গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পেলেন মাউশি ডিজি
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক নেহাল আহমদের শেষ কর্মদিবস আগামী ৯ এপ্রিল। এর ১০ দিন আগে গ্রেড-১ এর পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি। শিক্ষা ক্যাডারের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এ মর্যাদা পেলেন অধ্যাপক নেহাল আহমদ। সোমবার (১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তার পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়েছে। মাউশি অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক একজন অধ্যাপক অর্থাৎ গ্রেড-৪ এর মর্যাদাপ্রাপ্ত। গ্রেড-১ পাওয়ার পর তিনি এখন সচিব সমমর্যাদার। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি মাউশির নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মাউশি
শিক্ষক সংকট দূর করতে বেসরকারি স্কুল-কলেজে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজের শূন্য পদের তালিকা চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ তথ্য পাঠাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।  এক বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে এনটিআরসিএর প্রচলিত নিয়ম অনুসারে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের শূন্য পদের তথ্য চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) অনলাইনে সংগ্রহ করা হবে। অনলাইনে চাহিদা প্রদানের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আবশ্যিকভাবে ই-রেজিস্ট্রেশন (অনলাইন নিবন্ধন) কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ আরও জানিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান পূর্বেই ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে, তাদের অবশ্যই ই-রেজিস্ট্রেশন প্রোফাইল হালনাগাদ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পাদন না করলে কিংবা প্রোফাইল হালনাগাদ না করলে, অনলাইনে নিয়োগযোগ্য শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) প্রদান করা সম্ভব হবে না। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ই-রেজিস্ট্রেশন করেছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ই-রেজিস্ট্রেশন ফর্মের এডিট অপশনে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল হালনাগাদ করতে হবে। জানা গেছে, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের শূন্য পদের তথ্য প্রথমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রাপ্ত তথ্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠাবেন। পরবর্তী সময়ে সেই তথ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হবে। আঞ্চলিক কার্যালয় তথ্যগুলো একত্র করে মাউশিতে পাঠাবে। আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে তথ্য পাওয়ার পর শূন্য পদের সংখ্যা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এরপর তারা নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।  
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

শীতে স্কুল বন্ধে যে নির্দেশনা দিল মাউশি
শীতের তীব্রতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। জরুরি এ নির্দেশনা অনুযায়ী- চলমান শৈত্যপ্রবাহে দেশের যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামবে, সেখানে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা যাবে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী। শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সংক্রান্ত এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকরা ওইসব জেলার শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবেন। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি না হওয়া পর্যন্ত ওইসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। জানতে চাইলে এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিশুরা কষ্টে করে স্কুলে আসছে। অনেকে শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনতে চায় না সরকার। সেজন্য আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

এইচএসসিতে উত্তীর্ণদের সুখবর দিল মাউশি
২০২৩ সালের এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এবার ১০ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এরমধ্যে ১ হাজার ১২৫ জনকে মেধাবৃত্তি ও ৯ হাজার ৩৭৫ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হবে।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে বৃত্তির কোটা বণ্টন করে জারি করা আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়।   আদেশ থেকে জানা যায়, আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ ঢাকা বোর্ডের ৪৫৬ জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ৮৪৫ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হবে। ময়মনসিংহ বোর্ডে ৪৭ জন মেধাবৃত্তি ও ৫৪৪ জন সাধারণ বৃত্তি, রাজশাহীতে ১৬০ জন মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ১৭৪ জন সাধারণ বৃত্তি, কুমিল্লায় ৮২ জন মেধাবৃত্তি ও ৯৭৫ জন সাধারণ বৃত্তি এবং সিলেট বোর্ডের ২৪ শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি ও ৬৪৯ জন সাধারণ বৃত্তি পাবে। এ ছাড়া বরিশাল বোর্ডে ৫৭ জন মেধাবৃত্তি ও ৬০৬ জন সাধারণ বৃত্তি, যশোরে ১১৬ জন মেধাবৃত্তি ও ৮৫৮ জন সাধারণ বৃত্তি, চট্টগ্রামের ৯১ জন মেধাবৃত্তি ও ৮৩৪ জন সাধারণ বৃত্তি এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৯২ জন মেধাবৃত্তি ও ৮৯০ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যত দিন বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা পাবেন এইচএসসিতে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা উচ্চতর শিক্ষার জন্য মেডিকেলে ভর্তি হলে ৫ বছর, কারিগরি বা কৃষি কোর্সে ভর্তি হলে ৪ বছর, এলএলবিতে ভর্তি হলে ৪ বছর, ডিগ্রি সম্মান কোর্সে ভর্তি হলে ৪ বছর ও ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তি হলে ৩ বছর বৃত্তির সুবিধা পাবেন। মেধাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মাসিক ৮২৫ টাকা ও বছরে এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা দেয়া হবে। তারা বছরে মোট ১১ হাজার ৭০০ টাকা শিক্ষা সহায়তা পাবেন। আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩৭৫ টাকা এবং বছরে এককালীন ৭৫০ টাকা দেয়া হবে। তারা বছরে মোট ৫ হাজার ২৫০ টাকা পাবেন। বৃত্তির টাকা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের বৃত্তি-মেধা বৃত্তি খাত থেকে নির্বাহ করা হবে। জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পাঠানো হবে।  
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

লোকবল নেবে মাউশি
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রকল্পে ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকল্পের নাম : সরকারি কলেজগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্প পদের বিবরণ চাকরির ধরন : অস্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ বয়স : ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর আবেদনের ঠিকানা : প্রকল্প পরিচালক, সরকারি কলেজগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্প, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কক্ষ নং ৮০৪, ৮ম তলা, ২য় ব্লক, শিক্ষা ভবন, ১৬ আব্দুল গণি রোড, ঢাকা-১০০০। আবেদন ফি : প্রকল্প পরিচালক, সরকারি কলেজগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্প এর অনুকূলে ২০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার করতে হবে। আবেদনের শেষ সময় : ৩০ নভেম্বর ২০২৩
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

‘আসেন দিবানি, ঠিক করে নিবানি' সাংবাদিককে মাউশি কর্মচারী
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস সহকারী আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি শুধু নিজে অনিয়ম-দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত নন, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অন্যের অনিয়ম ঢাকতেও বেশ পটু। বদলি, এমপিওভুক্তকরণ প্রক্রিয়া, বিভাগের অন্যদের অপরাধে সহায়তা ও অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া, স্বেচ্ছারিতা ও ঘুষ বাণিজ্যে বেপরোয়া তিনি। প্রায় দুই দশক একই কার্যালয়ে কর্মরত থাকায় কর্মকর্তারাও তার কব্জায় বলে প্রচার করেন তিনি নিজেই। তবে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েও তার ফাঁদে পড়ে বিপদে পড়েছেন অনেকেই। অথচ, জেলার পাইকগাছার শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের মো. ইসমাইল গাজীর ছেলে মো. আনোয়ারুল ইসলাম এখন নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম ২০০৪ সালে এমএলএসএস পদে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে তিনি অফিস সহকারী পদে পদোন্নতি পান। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এক ভাইকে একটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন জন্ম তারিখ জাল করে। তার ভাই মো. আমিরুল ইসলামের জন্ম ১৯৮৬ সালে কিন্তু চাকরিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ ১৯৮৬ এরস্থলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯৯২ সাল করিয়েছেন। আমিরুল ইসলামের এনআইডি নম্বর ৬৪৩৮৬২৬২৫৮ পরীক্ষা করলেই জালিয়াতির প্রমাণ মিলবে। সূত্র মতে, রূপসা উপজেলার শামসুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিনকে এমপিও সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশে ১০ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ফরিদা ইয়াসমিনের বিষয়ভিত্তিক বাংলা ও ইংরেজিতে তিনশ’ নম্বর না থাকার কারণে তার আবেদনটি সাতবার বাতিল হলেও গত নভেম্বরের এমপিওভুক্ত করিয়েছেন অফিস সহকারী আনোয়ার।  অভিযোগ রয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালকের কার্যালয়ে একক আধিপত্য রয়েছে এই অফিস সহকারীর। মাধ্যমিক বিদ্যালয়/মহাবিদ্যালয় জাতীয়করণে তিনি সিদ্ধহস্ত। গত নভেম্বরে জুটমিলসের ৫টি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের শর্ত মোতাবেক পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রণয়ননে সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেবার গুঞ্জন রয়েছে।  সাধারণ শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষকদের পাসপোর্ট, বিদেশ ভ্রমণসহ জিপিএফ ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে অনৈতিক সুবিধা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না অফিস সহকারী আনোয়ার। এ ছাড়াও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে আর্থিক সুবিধা আদায় এখন আর গোপন কিছু নয়। পেনশন ল্যাম্পগ্রান্ড করণের মূল দায়িত্ব নাজমা খাতুনের হলেও আনোয়ারের ইচ্ছের বাইরে কিছুই করার সক্ষমতা নেই। পারিবারিক পেনশন, জিপিএফ চূড়ান্ত উত্তোলন, পেনশন মুঞ্জুরি, ল্যাম্পগ্রান্ড মুঞ্জুরিসহ বেশ কিছু কাজে কোথা থেকে নিয়মিত অর্থ নেন অফিস সহকারী আনোয়ার। একই অফিসে কমর্রত একাধিক কর্মচারী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, অফিস সহকারী আনোয়ার অর্থ আদায়ে যেমন পটু, তেমনই তিনি তা হজম করতেও সিদ্ধহস্ত। নামে বেনামে বহু সম্পদ সম্পত্তির মালিক তিনি। তারা জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে তালাবিদে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী দিদার মোড়লকে গাঁজার গাছসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ (যার মামলা নং-০৩, ০৪-১১-২০২২)। বিষয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস সহকারী আনোয়ার জানার পর অর্থের বিনিময়ে কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মাউশি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি। এভাবে বহু অপকর্ম মোটা অঙ্কের বিনিময়ে আঁড়াল করেন আনোয়ার। বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব রক্ষক কাম ক্লার্ক মো. আল মুরাদের সাথে অফিস সহকারী মো. শাহ আলম জমাদ্দার ঘুষের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। হাতাহাতির একপর্যায়ে রডের আঘাতে আল মুরাদের মাথা রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনাটিও বিভাগের ঊর্ধ্বতনদের জানতে দেননি তিনি। এসব বিষয়ে জানতে মাউশি খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. আনোয়ারুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ভাই নিউ মার্কেটে আসেন এক সাথে কথা বলি চা খাই। দিবানি সমস্যা নাই। আসেন দুই ভাই ঠিক করে নিবানি। আমরা তো ভাই ভাই।’
০৯ অক্টোবর, ২০২৩

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাল্টিমিডিয়া শ্রেণি কার্যক্রমের তথ্য চেয়েছে মাউশি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জুলাই-সেপ্টেম্বর (তিন মাস) সময়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণি কার্যক্রমের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।  সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) মাউশি অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং পরিচালক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে এ তথ্য চাওয়া হয়। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং মাঠপর্যায়ের শ্রেণি শিক্ষকরা ‘এমএমসি অ্যাপ’র মাধ্যমে আপলোড করা ক্লাসের ভিত্তিতে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণি কার্যক্রমের মনিটরিং প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। কিন্তু এমএমসি অ্যাপে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাউশির আওতাধীন মাঠপর্যায়ের কোনো শ্রেণি শিক্ষক তাদের এমএমসি ক্লাসগুলো আপলোড দিতে পারছেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এপিএর অন্যতম সূচক হলো মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত এমএমসি ক্লাস, যা প্রতিবেদন আকারে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মাউশি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই অবস্থায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব আঞ্চলিক উপপরিচালক (মাধ্যমিক) তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নেওয়া এমএমসি ক্লাসের তথ্য সংগ্রহ করে তার সার-সংক্ষেপ আকারে সংযুক্ত ছক অনুযায়ী আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের ই-মেইল [email protected]এ পাঠাতে হবে। উল্লেখ্য যে, আঞ্চলিক উপপরিচালক (মাধ্যমিক) ছাড়া মাঠপর্যায়ের অন্যকোনো শিক্ষা কর্মকর্তা বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং বরাবর ই-মেইলে আলাদাভাবে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাঠানোর প্রয়োজন নেই বলে নির্দেশে বলা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর তথ্য চেয়েছে মাউশি
বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।  বুধবার (১৬ আগস্ট) অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক উপপরিচালকদের (মাধ্যমিক) কাছে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে।  মাউশি থেকে প্রকাশিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে বর্ষার অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে পানি নেমে আসায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় তার (চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক উপপরিচালক) আওতাধীন জেলা/উপজেলায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত থাকলে তার তথ্য এবং শিক্ষার্থীর তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের ই-মেইল [email protected] এ আগামী ২২ আগস্টের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
১৬ আগস্ট, ২০২৩
X