দলবল নিয়ে মাদক সেবন করছিল কিশোর গ্যাং লিডার, অতঃপর...
রাজশাহীতে কিশোর গ্যাং লিডার সাব্বির ওরফে কানা সাব্বিরসহ (২৩) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (৬ মার্চ) গভীর রাতে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তারা মাদক সেবনরত ছিল।এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাংয়ের বাকি দুজন হল- চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকার তৈমুরের ছেলে তন্ময় ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার সেলিম বাবুর ছেলে নাজমুল হক (২৩)। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) র‌্যাব-৫-এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকার একটি আমবাগানে অভিযান চালায় র‌্যাব ৫-এর সদর কোম্পানির অভিযানিক দল। অভিযানকালে মাদক সেবনরত অবস্থায় তিন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে সাব্বির ওরফে কানা সাব্বির ওই কিশোর গ্যাংয়ের লিডার। তার বাড়িও চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকায়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অভিযানকালে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৬৫ গ্রাম গাঁজা, ট্যাপেন্ডাল ট্যাবলেট ১০টি, ৪টি চাকু ও ৪টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে আরও চারজন পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারদের আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় সোপর্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
০৭ মার্চ, ২০২৪

কুমিল্লায় যুবকের প্রকাশ্যে মাদক সেবন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে আলোচনায় এক যুবক। ইতিমধ্যে যুবকের মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আলোচিত এ যুবকের নাম মো. পিন্টু (৩০)। তিনি উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের জামপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিকাপুর ইউনিয়নের জামপুর পূর্ব পাড়া মোস্তফা মিয়ার মুদি দোকানের সামনে সোমবার দুপুরে পিন্টু নামের এক যুবক প্রকাশ্যে ফেনসিডিল সেবন করে। এ সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মোবাইলে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের দৃশ্যটি ভিডিও ধারণ করে। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘পৃথিবী তোমার আমার’ নামক একটি আইডি থেকে এ ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে পিন্টুকে বলতে শোনা যায়, ‘আঁই পিন্টু পিন্টু, আঁই ফেনসি খাই।’ কালিকাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জামাল আহমেদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমিও মাদক সেবনের ভিডিওটি দেখেছি। প্রকাশ্যে মাদক সেবনের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমি এর প্রতিকারে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’ চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি মাত্র জেনেছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিওটি দেখে প্রকাশ্যে মাদকসেবনকৃত যুবককে আইনের আওতায় আনা হবে।’
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘বিয়ে হয়নি’, মাদক সেবন করিয়ে ছবি তুলেছে নোবেল!
সোমবার (২০ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে ফারজান আরশি নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেন সারেগামাপা খ্যাত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ফারজান আরশির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এতদিন চুপ থাকলেও এবার মুখ খুললেন ফারজান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সংগীতশিল্পী নোবেলের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এ কণ্ঠশিল্পীর বিরুদ্ধে এনেছেন নানা অভিযোগ। ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো নিয়ে ফারজান আরশির দাবি, তাকে জোরপূর্বক মাদক সেবন করিয়ে এই ছবিগুলো তোলেন নোবেল! এমনকি নোবেলের সঙ্গে তার কোনোপ্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোনো সম্পর্কও নেই। তিনি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির শিকার।  এ বিষয়ে ডেমরা থানায় জিডিও করেছেন বলে জানান স্ট্যাটাসে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে ফারজান আরশি জানান, ‘আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোড় ধরে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’ এ ব্লগার আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথামতো ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যে বলি, তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।’ সর্বশেষে তিনি এবং তার পরিবার ভয়ভীতির মধ্যে আছেন এবং কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করে পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রয়াস ব্যক্ত করেন। জিডির বিষয়ে ঢাকা মহানগর ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাশ জানান- ফারজান আরশির বাবা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন যে, গায়ক নোবেল তার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি তিনি। তবে পরবর্তীতে ফারজানা আরশি নিজেকে প্রাপ্ত বয়স্ক দাবি করে জানান, ‘নোবেল তাকে জোর করে তুলে আনেনি এবং তিনি স্বেচ্ছায় নোবেলের সঙ্গে এসেছেন।’  ফারজান আরশির স্ট্যাটাসে নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সূত্র ধরে কোনো ব্যবস্থা পুলিশ নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’  এদিকে ব্লগার ফারজান আরশির দেওয়া স্ট্যাটাসটি তার পেজ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
২২ নভেম্বর, ২০২৩
X