শরীয়তপুরে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার (এমসিএইচ) ইউনিটের চিকিৎসক ডা. মো. রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। নিয়মিত অফিস না করা, জোর করে অধীনস্থ কোয়ার্টারে থাকা, সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নিয়মিত রোগী না দেখা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ না মানাসহ নানা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। সুদূর চর মাইজারা থেকে ছয় মাসের শিশুকে নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে আসা আমেনা বেগম বলেন, হঠাৎ বাচ্চাটির পেটে সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। এখানে এসে দেখি কোনো শিশুচিকিৎসক নেই। আমরা ডা. রাকিবুল ইসলামের কথা বললে এমন ডাক্তারের নাম কেউ শোনেনি বলে জানান। সরেজমিনে দেখা যায়, ফাহিমা বেগম নামে এক নারী তার বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার জন্য এমসিএইচ ইউনিটে বসে আছেন। তার কাছে ড. রকিবুল ইসলাম নামের কোনো ডাক্তারকে আপনি চেনেন বা দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার জন্য আসি। কিন্তু আমি কোনোদিনও এ নামের কোনো ডাক্তার দেখিনি। আর ওনার নামফলক লাগানো রুমটা সবসময় বন্ধই দেখি। স্থানীয় ক্লিনিকের কর্মরত সবুজ মিয়া কালবেলাকে বলেন, আমি গত ৩ বছর ধরে এ হাসপাতালে আসা-যাওয়া করি। ডা. রকিবুল ইসলাম নামে যে একজন ডাক্তার এখানে আছে তা আপনাদের কাছে শুনলাম। জেলা পরিষদের সদস্য আব্রাহাম লিংকন কালবেলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী চরের গরিব-দুঃখী-অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য দুর্গম চরের মধ্যে কোটি টাকা খরচ করে ১০ শয্যাবিশিষ্ট আব্দুর রাজ্জাক মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। ডাক্তার ও নার্সের অভাবে আজ তা তালাবন্ধ থাকে। তাই চরের এ অসহায় পরিবারগুলো চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে উপজেলা সদর ও জেলা সদরে ছুটতে হয়। এখানে ডাক্তার রকিবুল ইসলাম নামের একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে দুই দিন রোগী দেখার জন্য আদেশ প্রদান করা হলেও তিনি এখানে আসে না, রোগীও দেখেন না। আমি এ বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ মামুনের সঙ্গে কথা বলেছি। সে আমাকে জানায়, ডাক্তার রকিবুল ইসলামকে সপ্তাহে দুই দিন ওখানে রোগী দেখার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।  কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি এখানে আসেন না। গত কয়েক দিন আগে এ বিষয়টি নিয়ে আমি আমার ফেসবুক পেজে লাইভ করেছি, এতেও কোনো ফল পাচ্ছি না।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এক কর্মচারী কালবেলাকে বলেন, ডা. মো. রকিবুল ইসলাম গোসাইরহাট উপজেলায় (MCHFP) পদে ২০২৩ সালের ৯ মে যোগদান করে। আজ পর্যন্ত তিনি ১০ জন রোগী দেখেছেন কিনা সন্দেহ। এখানে যে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক আছে তা গোসাইরহাট উপজেলার মানুষ জানেনই না। তার গোসাইরহাট চেম্বারও দিনের পর দিন তালা লাগানো থাকে। আমার মনে হয় তার খুঁটির জোর অনেক শক্তিশালী। তিনি তার অধস্তন কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তার ভয়ে সবাই মানসিক চাপে থাকে।  এ বিষয়ে জানতে ডা. রকিবুল ইসলামের গোসাইরহাট (এমসিএইচ) ইউনিটের চেম্বারে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার কক্ষটি তালাবন্ধ ছিল। পরে মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কালবেলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে আমি বেশিরভাগ সময় পরিদর্শনের কাজে ব্যস্ত থাকি। শরীয়তপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)  মাসুদ মামুন কালবেলাকে বলেন, ডা. রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আমার কাছে অভিযোগ করেছে। সে অভিযোগের ভিত্তিতে আমি তারা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আবারও দেব।
০৫ মে, ২০২৪

‘মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও মঙ্গল নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কর্মসূচিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাজ করছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশনের ৫৭তম অধিবেশনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা এসব কথা বলেন। ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়নপর্যায়ে ৫ হাজার ৫০০টি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আর সার্বক্ষণিক পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।   প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাল্যবিবাহ এবং নারী ও কন্যা শিশুদের বিরুদ্ধে সংহিসতা রোধে কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে ১২তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫ মিলিয়ন কিশোরীদের সরকার বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশনের ৫৭তম অধিবেশন আগামী ৩ মে (শুক্রবার) শেষ হবে।   আইসিপিডি পিওএ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং এ সংক্রান্ত কর্মের দশক চলাকালে এজেন্ডা ২০৩০ এর অর্জন মূল্যায়ন ও টেকসই উন্নয়নে আইসিপিডি পিওএ এর ভূমিকা" হলো এই বছরের অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য। উল্লেখ্য,  আইসিপিডি পিওএ-এর ৩০তম বার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আগামী ১৫-১৬ মে ২০২৪ তারিখে ঢাকায় জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছে।
০২ মে, ২০২৪

লামায় তিন বছরেও চালু হয়নি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
জনবল সংকটে উদ্বোধনের তিন বছর পার হলেও এখনো চালু হয়নি লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রটি। এখনো জনবল নিয়োগ হয়নি। ফলে এই এলাকায় অর্ধ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবায় উপকারে আসেনি চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালটি। উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে সিকিউরিটি গার্ড শামসুল হক হাসপাতালের অবকাঠামো পাহারা দিয়ে আসছেন। স্থানীয়রা জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি ভবন নির্মাণ, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তিন বছর আগে হস্তান্তর করেছেন। শুধু জনবল সংকট থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অর্ধ লাখ মানুষ। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসা শতাধিক শিশু-নারী-পুরুষ রোগী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন হাসপাতাল থেকে। এদিকে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের আসবাবপত্র ও অবকাঠামো।   সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৪ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মিত হয়। কাজের মধ্যে রয়েছে ১০ শয্যা হাসপাতাল ভবন, স্টাফ কোয়ার্টার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ। সমাজসেবক মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য ৪৫ শতক জমি দান করেন। পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এ হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর লামার মেডিকেল অফিসার ডা. বাপ্পী মার্মা বলেন, একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে আমরা মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রটিকে সাব-সেন্টার দেখিয়ে কিছু ওষুধপত্র দিয়ে সপ্তাহে এক-দুই দিন সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এলাকার চাহিদার তুলনায় এটি অপ্রতুল। এই কল্যাণ কেন্দ্রটিতে জনবল নিয়োগ দিতে জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বান্দরবানের উপপরিচালক অধিদপ্তরে অনেকবার লেখালেখি করেও জনবল নিয়োগ না দেওয়ার ফলে ওষুধ ও সরঞ্জাম বরাদ্দ পাইনি।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

নওগাঁয় উদ্বোধনের ২ বছরেও চালু হয়নি পূর্ণাঙ্গ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
নওগাঁর মান্দায় কালিকাপুর (হাটচকগৌরী) এলাকায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হলেও প্রায় ২ বছর ধরে জনবলের অভাবে তা পূর্ণাঙ্গ চালু হয়নি। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পুরোপুরি চালু না হওয়ায় এ অঞ্চলের শিশুসহ সকল শ্রেণির মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপজেলা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কালিকাপুর ও নুরল্যাবাদ ইউনিয়নের ৫৫ হাজার জনগণের সেবা প্রদানের জন্য কল্যাণ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু কবে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা মিলবে সেই অপেক্ষার দিন গুণছে এ অঞ্চলের সকল পেশার মানুষ। সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের হাট-চকগৌরী এলাকার রাস্তার পাশে ৩ বিঘা জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে ১০ শয্যা তিন তলা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটি। হাসপাতালের ভেতরের পরিবেশ খুব সুন্দর, পরিপাটি। তার পাশে রয়েছে ডরমিটরি ভবন। চারিদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা রয়েছে দুটি প্রবেশ পথ ও একটি পাম্প হাউজ। ভিতরে রয়েছে আল্ট্রসনো, ডক্টর'স ও বেস্টফডিং রুম। তবে এ কক্ষগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় বন্ধ দেখা যায়। এ ছাড়া ১ জন ফার্মাসিস্ট, রোগীদের সাধারণ চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা যায়। কেউ কেউ এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসার পর মূল কার্যক্রম না থাকায় রোগীদের নিয়ে অন্যত্র ফেরত যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের (হাট-চকগৌরী) এলাকায় তিন তলা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেছিলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অর্থায়ন ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এ কেন্দ্রটিতে ২ জন চিকিৎসক, ১ জন মেডিকেল টেকনোলজি, ২ জন নার্স, ৪ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, ১ জন ফার্মাসিষ্ট, ১ জন অফিস সহকারী, ১ জন আয়া, ১ জন পিয়ন ও ১ জন নিরাপত্তা প্রহরী থাকার কথা। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য অস্থায়ীভাবে উপরোক্ত স্টাফ নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। এখনো সুপারিশকৃত পদগুলো পূরণ হয়নি। ফলে প্রায় ২ বছর ধরে চিকিৎসার আশায় থাকা সেবা গ্রহিতারা শুধু ভবন দেখেই নিজেদের দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। তবে বর্তমানে ১ জন ফার্মাসিস্ট, ২ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ডেপুটেশনে ১ জন অফিস সহায়ক দিয়ে সপ্তাহে ৬ দিন খোলা রাখা হয় হাসপাতালটি। এ বিষয়ে দাতা উত্তরসূরী সাইফুল ইসলাম বলেন, এ হাসপাতালে জনগণের চিকিৎসার জন্য আমরা জমি দান করেছি। প্রায় ২ বছর পার হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর চালু করা হয়নি। অনেকে সেবা না পেয়ে অন্যত্র ফেরত যায়। চিকিৎসার জন্য রোগীর যদি সেবা না পায়। তাহলে এতোগুলো জমি দিয়ে আমাদের কী লাভ হলো। এ জন্য সরকারের কাছে আমার দাবি হাসপাতালটির সকল কার্যক্রম চালু করে যেন সেবা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে হাট-চকগৌরী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সাত্তার বলেন, এখানকার মানুষগুলো অসহায় এবং অবহেলিত অবস্থায় বসবাস করে থাকেন। এই হাসপাতালটি চালু হলে তারা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন। তাদের দূরের হাসপাতাল গুলোতে আর যেতে হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় উদ্বোধনের ২ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত চিকিৎসার সেবা চালু করা হয়নি। এ বিষয়ে একই গ্রামের শারমিন আক্তার বলেন, এ হাসপাতালটি চালু হলে আমাদের সিজারের জন্য দূরে বিভাগীয় শহরে আর যেতে হবে না। ফলে অনেক টায় আমাদের দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের সেবা পাচ্ছি না। আমরা চাই এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসার জন্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলে, আমাদের আর কষ্ট থাকবে না। এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলার মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) মুশফিকুর রহমান বলেন, চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সপ্তাহে ৬ দিন, ১ জন ফার্মাসিস্ট ও ২ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা দ্বারা সাধারণ সেবা চলমান রয়েছে । নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা চালু করা হবে। 
৩০ নভেম্বর, ০০০১

গাইবান্ধায় এমপি রিপনের মায়ের নামে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র উদ্বোধন
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন নিজ উদ্যোগে নিজস্ব জমিতে তার মায়ের নামে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হয়েছে। সাঘাটা উপজেলার কামালের পাড়ায় হাসনে আরা বেগমের নামে ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের  কার্যক্রম খুব শিগরিই চালু হবে। রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে সংসদ সদস্য রিপন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উপজলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়াজনে ফলিয়াদিগর মাদ্রাসা মাঠে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর গাইবান্ধার উপ-পরিচালক প্রসেনজিৎ প্রনয় মিশ্রের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসহাক আলী, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আনায়ারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড.এসএম সামশুল আরফিন টিটু, সহসভাপতি হায়দার আলী, কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম সাজু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাহমুদ হাসান রিপন এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে সারা দেশে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়নে ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র চালু করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় কামালের পাড়ায় হোসনে আরা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র চালু হলো। এখন থেকে কামালেরপাড়া ইউনিয়নের সকল মা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা নিতে উপজলা সদর হাসপাতালে যেতে হবে না। বাড়ির কাছেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের ন্যায় রোগীরা সরকারি সব সুযোগ সুবিধা পাবেন। ’
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

লোহাগড়ায় পৈতৃক ভিটায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান
লোহাগড়ায় পৈতৃক ভিটায় ‘অধ্যাপক শেখ মো. রোকন উদ্দিন আহমেদ ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেনাপ্রধান। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের করফা গ্রামে পিতার নামে সদ্য নির্মিত মরহুম ‘অধ্যাপক শেখ মো. রোকন উদ্দিন আহমেদ ১০ শয্যাবিশিষ্ট  মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ বেলুন উড়িয়ে ও ফলক উন্মোচন করে হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন সেনাপ্রধান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রাম আমার পূর্বপুরুষের ভিটা-মাটি। আমি নাড়ির টানে এখানে বারবার ফিরে আসি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।’ এরপর তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করেন। পরে তিনি করফা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন  করেন ও শিশু কিশোরদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ করেন। স্থানীয় সুধীজনদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আরও বলেন, ইতোমধ্যে মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সবশেষে তিনি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধানের সহধর্মিণী, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, নড়াইল পুলিশের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে লোহাগড়া শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।  
১৫ অক্টোবর, ২০২৩

দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিডে ঘুমিয়ে থাকা মা ও শিশু দগ্ধ
ভোলার দৌলতখানে ঘুমন্ত অবস্থায় পারভীন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর ওপর এসিড নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তার তিন বছরের ছেলে ফাহাদেরও পিঠ ঝলসে যায়।  খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দৌলতখান থানার ওসি সত্য রঞ্জন খাসকেল ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এরশাদুল হক ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  এর আগে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটা দিকে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের দিদার উল্যাহ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠান বাড়িতে তার বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।  তিনি ওই গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি ও তার সন্তান ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গৃহবধূ পারভীন জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতের খাবার খেয়ে তিনি তার ৩ সন্তানসহ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ ফরিদা অন্য কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে হঠাৎ জেগে দেখেন তার শরীরে জ্বালাপোড়া করছে। তখন তার ডাক-চিৎকারে শ্বশুর ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তার অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। তবে কে বা কারা এসিড নিক্ষেপ করেছে তা তিনি জানেন না।  তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর আবদুল খালেকের জমিজমাসংক্রান্ত সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল বুধবার মোবাইলের চার্জার নিয়ে ননদ ফরিদা ও শ্বশুর আবদুল খালেকের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে সকাল ও বিকেলে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় তারা তাকে বসতঘরে কীভাবে বসবাস করবে বলে দেখিয়ে দিবেন বলে হুমকি দেন। এসব ঘটনার নেপথ্যে তার শ্বশুরের বড় জামাতা শাহাজান সাজু দাই করেন।  তবে তার শ্বশুর আবদুল খালেক জানায়, রাতে পুত্রবধূ ও নাতি ফাহাদ জ্বালাপোড়া করছে বলে ডাক-চিৎকার দেন। এসময় তিনি এগিয়ে এসে তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠান। অন্যদিকে শাহাজান সাজুর বিরুদ্ধে ভিকটিমের আনীত এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি করেন। স্থানীয়রা জানায়, পুত্রবধূ ও শ্বশুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। দৌলতখান থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানায়, এসিড নিক্ষেপের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসছি। ভিকটিম ও তার ছোট ছেলে হাসপাতালে আছে। এসিডের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে তদন্তে পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত চলমান রয়েছে। ভিকটিম অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X