মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে মস্কো এবং বেইজিং। গত এক দশকে এ অঞ্চলে দেশ দুটি তাদের কার্যক্রম অনেকটাই বাড়িয়েছে। জনমত জরিপ অনুসারে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় সব থেকে প্রভাবশালী চরিত্র হয়ে উঠতে পারে চীন এবং রাশিয়া।
ডেটা অ্যানালিটিক্স ফার্ম প্রিমাইজের সঙ্গে যৌথভাবে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল মনিটর। এ জরিপে তারা মিসর, তুরস্ক, ইরাক এবং তিউনিসিয়াজুড়ে ২ হাজার ৬৭০ জন উত্তরদাতার মতামত নিয়েছেন।
উত্তরদাতাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিন বিশ্ব নেতার মধ্যে কাকে তারা তাদের দেশে বেশি জনপ্রিয় বলে মনে করেন? জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৪.৪% মানুষ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বেছে নিয়েছেন। তারপরে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এর পক্ষ বেছে নিয়েছেন ৩৩.৮% মানুষ। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পছন্দ করেছেন ২১.৭% মানুষ৷
চারটি দেশেই পুতিনকে বেশি জনপ্রিয় দেখা গেছে। মিসরে সব থেকে বেশি ৫১.৬% মানুষ পুতিনকে বেশি প্রভাবশালী বলে মনে করেন। ইরাকে বাইডেনকে পছন্দ করেন ২৯.২% মানুষ, অন্যদিকে পুতিনকে পছন্দ করেছেন ৩৫.৫% মানুষ। আর শি জিনপিংকে পছন্দ করেছেন ৩৫.৩% মানুষ।
আল মনিটর বলছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে সমর্থন করার কারণে ওয়াশিংটনের জনপ্রিয়তা কমেছে। এ ছাড়া অন্যান্য অনেক কারণও তাদের মতামতকে প্রভাবিত করতে পারে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধের মধ্যস্থতাকে করতে পারেন এমন প্রশ্নে ৩০% মানুষ মনে করছে ওয়াশিংটন মধ্যস্থতা করতে পারবে। ২৮% মানুষ মনে করছে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধের মধ্যস্থতা করতে পারে রাশিয়া।
প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতা মনে করেন ১০ বছর আগের তুলনায় চীন এবং রাশিয়া এখন অনেক বেশি প্রভাবশালী মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায়। তারা মনে করেন আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় সব থেকে প্রভাবশালী চরিত্র হয়ে উঠতে পারে চীন এবং রাশিয়া।
মন্তব্য করুন