শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
ছুটির আগেই ক্যাম্পাস ছাড়ছেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি এখনো ঘোষণা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ঈদের ছুটির আগেই ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন যবিপ্রবিয়ানরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসসমূহ চলবে আরও এক সপ্তাহ।   শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানে পরিবার থেকে দূরে থাকা অনেক কষ্টসাধ্য। সেহরি ও রাতের খাবার বিভিন্ন সময়ে না পাওয়ায় অনেক সময় না খেয়েই রোজা রাখতে হয়েছে, এর মধ্যে আবার ক্লাস টেস্ট, ল্যাব ফাইনালসহ নানান একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তা ছাড়া যাত্রাপথে ভিড় ও হয়রানি এড়াতে অনেক শিক্ষার্থীই আগাম টিকিট কেটে রেখেছেন। সবমিলিয়ে ছুটির আগেই ক্যাম্পাস ছাড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে অগ্রিম ছুটে যাচ্ছেন বাড়ির দিকে। ছুটির আগেই বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সেফা খানম বলেন, পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষের সবথেকে প্রিয় শব্দটি হলো ‘আনন্দ’। কেউবা সুখে থাকলে আনন্দ প্রকাশ করে, কেউবা কোনো আকাঙ্ক্ষার জিনিস পেয়ে গেলে আনন্দ প্রকাশ করে। আবার অনেকে প্রিয় মানুষকে কাছে পেলে আনন্দ প্রকাশ করে আত্মহারা হয়ে যায়। প্রিয়জন শব্দটা বলতেই আমরা বুঝি কাছের মানুষ। আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মানুষ আমার মা-বাবা। মায়ের কোল, বাবার মুখের হাসি একটা অন্যরকম অনুভূতি। এই অনুভূতিকে অনুভব করতে আমরা সবাই ছুটছি প্রিয়জনের কাছে। কতিপয় সুখের খোঁজে, আব্বু, আম্মু, ভাইবোনকে নিয়ে ঈদ উপভোগ করতে।    ক্যাম্পাস থেকে প্রথমবার ঈদে বাড়ি ফেরার অনুভূতি প্রকাশ করে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রকিবুল হাসান বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার আনন্দ-অনুভূতি-আবেগ যেটাই বলি না কেনো লিখে প্রকাশ করা অসম্ভব। এ আনন্দের মাঝে রয়েছে বাড়ি ফেরার প্রবল ব্যাকুলতা। প্রত্যেকেই চাই পরিবারের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো কাটাতে। তবে ছাত্রজীবনে ঈদ ছাড়া দীর্ঘ সময়ের ছুটি পাওয়া বিরল। এ জন্য গুনতে থাকি অপেক্ষার প্রহর কখন বাড়ি পৌঁছাব, কখন মায়ের আঁচল-স্নেহ পাব। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে যাক পুরো পৃথিবীতে।
২৯ মার্চ, ২০২৪

যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের সভাপতি আয়মান, সম্পাদক জেরিন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডিবেট ক্লাবের চতুর্থ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের শিক্ষার্থী আয়মান ফাইয়াজ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাওশিন জাহান জেরিন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।  বুধবার (২০ মার্চ) ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. অভিনু কিবরীয়া ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর ও বিদায়ী কমিটির বিদায়ী সংবর্ধনা ও ক্লাবে যোগদান করা নতুন সদস্যদের বরণ করে নেওয়া হয়। পরে ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। নবনির্বাচিত সভাপতি আয়মান ফাইয়াজ বলেন, আশা করি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা তাদের মেধা ও মননকে আরও উদ্দীপ্ত করে সংগঠনকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। সংগঠনের শুরু থেকেই সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতা আমরা পেয়েছি, আশা করি ভবিষ্যতের পথচলায়ও এই সুনাম আমরা অক্ষুণ্ন রাখতে পারব। সর্বোপরি ক্লাবের সাবেকদের ভালোবাসা ও উপদেষ্টা পরিষদের সবার সমন্বয়ে যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাব সামনের দিকে এগিয়ে যাবে আপন গতিতে। এ বিষয়ে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক নাঈম জামান বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট ক্লাব সুষ্ঠু ও সুন্দর একটি নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করেছে। এই কার্যনির্বাহী পরিষদ তারুণ্যনির্ভর ও অত্যন্ত ভালো হয়েছে। আশা করছি তারা ক্লাবের উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও বৃদ্ধি করবে। চতুর্থ কার্যনিবার্হী পরিষদের নির্বাচনে সহসভাপতি (ডিবেট ও প্রশাসনিক) নির্বাচিত হয়েছেন নিলুফার মারুফ ও ইশতিয়াক কাইয়ুম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (ডিবেট ও প্রশাসনিক) পদে প্রত্যয় হক ও তানহা ইসলাম, অর্থ সম্পাদক সাদেকা শাহানী, সহকারী অর্থ সম্পাদক পারভেজ নাবিউল ইসলাম,অফিস সম্পাদক এশাবা হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব হোসাইন। প্রচার সম্পাদক শাহবাজ আহমেন যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক ফারিয়া বিনতে ফারুক, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন অ্যান্ড ব্রান্ডিং  ফারহানা সুলতানা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আতিকুর রহমান, হিউমেন রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট মো. আশিকুল ইসলাম, করপোরেট অ্যান্ড এক্রটারর্নাল এফেয়ার্স আইয়ান আকিব, ডিবেট অ্যান্ড ওয়ার্কশপ মো. জুবায়েদুর রহমান, হেড অব আইটি সাব্বির হোসাইন বাপ্পি, সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল উইং শাহরিন আফরিন শিপলা, ইংলিশ উইং ফাহমিদ রহমান। এ ছাড়া ইকুইটি প্যানেলে রয়েছে শিহাব উদ্দিন সরকার, জেনি, আবু রাইহ্যান, লামিয়া মাজহার লিনতা, রুখসানা জামান মিয়েল, এক্সিকিউটিভ মেম্বার রাফিদ, রিফাত রায়হান ও অয়ন।
২০ মার্চ, ২০২৪

সালাম না দেওয়ায় ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা মিথ্যা, দাবি যবিপ্রবি ছাত্রলীগের
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগ নেতাকে সালাম না দেওয়ায় এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এর মধ্যে ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে শাখা ছাত্রলীগ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনের  (টিএসসি) দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।   সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ তোলায় প্রতিবাদ জানানো হয়। বলা হয়, দুই বন্ধুর মধ্যে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদীতভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে। সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, সম্প্রতি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স (এফএমবি) বিভাগের মো. মানজুরুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়ে আপনারা জানেন। যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানাসহ  কয়েকজন নেতাকর্মীকে জড়িয়ে শহীদ মসিয়ূর রহমান হল প্রভোস্ট এবং থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে। সেখানে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার সঙ্গে প্রকৃত ঘটনার কোনো মিল নেই। মানজুরুল হাসানকে দিয়ে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতিসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সভাপতি সোহেল রানা তাকে চেনেন না। আর শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার এবং সভাপতিসহ কারও দেখা হয়নি। এখানে সালাম দেওয়া না দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আর ওই ছাত্র লুঙ্গি পরে থাকবে না কি প্যান্ট পরে থাকবে সেটাও তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, ছাত্রলীগের কিছু বিপদগামী নেতাকর্মী  ও অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ও বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নাম খারাপ করছে। আমাকে জড়িয়ে বদনাম দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও এমন বদনাম করার চেষ্টা করা হয়েছে। যে ছেলে আমার নামে থানায় জিডি করেছে তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, কখনও দেখিওনি। রকি নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে মানজুরুলের কোনো বিষয়ে বিরোধ ছিল। পরে জানতে পেরেছি। এই বিষয়টির সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে এ ঘটনাকে পুঁজি করে একটা মহল আমার ও আমার সংগঠনের বদনাম করছে। আমাদের শাখা ছাত্রলীগ থেকে ওই দিনের ঘটনার আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আমার সংগঠনের কেউ দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. নাজমুস সাকিব বলেন, যখন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকরামুল কবির ২০-৩০ জন কর্মীকে নিয়ে সভাপতির রুমে হামলা করে। তখন আমি পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে  শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত হই। আমি এ ঘটনার তদন্ত  ও বিচার দাবি করছি। এদিকে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকরামুল কবির দ্বীপ বলেন, আমিসহ আমার বিভাগের ছোট ভাইয়েরা সভাপতির ৩০৬ নম্বর কক্ষে জানতে গিয়েছিলাম আমার ছোট ভাই মানজুরুলকে কেন মারা হয়েছে? কিন্তু তারা ‘অভিনয়’ শুরু করলে আমি সেখান থেকে চলে আসি। আর নাজমুস সাকিব তো সেখানে ছিলনই না। তাকে হেনস্তা করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. আবির হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মান্নান রিয়াজ ও মোহম্মদ খালেদ মোশাররফ, সদস্য মোহাম্মদ হামিম ফয়সাল আবিদ, রাশেদ হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইছাদ হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী বিপুল শেখ ও মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ছাত্র নির্যাতনের বিচার চেয়ে যবিপ্রবি উপাচার্যকে ঘেরাও
সালাম না দেওয়ায় ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় বিচার চেয়ে মানববন্ধন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ঘেরাও করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা অপরাধীদের দ্রুত বিচারসহ ছয় দফা দাবি জানান। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে পথ ছেড়ে দেন তারা। কর্মসূচি শেষে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল কবীর দ্বীপ স্বাক্ষরিত ছয় দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রদান করা হয়। দাবিগুলো হলো- ছাত্র মাঞ্জুরুল হাসানের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে, আগামী তিন দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও অছাত্রদের হল থেকে বের করতে হবে, ৬ ফেব্রুয়ারি ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণে এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, হলগুলো মাদকমুক্ত রাখতে হবে, হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রত্যেক তলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি সহযোগিতা এবং মামলার সব ব্যয়ভার বহন করতে হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। বহিষ্কৃত ও অছাত্রদের হলে তল্লাশি চালিয়ে বের করে দেওয়া হবে। ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। হলকে মাদকমুক্ত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি এবং হলে কোনো অছাত্র, বহিষ্কৃত ও মাদক বিষয়ে আমাকে ইনফর্ম করলে সরাসরি এসে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। গত শুক্রবার যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সভাপতি সোহেল রানার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এ ঘটনা অস্বীকার করলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ছাড়া শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ও যবিপ্রবি প্রক্টর বরাবর পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এমবিএ চালুসহ ৮ দফা দাবি যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) মোট ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের পাঠ মৃল্যায়ন চালু করা, এমবিএ চালু করা, ২৪ ঘণ্টা  আবাসিক জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ মোট  ৮টি দাবিতে মানববন্ধন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন যশোর যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের নিচে এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে এক শিক্ষার্থীর নাচ প্রদর্শনের সময় প্রায় ২০-২৫টি ডিম নিক্ষেপ করা হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর আঘাত। ডিম নিক্ষেপের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের  সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হব। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ২০২৩ সালে শহীদ মসিয়ুর রহমান হলে ২০১৭-২০১৮ সেশনের স্নাতকোত্তরের সকল শিক্ষার্থীকে এক বছরে দুইবার হল ফি নেওয়া ও একই বছরে মোট তিনবার হল ফি দেওয়ার অযৌক্তিক  নোটিশ দেওয়ার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে। এছাড়াও এমবিএ চালু করা, শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের পাঠ মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুসহ আমাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের পাঠ মূল্যায়ন চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) চালু করা এবং চলতি বছর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট (এমজিটি) বিভাগে এমবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পারফর্ম চলাকালে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা। এ ছাড়া ২০২৩ সালে শহীদ মসিয়ুর রহমান হলে ২০১৭-১৮ সেশনের স্নাতকোত্তরের সব শিক্ষার্থীদের এক বছরে দুইবার হল ফি নেওয়া ও একই বছরে মোট তিনবার হল ফি দেওয়ার অযৌক্তিক  নোটিশ দেওয়ার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের বারতি অর্থ ফেরত দেওয়া, ২৪ ঘণ্টা আবাসিক জরুরি চিকিৎসা সেবা চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়া নিম্নমূল্যে সঠিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার প্রদান করা, বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন ফি'র নামে অযৌক্তিক ফি চলতি বছর থেকে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে ও প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে মৌলিক গানের ব্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট বাজেট নির্ধারণ করা।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

এবার ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জিএসটি গুচ্ছ, নেতৃত্বে যবিপ্রবি
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে জিএসটি গুচ্ছ থেকে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানিয়েছিল তারাও এ বছর গুচ্ছে থাকছে। তাছাড়া এবার জিএসটির ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে আরও নতুন দুই বিশ্ববিদ্যালয়। সে হিসেবে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ইউজিসি ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যরা পৃথক সভার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আর এবারে এ পরীক্ষার নেতৃত্বে থাকবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত কয়েক বছর থেকে এককভাবে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এবারে নতুন নেতৃত্ব পাওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। আগের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হওয়া দুই বিশ্ববিদ্যালয় হলো সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর। জিএসটি গুচ্ছে থাকা আগের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১১টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, বাকি ১১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণ ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ)। ১১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বুধবার
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (যবিপ্রবিশিস) ২০২৪ কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন বুধবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদে যোগ্য প্রার্থীদের নামের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। নির্বাচন কমিশনার ড. মো. হাফিজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শিক্ষক সমিতির  নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শিরিন নিগাার। আর সাধারণ সম্পাদক পদে কম্পিউটার প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল-ইমরান। সহসভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তড়িৎ প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. আমজাদ হোসেন এবং  জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি (জিইবিটি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হাসান। দুজনেই এর আগে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সহসাধারণ সম্পাদক পদে কেমিকৌশল (সিএইচই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রাজেশ কুমার চন্দ ও এনএফটি বিভাগের তানভীর আহম্মেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোষাধ্যাক্ষ পদে ফার্মেসি বিভাগের মো. রশিদুর রহমান ও এআইএস বিভাগের ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ফার্মেসি বিভাগের কিশোর কুমার সরকার ও গণিত বিভাগের ফি ফয়সাল আহমেদ।  এ ছাড়া পাঁচজন সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আল আমিন, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. কিশোর মজুমদার, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের লেকচারার চঞ্চল মোল্যা, ইএসটি বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এম. দেলোয়ার হোসেন, সিডিএম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাফিসা নূয়েরী ইসলাম, পিইএসএস লেকচারার মো. আরমান গাজী ও নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সাইন্স বিভাগের লেকচারার অঞ্জন কুমার রায়।  
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিজয় দিবসে যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের নানা আয়োজন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) প্রদর্শনী বিতর্ক, কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাব। বিজয়ের ৫২ বছর উপলক্ষে প্রতিযোগিতার নামকরণ করা হয় ‘বিজয় ৫২’। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) যবিপ্রবির ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) বিজয়-৫২ প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা ও দ্বিতীয় ধাপে দুপুর সাড়ে ১২টায় উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। বিজয়-৫২ অনুষ্ঠানের তৃতীয় ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘এই সংসদ বাংলাদেশের নতুন শিক্ষাক্রমকে সমর্থন করে’ বিষয়ে এশিয়ান পার্লামেন্টারি প্রদর্শনী বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বিজয়-৫২ কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড টেকনোলজি (এনএফটি) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মজমুল ইসলাম, দ্বিতীয় ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন ও তৃতীয় ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান দিশা। এদিকে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি) বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসাইন, দ্বিতীয় বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের শিক্ষার্থী সুহরাত তাহসিন ও তৃতীয় কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান। প্রদর্শনী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উভয় দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়-৫২ প্রতিযোগিতায় বিচারক ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমই বিভাগের প্রভাষক আসিফ আব্দুল্লাহ, যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ সাকিব ও যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তারেকুজ্জামান। বিজয় দিবসে এমন আয়োজন সম্পর্কে ডিবেট ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. নাঈম জামান বলেন, বাংলাদেশ আজ বিজয়ের বায়ান্ন বছর অতিক্রম করেছে সফলতার সঙ্গে। মহান বিজয় দিবসের এই আনন্দঘন মুহুর্তে যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাব শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা সকল বীর বাঙালিকে। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গঠনের লক্ষে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা এবং দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন সামনে রেখে বিজয় দিবসে যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাব আয়োজন করে প্রদর্শনী বিতর্ক, কুইজ এবং উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। এই আয়োজনে দিনব্যাপী যবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে আমরাও গর্বিত। আর সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানে সহায়তাকারী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

যবিপ্রবি ও যশোর সেনানিবাসের এসটিসিএসের সমঝোতা স্মারক সই
শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা সুরক্ষাসহ বিভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সঙ্গে যশোর সেনানিবাসের সিগন্যালস ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের (এসটিসিএস) একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (২৭ নভেম্বর) এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। যবিপ্রবির পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব এবং যশোর সেনানিবাসের এসটিসিএসের পক্ষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহিনুর রহমান প্রশাসনিক পর্যায়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন। দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের প্রধান লক্ষ্যগুলো হচ্ছে- যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা, তথ্য ও প্রযুক্তি আদান-প্রদান, সেনাবাহিনীতে কর্মরতদের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন, শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত তথ্যাদি বিনিময়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সাধারণ সুবিধাদি প্রদান করা।  সমঝোতা স্মারক সইয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করেন যবিপ্রবির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার ইমরান খান। সমঝোতা স্মারক সইয়ের সময় যবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) মোহাম্মদ এমদাদুল হক, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আকন্দ, প্রভাষক ড. এ. এফ. এম. শাহাব উদ্দিন, মেহেদী হাসান, আবু রাফে মো. জামিল, এস. এম আরিফুল হক, জুবায়ের আল-মাহমুদ এবং এসটিসিএসের কর্নেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, লে. কর্নেল মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, লে. কর্নেল মো. হাসিনুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

যবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটির ওপর থেকে আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবে না এই শর্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যবিপ্রবি শাখার কমিটির ওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। এ বিষয়ে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেশের সব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা কাজ করব। সেই সঙ্গে যদি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের নির্দেশ দেয় তাহলে নির্বাচনের আগেই আমরা যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করব।’ কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘বর্তমানে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও আগুনসন্ত্রাস রুখে দিতে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ সর্বদা প্রস্তুত আছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে আমরা কাজ করব।’ ১৪ অক্টোবর যবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও সংগঠনের সুনাম নষ্টের অভিযোগে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের কর্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩
X