শ্রীমঙ্গলে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (৫ মে)  শ্রীমঙ্গল শহরের সোনার বাংলা রোড, নতুনবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বাজার তদারকি ও অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযানে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা না রাখা, প্যাকেটজাত পণ্যের গায়ে মূল্য, উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে জরিমানা করা হয়। সোনার বাংলা রোডে অবস্থিত রাহী আইসক্রিমকে ১৫ হাজার টাকা, নতুন বাজারে অবস্থিত দেবাশীষ স্টোরকে ১ হাজার টাকা, নীলকান্ত স্টোরকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়। অভিযানে মোট ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ন্যায্যমূল্যে পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
০৫ মে, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর অপরাধ ধরা পড়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে  বিভিন্ন গার্মেন্টস, কাপড় ও মিষ্টি বিক্রির দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউমার্কেটর মেসার্স হৃদয় ফ্যাশন নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন কাপড় বিক্রি ও পণ্যের ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধ ধরা পড়ে। তাই ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আকতার হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া মেসার্স আজিজ বস্ত্রালয়ের মালিক আজিজ মাকসুদকে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন জামাকাপড় বিক্রির অপরাধে ৪০ ধারায় ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।    অন্যদিকে শহরের প্রিন্স প্লাজায় মেসার্স স্টাইল ওয়ান প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে ৭৫০ টাকা মূল্যের একটি শার্টে ২ হাজার ৮৫০ টাকা ট্যাগ লাগানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৭৫০ টাকা দিয়ে কেনা শার্টে ২ হাজার ১০০ টাকা লাভ করা হয়েছে। ইচ্ছেমতো অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক এ.কে.এম. আলিমুজ্জামানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সেখানকার ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এ ছাড়া শহরের কবরী রোডে মেসার্স ভাই ভাই ফুসকা হাউসকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রির অপরাধে ৫১ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া খন্দকার সুইটস, মিঠাইবাড়ী, সাম্পানসহ মিষ্টি বিক্রি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঈদে কোনোপ্রকার শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রি ও মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তদারকি কাজে সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশের একদল সদস্য।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

দিনাজপুরে চালের বাজারে অস্থিরতা, কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা
খাদ্য ভাণ্ডার দিনাজপুরে আবারও চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা। গত এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬৪ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। গুটি স্বর্ণ গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। ২৮ চাল এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৪ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা, ২৯ চাল গত সপ্তাহে ছিল ৫২ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। রোববার (২৪ মার্চ) দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাহাদুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কেজিতে প্রতিটি চালের দাম কমপক্ষে বেড়েছে চার টাকা। ২৫ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা। ৫০ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।  পাইকারি চাল ব্যবসায়ী রঞ্জিত জানান, মিলগেট থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে তাদের। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে এ চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন। দিনাজপুরে চালের দাম একবার বাড়লে আর কখনোই কমে না। বাজার মনিটরিং না থাকায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।   শ্রমিক দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ চাল কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। চাল কিনতে আসা জহুরুল জানান, সারাদিন অটো চালিয়ে যা আয় রোজগার করি তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছি।  দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হুমায়ুন রেজা শামীম জানান, দিনাজপুরের হাটবাজারে চালের সরবরাহ নেই। মিল মালিকরা চাল কিনতে পারছেন না। সামনে ইরি ধান উঠলে চালের দাম কিছুটা কমবে। ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।   দিনাজপুর জেলায় যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়। তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। ভোক্তারা বলছেন, চালের বাজার অস্থির হয়েছে। বেশ কিছুদিন চালের বাজার স্থিতিশীল থাকার পর আবারও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন।   ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা গেলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে এমন অভিমত করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। জেলার যে সমস্ত মিল মালিক ও মজুদদার রয়েছেন তাদের গুদামে অভিযান চালালে বাজারে স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে চালের দাম বৃদ্ধিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন খুচরা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম।   পাইকারি ব্যবসায়ী এরশাদ জানান, হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার দোকানে চালের বিক্রি অনেক কমে গেছে।  আরেক চাল বিক্রেতা সুরেশ চন্দ্র জানান, সুগন্ধি জাতের চাল ব্যতীত সব ধরনের চালের দাম মিল গেটেই বেশি। বাজারে ধানের সংকটের কারণে সব মিল চাহিদা মতো চালও দিতে পারছে না। দাম বাড়লেও বাজারে চালের ক্রেতা কম বলে জানান এই চাল বিক্রেতা।  চালকল মালিকরা বলছেন, ধানের সংকট এবং বেশি দামে তাদের ধান কিনতে হচ্ছে। ধানের অভাবে অনেক মিলে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

জরিমানার ভয়ে অর্ধেক দামে তরমুজ
ফরিদপুর জেলা শহরে তরমুজের বিভিন্ন আড়ত ও খুচরা দোকানে অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় জরিমানার ভয়ে মুহূর্তেই এর দাম অর্ধেকে নেমে যায়। ৫০০ থেকে ৪০০ টাকার এক একটা তরমুজ ৩০০-২০০ টাকায় বিক্রি শুরু করেন বিক্রেতারা। বুধবার (২০ মার্চ) বিকাল ৩টায় শহরে নিউমার্কেট ও টেপাখোলা এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়। অধিদপ্তরের ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখের নেতৃত্বে অভিযানের সময় দাম বেশি রাখা ও ভাউচার না থাকায় তরমুজ ব্যবসায়ী মেসার্স আলম ফল ভান্ডারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় জেলা পুলিশের একটি টিম এবং সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারা উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন। ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ কালবেলাকে বলেন, আমরা দেখেছি যেখানেই অভিযান চালানো হয় সেখানে পণ্যের দাম কিছুটা কমে। অভিযানের আগে বাজারে এক একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পিস। অভিযানের পর  প্রতিটি তরমুজের দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা কমে যায়। এভাবে রমজান মাসজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।   
২১ মার্চ, ২০২৪

ম্যাজিস্ট্রেট আসতেই অর্ধেক হয়ে গেল তরমুজের দাম
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর বন্দরে (কাজীরহাট) প্রথম রমজান থেকেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর অভিযানে দৃশ্য পাল্টে ৮০০ টাকার তরমুজ হয়ে যায় ৪০০ টাকা। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর এর সহকারী পরিচালক সুজন কাজীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দেখা যায়, সকল তরমুজ ব্যবসায়ীরা কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি বন্ধ করে পিস হিসেবে বিক্রি করছেন। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাপার যন্ত্র সরিয়ে ফেলেছেন।  এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানিক দলটি তরমুজ বিক্রেতাদের তরমুজ কেনার রশিদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ন্যায্য দামে ব্যবসায়ীদের তরমুজ বিক্রয়ের পরামর্শ দেন। এ ছাড়া বাজারের অন্যান্য ফলের দোকানে পণ্যের মূল্য টানানোসহ ক্রেতাদের পাকা ভাউচার প্রদানের জন্য সতর্ক করেন। এ সময় ‘ভাই ভাই বাণিজ্যলয়’ নামে একটি ফলের আড়তে রশিদ না থাকায় বেশি দামে ফল বিক্রির অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও আরেকটি ফলের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সফিক নামে এক ক্রেতা কালবেলাকে বলেন, গত দুদিন আগেও কেজি দরে যে তরমুজ ৮০০-৯০০ টাকায় কিনেছি, তা এখন ৪০০ টাকা পিস হিসেবে নিলাম। নিয়মিত এরকম অভিযান পরিচালনা করা হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের ঠকাতে পারবে না। আরেক ক্রেতা রমজান আলী কালবেলাকে বলেন, তরমুজ ওজন দিয়ে বিক্রি হওয়াতে একটি ছোট তরমুজ কিনতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লেগেছে। যা আমার মতো দিনমজুরের পক্ষে কেনা অসম্ভব ছিল। আজ অভিযান হওয়ায় বড় একটি তরমুজ ৩০০ টাকায় কিনতে পারলাম। শরীয়তপুরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী কালবেলাকে বলেন, এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে পণ্য বিক্রি না করেন, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে। যদি কেউ অন্যায্য দামে পণ্য বিক্রয় করে সেক্ষেত্রে ভোক্তাদের উচিৎ পণ্য ক্রয় হতে বিরত থাকা ও আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো।
১৭ মার্চ, ২০২৪

খুলনায় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন উপলক্ষে সেমিনার ও আলোচনা সভা করেছে খুলনার কয়রা উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তারিক-উজ-জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. ইস্তিয়াক আহমেদ, সমবায় অফিসার মো. তানভির মাসুদ হাসান।  এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. আ. ছালাম, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন, কয়রা বাজার কমিটির সভাপতি সরদার জুলফিকার আলম, ইউএনও অফিসের সিএ মো. নাজমুল হাসান প্রমুখ।
১৫ মার্চ, ২০২৪

‘নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই চেইন মজবুত ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। পেঁয়াজ আমাদনি প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে।  তিনি বলেন, বাজার পরিচালনা কমিটির সহযোগিতা না থাকলে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। শিগগিরই বাজারের সকল ব্যবসায়ীকে নিয়ে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হবে। তিনি আরও বলেন, বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে ছোলা ও চিনির সরবরাহ আছে। কৃষিপণ্য বাজারে আসার আগে হাতবদলসহ সর্বক্ষেত্রে তদারকি বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই চেইন মজবুত ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে। সাপ্লাই চেইনের কোথাও যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।  তিনি বলেন, ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় শুধু রমজান মাসে নয়, সারা বছরই অভিযান চলমান থাকবে। যৌক্তিক কর ব্যবস্থাপনা না থাকলে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না। নিত্যপণ্যের যৌক্তিক কর নির্ধারণ করা গেলে ভোক্তারা উপকৃত হবেন। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ। 
১৫ মার্চ, ২০২৪

আরও ১০০ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় পাওনা টাকা ফেরত পেয়েছেন ইভ্যালির আর ১০০ জন গ্রাহক।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে গ্রাহকদের টাকা হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার মহাপরিচাক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেন, যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে, ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।   গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পাওনা টাকা ফেরত প্রদান অনুষ্ঠানে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. রাসেল আসেননি বলেও জানান ভোক্তার ডিজি।   তিনি বলেন, গণমাধ্যমের নেতিবাচক খবর প্রকাশের জন্য রাসেলকে অনুষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।   অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত থেকে গ্রাহকদের হাতে এসব পাওনা টাকার চেক তুলে দেন। এর আগে গত মাসে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ১৫০ গ্রাহক টাকা ফেরত পেয়েছিলেন অধিদপ্তরের নিষ্পত্তির মাধ্যমে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই দ্বিতীয়বারেরর মতো টাকা ফেরত পেয়েছেন। অধিদপ্তরে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি অভিযোগ রয়েছে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে : ভোক্তা ডিজি
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। একজন গ্রাহক রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগে তার পক্ষে জানা সম্ভব হয় না উক্ত স্থাপনা বিল্ডিং কোড মেনে করা হয়েছে কি না। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও জরুরি নির্গমণ সিঁড়িসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিক আছে কি না।  শনিবার (২ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের প্রাক্কালে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির আয়োজনে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়।  ভোক্তা ডিজি বলেন, পহেলা মার্চ থেকে ভোজ্যতেল লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলে সে দামে বিক্রি হচ্ছে না। তাই রূপগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ ৭টি রিফাইনারিতে তেলের উৎপাদন ও মজুদ পর্যবেক্ষণের জন্য ভোক্তা অধিকারের টিম গিয়েছে। দাম কমানোর সিদ্ধান্ত সহজে কার্যকর হয় না, অথচ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর হয়। চারটি পণ্যের ট্যাক্স কমালেও বাজারে তার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সঠিক সময়ে আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ  করতে না পারলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।  তিনি আরও বলেন, ভোক্তা—অধিকার সংরক্ষণে আজ প্রয়োজন ভোক্তার সিন্ডিকেট। ভোক্তারা সমন্বিতভাবে কোনো দ্রব্য কেনা কমিয়ে দিলে এক সপ্তাহ পরেই তার দাম কমে আসবে, যেমন গরুর মাংস। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দুষ্টচক্রের কারণে ন্যায্য দামে পণ্য কিনতে না পারায় ভোক্তারা কষ্টে আছে। সিন্ডিকেটের কবল থেকে বের হতে পারছে না ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য। আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে কিনা তা ভাবিয়ে তুলছে ভোক্তাদের। তবে ভ্যাট ট্যাক্স সহনীয় রেখে উন্মুক্ত আমদানি, ডলার সংকট মোকাবিলা, ব্যাংকগুলোকে বাড়তি দামে ডলার বিক্রি না করা, পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ সর্বোপরি সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দিতে পারলে ভোক্তারা সঠিক দামে পণ্য কিনতে পারবে। এজন্য ভোক্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভয়েস রেইজ করতে হবে।
০২ মার্চ, ২০২৪
X