দলীয় প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন শাহবাজ শরিফ
দলীয়প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সোমবার (১৩ মে) তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলীয়প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের পর নওয়াজ শরিফ বলেন, নওয়াজ শরিফের দলের সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পালনের জন্য উপযুক্ত সময় হয়েছে। অর্থাৎ নওয়াজ শরীফের জন্যই তিনি দলের প্রধানের আসন ছেড়েছেন।  পিএমএল-এনের শীর্ষ নেতা মারিয়ম আওরঙ্গজেব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দলের প্রধানের পদত্যাগপত্র সহকারে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনার পর আগামী শনিবার (১৮ মে) কেন্দ্রীয় কমিটির সভা ডেকেছে পিএমএল-এন।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পিএমএল-এনের সেক্রেটারি জেনারেল আহসান ইকবাল কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্যের কাছে বৈঠকের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছেন। এ নোটিশ অনুযায়ী আগামী শনিবার রাতে লাহোরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।  সূত্র জানিয়েছে, শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি ব্যস্ততার কারণে দলের প্রতি সময় দিতে পারছেন না। দেশজুড়ে দলকে সক্রিয় করা দরকার। এজন্য কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হবে।  এর অগে পিএমএল-এন পাঞ্জাবের সভাপতি রানা সানাউল্লাহ লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জ্যেষ্ঠ নেতারা সর্বশেষ দলীয় বৈঠকে নওয়াজ শরিফকে সভাপতি করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।  তিনি বলেন, বৈঠকের অধিকাংশ নেতা মনে করেন, নওয়াজ শরিফ ২০১৮ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে দলের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।  রানা সানাউল্লাহ বলেন, পিএমএল-এনের সভাপতি হবেন নওয়াজ শরিফ। তিনি আবার দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তার নেতৃত্বে দল আরও এগিয়ে যাবে।   
১৩ মে, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ। সোমবার (৪ মার্চ) ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট ভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এ সময় সেনাপ্রধান আসিম মুনিরসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। খবর জিও নিউজের। রোববার (৩ মার্চ) পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট হয়। নির্বাচনে পিএমএল-এনের প্রার্থী শাহবাজ ২০১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। অন্যদিকে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থী ওমর আইয়ুব ৯২ ভোট পান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়। নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৫ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছে। তবে এই নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ জন্য জোট সরকার গঠন করতে শুরু থেকেই পিপিপি ও অন্য সমমনা দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন পিএমএল-এন নেতারা। একপর্যায়ে ৬টি দলের একটি জোট গঠন করে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। তাই নির্বাচনে জয়ী পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দেন। মূলত জাতীয় পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ভাগ পেতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয় পিটিআই। নির্বাচন-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়েও পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বারবার নওয়াজ শরিফে নাম উঠে আসছিল। তবে নির্বাচনের পরে হঠাৎ করে এই দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে ছোট ভাই শাহবাজ শরিফের নাম ঘোষণা করেন নওয়াজ। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খানের জোট সরকার বিদায় নিলে শাহবাজের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে। ওই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
০৪ মার্চ, ২০২৪

শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন-পরবর্তী অচলাবস্থা কাটিয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ। গতকাল রোববার জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে দেশটির ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ওমর আইয়ুব। পাকিস্তানের বার্তা সংস্থা ডন জানিয়েছে, জাতীয় পরিষদের ভোটাভুটিতে শাহবাজ শরিফ পেয়েছেন ২০১ ভোট। আর ওমর ৯২ ভোট পেয়েছেন। পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে পার্লামেন্টের ৩৩৬ সদস্যের মধ্যে ১৬৯ জনের ভোট পেতে হবে। কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচনের ফলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তার মুক্তির দাবি জানানোর পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়। ৭২ বছর বয়সী শাহবাজ এর আগেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এনের নেতা নওয়াজ শরিফের ভাই। পাকিস্তানের এবারের জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সবচেয়ে বেশি আসন পান পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পায় পিএমএল-এন। তৃতীয় স্থান পায় পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এমএল-এন ও পিপিপি জোটবদ্ধভাবে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে, সংরক্ষিত আসন পেতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয় পিটিআই। স্বতন্ত্র ৯২ সংসদ সদস্যের মধ্যে ৮৯ জন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দেন। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে ১০টি সংরক্ষিত আসন চেয়েও এখনো বরাদ্দ পাননি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচন হয়। জাতীয় পরিষদের মোট ২৬৪টি আসনে ভোট হয়। ৭৯ আসন পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পিএমএল-এন আর ৫৪টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা পিপিপি ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে কেন্দ্রে সরকার গঠন করল।
০৪ মার্চ, ২০২৪

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলীম লিগের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ। তিনি দেশটির ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (৩ মার্চ) পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট হয়। নির্বাচনে পিএমএল-এনের প্রার্থী শাহবাজ ২০১ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থী ওমর আইয়ুব ৯২ ভোট পেয়েছেন। খবর জিও নিউজ ও দ্য ডনের। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়। নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৫ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছে। তবে এই নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ জন্য জোট সরকার গঠন করতে শুরু থেকেই পিপিপি ও অন্য সমমনা দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন পিএমএল-এন নেতারা। একপর্যায়ে ৬টি দলের একটি জোট গঠন করে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। তাই নির্বাচনে জয়ী পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দেন। মূলত জাতীয় পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ভাগ পেতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয় পিটিআই। নির্বাচন-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়েও পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বারবার নওয়াজ শরিফে নাম উঠে আসছিল। তবে নির্বাচনের পরে হঠাৎ করে এই দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে ছোট ভাই শাহবাজ শরিফের নাম ঘোষণা করেন নওয়াজ। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খানের জোট সরকার বিদায় নিলে শাহবাজের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে। ওই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এবারও পাকিস্তানে এই ধরনের একটি জোট সরকার গঠন হতে যাচ্ছে। জাতীয় পরিষদে হট্টগোল রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট হয়। ভোট উপলক্ষে সকাল গড়াতেই একে একে পার্লামেন্ট ভবনে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্যরা। এরপর জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় কারাবন্দি ইমরান খানের দল পিটিআই এবং পিএমএল-এন ও জোটের শরিক দলের এমপিরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাদের এই পাল্টাপাল্টি স্লোগানে জাতীয় পরিষদে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) সংসদ সদস্যরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পরিষদ থেকে ওয়াক আউট করেন। বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) মেঙ্গালের আখতার মেঙ্গল প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন বর্জন করেছেন। তিনি জাতীয় পরিষদে অবস্থান করলেও ভোট দেননি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৯ মার্চ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইসিপি থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন জাতীয় পরিষদের সদস্যরা দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মাহমুদ খান আচাকজাইয়ের নাম ঘোষণা করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি)। শনিবার (২ মার্চ) তাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। মাহমুদ খান পশতুনখোয়া মিলি আওয়ামী পার্টির (পিকেএমএপি) প্রধান। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ সাংবিধানিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আসিফ আলি পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যৌথ প্রার্থী।
০৩ মার্চ, ২০২৪

ইমরানের সাজা স্থগিত নিয়ে যা বললেন শাহবাজ শরিফ
ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কর্তৃক পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের সাজা স্থগিতের ঘটনায় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের সমালোচনা করেছেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আজ মঙ্গলবার তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানের সাজা স্থগিত করে বহুল প্রত্যাশিত রায় দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুখ ও বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। হাইকোর্টের এই রায় পিটিআইয়ের জন্য বড় ধরেনর আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ রায়ের আগে গত ২৩ আগস্ট পৃথক আরেক শুনানিতে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) উমর আতা বন্দিয়াল বলেছিলেন, তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে রায় দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। ইমরান খানের সাজা স্থগিতের রায়ের পর এক এক্সবার্তায় (সাবেক টুইটার) শাহবাজ শরিফ বলেন, পিটিআইপ্রধানের প্রতি সুপ্রিম কোর্টের যে ‘পক্ষপাতিত্ব’ সেটা দ্বারা ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রভাবিত হয়েছে। ইমরানের বিরুদ্ধে সাজা স্থগিত হয়েছে, বাতিল নয়। তিনি আরও বলেন, বিচার ব্যবস্থার এই ভূমিকা ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে লিখিত থাকবে। বিচারের দাঁড়িপাল্লা একদিকে ঝুঁকছে। যে বিচার ব্যবস্থা ন্যায়বিচার ক্ষুণ্ন করে, তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। পিএমএল-এন জোটের এই নেতা আরও বলেন, যারা রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী বেচে দেয়, তাদের কাছে আইন অসহায়। চোর ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের সহায়তা করা হলে দেশে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার কোথায় পাবে? তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে অ্যাটক কারাগারে বন্দি আছেন ইমরান খান। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার সাজা স্থগিত হলেও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলার শুনানির জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশেষ আদালত তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। গোপন তারবার্তার মামলায় আগামীকাল বুধবার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাইফার বা তারবার্তায় একটি কূটনৈতিক নথি ছিল। ইমরান খানের দাবি, তিনি এই তারবার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন। পিটিআইয়ের অভিযোগ, ওই তারবার্তায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সম্মিলিত বার্তা ছিল। এই একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও বিচারকাজ চলছে। সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন ইমরান খান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
২৯ আগস্ট, ২০২৩

সেনাবাহিনীর সমর্থন ছাড়া সরকার পরিচালনা সম্ভব নয় : শাহবাজ শরিফ
সেনাবাহিনীর সমর্থন ছাড়া পাকিস্তানে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গত বৃহস্পতিবার দেশটির জিও নিউজে হামিদ মিরের সঞ্চালনায় ক্যাপিটাল টক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তার সরকারও সেনাবাহিনীর সমর্থন ছাড়া চলতে পারত না। সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে হামিদ মির তার কাছে জানতে চান ‘পাকিস্তানকে হাইব্রিড শাসনের অন্যতম উদাহরণ হিসেবে ধরা হয়, বিষয়টি নিয়ে তার মতামত কী?’ জবাবে শাহবাজ বলেন, ‘দেখুন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাওজার ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল ছিলেন। ইমরান খান তার সময়ে সেনাবাহিনী থেকে নানা ধরনের সমর্থন ও সহায়তা পেয়েছেন। আসলে সব সরকারেরই সেনা সমর্থনের দরকার হয়।’ ক্যাপিটাল টক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানান, তার ভাই ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পরপর তিনি লন্ডন সফর করবেন। দেখা করবেন বড় ভাই নওয়াজের সঙ্গে। শাহবাজ শরিফ বলেন, আশা করছি আগামী মাসে নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরতে পারেন। দেশে ফিরলে তাকে (নওয়াজ) আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে। এর আগে, সাংবাদিক আম্মার মাসুদকে দেওয়া একটি পৃথক সাক্ষাৎকারে দ্য ইন্টারসেপ্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে পাঠানো গোপন বার্তার বিষয়টি যদি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়ে থাকে আর তা যদি সত্য বলে প্রমাণিত হয় তবে তা হবে ‘বিশাল অপরাধ’। ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার বিষয়টিও ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।
১২ আগস্ট, ২০২৩
X