মধ্যপ্রাচ্য সংকট ফের বাড়াতে পারে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির হার
করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত কয়েক বছর পণ্যমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল মূল্যস্ফীতির হার। গত বছর সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য স্থিতিশীল হয়েছে। পণ্যমূল্যের এই স্থিতিশীল অবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য দ্রুত সুদহার কমানো কঠিন করে তুলতে পারে। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক কমোডিটি মার্কেটস আউটলুকে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির হার আবারও বাড়তে পারে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এটি ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির প্রায় ২ শতাংশীয় পয়েন্ট কমাতে সাহায্য করেছে। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে বিশ্বব্যাংকের পণ্যমূল্য সূচক একরকম অপরিবর্তিতই রয়েছে। ভূ-রাজনীতিসহ অন্যান্য উদ্বেগ নেই ধরে নিয়ে বিশ্বব্যাংক বৈশ্বিক পণ্যমূল্য ৩ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ৪ শতাংশ কমার পূর্বাভাস দিয়েছে। পণ্যমূল্য হ্রাসের এ হার মূল্যস্ফীতি কমানোর ক্ষেত্রে খুব কমই ভূমিকা রাখবে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরে ক্রমাগত উচ্চ ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ তেল এবং অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির গতিও মন্থর হয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের কথা। চলতি মাসের শুরুতে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম বেড়ে পৌঁছেছে ৯১ ডলারে, যা ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে গড়মূল্যের চেয়ে ৩৪ ডলার বেশি। বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাসে বলছে, চলতি বছর প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট বিক্রি হবে গড়ে ৮৪ ডলারে। ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে সরবরাহ ব্যাহত হবে না ধরে নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে এই গড়মূল্য কমে দাঁড়াবে ৭৯ ডলারে। বিশ্বব্যাংক বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও বাড়লে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির শঙ্কা থেকেই যায়। মধ্যপ্রাচ্য সংকটে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে এ বছরই আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির গড়মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৯২ ডলারে উন্নীত হতে পারে। আর সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করলে তেলের দাম ছাড়িয়ে যেতে পারে ১০০ ডলার। মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে পারে এক শতাংশীয় পয়েন্টের কাছাকাছি। বিনিয়োগের আদর্শ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বিনিয়োগকারীদের কাছে সব সময়ই আছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছর মূল্যবান ধাতুটির দাম রেকর্ড বৃদ্ধির পর ২০২৫ সালে সামান্য কমতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য সংকট আরও প্রকট হলে প্রাকৃতিক গ্যাস, সার ও খাদ্যের দাম বাড়তে পারে বলেও উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। গ্যাস সরবরাহে এ অঞ্চলের গুরুত্ব অপরিসীম। বৈশ্বিক প্রাকৃতিক তরল গ্যাস (এলএনজি) বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে। এলএনজি সরবরাহ ব্যাহত হলে সারের দাম বাড়বে উল্লেখযোগ্য হারে। এর প্রভাবে বাড়বে খাদ্যমূল্য। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়বে না ধরে নিয়ে বিশ্বব্যাংক চলতি বছর সার্বিক খাদ্যমূল্য ৬ এবং ২০২৫ সালে ৪ শতাংশ কমার পূর্বাভাস দিয়েছে। ২০২৪ সালে সারের দাম ২২ শতাংশ কমবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। আর আগামী বছর কমবে ৬ শতাংশ।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় বাইডেনের চেয়ে দ্বিগুণ জনপ্রিয় পুতিন
মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে মস্কো এবং বেইজিং। গত এক দশকে এ অঞ্চলে দেশ দুটি তাদের কার্যক্রম অনেকটাই বাড়িয়েছে। জনমত জরিপ অনুসারে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় সব থেকে প্রভাবশালী চরিত্র হয়ে উঠতে পারে চীন এবং রাশিয়া।  ডেটা অ্যানালিটিক্স ফার্ম প্রিমাইজের সঙ্গে যৌথভাবে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল মনিটর। এ জরিপে তারা মিসর, তুরস্ক, ইরাক এবং তিউনিসিয়াজুড়ে ২ হাজার ৬৭০ জন উত্তরদাতার মতামত নিয়েছেন।  উত্তরদাতাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিন বিশ্ব নেতার মধ্যে কাকে তারা তাদের দেশে বেশি জনপ্রিয় বলে মনে করেন? জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৪.৪% মানুষ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বেছে নিয়েছেন। তারপরে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এর পক্ষ বেছে নিয়েছেন ৩৩.৮% মানুষ। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পছন্দ করেছেন ২১.৭% মানুষ৷  চারটি দেশেই পুতিনকে বেশি জনপ্রিয় দেখা গেছে। মিসরে সব থেকে বেশি ৫১.৬% মানুষ পুতিনকে বেশি প্রভাবশালী বলে মনে করেন। ইরাকে বাইডেনকে পছন্দ করেন ২৯.২% মানুষ, অন্যদিকে পুতিনকে পছন্দ করেছেন ৩৫.৫% মানুষ। আর শি জিনপিংকে পছন্দ করেছেন ৩৫.৩% মানুষ।  আল মনিটর বলছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে সমর্থন করার কারণে ওয়াশিংটনের জনপ্রিয়তা কমেছে। এ ছাড়া অন্যান্য অনেক কারণও তাদের মতামতকে প্রভাবিত করতে পারে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধের মধ্যস্থতাকে করতে পারেন এমন প্রশ্নে ৩০% মানুষ মনে করছে ওয়াশিংটন মধ্যস্থতা করতে পারবে। ২৮% মানুষ মনে করছে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধের মধ্যস্থতা করতে পারে রাশিয়া।   প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতা মনে করেন ১০ বছর আগের তুলনায় চীন এবং রাশিয়া এখন অনেক বেশি প্রভাবশালী মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায়। তারা মনে করেন আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় সব থেকে প্রভাবশালী চরিত্র হয়ে উঠতে পারে চীন এবং রাশিয়া। 
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলো ৫৫% রেমিট্যান্স
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বৈধ পথ অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭৯ কোটি ডলার। এর মধ্যে শুধু মধ্যপ্রাচ্য থেকেই এসেছে ৫৯২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের অর্ধেকেরও বেশি বা ৫৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৩ সালে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী বিদেশে পাঠানো হলেও সে অনুযায়ী রেমিট্যান্স আসছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই বেশি শ্রমিক যাচ্ছেন। তাই সেখান থেকে রেমিট্যান্স সবসময়ই বেশি আসে। তবে অর্থ পাচারের কারণে রেমিট্যান্সের সবটুকু ব্যাংকিং চ্যানেলে আসছে না। ফলে কাঙ্ক্ষিত রেমিট্যান্স আসছে না। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর কালবেলাকে বলেন, বেশি শ্রমিক বিদেশে গেলেও সে তুলনায় প্রবাসী আয় দেশে আসছে না বা আসতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ অর্থ পাচারকারীরা তা কিনে নিয়ে সমপরিমাণ অর্থ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। নির্বাচনের কারণে ২০২৩ সালে এই প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স খুব বেশি বাড়েনি। অর্থপাচার রোধে সরকার কিছুই করছে না। এমনকি ডলার সংকটের মধ্যেও জোরপূর্বক এর দর কমিয়ে রাখছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকারকে এ বিষয়ে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে, ১৯৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব, তৃতীয় যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, মালয়েশিয়া, কুয়েত, কাতার, ওমান ও রাহরাইন। অর্থাৎ রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ৮টিই মধ্যপ্রাচ্যের। সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪২ কোটি ৫৪ লাখ, যুক্তরাজ্য থেকে ১৩৭ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১১২ কোটি ৫৩ লাখ ও ইতালি থেকে এসেছে ৭৬ কোটি ২৩ লাখ ডলার। মালয়েশিয়া ও কুয়েত থেকে এসেছে যথাক্রমে ৬৮ কোটি ১৮ লাখ ও ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। কাতার থেকে ৫২ কোটি ৬৫ লাখ এবং ওমান থেকে এসেছে ৪৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। বাহরাইন থেকে এসেছে ২৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে বিভিন্ন দেশে গেছেন ১২ লাখ ১০ হাজারের বেশি কর্মী। ডিসেম্বরে তা ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। এ সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১১৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। ২০২২ সালে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৬ হাজার। এর আগে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৯ হাজার কর্মী বিদেশে যান ২০১৭ সালে। রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেড়েছিল করোনার মধ্যে। মূলত হুন্ডি কমে যাওয়ায় এ সময় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছিল বেশি; কিন্তু গত বছর আবারও অবৈধ অর্থ লেনদেনের সুযোগ বেড়েছে। এ কারণে প্রবাসী আয় কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোরতায় হুন্ডি কিছুটা কমেছে। ফলে বাড়ছে প্রবাসী আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ডিসেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেড়েছে। এই মাসে ১৯৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, যা ছয় মাসে সর্বোচ্চ। আর অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা উদ্যোগে আগামী দিনে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির অন্যতম শর্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও প্রবাসী আয় সেই হারে বাড়ছে না। রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ হুন্ডিতে আসায় ব্যাংকিং চ্যানেলে এর প্রবাহ কমছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, প্রণোদনা বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রবাসীরা গত অক্টোবরে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। আর নভেম্বরে দুই দফায় রেমিট্যান্সের দর কমানোর ফলে প্রবাসীরা আবার হুন্ডিতে অর্থ পাঠাচ্ছেন। অর্থ পাচারেও হুন্ডি ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কর্মকর্তারা। তাই বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে কাজ করছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত থেকেফায়দা তুলছে যুক্তরাষ্ট্র
মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা ফায়দা তুলছে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, আবেগ দিয়ে পরিচালিত হওয়ার কোনো অধিকার আমাদের নেই। এমনটা করাও উচিত নয়। আমাদের অবশ্যই স্পষ্টভাবে দেখতে হবে যে, মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার পেছনে কাদের হাত রয়েছে। কারা এসব ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, কারা এর থেকে ফায়দা তুলে—তা দেখতে হবে। আমার মনে হয় হুকুমদাতারা প্রকাশ্যে ও স্পষ্টভাবে এ কাজ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন এলিট ও তাদের মিত্ররা বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীলতার প্রধান সুবিধাভোগী। এসব থেকে তারা বড় ফায়দা তুলছে। সোমবার রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল দাগেস্তানে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর তাসের। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে গত রোববার ইসরায়েল থেকে একটি ফ্লাইট আসছে—এমন খবরে দাগেস্তান বিমানবন্দরে বিক্ষোভ হয়। এদিন ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা জোর করে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন এবং রানওয়েতে ছোটাছুটি করেন। এ সময় তারা হন্যে হয়ে ইসরায়েলি নাগরিকদের খুঁজতে থাকেন। এ কারণে বিমানবন্দরটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। পুতিন বলেন, বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান হারাচ্ছে। সবাই এটি দেখছে এবং বুঝতেও পারছে। বিশ্ব অর্থনীতির দিকে তাকালেই বিষয়টি আন্দাজ করা যায়। ‘প্যাক্স আমেরিকানা’, ‘আমেরিকান বিশ্ব’—এসব ধারণার অবসান হচ্ছে। মার্কিন অভিজাত শাসক ও তাদের ক্ষেপণাস্ত্র গাজার ফিলিস্তিনিদের হত্যার পেছনে এবং ইউক্রেন, আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার সংঘাতের পেছনে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমাগত বিশৃঙ্খলার প্রয়োজন তাদের। তাই যুক্তরাষ্ট্র সেসব দেশকে অপমান করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, যারা গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জোর দেয় এবং একই সঙ্গে রক্তপাত বন্ধ করতে ও সংকট সমাধানে সত্যিকারের অবদান রাখতে প্রস্তুত। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রাশিয়া গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টিকে সমর্থন করে এসেছে। এ ছাড়া মস্কোতে হামাসের প্রতিনিধিদলকেও স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও মস্কোর এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল। রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষীদের নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার কথা বলে দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। পুতিন বলছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের জন্য দায়ী ছায়াময় মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে রাশিয়া। এই ট্র্যাজেডির পেছনে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেই ফিলিস্তিনকে সাহায্য করা যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, সংঘাত সমাধানের মূল চাবিকাঠি হলো একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যদিও এটি ওয়াশিংটনের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য নয়।
০১ নভেম্বর, ২০২৩

মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত থেকে ফায়দা তুলছে যুক্তরাষ্ট্র : পুতিন
মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা ফায়দা তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন বলেন, আবেগ দিয়ে পরিচালিত হওয়ার কোনো অধিকার আমাদের নেই। এমনটা করাও উচিত নয়। আমাদের অবশ্যই স্পষ্টভাবে দেখতে হবে যে মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার পেছনে কাদের হাত। কারা এসব ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, কারা এর থেকে ফায়দা তুলে। আমার মনে হয় হুকুমদাতারা প্রকাশ্যে ও স্পষ্টভাবে এ কাজ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন এলিট ও তাদের মিত্ররা বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীলতার প্রধান সুবিধাভোগী। এসব থেকে তারা বড় ফায়দা তুলছে। গতকাল সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল দাগেস্তানে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর তাসের। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে গত রোববার ইসরায়েল থেকে একটি ফ্লাইট আসছে—এমন গুঞ্জনে দাগেস্তান বিমানবন্দরে বিক্ষোভ হয়। এদিন ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা জোর করে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন এবং রানওয়েতে ছোটাছুটি করেন। এ কারণে বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। পুতিন বলেন, বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান হারাচ্ছে। সবাই এটি দেখছে এবং বুঝতেও পারছে। বিশ্ব অর্থনীতির দিকে তাকালেই বিষয়টি আন্দাজ করা যায়। ‘প্যাক্স আমেরিকানা’, ‘আমেরিকান বিশ্ব’—এসব ধারণার অবসান হচ্ছে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৩

মধ্যপ্রাচ্য থেকে লাখো নাগরিক সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ থামানো না গেলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কয়েক লাখ নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে জো বাইডেন প্রশাসন। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।    নাম না প্রকাশের শর্তে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমটিকে জানান, ইসরায়েল ও এর পার্শ্ববর্তী দেশ লেবাননে বসবাসরত আমেরিকানদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে প্রাথমিকভাবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যদিও এত নাগরিক সরানোর পদক্ষেপকে তারা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হিসেবে আখ্যা দেন। তবে এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যে কোনো কিছুর জন্য প্রস্তুতি না রাখলে তা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা হবে।’ ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানের প্রস্তুতির বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। হামাসের ভয়াবহ ওই হামলার ‍সময় ইসরায়েলে ৬ লাখ ও লেবাননে ৮৬ হাজার মার্কিন নাগরিক ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।   ওয়াশিংটন পোস্টকে মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা একটা বড় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন এটা নিয়ে খু্‌বই চিন্তিত যে পরিস্থিতি ক্রমেই হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ’ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের দুশ্চিন্তা শুধু দুই দেশে সীমাবদ্ধ নেই। পুরো আরব বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা মার্কিন নাগরিকরা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি ঝুঁকিতে আছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।    গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বব্যাপী সমস্ত নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ’বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা’ এবং ‘চলমান সহিংসতায়’ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য ‍আহ্বান জানানো হয়।   এদিকে, হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকানদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা চলছে।’   তবে মঙ্গলবার দেওয়া বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েল থেকে চার্টার ফ্লাইট পরিচালনা ছাড়া এ অঞ্চল থেকে আমেরিকানদের সরিয়ে নেওয়ার ‍আর কোনো ‘সক্রিয় প্রচেষ্টা’ চলছে না।’ ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তেল আবিবের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র-অর্থ থেকে শুরু করে ইসরায়েলকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। তবে অধিকাংশ আমেরিকান নাগরিক ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানোর বিরোধিতা করেছেন। এমনকি ৮৫ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, এই যুদ্ধের কারণে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বৃহত্তর যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের করা এক জরিপে এই তথ্য উঠে আসে। ১৬ থেকে ১৯ অক্টোবর এই জরিপ পরিচালনা করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩

তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে কূটনৈতিকদের প্রত্যাহার করছে ইসরায়েল 
মধ্যপ্রাচ্যসহ তুরস্ক থেকে নিজেদের কূটনৈতিকদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় হামলার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ডেইলি সাবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তের মধ্যে তুরস্কে নিয়োজিত তাদের রাষ্ট্রদূত ইরিত লিলিয়ানসহ কূটনৈতিকরা দেশ ছাড়ছেন।  ইলহাস নিউজ এজেন্সি (আইএইচএ) জানিয়েছে, শুক্রবার সব কূটনৈতিক তুরস্ক ছেড়ে যাবেন। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশেও তেলআবিব একই নির্দেশনা দিয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। স্বল্প সময়ের জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল তুরস্ক থেকে সকল ইসরায়েলিকে যত দ্রুত সম্ভব দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়।   বুধবার (১৮ অক্টোবর) দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানান, ইসরায়েলের বাইরে সন্ত্রাসী হুমকির কারণে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়েছে। বর্তমানে এ ঝুঁকি চার মাত্রায় রয়েছে, যা নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রা।  গত বছর ইসরাইল ও তুরস্ক তাদের পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। এর আগে কয়েক মাস ধরে তাদের কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছিল।  উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে। এতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে মধ্য গাজার একটি আবাসিক ভবন এবং একটি গির্জা প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পৃথক এ দুটি হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে এবং অন্তত ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে নৃশংস বলে উল্লেখ করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বৃদ্ধির পরিণতি হবে ভয়াবহ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে সাক্ষাতে এমন মন্তব্য করেন। 
২০ অক্টোবর, ২০২৩

মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে দুশ্চিন্তায় ইউক্রেন
ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতের জের ধরে ইউরোপ ও আমেরিকার মনোযোগ ও সহায়তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইউক্রেন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রাচ্য সংকট সংবাদের শিরোনাম দখল করায় ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে খবর ও আগ্রহে কিছুটা ঘাটতিও দেখা যাচ্ছে। অথচ রাশিয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রামে পশ্চিমা বিশ্বের লাগাতার সাহায্য ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের পিছিয়ে পড়া হবে অনিবার্য। আর তাই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিছুটা উদ্বিগ্ন। খবর ডয়েচে ভেলের। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ অবশ্য সেই জেলেনস্কির সংশয় দূর করার চেষ্টা করছেন। বুধবার এক টেলিফোন সংলাপে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ফ্রান্স তথা ইউরোপের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের প্রতি অঙ্গীকার খর্ব করা হবে না। তার মতে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংকট নিয়ে ব্যস্ততা সত্ত্বেও ইউক্রেনের থেকে নজর সরে যাবে না। আসন্ন শীতকালে রাশিয়া গত বছরের মতো ইউক্রেনের অবকাঠামো ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর আকাশপথে হামলা চালাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বণ্টনের অবকাঠামোর ওপর আক্রমণের ফলে অনেক মানুষকে শীতের মধ্যেও কষ্টে থাকতে হয়েছে। এবারও সে রকম হামলা হলে তার আগে ইউক্রেনের সামরিক ক্ষমতা যতটা সম্ভব বাড়ানো প্রয়োজন বলে জেলেনস্কি ও মাখোঁ মনে করেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের সামরিক ক্ষমতা নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার মতে, মার্কিন প্রশাসন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার ফলে আখেরে ইউক্রেনের যন্ত্রণা দীর্ঘায়িত হবে। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, কিয়েভকে এটিএসিএমএস মিসাইল সরবরাহ করে ওয়াশিংটন ভুল করেছে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে এর ফলে কোনো পরিবর্তন হবে না বলে তিনি দাবি করেন। উল্লেখ্য, বুধবারই রুশ কর্মকর্তারা অধিকৃত বেরডিয়ানস্ক শহরে সেই মিসাইলের হামলার অভিযোগ করেছেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সগর্বে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের কথা জানিয়ে ওয়াশিংটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে কবে ও কোথায় সেটি নিক্ষেপ করা হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যস্ততা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বলেও অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। শুধু ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা কমার সম্ভাবনাই নয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘কুকীর্তি’ অনেকটা ঢাকা পড়ে যাবে বলেও রুশ নেতৃত্ব মনে করতে পারে। আর সেরকম হলে ইউক্রেনের ওপর হামলার মাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
২০ অক্টোবর, ২০২৩
X