কথাবার্তা বলে মেয়েকে বিবাদীর ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে পড়ার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করত। সেই প্রেক্ষিতে আমার মেয়ে গত বছর ৭ম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিবাদীর ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়।

কোচিং চলাকালীন প্রায় সময় আমার মেয়েসহ তার সহপাঠীদের সাথে কুরুচিপূর্ণ প্রাপ্ত বয়স্কদের কৌতুক শুনাতো। আমার মেয়ে স্কুলে নাচ করতো এবং সেই নাচের ভিডিও বিবাদী ঘুমানোর আগে দেখতো বলে আমার মেয়েকে প্রায়ই বলত। গত বছরের ১০ মার্চ বেলা আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় কোচিং শেষে আমার মেয়ের সহপাঠীরা চলে যাওয়ার সময় বিবাদী আমার মেয়েকে কৌশলে ডেকে বসিয়ে রেখে বিবাদীর উল্লিখিত কোচিং সেন্টারে দুপুরের খাবারের পর রান্নাঘর থেকে পানি আনার কথা বলে এবং হঠাৎ করে পিছন থেকে বিবাদী আমার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে মুখে চুম্বন করে। এতে আমার মেয়ে অস্বস্তি বোধ করলে বিবাদী মেয়েকে বলে, আমি তোমাকে বাবার মতো জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেছি। এটা কাউকে বলবে না।

মামলার আবেদনে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে বিবাদী প্রায় সময়ই কোচিং শেষে কৌশলে রেখে আমার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করতো এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিত। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকে এবং বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে পোশাকের উপরে এবং ভিতরে হাত ঢুকিয়ে স্পর্শ করে চাপ দিত। মেয়ে জিন্স ও টি শার্ট পরে কোচিং সেন্টারে আসলে বিবাদী সেগুলো পরিধান না করে ঢিলেঢালা সেলোয়ার কামিজ পড়ে আসার জন্য বলত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালবাগ থানার ওসি খন্দকার হেলাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। এটি দ্রুতই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অলিম্পিকে পদকের লড়াই হবে যে ইভেন্টগুলোতে (২৭ জুলাই)

দক্ষিণ আমেরিকা নিয়ে নতুন ছক সৌদির

রাশিয়ার সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার

ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে?

মানামার বাতাসে দূষণ সবচেয়ে বেশি, ঢাকার পরিস্থিতি কী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বর্জ্যে দুর্ভোগে ৩ লাখ মানুষ

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ছিল যে দেশগুলো

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

উদ্বোধনীতে অ্যাথলেটদের চেয়ে বেশি উৎফুল্ল বাংলাদেশের কর্তারা

১০

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

১১

৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

১২

ভেজানো ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

১৩

হামলা মামলা ও লাঞ্ছনার শিকার লালমনিরহাটের ৬ সাংবাদিক

১৪

কলেজছাত্রীকে বিবস্ত্র, লজ্জায় আত্মহত্যা

১৫

প্যারিসের আলোয় উদ্ভাসিত অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

১৬

ট্রলার উদ্ধারে গিয়ে ডুবল স্পিডবোট, সৈকতে ভেসে এল ২ মরদেহ

১৭

সিলেটে ‘অবৈধ’ নিয়োগে প্রভাষক জালিয়াতিতে অধ্যক্ষ!

১৮

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

১৯

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

২০
X