আজ থেকে বাসের ‘গেটলক সিস্টেম’ চালু
যানজট সমস্যা সমাধানে আজ রোববার (১২ মে) থেকে চালু হচ্ছে বাসের গেটলক সিস্টেম। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে এই সিস্টেম চালু হবে। শনিবার (১১ মে) রাতে ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের এক ফেসবুক পোষ্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে প্রথমে কাকলী, তারপর কুর্মিটেলা, খিলক্ষেত এবং সবশেষ আব্দুল্লাহপুর থেকে যাত্রী নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাবে। যেসব পরিবহন এই নিয়ম অমান্য করে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।   পোস্টে যত্রতত্র হাত নাড়িয়ে বাসে না উঠার জন্য যাত্রীদেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়।  
১২ মে, ২০২৪

গুচ্ছ পরীক্ষা কেন্দ্র করে সদরঘাট এলাকায় তীব্র যানজট
গুচ্ছ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে শুরু করে সদরঘাট পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তা তীব্র যানজটে জর্জরিত। যার কারণে সদরঘাট অভিমুখী বাসগুলো তাঁতিবাজার পর্যন্ত এসে তাদের গন্তব্যস্থল শেষ করছে। ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আসন পড়েছে তাদের যথেষ্ট ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। এই তীব্র গরমে তাঁতিবাজার মোড় থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তাদের হেঁটে অথবা রিকশাযোগে আসে অনেকেই। আর এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ সুযোগ নিয়ে অধিকাংশ রিকশাচালক দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছে।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছ ভুক্ত ২৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলছে। রাস্তা বন্ধ প্রসঙ্গে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেছেন, তাঁতিবাজার থেকে সদরঘাট অভিমুখী রাস্তা যথেষ্ট সরু হওয়ার কারণে তারা সাময়িক সময়ের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে যাতে করে রাস্তায় জ্যাম না পরে এবং শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে।  তিনি আরও জানিয়েছেন, পরীক্ষা শেষে তারা আবার সদরঘাট পর্যন্ত বাস চলাচল করার অনুমতি দেবেন এবং এই সাময়িক যোগাযোগ বিচ্যুতি এর কারণে তারা দুঃখপ্রকাশ করছেন। এসব ভোগান্তির জন্য পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। মিরপুর থেকে আসা মো. রাকিব সিদ্দিক নামে একজন পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেছেন, সম্পূর্ণ রাস্তায় মোটামুটি যানজট থাকলেও বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে শুরু করে সদরঘাট পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তা যানজটে ডুবে আছে। তার মতে তীব্র এই গরমে শিক্ষার্থীরা এই যানজট ঠেলে এসে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে যেটা তাদের পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।  উত্তরা থেকে আসা তানভির নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, যানজটের কারণে রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। আর বাসগুলো তাঁতিবাজার এসে তাদের গন্তব্যস্থল শেষ করার কারণে এখান থেকে রিকশাযোগে তাদের কেন্দ্রে আসতে হচ্ছে। আর এটার সুযোগ নিয়ে রিকশাচালকরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছে। তাঁতিবাজার থেকে সদরঘাট ৪০ টাকার রিকশাভাড়া রিকশাচালকরা এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকা দাবি করছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

গাজীপুরে মহাসড়কে যাত্রীদের ঢল, মোড়ে মোড়ে যানজট
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ঈদ যাত্রায় শামিল হয়েছেন। এতে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ঢল নেমেছে। এ অবস্থায় চন্দ্রা পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রার কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে। কবিরপুর থেকে চন্দ্রা পার হয়ে ঈদ যাত্রার গাড়িগুলোর মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। এতে মহাসড়কে চলাচলকারী দুরপাল্লার যানবাহনগুলো গতি হারাচ্ছে। গতি হারিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য যানজট তৈরী হয়েছে। গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কে পৌঁছার পর কবীরপুর থেকে যানজটের শুরু।  রাস্তায় একপাশে এলোমেলো গাড়ি পার্কিং ও যাত্রী উঠানামা করায় টাঙ্গাইল মুখী দুই লেনের সড়ক এক লেনে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ছেড়ে আসা গাড়ি চন্দ্রা ফ্লাইওভার ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছে। এসব গাড়ি ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে গিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাড়ির সঙ্গে মিলিত হচ্ছে। ফলে এই অংশে গাড়ির চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে মানুষের চাপ ও গড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে কবীরপুর থেকে কালিয়াকৈর উপজেলার গোয়াল বাথান এবং সফিপুর থেকে চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত। মোটর সাইকেল আরোহী শান্ত মিয়া বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। সকাল ৬ টায় মহাখালী থেকে রওনা দিয়ে দুই ঘণ্টায় চন্দ্রা পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত পৌঁছতে অটোরিকশায় যেখানে ৩০ টাকা ভাড়া ছিল এখন সেই ভাড়া ১০০ টাকা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া রংপুর, বগুড়া, কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের গাড়ি স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে। যেখানে ৫০০ টাকা ভাড়া ছিল সেখানে ১০০০-১২০০ টাকা ভাড়া আদায় করছেন। তবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকাগামী গাড়িতে যাত্রী না থাকায় খরচ ওঠাতে তারা বেশি ভাড়া আদায় করছেন। ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পাড়ি ঈদের আগ মুহূর্তে পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় একযোগে ছুটছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল সহ অযান্ত্রিক যানবাহনে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন। নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, শেষ মুহুর্তে মানুষের ঢল বাড়ার পাশাপাশি গাড়ির চাপ বাড়ায় গাড়ির গতি কিছুটা কম। তবে বিকেলের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। যানজট নিরসনে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ কাজ করছে। অপরদিকে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখায় হয়েছে স্বল্প দুরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিক আপ। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় গাড়ির গতি কিছুটা কম রয়েছে। তবে অন্য অংশে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ২০ কি‌মি যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঈদে ঘেরে ফেরা মানুষজন। গভীর রাতে শুরু হওয়া এই যানজট ২০ কিলোমিটার অং‌শজুড়ে তৈ‌রি হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের রাবনা বাইপাস হতে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কে এই যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর ওপর ২২ নম্ব‌র পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকারের এক‌টি বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।  এর আগে সোমবার (৮ এপ্রিল) সেতুর ওপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদা‌য় বন্ধ থাকার কারণে তৈ‌রি হয় যানজট। রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে বলে বঙ্গবন্ধ‌ু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া সেতুর ওপর প‌রিবহনের দীর্ঘ সা‌রি তৈ‌রি হয়েছে। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুবই চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগু‌লো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর ওপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫‌ মি‌নিট যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়া গাড়িগু‌লো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় অন‌্যান‌্য প‌রিবহনে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে যানজট ছাড়া আর কোনো সমস্যাই নাই : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জের যানজট সমস্যা। আমার কাছে তো মনে হয়, জেলায় যানজট ছাড়া আর কোনো সমস্যাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেএমইএ’র ভবনে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, আমি স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড লোক৷ এখানে যানজটই একমাত্র সমস্যা, আর কোনো সমস্যাই নেই। এটা আমি মেনে নিব না৷ আরও অনেক সমস্যা আছে। আলোচনা হলে সব নিয়েই হওয়া উচিত৷ যানজট নিয়ে সিটি করপোরেশন তাদের প্রয়োজনীয় তাগিদপত্র জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে দিতে পারে৷ আমার বড় ভাই যানজট নিরসনে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হলো, টাকা কেন দিতে হবে! সরকার তো টাকা দেয়৷ এটা তো এমপির দায়িত্ব না৷ এখন যদি সিটি করপোরেশনের মেয়র বলে ফুটপাতের মালিক সিটি করপোরেশন, এটা সত্যি। আমি বলেছি, হকার বসলে সব জায়গায় বসবে না বসলে কোথাও বসবে না। আমি সাপোর্ট দিতেও রাজি না, পুরো শহরকে বন্ধ করতেও রাজি না। সিটি করপোরেশনকে এর সুরাহা বের করতে হবে। যানজটের দুটো সেক্টর আছে। সিটি করপোরেশন ও তাদের টিম আছে। সিটি করপোরেশন মানে শুধু আইভী না। তিনি আরও বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক ১২০ ফুট চওড়া হচ্ছে৷ একেএম শামসুজ্জোহা সড়ক হচ্ছে, নাগিনা জোহা সড়ক হয়েছে। আমাদের ডিএনডি প্রজেক্ট জুন মাসে শেষ হবে। কিন্তু লোকাল ড্রেনেজগুলো কানেক্টেড করতে হবে ডিএনডির সাথে। তা না হলে পানি সরতে পারবে না৷ এ ব্যাপারে মেয়রকে আমি লিখিতভাবে জানাব৷  শামীম ওসমান বলেন, আরেকটি সুখবর দিয়ে রাখি৷ নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পাশে ২০০ কোটি টাকার একটি সম্পত্তি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে৷ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কাগজ জমা দিয়েছি এ বিষয়ে৷ সেখানে যাতে হার্ট ইনস্টিটিউট, ট্রমা সেন্টার, নিউরো সেন্টার হয়৷ সেইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ যাতে দ্রুত হয় সেটিও বলেছি৷ আশা করি, আল্লাহ আমাদের কবুল করবেন৷ এমনভাবে যেন কাজ করে যেতে পারি যাতে মৃত্যুর পরে মানুষ দোয়া করেন৷ তিনি বলেন, রেললাইনের জায়গা একোয়ার করা শুরু হয়ে গেছে। আমি মেয়রকে বললাম আমাকে কাগজ দিতে। তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জে যদি দশ মিনিট পরপর ট্রেন ঢোকে তাহলে শহর নষ্ট  হয়ে যাবে। তাই এটা দেখতে হবে। আমি সিটি করপোরেশনের কাছে অনুরোধ করব। মানুষের পেটে যখন ভাত থাকে না তখন এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমি রাজনীতি করতে এসেছি মানুষের জন্য। জোর করা আমার পক্ষে সম্ভব না। একটা জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কোরআন বলুন আর গীতা বলুন একটা কথা বারবার বলা হয়েছে। মানুষের জন্য কাজ করুন। বিদেশি কথাটা আমার ভালো লাগে না। আইভী বলল, রেলওয়ের সমস্যাটার কথা। আমরা এটা সমাধান করতে পারব আশা করি। আমাদের ডিএনডি খাল হচ্ছে। ড্রেনগুলো এখানে কানেক্টেড করতে হবে। নয়তো পানি পাস করতে পারবে না। আজ এখানে প্রশাসনের লোক থাকলে ভালো হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি, সেলিম ভাই যে প্রস্তাব দিয়েছে সে অনুযায়ী আমরা আলোচনায় বসি। নারায়ণগঞ্জের সব সমস্যা একসাথে তো সমাধান করতে পারব না। তবে পার্ট বাই পার্ট আমরা এটা করব। তিনি আরও বলেন,  কালিরবাজারে এখানে একটি ভবন পড়ে আছে। আমি পার্লামেন্টেও বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিতও দিয়ে এসেছি। এখানে যেন হার্ট ও নিউরো ইনস্টিউট করা হয়। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটা এক মাসের ব্যাপার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলসহ সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই : কাদের
ঈদযাত্রায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে যানজট নিরসনে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিআরটিএ থেকেও বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে; যা সবাই জানে।  ঢাকার যানজট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই, থাকবে না। রাজধানী খালি হয়ে গেছে। কোথায় যে দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার! এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সব টোল প্লাজার ইসিটি (ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন) চালুসহ মেঘনা সেতুর দ্বিতীয় টোল প্লাজা উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়াও এলেঙ্গা (টাঙ্গাইল) থেকে রংপুর মহাসড়কে রেলওয়ে ওভারপাস ৭টি ওভারপাস ও ২টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণ করা হয়। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মডার্ন মোড় পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪ কিলোমিটার সড়ক ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুন মাসে। কিন্তু করোনাসহ নানা কারণে অনেকটা পিছিয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ মহাসড়ক খুলে দেওয়া হলে প্রায় ৫ ঘণ্টায় (অর্ধেক সময়) রংপুর থেকে রাজধানী ঢাকায় যাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদযাত্রার শুরুতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট
এবারের ঈদযাত্রার প্রথম দিকেই যানবাহনের চাপ বেড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত থেকে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ১৩ কিলোমিটার অংশে। মহাসড়কটিতে কুমিল্লাগামী লেনে ভোররাত থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।  সরেজমিনে দেখা যায়, গজারিয়ার মেঘনা সেতু থেকে দাউদকান্দি সেতু পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এ যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের। যানযটে আটকে থাকা গাড়িগুলোর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ আর বাসের সংখ্যাই বেশি দেখা যায়। যানজটের কারণ সম্পর্কে ভবেরচর হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, ঈদকে সামনে রেখে স্বাভাবিক নিয়মেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ কারণে মহাসড়কটির মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ১৩ কিলোমিটার অংশে শুক্রবার সকাল থেকে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে মেঘনা সেতু থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। তিনি জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে মনে করেন ভবেরচর হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির। এদিকে এ পথ ব্যবহারকারী অনেকেই দীর্ঘ যানজটে আটকে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। জ্যাম এ আটকে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোর রাত থেকে এই জ্যামের সৃষ্টি হয় তার পর থেকে ধীরে ধীরে যানবাহন চলচ্ছে মাঝেমধ্যে একই স্থানে ৫ থেকে ৭ মিনিটও বসে থাকতে হয়েছে। তাছাড়া যানজটে আটকেপড়া যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর দাবি
ঈদযাত্রায় পথে পথে লাখো মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমাতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে গতানুগতিক সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তিনির্ভর অত্যাধুনিক পদ্ধতির মনিটরিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে আনন্দযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন বন্ধ করা, নিম্নআয়ের লোকজনের বাসের ছাদে, ট্রাকের ছাদে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাতায়াত ঠেকাতে ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে ৭১৪টির অধিক যানজটপূর্ণ এলাকার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। ১০টি জাতীয় মহাসড়কের ২৩৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনাপ্রবণ স্পটের বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। যাত্রীকল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের তথ্যমতে, এসব দুর্ঘটনা প্রবল স্পটে ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজা যানজটমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত প্রতি ঈদে নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয় না। ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধেরমত জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রতি ঈদে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। ফলে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও যানজটে যাত্রী দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি।
২১ মার্চ, ২০২৪

যানজট নিরসনে রাস্তায় ইফতার করলেন ডিএমপি কমিশনার
প্রথম রোজার ইফতার আপনজনের সঙ্গে করতে অফিস শেষে ছুটে চলে মানুষ। ফলে ঢাকায় দেখা দেয় ভয়াবহ যানজট। এ অবস্থায় মানুষের নির্বিঘ্নে ঘরে পৌঁছাতে অফিস শেষে রাস্তায় নেমে পড়েন খোদ ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। এ অবস্থায় ইফতারের সময় হলে রাস্তায় ইফতার করেন তিনি। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তাকে ইফতার করতে দেখা যায়। ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নগরবাসী কর্মস্থল থেকে নিরাপদে বাসায় ফিরে তাদের পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন, এজন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সদস্যদের সঙ্গে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সোনারগাঁও ক্রসিং ঢাকা শহরের ব্যস্ততম একটি স্থান। এখান থেকে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সবদিকে গাড়ি যায়। সেই হিসেবে এখানকার অবস্থা সন্তোষজনক। ইফতারের ২০ মিনিট আগে দেখা গেছে রাস্তায় তেমন কোনো চাপ নেই। সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজানের ১০-১৫ দিন পর থেকে মানুষজন কেনাকাটায় বের হন। সে জন্য সৃষ্টি হয় যানজট। বেশিরভাগ মার্কেটেই পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। আমরা সেখানে মার্কেট কমিটির লোকজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ মিলে সেটি যাতে সহনীয় রাখা যায় সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোস্তাক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১২ মার্চ, ২০২৪

ইফতারের আগে যেসব রুটে হতে পারে তীব্র যানজট
পবিত্র রমজানের প্রথম ইফতার আজ। অফিস বা ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার করা অনেকের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে যানজটের কারণে। রাজধানীর কিছু এলাকার মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। ইফতারের আগে মগবাজার, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, গুলিস্তান, মিরপুর রোডসহ অন্তত ১৪টি রুট যানবাহনের চাপমুক্ত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ট্র্যাফিক বিভাগের। পাশাপাশি মেট্রোরেলেও তৈরি হবে বাড়তি চাপ।  বিকেল ৩টা থেকেই বাড়তে পারে এই যানজট। মেগা প্রকল্পগুলোর পরেও সড়কজুড়ে কেন এত যানবাহনের চাপ, তা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। নগারবাসী বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। কিন্তু যানজট কমছে না। রমজানে মেট্রো স্টেশনের আশপাশে থাকা মানুষজন একটু সুবিধা পাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষকেই আগের মতো ভোগান্তিতে পড়তে হবে। অনেকে বলছেন, রমজান আসলে যানজটের আতঙ্ক বেড়ে যায়। অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার ব্যবস্থা করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা যাবে কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থাকলেও যানজটের শঙ্কামুক্ত নয় উত্তরা, খিলক্ষেত কিংবা ফার্মগেট। অন্যদিকে, মিরপুর রোড, মগবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান এবং সরদঘাট ঘিরেও আছে যানজটের তীব্র আশঙ্কা। মেট্রোরেলের সংযোগ থাকলেও মতিঝিলে গাড়ির চাপ থাকে অনেক বেশি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ট্র্যাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ডিএমপি ট্র্যাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে। রমজানের সময়টাতে গাড়ির গতি হয়ত ধীর হবে। ৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে না। তবে অন্তত ২০ কিলোমিটার বেগে যেন গাড়ি চলতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করছি।
১২ মার্চ, ২০২৪
X