বিকাশ চন্দ্র প্রামানিক, নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৫২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’

বাংলাদেশি গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশি গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশি গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’ সাড়া ফেলেছে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায়। খেতে দেশি মুরগির মতোই স্বাদ হওয়ায় বাড়ছে বাউ চিকেনের চাহিদা। গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক খামারও। নতুন জাতের এই মুরগি পালন করে বাজিমাত করেছেন নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার প্রান্তিক খামারি ফেরদৌসী, রিমা, রেনুকা, শামিমা, রোকেয়া বেগমের মতো অনেকেই। তাদের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অনেকেই।

দেশি মুরগির দাম খুবই চড়া। অনেকেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কয়েক বছর আগে ‘বাউ চিকেন’ নামে নতুন একটি মুরগির জাত উদ্ভাবন করেন। এ মুরগির মাংসের স্বাদ অনেকটা দেশি মুরগির মতোই। দেশীয় জলবায়ুর সঙ্গে মানানসই বাউ চিকেন পালন করে সাড়া ফেলেছেন বদলগাছি উপজেলার কোমারপুর গ্রামের খামারি রেনুকা বেগম। চাহিদা বেশি থাকায় তার ব্যবসায় মুনাফাও হচ্ছে বেশ।

বাউ চিকেন খামারি রেনুকা বেগম বলেন, ৪৫ দিনে এই মুরগি ৯০০ থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজন হয়। লাভও বেশি, দেশি মুরগির স্বাদ আর এই বাউ মুরগির স্বাদ একই রকম।

রেনুকা বেগম জানান, বয়লার, সোনালি কিংবা পাকিস্তানি জাতের চেয়ে এই মুরগিতে রোগবালাই কম। ওষুধ তেমন একটা লাগে না, রোগবালাই দেশি মুরগির মতোই। তাদের এলাকার আরও প্রায় ১৫ খামারিরা ইতোমধ্যে বাউ চিকেনের খামার গড়ে তুলেছেন।

এলাকাবাসী আলতাফ হোসেন জানান, এই জাতের মুরগি পুষে আমরা লাভবান হয়েছি। সরকারের পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাউ চিকেন পালনে খামারিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমী। পাশাপাশি পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগও।

মৌসুমির প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুর হোসেন বলেন, ‘ব্রাউ ব্রো বা বাউ মুরগি পালন করে আমার উপজেলায় অনেকই লাভের মুখ দেখেছে। ব্রয়লার মুরগি অনেকের কাছেই অপছন্দের, সেখানে বাউ মুরগি তাদের কাছে খুবই পছন্দের মুরগি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। খেতেও দেশি মুরগির মতো স্বাদ। আমি নিজেও অনেক খামার পরিদর্শন করেছি। এ মুরগিতে রোগবালাই খুবই কম হয়ে থাকে। উন্নত এ মুরগির জাতকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাব।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তালেব বলেন, ‘বাউ ব্রো জাতের মুরগি খেতে সুস্বাদু, মৃত্যুহার কম, উৎপাদন বেশি হওয়ারর কারণেই খামারি ও ভোক্তা পর্যায়ে এর চাহিদাও অনেক। আমরা চাই এ মুরগি যেন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।’

এই ক্ষেত্রে স্থানীয় এনজিও মৌসুমি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পরামর্শ প্রদান করছে। দেশি মুরগির চেয়ে বাউ চিকেনের দাম কিছুটা কম। নতুন জাতের এ মুরগি জেলার মাংসের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তিন ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

নানা কর্মসূচিতে শেখ জামালের জন্মদিন পালিত

আবারও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল ঢাকা আহছানিয়া মিশন

ছাত্রলীগ নেতা হত্যা / স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কসহ ৩ নেতাকে বহিষ্কার

টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা / ১৮ মাস পর আবার জাতীয় দলে সাইফউদ্দিন

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প

রমজান বাহিনীর হাতে জিম্মি তিস্তা চরের মানুষ

ছবি এডিট করে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করত তারা

একীভূত হতে এবার আপত্তি ন্যাশনাল ব্যাংকের

হবিগঞ্জে শিলাবৃষ্টি, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১০

ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা

১১

তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১৮ শিক্ষার্থী

১২

মোস্তাফিজকে একাদশে নিয়েই ব্যাটিংয়ে চেন্নাই

১৩

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ধ্বংসের জন্য সরকার দায়ী : এবি পার্টি

১৪

নিয়োগ দিচ্ছে র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স, আবেদন করুন শুধু পুরুষরা

১৫

সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা মামলা থেকে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের অব্যাহতি

১৬

ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক

১৭

ইসরায়েল-পাকিস্তান সম্পর্কের আশা যেভাবে নষ্ট হলো

১৮

নর্দান ইউনিভার্সিটিতে সপ্তাহব্যাপী ‘বিজনেজ ফেস্টিভাল’-এর উদ্বোধন

১৯

টেন্ডার ছাড়াই হাসপাতালের রড বিক্রি করলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

২০
*/ ?>
X