শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
১০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৮১ কোটি ডলার 
চলতি মে মাসের প্রথম ১০ দিনে (১ থেকে ১০ মে) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের মাস এপ্রিলে প্রতিদিনে ৬ কোটি ৮১ লাখ ২ লাখ ডলার এসেছিল। আর আগের বছরের মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৬ ডলার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ১০ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। জানা গেছে, দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১০ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এ সময় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রবাসী আয় সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে তিন কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এদিকে, গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। 
১৩ মে, ২০২৪

২০২২ সালের রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
২০২২ সালে রেমিট্যান্স পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রাপ্তি ছিল ২১.৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রাপ্তির মাইলফলক অর্জন করে তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ২০২২ সালে রেমিট্যান্স পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে ভারত, মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন্স ও ফ্রান্স। বুধবার (৮ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। মঙ্গলবার (৭ মে) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালে রেমিট্যান্স পাওয়ার দিক থেকে ভারত ছাড়াও শীর্ষ ৫ দেশের মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন্স ও ফ্রান্স। ২০২২ সালে মেক্সিকোর রেমিট্যান্স প্রাপ্তি ছিল ৬১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। তা ছাড়া চীনের ৫১ বিলিয়ন ডলার, ফিলিপাইনসের ৩৮ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার এবং ফ্রান্সের ৩০ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রাপ্তি ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে দশের তালিকায় ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান রয়েছে। পাকিস্তান ২৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। প্রতিবেদন আরও বলছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ১০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার ও ২০১৫ সালে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল। সেই হিসাবে ১২ বছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েছে প্রায় ১০ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বহু মানুষের লাইফলাইন হলেও এসব দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসী কর্মীরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করেন, আর্থিক শোষণের শিকার হন এবং অভিবাসন খরচের কারণে অতিরিক্ত আর্থিক দেনায় ডুবে যান বলে প্রতিবেদনে ওঠে আসে। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে নিপীড়নের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তারা ‘জেনোফোবিয়া’রও (বিদেশিদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) শিকার হন বলেও উল্লেখ করা হয় এ প্রতিবেদনে।  
০৯ মে, ২০২৪

এপ্রিলের শেষ দিনে অস্বাভাবিক রেমিট্যান্স
ঈদের আগে সাধারণত দেশের প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। আর ঈদের পরে কিছুটা কমে। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিষয়টি পুরো উল্টো ঘটেছে। ঈদের আগের ১২ দিনে গড়ে ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আর ঈদের পর এপ্রিলের শেষ তিনদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ডলার। আর শুধু শেষ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসের শেষ দিতকে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিরা ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, এপ্রিলের শেষ তিনদিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ৩৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ শেষ ৪ দিনে গড় রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫ লাখ ডলার করে। আর এপ্রিলের শেষ দিন রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ডলারের বেশি। অথচ, ঈদের আগের ১২ দিনে দেশে এসেছিল ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সে হিসেবে প্রতিদিন এসেছে ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। মাসের শেষ দিন হঠাৎ করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হককে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এপ্রিলে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, শরীয়াহ ভিত্তিক আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে। এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
০২ মে, ২০২৪

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ সুরক্ষিত থাকবে এবং এই অর্থ থেকে সরকারি প্রণোদনাসহ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন কর্তৃক আয়োজিত রেমিট্যান্স মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠাবেন তাদের জন্য ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে। রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা থেকে ৩শতাংশ বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রেমিট্যান্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, তা বিবেচনার জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ে উত্থাপন করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের কল্যাণে ও তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংক চালু করে যুক্তরাজ্য থেকে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর সূচনা হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য ২.৫ শতাশ প্রণোদনা ও সিআইপি মর্যাদাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। হাইকমিশনার বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ উৎসাহব্যাঞ্জক পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী এসব বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। বাংলাদেশে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে পূর্ব লন্ডনে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় স্থানীয় সময় শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের এই বিশেষ মেলায় রেমিট্যান্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। মেলায় যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রধান ১৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা সম্পর্কে মেলায় আগত দর্শকদের অবহিত করে।   এর আগে প্রতিমন্ত্রী ব্রিটিশ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রাবাসীদের স্বার্থ ও কল্যাণ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

রেমিট্যান্স কমেছে সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭০৭ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬০৩ কোটি ডলার। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশ থেকে রেমিট্যান্স আয়ে বড় উল্লম্ফনের সুবাদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স আসা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অর্থবছরের ৯ মাসে ইউএই থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২৭ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২২০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ। এর সুবাদে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসা দেশের তালিকায় গত অর্থবছর তৃতীয় স্থানে থাকা ইউএই এবার প্রথম স্থানে চলে এসেছে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর কালবেলাকে বলেন, বেশি শ্রমিক বিদেশে গেলেও সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স আসছে না বা আসতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ অর্থ পাচারকারীরা তা কিনে সমপরিমাণ অর্থ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। নির্বাচনের কারণে ২০২৩ সালে এই প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স খুব বেশি বাড়েনি। অর্থ পাচার রোধে সরকার কিছুই করছে না। এমনকি ডলার সংকটের মধ্যেও জোরপূর্বক এর দর কমিয়ে রাখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, স্বাভাবিক সময়ে ইউএই থেকে মাসে ২৫-৩০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। তবে নভেম্বর থেকে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স আসা বাড়তে থাকে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ইউএই থেকে প্রতি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৪৫ কোটি ডলারের বেশি। মার্চেও ৩৫ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশটি থেকে। একই প্রবণতা দেখা গেছে যুক্তরাজ্য থেকে রেমিট্যান্স আয়েও। বেশি রেমিট্যান্স আসা দেশের তালিকার চতুর্থ অবস্থান থেকে দেশটি উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। ৯ মাসে যুক্তরাজ্য থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৪ কোটি ডলার; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি। সিঙ্গাপুর থেকে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ। এ ছাড়া মালয়েশিয়া, ওমান, ইতালি, জার্মানি ও বাহরাইন থেকে রেমিট্যান্স গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু বিনিয়োগ যুক্তরাজ্যে যাওয়ার কারণেও দেশটি থেকে রেমিট্যান্স বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

রেমিট্যান্স এলো ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার
চলতি এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, চলতি এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার। আর বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগে মার্চ মাসে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ও চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স উন্নয়নের অন্যতম মূল চালিকা শক্তি : দীপু মনি
দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের উন্নয়নের অন্যতম মূল চালিকা শক্তি। প্রবাসীদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দীপু মনি বলেন, একটা সময় ছিল প্রবাসীদের প্রতি পদে পদে নানা ধরনের প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হতে হতো। এখন ওইসব জায়গাগুলোতে কাজ করা হয়েছে। এখন ঢালাওভাবে প্রতারণার সুযোগ অনেক কমে গেছে। এখন বৈধ ভিসা নিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। অবৈধ যাওয়ার সংখ্যা একেবারে কমে আসছে। বিমানবন্দরে যেখানে আগে হয়রানি ছিল, সেখানে সেবা অনেক বেড়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রিভার) শ্রীমা চাকমা, সদর ইউএনও মো. সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রজত শুভ্র সরকার, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সফিকুর রহমান প্রমুখ।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং নগদের মধ্যে রেমিট্যান্স বিতরণবিষয়ক চুক্তি
সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ‘দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’ এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে। চুক্তির আওতায় বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের পাঠানো ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্স সহজে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে। এ চুক্তি বাংলাদেশে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্স এর প্রবাহ বৃদ্ধি করবে এবং বিদেশে অবস্থানরত প্রিমিয়ার ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে গ্রাহকদের পাঠানো রেমিট্যান্স সরাসরি সুবিধাভোগীর সংশ্লিষ্ট নগদ ওয়ালেটে জমা করবে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং নগদের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মারুফুল ইসলাম ঝলক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্র বিনিময় করেন। ব্যাংকের এসইভিপি এবং  সিএইচআরও  মামুন মাহমুদ, ইভিপি এবং হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন মো. তারেক উদ্দিন; কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ আকরাম হোসাইন, এফসিএস; এফভিপি এবং হেড অব রেমিট্যান্স সৈয়দ এমডি হাসিব রেজা, এভিপি শাহ্ আরাফাত হোসাইন এবং নগদের হেড অব রেমিট্যান্স মোহাম্মদ জিয়াউল হকসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

১২ দিনে রেমিট্যান্স আসেনি যেসব ব্যাংকে
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ১০টি ব্যাংকে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি। তারপরও চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে দেশে এসেছে ৮৭ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, আলোচ্য সময়ে ১০টি ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে ১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, ১টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ব্যাংক এবং ৪টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে। চলমান এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামি ব্যাংকে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি। এছাড়া বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংকেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। আলোচিত সময়ে দেশে এসেছে ৮৭ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ডলার পৌঁছেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৫ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। গত মার্চে দেশে এসেছে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। তাছাড়া ফেব্রুয়ারি এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে যা সর্বোচ্চ।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪
X