মহসীন হাবিব
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬ এএম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: ওলটপালট মধ্যপ্রাচ্য

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: ওলটপালট মধ্যপ্রাচ্য

দুটি চলমান যুদ্ধের মধ্যেই আরও একটি নতুন মাত্রা যোগ হলো ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরানের আক্রমণের মধ্য দিয়ে। যুদ্ধই তো বাধল মনে হচ্ছে! এর রেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা হিসাব করে বের করতে মোটেই কষ্ট হওয়ার কথা নয়। এখন মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলোতে লেজেগোবরে অবস্থা। প্রক্সি ওয়ারে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবার প্রক্সি থেকে মুখ বের করে সামনে বেরিয়ে আসতে পারে। কারণ, ইরানও এতদিন প্রক্সি ওয়ারে ছিল, এবার সে সামনে চলে এসেছে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলের হামলার মধ্য দিয়ে। সে আলাপে পরে যাই, আগে পেছন থেকে দেখে আসি।

ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরব জাতিগুলোর মধ্যে কম করে হলেও ছোট-বড় ১৪টি যুদ্ধ হয়েছে (কেন হয়েছে, কীভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রটি ওই স্থানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে স্থান করে নিল, আরব দেশগুলোর সঙ্গে কেন মতৈক্য গড়ে উঠল না, এসব নিবন্ধ পাঠকদের কাছে অজানা নয়)। এর মধ্যে তিনটি ছিল সর্বাত্মক যুদ্ধ। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধ, যাকে সিক্স ডে ওয়ার বা ছয় দিনের যুদ্ধ বলা হয় এবং ১৯৭৩ সালের ইয়ম কিপ্পুর যুদ্ধ। এর মধ্যে শেষোক্ত যুদ্ধটিই ছিল আধুনিককালের সবচেয়ে বড় আকারের যুদ্ধ। তখন রমজান মাস চলছিল। সে কারণে এ যুদ্ধকে রমজান মাসের যুদ্ধও বলা হয়। এ যুদ্ধ চলেছে ১৯৭৩ সালের ৬ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত, যে কারণে অক্টোবর যুদ্ধ নামেও পরিচিতি আছে। তখন অলরেডি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা বহু সফল অপারেশন করে আস্থার জায়গায় চলে গিয়েছে এবং বিশ্বের একটি দক্ষ গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। ১৯৬৭ সালের ৬ অক্টোবর ইসরায়েলের গোয়েন্দারা রিপোর্ট করল যে, আজই আরব দেশগুলো মিশর ও সিরিয়ার নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলা করবে এবং এ হামলা শুরু করবে ঠিক সন্ধ্যাবেলা ইফতারের পর। সকাল ৮টায় ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মায়ার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোসে দায়ান এবং ইসরায়েলের তৎকালীন সেনাবাহিনীর চিপ অব জেনারেল স্টাফ ডেভিড এলাজার গোপন বৈঠকে বসলেন। এলাজার প্রস্তাব দিলেন এয়ারফোর্সসহ ১ লাখ ২০ হাজার সৈন্য প্রস্তুত করতে, কিন্তু মোসে দায়ান প্রস্তাব দিলেন ৭০ হাজার সৈন্য প্রস্তুতের। প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মায়ার এলাজারের কথায় সম্মতি দিলেন। এলাজার আরও প্রস্তাব দিলেন, আরবদের আগেই সিরিয়া ও মিশরে আক্রমণ চালিয়ে ওদের হতভম্ব করে এয়ার ফিল্ড নষ্ট করে দিতে। কিন্তু গোল্ডা মায়ার তাতে রাজি হলেন না। ওই বৈঠকের পরপরই গোল্ডা মায়ার ইসরায়েলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কেনেথ কিটিংকে অনুরোধ জানান যাতে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ চালানো না হয় সে চেষ্টা করতে। তারবার্তা পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়নকে অনুরোধ জানান, তাদের প্রভাব খাটিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে। সেইসঙ্গে মিশরসহ আরও কয়েকটি আরব দেশকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আচমকা দেখা গেল, আরবরা সন্ধ্যার পরিবর্তে দুপুর ঠিক ২টার সময় আক্রমণ করে বসল। এ চার ঘণ্টা আগে আক্রমণের কারণে ইসরায়েলকে প্রথম তিন দিন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কিসিঞ্জার পরে তার বইয়ে লিখেছেন, ইসরায়েল যদি প্রথম আক্রমণ করত, তাহলে এত ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো না। যাহোক, সেইযুদ্ধে ইসরায়েলকে প্রায় ২৩ হাজার টন অস্ত্র সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং নাটকীয়ভাবে ইসরায়েল সোভিয়েত ইউনিয়নের তখনকার দিনের আধুনিক ফাইটার মিগ-২১, টি-৬২ ট্যাঙ্কসমৃদ্ধ আরব দেশগুলোকে পরাজিত করে। এর আগে ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের দুই মাস পর সেপ্টেম্বরে সুদানের রাজধানী খার্তুমে যে আরব লিগের সম্মেলন হয়, সেই সম্মেলনে মিশর, সিরিয়া, জর্ডান, কুয়েত, ইরাক, আলজেরিয়া এবং সুদান একটি রেজল্যুশন পাস করে, যার নাম হয় থ্রি ‘নো’ অথবা তিনটি ‘না’। এই তিনটি ‘না’ হলো—ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো শান্তি না, ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না এবং ইসরায়েলকে কোনো স্বীকৃতি না। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধের সময় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি বৈরিতার সূত্রে তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞায় বহু দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল।

এভাবেই আরব ইসরায়েল সম্পর্ক চলেছে ১৯৪৭ সাল থেকে। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইরানের ইসলামিক বিপ্লব, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া, ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলা, ২০১০ সালের আরব বসন্ত এবং আরব এলাকায় শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে ৩৬০ ডিগ্রি বাঁক নিতে সাহায্য করেছে। সেইসঙ্গে উদ্ভব হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের নতুন রাশিয়া এবং শি জিং পিংয়ের নতুন চীনের। এই নতুন দুই শক্তির রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক ও আদর্শগত বৈরিতা। যার ফলে মাঝারি মানের শক্তির অনেক দেশ এখন রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির ভারসাম্য রক্ষার সুযোগ পেয়েছে। এমনই একটি দেশ ইরান।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবীরা শুরু থেকেই ইসরায়েলের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে আসছে। খোদ ইরানের ধর্মীয় নেতা ও বিপ্লবের প্রধান চরিত্র আয়াতুল্লাহ খোমেনি বলেছিলেন, ‘ইসরায়েল হলো একটি ক্যান্সার টিউমার, এটিকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।’ সেই অনুযায়ী ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে টেক্কা দিয়ে চলছে ইরান। তেহরান গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সরাসরি সহায়তা দিয়ে আসছে। এদিকে ইরান দেখতে না দেখতে সামরিক প্রযুক্তিতে অবিশ্বাস্য উন্নতি ঘটিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে বহুসংখ্যক ড্রোন দিয়ে সাহায্য করেছে। রাশিয়া এবং ইরান একত্রিত হয়ে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাহায্য করে আসছে। ইরান সম্পর্ক গড়ে তুলেছে চীনের সঙ্গে। যার ফলে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও খুব একটা কার্যকর হয়ে ওঠেনি। ইরান হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃত্বদানকারী দেশ।

অন্যদিকে পাল্টে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দৃশ্যপট। জর্ডান, মিশর, সৌদি আরবের মতো ইসরায়েলের চিরশত্রু দেশগুলো এখন বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। শনিবার ইরান যে ৩৫০টি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে (সারা বিশ্বের প্রচারমাধ্যমে বলা হচ্ছে ৩০০টি। তবে আইডিএফ-এর তথ্যমতে, প্রকৃত সংখ্যা ৩৫০টি) তার বেশ কয়েকটি ভূপাতিত করেছে জর্ডান, বাকি ৯৯ শতাংশ ভূপাতিত করেছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সেনারা। এরই মধ্যে জর্ডানকে হুমকিও দিয়েছে ইরান। ইসরায়েল বিশ্বাস করে, একমাত্র ইরান ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। তাই মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের নেটওয়ার্কের ওপর হামলা করা তারা দায়িত্ব মনে করে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওয়াদাবদ্ধ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসরায়েলের হয়ে যুক্তরাষ্ট্র দায়িত্ব পালন করে। যেমন ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের নেতা এবং দেশটির অত্যন্ত জনপ্রিয় জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করে। ইরান ওই হামলায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়। এরপর গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের মধ্যেই সর্বশেষ ১ এপ্রিল ইসরায়েল ইরানের কুদস ফোর্সের সিনিয়র অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ ১৬ জনকে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি দূতাবাস সংলগ্ন ভবনে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে। তিনি লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর কয়েকজন নেতার সঙ্গে মিটিং করছিলেন। তখনই ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে। এরপর একযোগে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং প্রচারমাধ্যমের সংবাদ বলতে থাকে, ‘ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে এবং সেটা আগামী সপ্তাহেই।’ তাই ঘটেছে, ব্যত্যয় হয়নি।

এখন প্রশ্ন হলো, এই যুদ্ধ কি সম্প্রসারিত হবে? হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগ জবাব দেওয়া হবে বলেছে। ১৫ এপ্রিল ইসরায়েলের ওয়ার কেবিনেট বৈঠক করেছে। তারা ‘জবাব দেওয়া হবে’— এ বিষয়ে একমত হয়েছেন, কিন্তু কখন এবং কীভাবে তা নিয়ে দ্বিমত দেখা দেওয়ায় বৈঠক ভেঙে গেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে টেলিফোনে বলেছেন, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং কৌশলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে। যুক্তরাষ্ট্র এ কথাও জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আক্রমণে অংশ নেবে না। অবশ্য এ বক্তব্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ইসরায়েলের জন্য দরকার প্রতিরক্ষা সহায়তা, আক্রমণে অংশ নেওয়া নয়। ইরান দুটি দেশকেই হুমকিধমকি দিচ্ছে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান তার জনগোষ্ঠীকে সান্ত্বনা দিতে এ হামলা চালিয়েছে। সে তত্ত্ব অন্য বিষয়।

ঘটনাবলির কিছুই লেখা হলো না। এতটুকু লেখায় এত বড় জটিল বিষয়ের কিছুই বর্ণনা করা যায় না। কিন্তু ভাবছি, আমাদেরও কি চাল-ডাল-লবণ কিনে রাখতে হবে? ৮৫ বছর আগের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমরা কোনো দেশ চিনতাম না। হাতেগোনা মাত্র হয়তো কয়েক হাজার বাঙালি ছিল বিভিন্ন দেশে। তখনই যুদ্ধের খেসারত দিতে হয়েছে আর এখন তো দেড় কোটি বাংলাদেশই থাকে বিভিন্ন দেশে, দেশের বন্দর ভরে থাকে বিদেশি জাহাজে, প্রতিদিনের শিল্প-জ্বালানি থেকে শুরু করে ভাত রান্নার জ্বালানি পর্যন্ত বয়ে আনতে হয়। সুতরাং এ যুদ্ধ যদি সম্প্রসারিত হয়, নিশ্চিত আরও একটি বড় ধাক্কা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, যে ধাক্কা সহ্য করার মতো অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই।

লেখক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

৩০ এপ্রিল : নামাজের সময়সূচি

সকালের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

পদ্মায় গোসলে নেমে তাবলীগ জামায়াত সদস্যের মৃত্যু

মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করতে সিলেটের তিন স্কুলে নারী ক্রিকেটাররা

কুয়াকাটায় গরমে ক্লাসেই অসুস্থ দুই শিক্ষার্থী

ঝালকাঠিতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল বৃদ্ধার

স্কুল থেকে ফেরার পথে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

হাসপাতালে অজ্ঞাত নারীর লাশ, বিপাকে কর্তৃপক্ষ

১০

ইসলামপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

১১

তীব্র তাপদাহে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা

১২

ভয়াল ২৯ এপ্রিলের স্মরণে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি

১৩

মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু

১৪

মঙ্গলবার কেমন থাকবে আবহাওয়া?

১৫

সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে নারীর জরায়ু কাটার অভিযোগ

১৬

রাজবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পর্শে একজনের মৃত্যু

১৭

বঙ্গবন্ধু মে দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন

১৮

পাবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন

১৯

বাজারে গিগাবাইটের এআই পরিচালিত ইন্টেল ১৪ জেনারেশন ল্যাপটপ

২০
*/ ?>
X