ভোটের দিন বিএনপির নৈরাজ্যের পরিকল্পনা ফাঁস, বললেন তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোটের দিন মোটরসাইকেলে এসে পেট্রোলবোমা ও বোমা নিক্ষেপ করে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। তাদের এই পরিকল্পনা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং র‌্যাব-পুলিশসহ প্রত্যেকটি বাহিনী ইতিমধ্যেই জেনে গেছে। সেই কারণে তাদের পক্ষে এগুলো বাস্তবায়ন করা কখনো সম্ভবপর হবে না। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্র কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নাকি আবার দুই দিনের হরতাল ডেকেছে, তারা হরতালকে অকেজো রাজনৈতিক অস্ত্র বানিয়ে দিয়েছে। গতকাল উত্তরবঙ্গে তারা দুটি স্কুলঘর পুড়িয়েছে। যারা সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, অকারণে হরতাল ডাকে, মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার অপচেষ্টা চালায়, তারা জনগণের প্রতিপক্ষ। মূলত বিএনপি এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে তাতে বিএনপির ইতিপূর্বের পরিকল্পনা যেভাবে ভেস্তে গেছে, এবারকার পরিকল্পনাও সেইভাবে ভেস্তে যাবে।  তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগেও হরতাল ডেকেছিল কিন্তু দেশের মানুষ বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি। বিএনপির এই হরতাল কে, কখন, কোন সময়ে ডাকে কেউ জানে না। এ সমস্ত হরতাল ডেকে তারা নিজেদের হাস্যস্কর করেছে। হরতাল একটি অকেজো রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি যেভাবে নিরীহ মানুষের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, এতে তাদের ওপর দেশের মানুষ নয় শুধু মহান আল্লাহ তায়ালাও তাদের ওপর নারাজ ও নাখোশ হয়ে গেছে। এগুলো করেও বিএনপি নির্বাচনের ডামাডোল, উৎসব ও আমেজকে থামাতে পারেনি। এরপর তারা এখন পিছু হটেছে। তিনি আরও বলেন, পিছু হটে বিএনপি এখন নির্বাচন ভন্ডুল কিংবা প্রতিহত করবে সেই শব্দগুলো আর ব্যবহার করছে না। এখন বলছে, তারা নির্বাচন পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছে। অর্থাৎ আগের অবস্থান থেকে তারা পিছু হটে গেছে। দেশে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন একটি উৎসব, সেই উৎসব আজকে সারা দেশজুড়ে বিরাজ করছে, সেই উৎসবের আমেজ অনেক এলাকার তুলনায় রাঙ্গুনিয়ায় অনেক বেশি। আগামী রোববার জনগণের অংশগ্রহণে দেশে সুষ্ঠু ও অবাধ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় হবে। এই বিজয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসে পরপর চতুর্থবার এবং পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠন করবেন। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।  নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মেয়র শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, আবদুল মোনাফ সিকদার প্রমুখ।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (৮২) ইন্তেকাল করেছেন। দীর্ঘদিন যাবত তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।  মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার হাজী বাড়িস্থ নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, দুই সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে যান। আওয়ামী লীগের এ নেতার মৃত্যুর সংবাদে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি। প্রবীণ এ আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর সংবাদে শোকাহত তথ্যমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। রাঙ্গুনিয়ার সন্তান তথ্যমন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আজীবন ধারণকারী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী দলের দুঃসময়েও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরু দায়িত্ব কৃতিত্বে সঙ্গে পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সামাজিক ও এলাকাবাসীর কল্যাণে কাজ করে গেছেন তিনি। বিদগ্ধ মানুষটির মহাপ্রয়াণ সত্যিই অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি এলাকাবাসীর সেবায় আত্মনিয়োগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছেন।  সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, রাঙ্গুনিয়া কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন এবং দলের বিভিন্ন পদে গুরু দায়িত্ব পালন করেন।  বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর হাজীবাড়ি মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। প্রথম জানাজায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। নামাজের শুরুতে তাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর (৮২) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (২ জুন) দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার হাজি বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানারোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর সংবাদে শোক প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তথ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আজীবন ধারণকারী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী দলের দুঃসময়েও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরু দায়িত্ব কৃতিত্বে সাথে পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সামাজিক ও এলাকাবাসীর কল্যাণে কাজ করে গেছেন তিনি। বিদগ্ধ মানুষটির মহাপ্রয়াণ সত্যিই অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি এলাকাবাসীর সেবায় আত্মনিয়োগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, রাঙ্গুনিয়া কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামজিক প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন এবং দলের বিভিন্ন পদে গুরু দায়িত্ব পালন করেন।  বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজার নামাজ এবং বাদে আছর হাজিবাড়ি মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে। 
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

এখন খোঁজ নিতে হয় কোন সড়ক কার্পেটিং হয়নি : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, নিজের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পিছিয়ে পড়া জনপদ ছিল। ২০০৮ সালের আগে এই উপজেলায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ছাড়া আর কোনো রাস্তায় পিচঢালা করা ছিল না। আর এখন রাঙ্গুনিয়ার কোন সড়কটি পিচঢালা কার্পেটিং করা হয়নি সেটি খোঁজ নিতে হয়। মাঝে মাঝে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে আমি যাই, রাস্তায় কোনো গর্ত হয়েছে কিনা দেখতে। এসব উন্নয়ন ও পরিবর্তন সম্ভবপর হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে।   নিজের ইউনিয়ন পদুয়া প্রত্যন্ত জনপদ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পদুয়া একটি আধুনিক জনপদে রূপান্তরিত হয়েছে। একটি ব্রিজের দাবি থাকলেও এখন শিলক খালের ওপর চারটি ব্রিজ হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এমন কোনো স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ নেই যেখানে ভবন হয়নি। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। গত ১৫টি বছর কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কিংবা কে কোন দল করে তা কখনো দেখিনি। আমার বিরুদ্ধে ধানের শীষের মাইকিং করেছে, এমন ছেলের চাকরিও আমার হাত দিয়ে হয়েছে। আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি গত ১৫টি বছর চাকরের মতো করে খেটেছি। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পদুয়া রাজারহাট হাসপাতাল মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপাধ্যক্ষ দুলাল কান্তি দাশ। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ঈদ, পূজা-পার্বণে ১৫ টাকা দিয়ে চাল, দুইশ টাকা দিয়ে ত্রিশ কেজি করে চালসহ সাধারণ মানুষের জন্য ১৮ প্রকার ভাতা দিচ্ছে। টিসিবি পণ্য, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদানসহ প্রতি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ এখন উপকারভোগী। এসব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আওয়ামী লীগ-বিএনপি বাছাই করিনি। যার প্রয়োজন তাকেই উপকারভোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে ভাতা দেব, বিনামূল্যে বই দেব, বিনামূল্যে চাল দেব, রাস্তা-ঘাট বানাব, মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দেব তাহলে আমরা কি ভোটটা পাব না? তথ্যমন্ত্রীর এমন প্রশ্নে উপস্থিত হাজার হাজার জনতা হাত তুলে সমর্থন জানান।  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমি গত ১৫ বছরে ২৪টি নতুন মসজিদ করেছি এই রাঙ্গুনিয়ায়। প্রত্যেকটি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা একাধিকবার উন্নয়ন বরাদ্দ পেয়েছে। করোনাকালে প্রায় দুই কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। উপজেলা সদরে একটি এতিমখানা করছি, ইতোমধ্যে চারতলা হয়ে গেছে, আরও দুইতলা হবে। এক কোটি টাকার ঢেউটিন ফ্রি দিয়েছি। সরকারের বাইরে আমি নিজস্ব উদ্যোগে ৫২টি নতুন ঘর করে দিয়েছি।  তিনি বলেন, আমি ইচ্ছে করে মাঝেমধ্যে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে যাই, সড়কে গর্ত হয়েছে কিনা দেখার জন্য। এখন দেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে। রাঙ্গুনিয়ার গ্রাম গ্রামান্তরে এখন ৮-১০ তলা বিল্ডিং। এসব কোনো জাদুর কারণে পরিবর্তন হয়নি। এসব সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে।  নিজ গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে ড. হাছান বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে ঠেলে তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে, প্রধানমন্ত্রী আমাকে টেনে তুলে নিয়েছেন। আমি আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করেছি দেশের মধ্যে। আপনাদের সন্তান হিসেবে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার আবেদন জানাই। আমাদের ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।  জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আব্দুল মোনাফ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বাদশা, নুরুল আবছার তালুকদার, মো. শফিকুল ইসলাম, মুজিবুল ইসলাম সরফি, আরজু সিকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। জনসভা শেষে পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

আজকের এই রাতে যেভাবে হানাদারমুক্ত হয়েছিল রাঙ্গুনিয়া
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখল থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মুক্ত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে হানাদার বাহিনী রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করে। এ ধারাবাহিকতায় বিজয়ের এক দিন আগে পাকিস্তানিদের শেষ ক্যাম্পটিও সরিয়ে নেওয়া হয়। এ খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার গ্রামগুলোতে বের করা হয় বিজয় মিছিল। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয় আকাশ-বাতাস। উপজেলায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল রাঙ্গুনিয়া আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, রানিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, পোমরা উচ্চ বিদ্যালয় ও কর্ণফুলী নদীর তীরে বন বিভাগের সরফভাটার চিরিঙ্গা বন বিট কার্যালয়। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা এসব ঘাঁটি থেকে তল্পিতল্পা নিয়ে নীরবে সরে পড়েন। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক মিত্র কারবারির নেতৃত্বে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে কোদালা চা-বাগান, শিলক, পদুয়া ও সরফভাটার পাহাড়ি এলাকায় হানাদার বাহিনীর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে চতুর্দিকে অবস্থান নেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ওই দিন দিবাগত রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঘাঁটিগুলোতে চারদিক থেকে একযোগে আক্রমণ চালান। ফলে পর দিন ১৫ ডিসেম্বর হানাদারের সদস্যরা রাঙ্গুনিয়া ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতাকামী মানুষ রাঙ্গুনিয়ায় বিজয় মিছিল বের করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কমান্ডার খায়রুল বশর মুন্সী বলেন, ১৪ ডিসেম্বরের অভিযানে হানাদার বাহিনীর শতাধিক সৈন্য গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তাদের মরদেহ কর্ণফুলী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি অন্য সৈন্যরা ভোরে ক্যাম্প ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক শ ঘরবাড়ি ও বাজারের দোকানপাট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ওই দিন সংঘর্ষে আবদুস ছোবহান, মতিউর রহমান, বিপুল দাশ, ফণী মহাজন, মোহন বাঁশি, রাতুল বড়ুয়া, বাবুল মুৎসুদ্দি, সায়ের আহমদ, নাজের শাহ, আবুল কাসেম, বশির আহমদ, দৌলত মিয়াসহ প্রায় ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

রাঙ্গুনিয়া যুবলীগের সভাপতি লিটন সম্পাদক ইউনুচ
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে উপজেলা যুবলীগের সদ্য সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরীকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ ইউনুচকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহানের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পুরোনো কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। নতুন কমিটি ঘোষণা ছাড়াই দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ করা হয়। এর আগে প্রায় সাত বছর পর উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচের সঞ্চালনায় ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম, প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট প্রমুখ।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X