রাতে মোজা পরে ঘুমালে যেসব ক্ষতি হতে পারে
শীতকাল চলছে। এ সময় ঠান্ডা লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে উপায় হলো গরম কাপর। যেহেতু হাত ও পায়ে একটু বেশি ঠান্ডা লাগে সেজন্য হাত-পায়ে মোজা পরে থাকে অনেকেই। শীতে পা ঢাকা থাকলে পুরো শরীরই গরম থাকে।  তবে অনেকেই রাতে মোজা পরে ঘুমান। শীতের রাতে অনেকেই পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার ভয়ে মোজা পরেই ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু মোজা পরে ঘুমানো ভালো না কি খারাপ তা জানেন না অনেকেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক মোজা পরে ঘুমালে কি হতে পারে- ১. রক্ত চলাচলে বাধা রাতে মোজা পড়লে পায়ের সঙ্গে লেগে থাকে। এই ক্ষেত্রে রাতের দীর্ঘ একটা সময় আটসাট মোজা পরে ঘুমালে পায়ে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হয়। যা শরীরের জন্য খুব বিপজ্জনক হতে পারে। তবে ঢিলেঢালা মোজা পরে ঘুমানোতে রক্ত সঞ্চালনে কোনো সমস্যা হয় না। ২. সংক্রমণ রাতে মোজা পরলে তা অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে, না থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। মোজা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। আর এই মোজা পরে ঘুমালে ইনফেকশনের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এ ছাড়া নাইলন বা অন্যান্য উপাদান, যা ত্বকের সঙ্গে মানানসই নয়, সেগুলো দিয়ে তৈরি মোজা পরা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। অতএব, এমন মোজা বেছে নিতে হবে, যা ত্বকের সঙ্গে মানানসই। ৩. ঘুমের সমস্যা রাতে মোজা পরার অভ্যাস না থাকলে কিংবা মোজার ‘ইলাস্টিক’ আটসাট হলে তা পরে থাকা অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। আর সেই অস্বস্তি আপনার সারা রাতের ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটাবে। ৪. শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বাতাস চলাচল করতে পারে না এমন কাপড়ের মোজা পরলে তা পায়ে অতিরিক্ত তাপমাত্রা সৃষ্টি করতে পারে। যা পক্ষান্তরে পুরো শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং অতিরিক্ত গরমের কারণ হতে পারে। ৫. পা ঘামা মোজা পরে কম্বল জড়িয়ে ঘুমালে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ফলে পা ঘামতে শুরু করে। এতে করে পায়ের আঙুলের চিপায় ফাঙ্গাস ইনফেকশন হওয়ার ভয় থাকে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

মোজা দিবস আজ
ধারণা করা হয় প্রায় দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো পোশাক মোজা। শুরুতে গুহাবাসীরা পা উষ্ণ রাখতে ছাগলের লোম থেকে মোজা তৈরি করা হতো। সময়ের সাথে নানা বৈচিত্র্য এসেছে এ পোশাকে। নিত্য নৈবিত্তিক জীবনের সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। অবাক করা তথ্য হলো- প্রতি বছর ৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় মোজা দিবস উদযাপন করে থাকে।  জানাযায়, ২০১৬ সালে মোজা দিবস চালু হয়। 'পেয়ার অব থিভস' নামেন এক পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এই দিবসটি চালু করেছিল বলে ডে'জ অব দ্য ইয়ারের আর্টিকেলে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য কেবল দিবসটি উদযাপন প্রচার করা নয়, সদিচ্ছার কথা প্রচার করা ও কিছু অভাবী মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিসটি উপহার দেওয়া। গ্রীষ্মে পা ঘেমে দুর্গন্ধ কিংবা শীতে পায়ের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি দিতে পারে এ মোজা। এছাড়াও খালি জুতার বিরক্তিকর অবস্থা থেকেও মিলে স্বস্থি। তাই দিবসটি উদযাপনের ভালো উপায় হলো এক জোড়া নতুন মোজা কেনা। এজন্য বেছে নিতে পারেন জ্যামিতিক আকারে সজ্জিত উজ্জ্বল রঙের বা কোনো একটি রঙের মোজা। এখন কথা হলো- যদি আপনার পর্যাপ্ত মোজা থেকে থাকে কাউকে আজকের দিনে উপহার দিতে পারেন। এছাড়াও নিয়মিত মোজা পরিবর্তনে দুর্গন্ধ মুক্ত থাকার পাশাপাশি শরীর ভাল থাকবে। উপহার হিসেবেও যে কাররই কাছে এক জোড়া মোজা নতুনত্ব আনবে। 
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

মিনিটে ২১ মোজা খুলে রেকর্ড কুকুরের
জুতার সঙ্গে কিংবা ঘুমোনোর সময় পায়ে মোজা পরা মানুষের প্রাত্যহিক কাজগুলোর একটি। ছোটবেলা থেকেই এ কাজ আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, একটি কুকুরের জন্যও কি বিষয়টি এমন? সহজ উত্তর, না। তবে সম্প্রতি এ কাজে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছে ‘দাইকুইরি’ নামে কানাডার একটি কুকুর। মাত্র ১ মিনিটে ১১ স্বেচ্ছাসেবীর পা থেকে ২১টি মোজা খুলে কুকুরটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউপিআই তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে, অস্ট্রেলিয়ান শেপার্ড ঘরানার কুকুর দাইকুইরি। মালিক জেনিফার ফ্রেজার সেটিকে ইতালিতে নিয়ে আসেন দেশটির এক টেলিভিশন শোতে দক্ষতা দেখাতে। প্রথম চেষ্টায় ১ মিনিটে ২০টি মোজা খুলতে পারে কুকুরটি। আর দ্বিতীয় চেষ্টায় একই সময়ে ২১টি মোজা খুলতে সক্ষম হয়। এতেই দাইকুইরি স্থান পায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। এক মিনিটে সর্বোচ্চ কৌশল প্রদর্শনসহ আরও বেশ কিছু রেকর্ড আছে দাইকুইরি ও এটির মালিক জেনিফারের দখলে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X