ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর মুরাদ হোসেনকে অধ্যক্ষ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে মুরাদ হোসেন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, ‘আপনি মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর দিবা শাখায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এবং এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করার লক্ষ্যে আপনাকে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অধ্যক্ষ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সবাই মিলে বসে এ বিষয়ে বিস্তারিত (নতুন) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিংয়ে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। মুরাদ হোসেনের যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের বিচার চেয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার প্রধান সাবনাজ সোনিয়া কামালের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কয়েকজন অভিভাবক। সেখানে তারা সন্তানদের সঙ্গে ঘটা যৌন হয়রানির ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযুক্ত মুরাদের যথোপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
সেই অভিযোগপত্র যায় ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের কাছে। পরদিন অধ্যক্ষ তিন সদস্যের প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির আহ্বায়ক আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মমতাজ বেগম। সদস্য পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম ও ইংরেজি প্রভাতী শাখার শাখাপ্রধান শামসুন আরা সুলতানা।
কমিটি তাদের প্রতিবেদন অধ্যক্ষের কাছে জমা দেয় গত বৃহস্পতিবার রাতে। তার ভিত্তিতেই মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন