ট্রাক থেকে মুরগি নামালেই চাঁদা দিতে হয় : সাঈদ খোকন
ঢাকা শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।  সোমবার (১৩ মে) পুরান ঢাকার ওয়ারীর নরেন্দ্রনাথ বাসক লেনে ৮০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে। কাঁচাবাজারে টোলের নামে চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, কাঁচাবাজার কেন্দ্রিক টোল আদায়ের নামে যে চাঁদাবাজিটা হয়, এই চাঁদাবাজি আমাদের পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের একটা ছোট সংসারে বাসা ভাড়া দেওয়ার পর হাতে কতটুকুই টাকা থাকে। এ দিয়ে একটা সীমিত আয়ের সংসার চালাতে হয়।  তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মুরগি-সবজি ট্রাক থেকে নামালে টাকা দিতে হয়, উঠালে টাকা দিতে হয়, বিক্রি করলে টাকা দিতে হয়, বাড়িতে নিয়ে গেলেও টাকা দিতে হয়, সবখানে টাকা দিতে হয়। এসব কাজ করে আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন এবং সুনাম ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিটি কথাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইন হিসেবে মেনে কাজ করেন। শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা শোভনীয় নয়। আমাদের কিছু কাজ-কারবার, আমাদের কিছু কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। গরিবের কষ্ট লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রী চাল-ডাল ইত্যাদি দিয়েই যাচ্ছেন, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। আমাদের অর্জন রয়েছে, আমাদের চেষ্টা রয়েছে। কিছু দুষ্টুলোকের কাজের কারণে আমাদের চেষ্টাগুলো ম্লান হয়ে যায়। চেষ্টাগুলো মলিন হয়ে যায়।  এ সময় মঞ্চে উপস্থিত পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে সাঈদ খোকন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। আমরা গরিবের কষ্ট দেখতে চাই না। শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দিন নেই রাত নেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এই অবস্থা দেখার জন্য নয়। এই অরাজকতা হতে দেওয়া যায় না। খুব দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে, কোনোভাবেই এটা চলতে দেওয়া যাবে না। যেসব কাজে মানুষের কষ্ট হয় সে কাজ শেখ হাসিনা কখনোই মেনে নেবেন না। যারা এই কাজ করছেন তারা যদি আওয়ামী লীগের পরিচয় দেন তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের কাতারে আসুন। মানুষের সেবা করুন, আমাদের সঙ্গে আসুন, আমাদের পাশে থাকুন।
১৩ মে, ২০২৪

রান্না ভালো না হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বামী
ভালো করে মুরগির মাংস রান্না করতে না পারায় বহুতল ভবনের জানালা দিয়ে  স্ত্রীকে নিচে ফেলে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী। আর স্ত্রীকে ফেলে দেওয়ার সেই মুহূর্ত রেকর্ড হয়েছেন সিসি ক্যামেরায়। এমন ঘটনায় সিসি ক্যামেরার রেকর্ডেট ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিচিত্র এ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোরে। গত ৯ মার্চ লাহোরের নোনারিয়ান চকের শালিমার রোডের কাছের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ৩০ মার্চ ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হলে এটি ভাইরাল হয়ে যায়।  নির্মমতার শিকার ওই মহিলার নাম মরিয়ম। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঘটনার মূলহোতা স্বামী মোহাম্মদ জোবাইর ও জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরপরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামিসহ পরিবারের কয়েক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লাহোর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মরিয়মের স্বামী মোহাম্মদ জোবাইর, শাশুড়ি সায়মা এবং দেবর ওয়াইসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় নিজেরা বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছে পুলিশ।  ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়- একটি গলি দিয়ে পথচারীদের সামনে হঠাৎই একজন নারী একটি ভবনের ওপর থেকে নিচের রাস্তায় পড়েন। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করেন ওই মহিলা। তার চিৎকার শুনে পথচারীরা এগিয়ে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করেন। পুরো ঘটনাটিই সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।  Shocking incident from Lahore Pakistan: A woman was thrown out of a window by her husband Shahbaz, brother-in-law Roman, and mother-in-law Shazia, for not spicing the chicken properly. Incident is from March 9, 2024. One of the main accused was arrested.https://t.co/CyXeOIt1KL pic.twitter.com/YAIvnT3QL1 — Diksha Kandpal (@DikshaKandpal8) March 30, 2024 জানা যায়, মুরগির মাংস ঠিকমতো রান্না না করতে পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই নারীকে মারধর করে। এরপর স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর মিলে ওই নারীকে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। বিশেষ করে তার দুই পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায়ই মরিয়মের সঙ্গে ঝগড়া এবং তার ওপর হাত তুলতেন তার স্বামী। 
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

রেসিপি / মধু সরিষার মুরগি
উপকরণ: এক কেজি মুরগির মাংস, আধ কাপ মধু, আধ কাপ সাদা ও কালো সরষে বাটা, দুই চামচ কর্নস্টার্চ, গোলমরিচ গুঁড়া, ধনেপাতা কুচি, তিল পরিমাণমতো, তেল ও পরিমাণমতো লবণ। পদ্ধতি: একটা পাত্রে কর্নস্টার্চ গুলে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করে দিন মুরগির মাংস, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়া। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। মাংস ভালো করে সিদ্ধ করুন। একটি পাত্রে মধু ও সরষে বাটা ভালো করে মিশিয়ে সসের মতো বানান। বেশি ঝালও হবে না, আবার মিষ্টিও হবে না। মধু ও সরিষা বাটা সমান হতে হবে। এ মিশ্রণ মাংসের মধ্যে ঢেলে দিন। ভালো করে মেশান। নাড়াচাড়া করার পর গুলে রাখা কর্নস্টার্চ দিন। আরও একটু নেড়েচেড়ে চুলা বন্ধ করে দিন। ওপরে তিল আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন।
৩০ মার্চ, ২০২৪

নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’
বাংলাদেশি গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’ সাড়া ফেলেছে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায়। খেতে দেশি মুরগির মতোই স্বাদ হওয়ায় বাড়ছে বাউ চিকেনের চাহিদা। গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক খামারও। নতুন জাতের এই মুরগি পালন করে বাজিমাত করেছেন নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার প্রান্তিক খামারি ফেরদৌসী, রিমা, রেনুকা, শামিমা, রোকেয়া বেগমের মতো অনেকেই। তাদের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অনেকেই।   দেশি মুরগির দাম খুবই চড়া। অনেকেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কয়েক বছর আগে ‘বাউ চিকেন’ নামে নতুন একটি মুরগির জাত উদ্ভাবন করেন। এ মুরগির মাংসের স্বাদ অনেকটা দেশি মুরগির মতোই। দেশীয় জলবায়ুর সঙ্গে মানানসই বাউ চিকেন পালন করে সাড়া ফেলেছেন বদলগাছি উপজেলার কোমারপুর গ্রামের খামারি রেনুকা বেগম। চাহিদা বেশি থাকায় তার ব্যবসায় মুনাফাও হচ্ছে বেশ। বাউ চিকেন খামারি রেনুকা বেগম বলেন, ৪৫ দিনে এই মুরগি ৯০০ থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজন হয়। লাভও বেশি, দেশি মুরগির স্বাদ আর এই বাউ মুরগির স্বাদ একই রকম। রেনুকা বেগম জানান, বয়লার, সোনালি কিংবা পাকিস্তানি জাতের চেয়ে এই মুরগিতে রোগবালাই কম। ওষুধ তেমন একটা লাগে না, রোগবালাই দেশি মুরগির মতোই। তাদের এলাকার আরও প্রায় ১৫ খামারিরা ইতোমধ্যে বাউ চিকেনের খামার গড়ে তুলেছেন।  এলাকাবাসী আলতাফ হোসেন জানান, এই জাতের মুরগি পুষে আমরা লাভবান হয়েছি। সরকারের পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাউ চিকেন পালনে খামারিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমী। পাশাপাশি পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগও।   মৌসুমির প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুর হোসেন বলেন, ‘ব্রাউ ব্রো বা বাউ মুরগি পালন করে আমার উপজেলায় অনেকই লাভের মুখ দেখেছে। ব্রয়লার মুরগি অনেকের কাছেই অপছন্দের, সেখানে বাউ মুরগি তাদের কাছে খুবই পছন্দের মুরগি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। খেতেও দেশি মুরগির মতো স্বাদ। আমি নিজেও অনেক খামার পরিদর্শন করেছি। এ মুরগিতে রোগবালাই খুবই কম হয়ে থাকে। উন্নত এ মুরগির জাতকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাব।’ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তালেব বলেন, ‘বাউ ব্রো জাতের মুরগি খেতে সুস্বাদু, মৃত্যুহার কম, উৎপাদন বেশি হওয়ারর কারণেই খামারি ও ভোক্তা পর্যায়ে এর চাহিদাও অনেক। আমরা চাই এ মুরগি যেন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।’  এই ক্ষেত্রে স্থানীয় এনজিও মৌসুমি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পরামর্শ প্রদান করছে। দেশি মুরগির চেয়ে বাউ চিকেনের দাম কিছুটা কম। নতুন জাতের এ মুরগি জেলার মাংসের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৯ মার্চ, ২০২৪

অর্ধেক দামে মুরগি পেয়ে খুশি ১ হাজার পরিবার
সব দায়িত্ব রাষ্ট্রের নয়, কিছু আপনার, কিছু আমার এই স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অর্ধেক দামে মুরগি বিক্রি করেছে বিএন্ডএফ কেয়ার। প্রায় এক হাজারের অধিক জনসাধারণ এ মুরগি পেয়ে খুশি ।  শনিবার (২৩ মার্চ) পৌর সদরের মুনস্টার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ইউএনও কে এম রফিকুল ইসলাম। সীতাকুণ্ডের সন্তান যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মহিউদ্দিন বহদ্দা চৌধুরীর চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান বিএন্ডএফ কেয়ারের পক্ষ থেকে এ মুরগি অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করা হয়। ইউএনও বলেন, বিএন্ডএফ কেয়ারের মতো যদি সমাজের বিত্তবানরা সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তাহলে সমাজের অসহায় ও দরিদ্রদের কষ্ট দুর্দশা অনেকটা লাঘব হবে। এ সময় সুবিধাভোগীরা বলেন, অর্ধেক দামে মুরগি পেয়ে তারা অনেকটা খুশি।  বিএন্ডএফ কেয়ারের প্রধান সমন্বয়ক মো. আশ্রাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, গতবারও বিএন্ডএফ কেয়ারের উদ্যোগে এক হাজার পরিবারকে দশ টন চাউল, মুরগি ও ডিম বিতরণ করেছি। বিএন্ডএফ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন বহদ্দার চৌধুরী মা বাবার আত্মার মাগফেরাত ও পরিবারের দুনিয়াবী শান্তি ও পরকালের মুক্তির জন্য এসব মানবিক কাজ করে থাকেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, বিএন্ডএফ কর্পোরেটের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাহেদ ইকবাল রিফাত প্রমুখ। 
২৪ মার্চ, ২০২৪

বিচিত্র / মুরগি খুঁজতে গিয়ে যে প্রাচীন নগরীর সন্ধান মিলেছিল
আমরা পৃথিবীর যে ভূপৃষ্ঠে বাস করি এর নিচে বহু রহস্য ও বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন কারণে সেগুলোর প্রকাশ হয়। তেমনই তুরস্কের এক ব্যক্তি তার হারানো মুরগি খুঁজতে গিয়ে সন্ধান পান হাজার বছরের পুরোনো ভূগর্ভস্থ এক নগরীর, যা সম্প্রতি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা পাওয়ায় ফের আলোচনায় এসেছে। এ নগরী তুরস্কের দেরিঙ্কুইউতে অবস্থিত। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৮০ ফুট নিচে। ১৯২০-এর দশকে এটি পরিত্যক্ত হওয়ার আগে হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হতো। ১৯৬৩ সালে এক ব্যক্তির মুরগি হারিয়ে যায়। তিনি খুঁজতে গিয়ে দেখেন একটি গর্ত। অনুসন্ধানে তিনি দেখতে পান ভূগর্ভস্থ বিশাল দেয়াল, যা প্রাচীন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মার্বেলে তৈরি। যুদ্ধ বা শত্রুদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে সেখানে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বাস করতে পারত। দেরিঙ্কুইউ ভূগর্ভস্থ শহরের গোড়াপত্তন হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ অব্দে। তখন প্রাচীন আনাতোলিয়ান জাতি হিট্টাইটসরা আশ্রয় পেতে নরম আগ্নেয়গিরির এ শিলায় গুহা তৈরি করেন। ১৯২৩ সালে আনাতোলির খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠী এলাকাটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে ৬৩ সাল পর্যন্ত এটি পরিত্যক্ত ছিল। যাই হোক বর্তমানে এটি জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সূত্র: নিউজএইটিন
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বই পড়ে উদ্বুদ্ধ, বিদেশি মুরগি পালনে সফল অনিক
কৃষিশিক্ষা বই পড়ে বিদেশি জাতের মুরগি পালন করে আর্থিক সংকট ঘুচিয়ে চাঁদপুরের হাইমচরে নিজের ভাগ্য বদলেছেন অনিক মহাজন অন্তর। নিজের জমানো টাকায় কেনা ৬টি মুরগি থেকে তার সংগ্রহে এখন রয়েছে ৬ শতাধিক বিদেশি মুরগি। স্থানীয় পর্যায়ে ডিম ও মাংসের চাহিদা মিটিয়ে তিনি বিক্রি করছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও। অনিক এইচএসসি পাস করে স্নাতকে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।  সরেজমিনে দেখা যায়, ৪ শতাংশ জায়গাজুড়ে বিদেশি জাতের মুরগি পালন করছেন অনিক। তার সংগ্রহে ইউরোপিয়ান সিল্কি, বাফ পলিশ ক্যপ, ইয়োকমা, সিলভার টেল বেন্থাম, বাফ বেন্থাম, জাপানিজ রেড মলটেড বেন্থাম, কলেম্বিয়ান লাইট ব্রাহামা, কলেম্বিয়ান বাফ ব্রাহামা, রেড মিলি, ফিজেল সিল্কি, মালয়েশিয়ায়ন সেরামা, মিশরীয় ফাওমি প্রজাতির মুরগিও রয়েছে। মুরগিগুলো ছোট থেকে বড় হয়ে যাওয়ার পর অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তিনি এগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছেন। হাইমচর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, উপজেলায় কক, লেয়ার ও ব্রয়লার জাতের মুরগিই বেশি পালন হয়। সব মিলিয়ে বছরে পোল্ট্রি মুরগি থেকে প্রায় ০.১২ লাখ টন মাংস ও ডিমের চাহিদা অর্জিত হচ্ছে। উৎসাহ বাড়াতে হাইমচরে ৩০ জন নিবন্ধিত পোল্ট্রি খামারিকে আর্থিক সহায়তাও করা হয়েছে। অনিক বলেন, স্কুলজীবনে অষ্টম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা বই পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের জমানো টাকায় মাত্র ৬টি বহুজাতিক মুরগি কিনে পালন শুরু করি। এরপর মুরগির বাচ্চা ফুটিয়ে নিজের হাতে ভ্যাকসিনসহ সকল উপকরণ প্রয়োগের মাধ্যমে বাচ্চা বড় করতে থাকি। বর্তমানে আমার সংগ্রহে ৬ শতাধিক মুরগি রয়েছে। যা আমি অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছি। এমনকি মুরগির বিষ্টাগুলোও আমি চাষাবাদের কাজে লাগাচ্ছি। মুরগির খাবারের মূল্য বৃদ্ধিতে খুব বিপাকে রয়েছি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমার মুরগি পালন দেখতে আসায় আমারও ভালো লাগে। আমি আরও এগিয়ে যেতে সংশ্লিষ্টদের থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। এসব বিষয়ে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাকসুদ আলম বলেন, আমরা সবসময়ই সহযোগিতা নিয়ে পোল্ট্রি খামারিদের পাশে রয়েছি। গেল কয়েক মাসে ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৯০ জন পোল্ট্রি খামারিকে প্রণোদনা প্রদানসহ সময়মতো টিকা প্রদান, কৃমিনাশক ওষুধ বিতরণ ও বিভিন্ন ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা পরামর্শ এবং হাসপাতালে আগত খামারিদের পোল্ট্রি মুরগির রোগ অনুসন্ধান করে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করছি। তিনি আরও বলেন, অনিকের মতো উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে আমরা তাদের নিয়ে নানা সময়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করি। যেখানে মুরগির ফাউল, টাইফয়েড, কলেরা, ব্রংকাইটিস  রোগ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এতে করে উদ্যোক্তারা সময়মতো মুরগিকে টিকা প্রদান, কোয়ারেন্টাইনে রাখা, জীবাণুনাশক দিয়ে খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, অসুস্থ অবস্থায় টিকা ব্যবহার না করা, হাতুড়ি ডাক্তারের পরামর্শ না নেওয়াসহ যাবতীয় বিষয় বলছি। একইসঙ্গে আর্থিক সংকট কাটাতে ঋণ সুবিধা সম্পর্কিত পরামর্শও দিয়ে আসছি।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চাকরি খুঁজে ব্যর্থ, মুরগির পালনে স্বাবলম্বী
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে স্বল্প পুঁজিতে সোনালি মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শফিকুল ইসলাম রিংকু। মাত্র এক হাজার মুরগি থেকে প্রতি দুই মাসে তিনি আয় করছেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তিনি জানান, এক সময় তিনি চাকরি খোঁজার পেছনে ছুটেছেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে মুরগির খামার করেন। বর্তমানে তার আয়ে তিনি খুশি।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মতলব পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য কলাদী এলাকায় শফিকুলের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। এ সময় তিনি তার খামার ঘুরিয়ে দেখান। স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগেও চাকরির জন্য শফিকুল ইসলাম এদিক-সেদিক দৌড়ঝাঁপ দিয়েছেন। পরে উপায় না পেয়ে জীবিকার তাগিদে স্বল্প পুঁজি নিয়েই সোনালি মুরগির এই খামারটি গড়ে তোলেন। এখন তার সফলতা দেখে এলাকার অন্য যুবকরাও সোনালি মুরগির খামার করতে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে খামারের উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম রিংকু বলেন, আমার বাড়ির পরিত্যক্ত ২ শতাংশ জায়গায় এই খামারটি গড়ে তুলেছি। যেখানে সব মিলিয়ে আমার প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন আমি এখানে প্রতি দুই মাসে এক হাজার করে সোনালি মুরগির বাচ্চা বড় করি। পরে নির্দিষ্ট দোকানিরা এখান থেকে মুরগি নিয়ে যায়। বাজারে মুরগির খাদ্যের দাম বাড়লেও সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি ব্যাচে আমার প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভ থেকে যায়। শফিকুল ইসলাম রিংকু আরও বলেন, আমার উপার্জিত আয় দিয়ে দুই মেয়ে ও এক ছেলের লেখাপড়াসহ বেশ ভালো আছি। আমি মনে করি কোনো কাজই ছোট না। পরিশ্রম ও আগ্রহ থাকলে চাকরির পেছনে না ঘুরে যে কোনোভাবে উদ্যোক্তা হয়েও স্বাবলম্বী হওয়া যায়। আমি একদিনের বাচ্চা কিনে ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজন হলেই বিক্রি করে দিচ্ছি। এলাকার অন্য যুবকরা খামারি হতে আগ্রহ দেখালে তাদেরও পরামর্শ সহায়তা করছি। আমি যাতে ব্যবসা আরও বাড়াতে পারি সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

কম দামে ডিম মুরগি পাবেন ভোক্তারা
কম দামে ডিম-মুরগি সরবরাহের উদ্দেশ্যে রাজধানীর শনির আখড়ার গোবিন্দপুর বাজারে যাত্রা শুরু করেছে প্রান্তিক খামারিদের পাইকারি দোকান। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) উদ্যোগে এ আড়ত উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিউজ্জামান। এ সময় বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, উৎপাদক থেকে ভোক্তা—নানা স্তরে হাতবদলের কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। আবার কখনো কখনো মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাজারে সিন্ডিকেট হয়ে পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এখন এই আড়তের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখানে ক্রেতারাও কম দামে পণ্য পাবেন। খামারিরাও ভালো দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। শফিউজ্জামান বলেন, এমন ব্যবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় করা গেলে বাজারে সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে। সাধারণ মানুষ কম দামে পণ্য পাবে। বিপিএ সভাপতি বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীর খামারিদের কাছ থেকে আমরা পণ্য সংগ্রহ করব। এখন খামারিরা ৯ টাকা ৪০ বা ৫০ পয়সায় ডিম সরবরাহ করবেন, আড়ত থেকে যা ১০ টাকায় বিক্রি হবে। অন্যদিকে খামারিদের থেকে যে দরে ব্রয়লার মুরগির কেজি কেনা হবে, তা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে ১২ থেকে ১৩ টাকা বেশি দামে। মূলত পরিবহন ও শ্রমিক খরচ সমন্বয়ে এই বাড়তি টাকা যোগ করা হবে। তিনি কালবেলাকে বলেন, ডিম-মুরগির পাইকারি আড়তের মাধ্যমে আমরা বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে চেষ্টা করছি। তাহলে এই খামারজাত পণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরবে। সারা দেশে বিপিএর কমিটি রয়েছে। প্রয়োজনে সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এই পাইকারি দোকান করা হবে। এ ছাড়া ঢাকার ১০ স্থানে পাইকারি দোকান করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের অনুমতি পেলে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X