চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে স্বল্প পুঁজিতে সোনালি মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শফিকুল ইসলাম রিংকু। মাত্র এক হাজার মুরগি থেকে প্রতি দুই মাসে তিনি আয় করছেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তিনি জানান, এক সময় তিনি চাকরি খোঁজার পেছনে ছুটেছেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে মুরগির খামার করেন। বর্তমানে তার আয়ে তিনি খুশি।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মতলব পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য কলাদী এলাকায় শফিকুলের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। এ সময় তিনি তার খামার ঘুরিয়ে দেখান।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগেও চাকরির জন্য শফিকুল ইসলাম এদিক-সেদিক দৌড়ঝাঁপ দিয়েছেন। পরে উপায় না পেয়ে জীবিকার তাগিদে স্বল্প পুঁজি নিয়েই সোনালি মুরগির এই খামারটি গড়ে তোলেন। এখন তার সফলতা দেখে এলাকার অন্য যুবকরাও সোনালি মুরগির খামার করতে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে খামারের উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম রিংকু বলেন, আমার বাড়ির পরিত্যক্ত ২ শতাংশ জায়গায় এই খামারটি গড়ে তুলেছি। যেখানে সব মিলিয়ে আমার প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন আমি এখানে প্রতি দুই মাসে এক হাজার করে সোনালি মুরগির বাচ্চা বড় করি। পরে নির্দিষ্ট দোকানিরা এখান থেকে মুরগি নিয়ে যায়। বাজারে মুরগির খাদ্যের দাম বাড়লেও সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি ব্যাচে আমার প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভ থেকে যায়।
শফিকুল ইসলাম রিংকু আরও বলেন, আমার উপার্জিত আয় দিয়ে দুই মেয়ে ও এক ছেলের লেখাপড়াসহ বেশ ভালো আছি। আমি মনে করি কোনো কাজই ছোট না। পরিশ্রম ও আগ্রহ থাকলে চাকরির পেছনে না ঘুরে যে কোনোভাবে উদ্যোক্তা হয়েও স্বাবলম্বী হওয়া যায়। আমি একদিনের বাচ্চা কিনে ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজন হলেই বিক্রি করে দিচ্ছি। এলাকার অন্য যুবকরা খামারি হতে আগ্রহ দেখালে তাদেরও পরামর্শ সহায়তা করছি। আমি যাতে ব্যবসা আরও বাড়াতে পারি সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
মন্তব্য করুন