দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল
পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে দুপুরে দেশে ফিরেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বুধবার (৮ মে) বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে জেদ্দা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান বলে জানান মহাসচিবেরে একান্ত সহকারী ইউনুস আলী। তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করে দুপুর সাড়ে ১২টায় স্যার ও ম্যাডাম (রাহাত আরা বেগম) ঢাকায় ফিরেছেন। প্রসঙ্গত, গত ২ মে পবিত্র ওমরাহ পালনে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সৌদি আরব যান। প্রথমে বিএনপি মদিনায় মহানগর হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। গত ৫ মে মক্কায় এসে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন তারা।  ওমরাহ পালনকালে বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাকর্মীরা জন্য দোয়া করেছেন বিএনপির মহাসচিব।
০৮ মে, ২০২৪

ওমরাহ পালন করেছেন ফখরুল দম্পতি
সস্ত্রীক ওমরাহ পালন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৪ মে) এশার নামাজের পরে বিএনপি মহাসচিব ও তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম ওমরাহ পালন করেছেন। রোববার (৫ মে) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মহাসচিব স্যার শনিবার এশার নামাজের পর ওমরাহ পালন করেন। ওমরাহ পালনের যেসব আনুষ্ঠানিকতা আছে যেমন তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়ায় সাই করা প্রভৃতি কাজ সম্পন্ন করেছেন। মসজিদুল হারাম বা হারাম শরিফে ওনারা নামাজ আদায় করেছেন। মহাসচিব মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে দোয়া করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীরা জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে রহমত চেয়ে দোয়া করেছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জানান, এখন (রোববার, ৫ মে) ওনারা মক্কায় আছেন। ওনারা মক্কায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানসমূহ যেমন, আরাফাত ময়দান, মিনা-মুজদালিফা, মোকামে ইব্রাহিম, জাবালে সাওর, জাবালে রহমত, জাবালে নূর, জমজম কূপ, মসজিদে নামিরা, মক্কা জাদুঘর, জান্নাতুল মোয়াল্লা প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থানে যাবেন। এরপর আগামীকাল (সোমবার) মক্কা থেকে জেদ্দা যাবেন। আগামী ৮ মে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগে শনিবার মাগরিবের নামাজের পরে বিএনপি মহাসচিব সস্ত্রীক মদিনা থেকে মক্কায় পৌঁছান। গত ২ মে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ বিমানে মদিনা পৌঁছান। মদিনা পৌঁছে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শুক্রবার মসজিদে নববীতে জুমার নামাজ আদায় করেন বিএনপি মহাসচিব। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পরদিনই মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উভয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও অসুস্থ। কারাগার থেকে মুক্তির পর ৪ মার্চ তারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। ২০১৫ সালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে থাকাকালীন অভ্যন্তরীণ ক্যারোটিড ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে। সেবারও কারাগার থেকে মুক্তির পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।
০৫ মে, ২০২৪

ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল
পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী। তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন। আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর দিনই মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপির মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উভয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও অসুস্থ। কারাগার থেকে মুক্তির পর ৪ মার্চ তারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। ২০১৫ সালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে থাকাকালীন অভ্যন্তরীণ ক্যারোটিড ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে। সেবারও কারাগার থেকে মুক্তির পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।
০২ মে, ২০২৪

সস্ত্রীক ওমরাহ করতে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
পবিত্র ওমরাহ হজ করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন তারা।   মির্জা ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। স্ত্রীসহ ওমরাহ হজ পালনের সংকল্প করেছেন। ২ মে তারা ঢাকা ত্যাগ করবেন। বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার আগে আন্তর্জাতিক মে দিবস উপলক্ষে পহেলা মে ঢাকায় এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন মির্জা ফখরুল। বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ ও শোভাযাত্রা হবে। বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এর আয়োজন করছে। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারামুক্তির পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৪ মার্চ সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর যান মির্জা ফখরুল। চিকিৎসা শেষে ২৩ মার্চ দেশে ফিরেন তারা। দেশে ফিরেই ২৫ মার্চ নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হন বিএনপি মহাসচিব।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

গোটা দেশটাকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে : মির্জা ফখরুল
বিরোধী নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে গোটা দেশটাকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দলের সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি। বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ; বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসিরের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ এবং রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেনের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন তিনি। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও বেশি মাত্রায় বেপরোয়া, কর্তৃত্ববাদী ও জুলুমবাজ হয়ে উঠেছে। অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল এবং ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর দমনপীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে দখলদার সরকার। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ, মিথ্যা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির, গতকাল (রোববার) কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুরুতর অসুস্থ সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বাদে জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জামিল আহমেদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বিপ্লব, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জেলা যুবদল সভাপতি রায়হান কবির, সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন বুলেট এবং আজ (সোমবার) রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা চলমান আওয়ামী দমনপীড়নেরই ধারাবাহিকতা। তিনি বলেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে গোটা দেশটাকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে। বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন ও সুশাসন উধাও হয়ে গেছে বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে এক সর্বগ্রাসী অরাজকতার ডালপালা বিস্তারলাভ করেছে। আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের দুঃশাসন প্রলম্বিত করতেই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সারা দেশে প্রতিনিয়ত সরকারের মদদে বিরোধী নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসিরসহ উল্লিখিত নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিরোধীদল নিধনে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চলছে : মির্জা ফখরুল
ঢাকায় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ, তিনজনের সন্ধান না দেওয়া এবং মৌলভীবাজারে ১৪জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মদদে এখনো বিরোধী দল নিধনে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভয় পাচ্ছে। তাই অজানা আতঙ্কে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকছে। তবে দখলদার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্রোধান্বিত হয়ে উঠেছে জনগণ, আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন থামবে না। বিবৃতিতে বলা হয়- রোববার গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবু, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান টিপু, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ময়না, ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রবিন, সদস্য মোহাম্মদ সালেহ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত কতৃর্ক জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান), জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরীসহ ১৪জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি রাজধানীর জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব বাবুসহ গাড়ি চালককে গোয়েন্দা পুলিশ কতৃর্ক আটকের পরও অস্বীকার এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ কতৃর্ক গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দেশের বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের অব্যাহত গতিতে গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনি তৈরি করে মামলা দায়ের এখন দখলদার আওয়ামী সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারির ডামি ও একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট এবং ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও বেশি মাত্রায় হিংস্র করে তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ছয়জন নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি উল্লিখিত নেতাদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ংকর অমানবিক কাজ। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের মনুষ্যত্বহীন কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের মদদে এখনো বিরোধীদল নিধনে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। গুম, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো নিষ্ঠুর কাজ অব্যাহত রেখেছে। বিরোধী দলশূন্য না করলে দেশে নব্য বাকশালী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভব নয় বলেই বিরোধী দল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করতেই ধারাবাহিকভাবে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অদৃশ্য করা হচ্ছে। উল্লিখিত নেতাদের গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক আটকের পর অস্বীকারের ঘটনা নিঃসন্দেহে অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অবিলম্বে নেতাকর্মীদের সন্ধান ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমি উপরোল্লিখিত নেতাদের অবিলম্বে জনসম্মুখে হাজির করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ তাদের সরকারের এজেন্সিগুলোই তুলে নিয়ে গেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই আওয়ামী গণবিচ্ছিন্ন সরকারবিরোধী দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আওয়ামী ভয়াবহ দুঃশাসনে সমগ্র দেশটাই এখন জুলুমের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সরকারকে পরাজয় বরণ করতেই হবে : মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকার যতই অত্যাচার-নির্যাতন করুক না কেন, জনগণের কাছে তাদের পরাজয় বরণ করতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে পৃথক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার এবং খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ ৩০ জন নেতাকর্মীকে  কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল।  বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রহসনমূলক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী গোটা দেশকেই এখন ভয়াবহ জুলুমের নগরীতে পরিণত করেছে। পুরো দেশকেই বৃহৎ কারাগারে রূপান্তরিত করেছে। কেবল সাইফুল আলম নিরবই নন, তার মতো হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জামিন লাভের পরও কারাফটক থেকে নিত্যনতুন ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে। আরও বলা হয়, আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার এখন দেশ-বিদেশে ধিকৃত ও সমালোচিত হলেও কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা না করে দেশের জনগণসহ বিরোধী দল ও মতের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-উৎপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। তবে নিষ্ঠুর ও অবৈধ আওয়ামী সরকারকে জনগণের শক্তির কাছে পরাজয় বরণ করতেই হবে। তিনি বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে বাকশালী শাসন কায়েম করেছে।   এ সময় সাইফুল আলম নিরবসহ উপরে উল্লেখিত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বিরোধীদের কারান্তরীণের নির্মম খেলায় মেতেছে সরকার : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭ জানুয়ারি প্রহসনমূলক ও একতরফা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে দখলদার আওয়ামী লীগ। এখন বিরোধীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান এবং আদালতকে দিয়ে জামিন নামঞ্জুর ও কারান্তরীণ করার নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে। দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঘোড়াঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলনের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ এবং অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মীর জামিন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) এক বিবৃতি তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান এবং আদালতকে দিয়ে জামিন নামঞ্জুর ও কারান্তরীণ করার নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার মিলনের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি মো. মোরসালিনসহ ৩ জন, হাজারীবাগ থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ, বিএনপি নেতা সাবের হোসেন, কালাম, হান্নান খান, আবু কাউসার ভূঁইয়া, হুমায়ুন, আনিসুর রহমান শিপলু, সানি ও ইয়াসিন, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, বংশাল থানার ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন সিরাজ, যুগ্ম সম্পাদক সেন্টু আহমেদ সাকি, ৩২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুরুল হক, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মঈন, ৩৩নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি ওমর ফারুক, সহ-সভাপতি রাজু বল্লম রাজু, মো. রকি, ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. বিল্লাল, মো. ফালান, মোহাম্মদ রনি, ৩৫নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মামুন, সাগর, শাওনসহ ২৭ জন বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর ও জেলহাজতে প্রেরণ বর্তমান আওয়ামী ডামি সরকারের চলমান অপকর্মেরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ। মির্জা ফখরুল বলেন, দখলদার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের এ ধরনের জুলুম বন্ধ না হলে দেশ চরম নৈরাজ্যে নিপতিত হবে। আর তাই জনগণ বর্তমান ডামি আওয়ামী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন প্রতিরোধে আন্দোলন-সংগ্রামে আরও বেশি বলীয়ান হয়ে উঠেছে। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

নব্য বাকশাল কায়েম করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আওয়ামী জুলুমেরই আরেকটি বর্ধিত প্রকাশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।   মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহযুববিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে অব্যাহতভাবে। সারা দেশে প্রতিনিয়ত সরকারের মদদে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ করার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের সাজা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন না মঞ্জুর করে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০ এপ্রিল, ২০২৪
X