রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আজকের এই রাতে যেভাবে হানাদারমুক্ত হয়েছিল রাঙ্গুনিয়া

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে স্থাপিত স্মৃতিসৌধ। ছবি : কালবেলা
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে স্থাপিত স্মৃতিসৌধ। ছবি : কালবেলা

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখল থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মুক্ত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে হানাদার বাহিনী রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করে। এ ধারাবাহিকতায় বিজয়ের এক দিন আগে পাকিস্তানিদের শেষ ক্যাম্পটিও সরিয়ে নেওয়া হয়। এ খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার গ্রামগুলোতে বের করা হয় বিজয় মিছিল। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয় আকাশ-বাতাস।

উপজেলায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল রাঙ্গুনিয়া আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, রানিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, পোমরা উচ্চ বিদ্যালয় ও কর্ণফুলী নদীর তীরে বন বিভাগের সরফভাটার চিরিঙ্গা বন বিট কার্যালয়। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা এসব ঘাঁটি থেকে তল্পিতল্পা নিয়ে নীরবে সরে পড়েন।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক মিত্র কারবারির নেতৃত্বে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে কোদালা চা-বাগান, শিলক, পদুয়া ও সরফভাটার পাহাড়ি এলাকায় হানাদার বাহিনীর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে চতুর্দিকে অবস্থান নেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ওই দিন দিবাগত রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঘাঁটিগুলোতে চারদিক থেকে একযোগে আক্রমণ চালান। ফলে পর দিন ১৫ ডিসেম্বর হানাদারের সদস্যরা রাঙ্গুনিয়া ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতাকামী মানুষ রাঙ্গুনিয়ায় বিজয় মিছিল বের করে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কমান্ডার খায়রুল বশর মুন্সী বলেন, ১৪ ডিসেম্বরের অভিযানে হানাদার বাহিনীর শতাধিক সৈন্য গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তাদের মরদেহ কর্ণফুলী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি অন্য সৈন্যরা ভোরে ক্যাম্প ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক শ ঘরবাড়ি ও বাজারের দোকানপাট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ওই দিন সংঘর্ষে আবদুস ছোবহান, মতিউর রহমান, বিপুল দাশ, ফণী মহাজন, মোহন বাঁশি, রাতুল বড়ুয়া, বাবুল মুৎসুদ্দি, সায়ের আহমদ, নাজের শাহ, আবুল কাসেম, বশির আহমদ, দৌলত মিয়াসহ প্রায় ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তরুণকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

১০ বছর পর রোববার দেশে ফিরছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক রাশেদুল হক

এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা / ৬ দফা দাবিতে ২৪ দিনের কর্মসূচি খেলাফত মজলিসের

রোহিতকে সরিয়ে নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল ভারত

স্ত্রী-শাশুড়ি মিলে যুবককে হত্যাচেষ্টা, ঘরের বারান্দায় খোঁড়া হয়েছিল কবর

যে ৩ সময়ে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে বেশি উপকার মিলে

হরাইজন মডেল ইউনাইটেড নেশনস সেশন-১ : এক অনন্য সফলতা

ছেলে হত্যার বিচার ঠেকাতে ষড়যন্ত্রমূলক নতুন মামলা, ক্ষোভে শহীদ ছায়াদের পরিবার

সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ মৃত্যু

সাধারণ যে ৬ ভুলের কারণে পারফিউমের ঘ্রাণ দ্রুত চলে যায়

১০

বেনাপোল বন্দরে ৫ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু

১১

হবিগঞ্জে নদী থেকে মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

১২

আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই: জামায়াত আমির

১৩

কিয়ামতের দিন যে ৫ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কেউ রেহাই পাবে না

১৪

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের ২০ দফায় কী আছে, কেন তুমুল আলোচনা

১৫

ট্রলার সাজিয়ে নেচে-গেয়ে ঘরে ফিরলেন জেলেরা

১৬

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে শরিফুলের মানবিক উদ্যোগ

১৭

ড. ইউনূসের মুখাকৃতি দিয়ে অসুর বানানোর বিষয়ে যা বললেন রিজভী

১৮

ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে বিএনপি : সেলিম ভূঁইয়া

১৯

ওড়িশায় ভারী বৃষ্টি, ভূমিধসে নিহত ২

২০
X