যুক্তরাজ্য বিশ্বে মানবাধিকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে
যুক্তরাজ্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গত বুধবার প্রকাশিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠনটির বার্ষিক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের নড়বড়ে অবস্থার মধ্যে যুক্তরাজ্য দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকার সুরক্ষাকে দুর্বল করে ফেলছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখ বলেছেন, যুক্তরাজ্য তার ভয়ংকর অভ্যন্তরীণ নীতি এবং রাজনীতির মাধ্যমে সর্বজনীন মানবাধিকারের ধারণাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থী ও অন্য অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। দেশটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি এবং বৈশ্বিক বিপজ্জনক সময়ে মানবাধিকার সুরক্ষা লঙ্ঘন করেছে। ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে জাতিসংঘের ব্যর্থতার জন্য লন্ডনের ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে অধিকার সংগঠনটির প্রধান বলেন, কোনো সন্দেহ নেই, গাজায় বেসামরিকদের হত্যা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য ইতিহাস যুক্তরাজ্যকে খুব কঠোরভাবে বিচার করবে। দেশমুখ বলেন, ইসরায়েলকে যুক্তরাজ্যের নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ ও এ-সংক্রান্ত সরঞ্জাম দেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়
পৃথিবীর কোনো দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয় বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অনেক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরা হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন থাকার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে তা স্বীকার করা হয়নি। বরং দেশটির প্রতিবেদনে অনেক বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিবেদনের অনেক তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত এনজিও এবং অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নেওয়া হয়েছে। চলমান প্রবণতার অংশ হিসেবে বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ লক্ষ্য করা গেছে মার্কিন প্রতিবেদনে। সেহেলী সাবরীন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সরকারবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিষয়টিও প্রতিবেদনে অনুপস্থিত। মার্কিন প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, যে ক্ষেত্রগুলোতে আরও উন্নতি প্রয়োজন, সেগুলো সম্পর্কে আমরা সচেতন। বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে তার টানা মেয়াদে মানবাধিকার পরিস্থিতির অর্থপূর্ণ অগ্রগতির জন্য বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। যে কোনো বিচক্ষণ পর্যবেক্ষক লক্ষ্য করবেন যে এ ধরনের প্রচেষ্টার ফলে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিশুদের অধিকার, বয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকার, শ্রমিকদের অধিকার, অভিযোগ নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। মুখপাত্র বলেন, প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অভিযোগ করা হয়েছে। যেটি সঠিক নয়। প্রতিবেদনটি বিএনপি এবং এর রাজনৈতিক মিত্রদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা ও ভাঙচুরকে প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা প্রায়ই সাধারণ মানুষের জীবনকে ব্যাহত করে এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করে। এত কিছুর পরও বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অত্যন্ত সংযম দেখিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। সেহেলী সাবরীন বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক সংলাপ থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়িয়ে বারবার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অনুরূপ শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন এবং ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি অভিযোগ করা হয়েছে, যেগুলো ইতিমধ্যে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, প্রতিবেদনটি স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং কিছু সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি মূল্যবান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিক প্রতিবেদনটি নোট করেছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সব নাগরিকের মানবাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে কোনো পরিস্থিতিতে কাজ করতে উন্মুখ।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয় : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পৃথিবীর কোনো দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। মুখপাত্র বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অনেক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরা হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেহেলী সাবরীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন থাকার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে তা স্বীকার করা হয়নি। বরং দেশটির প্রতিবেদনে অনেক বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিবেদনের অনেক তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত এনজিও এবং অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নেওয়া হয়েছে। চলমান প্রবণতার অংশ হিসেবে বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ লক্ষ করা গেছে মার্কিন প্রতিবেদনে। সেহেলী সাবরীন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সরকারবিরোধী উপাদানগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিষয়টিও প্রতিবেদনে অনুপস্থিত।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন
বাংলাদেশে ২০২৩ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবছর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  এতে বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন খবর রয়েছে তাদের কাছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, বিধিবহির্ভূত ধরপাকড়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ ছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বড় ধরনের সমস্যা, রাজনৈতিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশে বাধা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, শান্তিপূর্ণ সভা–সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিধিনিষেধের কথাও বলা হয়েছে এতে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার পরিবর্তনের সুযোগ না থাকার কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।  মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি দেওয়ারও অনেক খবর রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন, এমন কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত ও শাস্তি দিতে সরকার গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার বা সরকারি সংস্থা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিধিবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে খবর রয়েছে। সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে মোট কতজন নিহত হয়েছে, সেই সংখ্যা প্রকাশ করেনি, আবার ঘটনাগুলো তদন্তে স্বচ্ছ পদক্ষেপ নেয়নি।  বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিগত বছরের তুলনায় কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আটজনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকাকালে মৃত্যু হওয়ার কথা বলেছে। আরেকটি মানবাধিকার সংগঠন একই সময়ে ১২ জনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার খবর দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। হয়রানি ও প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপের ভয়ে সংবাদমাধ্যমকর্মী ও ব্লগাররা সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্রে চুপ ক‍রতে বাধ্য হোন।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

জেনেভায় আজ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির আওতায় আজ সোমবার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ পর্যালোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার চতুর্থবারের মতো ইউপিআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সভায় অংশ নিতে জেনেভায় অবস্থান করছে। দলে আছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, সমাজ কল্যাণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়/ বিভাগের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। প্রতিনিধিরা গত চার বছরে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরাসহ এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দেবেন। প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতি চার বছর পরপর ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন ও সুপারিশ করে। এর আগে বাংলাদেশ ২০০৯, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে মোট তিনবার ইউপিআর-এ অংশ নেয়। তিনটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ পর্যালোচনা হয়। এগুলো হলো—সরকারের দেওয়া জাতীয় প্রতিবেদন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলোর দেওয়া প্রতিবেদন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন।
১৩ নভেম্বর, ২০২৩

জেনেভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা কাল
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) ওয়ার্কিং গ্রুপ আগামীকাল সোমবার চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। জেনেভায় ওই সভায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রশ্নের জবাব দেবে সরকার। এবারের বৈঠকে অংশ নিতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে জেনেভায় রয়েছে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।  পররাষ্ট্র এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এই পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।  বৈঠকে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত চার বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরবে। পাশাপাশি এ সম্পর্কে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবে। এর আগে, ২০০৯ সালে প্রথমবার, ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে তৃতীয়বার ইউপিআর-এ অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। মূলত তিনটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে— সরকারের দেওয়া জাতীয় প্রতিবেদন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলোর দেওয়া প্রতিবেদন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন। জেনেভায় ইউপিআর রিভিউ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক গত ৬ নভেম্বর শুরু হয়েছে। এই বৈঠক আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এবারের ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে ১৪ দেশের মানবাধিকার পর্যালোচনা করা হবে, এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।  উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতি চার বছর পরপর ইউপিআর অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর গত চার বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে মানবাধিকারসংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশ্ন ও সুপারিশ করে।
১২ নভেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল অ্যামনেস্টি
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শনিবার (১১ নভেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।  বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি চাইতে বলেছে সংগঠনটি।  ১৩ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনায় (ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপআঞ্চলিক পরিচালক লিভিয়া স্যাকার্দি বলেন, চতুর্থ ইউপিআর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের মানবাধিকার, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বিরোধী নেতা, স্বাধীন গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ পদ্ধতিগত আক্রমণের মুখোমুখি।  বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইউপিআরের জন্য অ্যামনেস্টির দেওয়া তথ্যে আগের সুপারিশ বাস্তবায়নের মূল্যায়ন করা হয়েছে। তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন করাসহ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের অধিকার, অন্যান্য মানবাধিকার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়াও নির্বাচনের আগে মানবাধিকারের চর্চা করার জন্য যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে, নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
১২ নভেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশসহ ৪০ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ
বাংলাদেশসহ ৪০ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব দেশে ২২০ ব্যক্তি ও ২৫ প্রতিষ্ঠান সরকার এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠীর লাগাতার হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এসব দেশের ক্ষমতাসীন সরকার ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে এমন আচরণ থেকে বের হয়ে ‘ডু নট হার্ম’ নীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।   বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি) ‘কো অপারেশন উইথ ইউনাইটেড নেশনস, ইট’স রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যান্ড মেকানিজমস ইন দ্য ফিল্ড অব হিউম্যান রাইটস’  শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে এসব দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টটি নিয়ে জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে আলোচনা চলছে। এ সেশনটি আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।  রিপোর্টটিতে  ২০২২ সালেরর ১ মে থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্র ও ক্ষমতাবানদের উৎপীড়নের শিকার এসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সবাই মানবাধিকার তৎপরতা ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, চীন, আলজেরিয়া, আফগানিস্তান, এন্ডোরা, বাহরাইন, বেলারুশ বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, কলোম্বিয়া, কিউবা, কঙ্গো, জিবুতি, মিসর, ফ্রান্স, গুয়েতেমালা, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইসরায়েল, সৌদি আরব, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নিকারাগুয়া, ফিলিপাইন, কাতার, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান, তানজেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ভেনেজুয়েলা, ইয়েমন ও ফিলিস্তিন।  This year's report of the Secretary-General on intimidation and reprisals for cooperation with the @UN includes 40 countries in all regions. "14 are current members of this [Human Rights] Council," @UNHumanRights Assistant Secretary-General Ilze Brands Kehris told #HRC54 pic.twitter.com/h8khb1bB1A — United Nations Human Rights Council | #HRC54 (@UN_HRC) September 28, 2023 রিপোর্ট প্রসঙ্গে সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব একটি বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতিসংঘ সব রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধমূলক তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভিন্নমত পোষণকারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উৎপীড়নের ব্যাপারে জাতিসংঘ জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চল। আলাপ আলোচনা ও সংলাপের ভিত্তিতে যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।  মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে আরও গণতান্ত্রিক করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রতিশোধমূলক মামলাগুলির প্রতি নিজেদের প্রতিক্রিয়া আরও জোরদার করব। বার্ষিক প্রতিবেদনে এ ধরনের ঘটনা শনাক্ত ও নথিপত্র উপস্থাপনে আমাদের প্রয়াস আরও অব্যাহত থাকবে।  এর আগে বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচআরসির প্রধান ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ইলজে ব্র্যান্ডস কেহরিস বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে তারা উৎপীড়নের শিকার ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর সঠিক সংখ্যা তুলে আনতে পারেননি। বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
০৩ অক্টোবর, ২০২৩
X