খাদ্য ভাণ্ডার দিনাজপুরে আবারও চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা। গত এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬৪ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। গুটি স্বর্ণ গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। ২৮ চাল এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৪ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা, ২৯ চাল গত সপ্তাহে ছিল ৫২ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়।
রোববার (২৪ মার্চ) দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাহাদুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কেজিতে প্রতিটি চালের দাম কমপক্ষে বেড়েছে চার টাকা। ২৫ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা। ৫০ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
পাইকারি চাল ব্যবসায়ী রঞ্জিত জানান, মিলগেট থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে তাদের। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে এ চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন। দিনাজপুরে চালের দাম একবার বাড়লে আর কখনোই কমে না। বাজার মনিটরিং না থাকায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হুমায়ুন রেজা শামীম জানান, দিনাজপুরের হাটবাজারে চালের সরবরাহ নেই।
মিল মালিকরা চাল কিনতে পারছেন না। সামনে ইরি ধান উঠলে চালের দাম কিছুটা কমবে। ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
দিনাজপুর জেলায় যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়। তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। ভোক্তারা বলছেন, চালের বাজার অস্থির হয়েছে। বেশ কিছুদিন চালের বাজার স্থিতিশীল থাকার পর আবারও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা গেলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে এমন অভিমত করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। জেলার যে সমস্ত মিল মালিক ও মজুদদার রয়েছেন তাদের গুদামে অভিযান চালালে বাজারে স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে চালের দাম বৃদ্ধিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন খুচরা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম।
পাইকারি ব্যবসায়ী এরশাদ জানান, হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার দোকানে চালের বিক্রি অনেক কমে গেছে।আরেক চাল বিক্রেতা সুরেশ চন্দ্র জানান, সুগন্ধি জাতের চাল ব্যতীত সব ধরনের চালের দাম মিল গেটেই বেশি। বাজারে ধানের সংকটের কারণে সব মিল চাহিদা মতো চালও দিতে পারছে না। দাম বাড়লেও বাজারে চালের ক্রেতা কম বলে জানান এই চাল বিক্রেতা।
চালকল মালিকরা বলছেন, ধানের সংকট এবং বেশি দামে তাদের ধান কিনতে হচ্ছে। ধানের অভাবে অনেক মিলে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন