শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
গজারিয়া গণহত্যা / এক বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিশোধের গল্প
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ। রমনা রেসকোর্স ময়দানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে বক্তব্য অনুপ্রাণিত করেছিল দেশের মানুষকে। ব্যতিক্রম ঘটেনি আব্দুল খালেক আলোর সঙ্গেও। অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তিনিও। শেষ পর্যন্ত সেই বক্তব্য আব্দুল খালেককে যুদ্ধের মাঠে ডেকে নিয়েছিল। ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার পর স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে নিজ গ্রামে গিয়ে লড়াইয়ের জন্য স্থানীয়দের জড়ো করতে শুরু করেন তিনি। মার্চ মাসের শেষের দিকে গ্রামে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক। সে সময় তার ডাকে সারা দিয়েছিলেন অনেকেই। যুদ্ধক্ষেত্রে অপারেশনের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি।  এ সময় তিনি ‘আলোর দিশারী’ নামে একটি স্কুল গড়ে তোলেন এবং  ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করেন। যেখানে লড়াইয়ে যোগ দিতে ইচ্ছুক এমন ২০০ জনেরও বেশি যুবক ও বয়স্ক লোক জড়ো হয়েছিলেন।  এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের জন্য মানসিকভাবে উৎসাহ দেওয়া। এ ছাড়া অস্ত্র সম্পর্কেও প্রাথমিক তথ্য শেখানো হয়েছিল। গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার ওয়ালী উল্লাহ জমাদ্দার ছিলেন তাদের প্রধান প্রশিক্ষক।  আলোর সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বড় ভাই আব্দুর রউফ (যিনি তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন)। তাদের সঙ্গে মে মাসের প্রথম দিকেই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে তাদের ওপর হঠাৎ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হামলা হয়। গজারিয়ার তৎকালীন শান্তি কমিটির সদস্য খোকা চৌধুরী এবং এলাকার চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহফুজুল্লাহ তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে রিপোর্ট করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ৯ মে গজারিয়ায় হামলা চালানো হয়েছিল। সেদিন সকাল ৬টার মধ্যেই সোনালি মার্কেট এলাকায় রাস্তার ওপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ছাত্র-কৃষক, মুক্তিযোদ্ধাসহ ১১০ জনকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে পাকিস্তানিরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত আক্রান্ত গ্রামগুলোকে থেকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয় মোট ৩৬০ জনকে। কাফনের কাপড়ের অভাবে কলাপাতা আর পুরোনো কাপড় পেঁচিয়ে নিহত স্বজনদের ১০টি গণকবরে দাফন করেছিলেন গ্রামবাসী। তবে পাকিস্তানি বাহিনী ওই দিন শুধু নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। সমানতালে ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ গ্রামবাসীদের অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেছিল।  তবে তাদের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আলো এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘আলোর দিশারী স্কুল’। ওই এলাকার রাজাকার কালু মিয়া পাকিস্তানি বাহিনীকে সরাসরি স্কুলে নিয়ে গিয়েছিল। হামলায় গজারিয়া, নয়ানগর এবং গোসাইরচর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই এলাকাগুলোর প্রতিটি বাড়িতেই সেদিন অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু শান্তি কমিটির সদস্যদের কোনো ক্ষতি হয়নি। যখন সামরিক বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়, গ্রামবাসী আবদুল খালেকের কাছে জানতে চেয়েছিল তারা কোথায় লুকাবে। পাকিস্তানি সেনারা সাঁতার কাটতে পারে না বলে তাদের নিকটবর্তী নদীর চরে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু বিপদের মুখে আব্দুল খালেক ভুলে গিয়েছিলেন হানাদার বাহিনীরা স্পিডবোটে এসেছে। আবদুল খালেকের সেই পরামর্শ মতে নদীর চরে যান গ্রামবাসীরা। যার ফলে সেই চরে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে অনেক গ্রামবাসী প্রাণ হারায়। শুধু গ্রামবাসী না, ওই দিন প্রাণ হারান তার ছোট ভাই মোয়াজ্জেমসহ তার পাঁচ চাচাতো ভাই ও চাচা।  চরে গিয়ে পাক বাহিনী যখন নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছিল, তখন হতবাক হয়ে যান আব্দুল খালেক। তবে তাৎক্ষণিক একটি পরিকল্পনা তাকে আশার সঞ্চার করে। তিনি দৌড়ে যান গ্রামেরই অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের বাড়িতে। আব্দুল খালেক তাকে বলেন, ‘আপনার বন্দুকটি আমাকে দেন। আমি শুধু একটি গুলি করতে চাই, শত্রুপক্ষকে জানাতে চাই আমরা এদিকে অবস্থান করছি এবং গুলি চালাচ্ছি’। এই পরিকল্পনার কারণ ছিল অন্তত একটি গুলি করতে পারলেও পাকিস্তানিরা গুলির শব্দের উৎসের দিকে মনোযোগ দেবে। এতে অন্তত আধা ঘণ্টা সময় পেতেন গ্রামবাসীরা। যে সময়ের মধ্যে তারা নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু সেদিন ওই ব্যক্তি বন্দুকটি দেননি। নিরুপায় হয়ে খালের পানির কচুরিপানার নিচে আত্মগোপন করেন আব্দুল খালেক।  এ ঘটনার পরে সবাই সন্দেহ করেছিল আবদুল খালেককে। সবাই শুধু ফলাফল দেখেছিল, কিন্তু আব্দুল খালেকের পরামর্শের পেছনের যুক্তি-বিবেচনা সেদিন কেউ করেনি। সেদিন তার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কেউ দেখতে আসেনি।  এ ঘটনায় সব থেকে বেশি ব্যথিত হয়েছিলেন আব্দুল খালেক। এ বিষয়ে আব্দুল খালেক আলো বলেন, ‘একজন নেতা কখন মারা যায় জানেন? যখন তার লোকরাই তাকে এবং তার সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ করে। আমি খুব অসহায় বোধ করতাম কিন্তু তাদের অনুভূতি বুঝতে পারতাম তাই চুপ করে থাকতাম।’ এ সময় আমার মা একটি কথাই বললেন, ‘বাবারে তুই যুদ্ধে চলে যা। যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করতে হবে। প্রয়োজন হলে আমিও যুদ্ধে যাব।’ যুদ্ধ এবং প্রতিশোধ আব্দুল খালেক আশাহত হয়েছিলেন বটে, হয়েছিলেন নিরাশও। তবে ঘটনা এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। কারণ মানসিকভাবে ভীষণ দৃঢ় ছিলেন তিনি। ঘটনার দুদিন পরেই বড় ভাই রউফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে যান তিনি। জুনের মাঝামাঝি ভারতের আগরতলায় পৌঁছান তিনি। মেজর হায়দারের নেতৃত্বে সেক্টর ২-এ যোগদানের আগে মেলাঘর ক্যাম্পে এবং পরে তোফাজল হোসেনের অধীনে হাতিমারায় প্রশিক্ষণ শুরু করেন তিনি। পরে গজারিয়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিয়োগ করা হয় আবদুল খালেককে। ১৩ আগস্ট তিনি নিজ গ্রামে ফিরে আসেন, প্রতিশোধের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে । আবদুল খালেক বলেন, ১৪ আগস্ট ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস, তাই আমি গ্রেনেড দিয়ে গেরিলা হামলা চালিয়ে তাদের উদযাপন নষ্ট করার পরিকল্পনা করেছিলাম। তার ভাষ্য, ‘পাকিস্তানিরা আমাদের গ্রামের অনেক পুরুষ, আমার ভাই, আমার চাচা ও আত্মীয়কে হত্যা করেছে। তারা অন্তত আটজন নারী ও শিশুকে ধর্ষণ করেছে। এমনকি মসজিদের ভেতরও তারা এটা (ধর্ষণ) করেছে।’ যেহেতু আমাদের গ্রামটি নদী তীরবর্তী ছিল, তাই গেরিলারা পাকিস্তানিদের ওপর ভালোভাবে হামলা করতে পেরেছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিক একের পর এক আক্রমণ অব্যাহত রাখি।’ ‘এরইমধ্যে নভেম্বরের শেষ দিকে শান্তি কমিটির সদস্য খোকা চৌধুরীকে ধরতে সক্ষম হন মুক্তিযোদ্ধারা। তারপ্রতি সবাই এতটাই ক্ষুব্ধ ছিল যে তাকে ৮৩ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল,’ বলেন আবদুল খালেক। শান্তি কমিটির অন্যান্য সদস্য ছিলেন- শামসুদ্দিন, শ্যাম চৌধুরী, গফুর চৌধুরী এবং সৈয়দ মাহফুজুল্লাহ। খোকা চৌধুরীকে হত্যার পর তাদেরকে আর এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং সেই থেকেই তারা এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন। ১৪ আগস্টের পরেও ক্রমাগত ছোট ছোট গেরিলা দলে ভাগ হয়ে হানাদারদের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের ওপর কঠিন আঘাত হানা হয়। মরণপণ যুদ্ধের পর সেদিন বিকেলে ৬০ জনেরও বেশি সেনা সদস্য মেঘনা নদীর পাশে তৎকালীন গজারিয়া থানায় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।  আরও অর্জন রয়েছে আবদুল খালেকের। তিনি জানিয়েছেন, মুক্ত গজারিয়ায় প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন তিনি। যার ফলে শুধু মুক্তিযোদ্ধারাই নয়, স্থানীয়রাও তাকে অভ্যর্থনা জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। গর্বিত হাসি হেসে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘আমি তখন বুঝতে পারি গজারিয়ার জন্য আমি স্বাধীনতা পেয়েছি, আমার স্বপ্ন পূরণ করেছি এবং আমার সম্মানও ফিরে পেয়েছি।’
৯ ঘণ্টা আগে

পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন-কর্ম থাকবে : ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্ম, চিন্তা-ভাবনা, আদর্শ ও দর্শন বেঁচে থাকবে।  বুধবার (৮ মে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  ‘সোনার বাংলা স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আয়োজিত এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা, গল্প, গান, রচনা, সাহিত্য ও শিল্পকর্মে দরিদ্র্য কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তির গান গেয়েছেন। তারা উভয়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ, উগ্রজাতীয়তাবাদ পরিহার এবং আত্মশুদ্ধির পন্থা অবলম্বন করেছেন।  তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে সারাজীবন আন্দোলন- সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে আমাদেরকে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। মানুষকে ভালোবেসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন, ঠিক তেমনি নিজের জন্য খোঁড়া কবরের সামনে দাড়িয়ে পাকিস্তানি শাসকদের সাথে বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তির ব্যাপারে আপোস করেননি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এভাবেই বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন ও চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে।   প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা ও সাহিত্য কর্মে সমাজের নানা অসংগতি, কুসংস্কার, বৈষম্য, মানুষের কষ্ট, প্রকৃতি, পরিবেশ, মানবপ্রেমসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু এবং রবীন্দ্রনাথ উভয়ই উগ্রজাতীয়তাবাদ বিরোধী ছিলেন। তাঁরা উভয়ই বিশ্বাস করতেন উগ্র জাতীয়তাবাদ সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করে। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও দর্শন সকলের সামনে সবসময় তুলে ধরতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক মূল প্রবন্ধে বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় ও কর্মে অনেক মিল ছিল। বাঙালির ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে আত্মশক্তি অর্জনে উভয়ই সোচ্চার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল কাজগুলো তৎকালীন পূর্ববঙ্গের গ্রাম্যজীবন ও পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন নিয়ে রচিত। তিনি যেমন লেখনীর মাধ্যমে মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন করে সমাজ সংস্কার করতে চেয়েছেন, তেমনি বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় এককভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
০৮ মে, ২০২৪

দাবদাহে দশ শিক্ষার্থীসহ ১৩ জন হাসপাতালে
ফরিদপুরের সালথায় তীব্র দাবদাহে ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।  রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেন। অসুস্থ রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালিন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি।  তিনি আরও বলেন, কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির পিপাসায় ভুগছিলাম। তখন সবারই গলা শুকিয়ে আসছিল। পরে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠান্ডা পানি বের করে তা পান করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি খেয়েন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি। সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন কালবেলাকে বলেন, টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।  সালথা থানার ওসি ফায়েজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ পাননি।  এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী কালবেলাকে জানান, রোববার স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পরলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাননি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখব। একইসঙ্গে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

শেখ হাসিনা বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা : মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।  রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি অডিটরিয়ামে আরিফুর রহমান খান রচিত ‘শেখ হাসিনা মানবিকতার আলোকবর্তিকা’ শীর্ষক গ্ৰন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশেরই প্রধানমন্ত্রী নন, বিশ্বে একজন মানবিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন বিশ্বের দরবারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীন করেছেন কেবল একটি পতাকা ও একটি নতুন ভূখণ্ডের জন্য নয়। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এ দেশ যদি স্বাধীন হয়, তাহলে এ দেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে, মানুষ খেয়ে পড়ে বাঁচবে। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু তার নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানের কাছে মাথা নত করেননি বলেই আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।  আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করলেও তার দুই কন্যা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। আর প্রাণে বেঁচে যান বলেই দেশ বেঁচে যায়। তিনি দেশে ফেরত এসে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে, আবার অনেক লড়াই সংগ্ৰামের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা যদি দেশে ফিরে না আসতেন, তবে এ বিচার হতো না। তিনি শুধু দেশের উন্নয়নই করেন নাই, তিনি এদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন।  অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে কবি আসলাম সানি, লেখক আরিফ উর রহমান খান, ভোরের কণ্ঠের সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমানসহ অনেক বক্তৃতা করেন। 
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

শহীদ শেখ জামালের জন্মদিনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শহীদ শেখ জামালের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওইদিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। পরদিন ১৫ আগস্ট কাক ডাকা ভোরে দিনের প্রথম সূর্য রশ্মি ধানমন্ডি লেকের পানিকে উজ্জ্বল করার আগেই ঘাতকের বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সস্ত্রীক শহীদ হন শেখ জামাল।  শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতবিরোধী স্লোগান মানেই সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি : নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান পাশ কাটিয়ে আজকে দেশ থেকে ইন্ডিয়া আউট, ভারত আউট কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। যারা ভারতবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, ইন্ডিয়া আউট বলছে- তারা আজকে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আউট হয়েছে। তারা পাকিস্তানপন্থি এবং পাকিস্তানের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বুধবার (২৭ মার্চ) বিআইডব্লিউটিএ ভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার এ মাসেও আমরা দেখছি আবারও পানি ঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে যখনই পরাজিত হয়ে যায় এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়- তখনই ভারতবিরোধী স্লোগান শুরু করে। ভারতবিরোধী স্লোগান মানেই তো সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি। এর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দেয়নি। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য লক্ষ লক্ষ মা ও বোনের আত্মত্যাগ নেই। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থাকলে দেশে এগিয়ে যাবে বর্তমান বাস্তবতা সেটি প্রমাণ করে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, ভারত আউট মানেই হলো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আহ্বান জানানো। আমরা তো সে জায়গায় ফিরে যেতে চাই না। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. শরীফ উদ্দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
২৭ মার্চ, ২০২৪

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ
আজ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা সারা দেশে গণহত্যা চালায়। পাকিস্তানিরা তাদের নীলনকশার নাম দেয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’। একই সঙ্গে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে হানাদার বাহিনী। কিন্তু গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।  বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হয়। স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যে কোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু। তৎকালীন ইপিআরের ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। বঙ্গবন্ধু তার ঘোষণায় উল্লেখ করেন, ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও—শেখ মুজিবুর রহমান; ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’ দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বর্ণিল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এদিন ঢাকাসহ সারা দেশে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবস উদযাপন শুরু হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। দিবসটি উপলক্ষে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করবে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে আওয়ামী লীগ, সহযোগী, সমমনা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এদিন সূর্যোদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ভোর ৫টা ৫৬ মিনিট জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। এ ছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।  এদিন সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিনিধিদলে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। সভাটি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় তেজগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
২৬ মার্চ, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। শনিবার (১৬ মার্চ) দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।  এদিকে ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা।  এদিকে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ও সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ১৮ মার্চ সোমবার সকাল তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।   সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে সারা দেশে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
১৬ মার্চ, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ (রোববার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন সকাল সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত হয়ে সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের উদ্দেশ্যে যাত্রা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এতে সভাপতিত্ব করবেন। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়ায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া আবাসিক হল ও হোস্টেলের মসজিদ ও উপাসনালয়ে দোয়া, প্রার্থনা এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া, দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকাল ১০টায় চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। মোট ৩টি গ্রুপে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে : গ্রুপ -ক (প্লে- গ্রুপ থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত),  গ্রুপ -খ (৪র্থ শ্রেণি থেকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত) এবং  গ্রুপ -গ (৮ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত)।  গ্রুপ -ক এর চিত্রাঙ্কণের বিষয় : উন্মুক্ত এবং  গ্রুপ-খ ও গ এর বিষয় : বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ। প্রতিযোগীদের বয়স বা শ্রেণি যাচাইয়ের জন্য স্কুলের মূল পরিচয়পত্র ও পরিচয়পত্রের একটি সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে। কর্তৃপক্ষ ছবি আঁকার কাগজ সরবরাহ করবে। অন্যান্য উপকরণ নিজেদের নিয়ে আসতে হবে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক  গ্রুপে শ্রেষ্ঠ ১০টি হিসেবে মোট ৩০টি পুরস্কার প্রদান করা হবে। প্রতিযোগিতায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকাসমূহের শিশুরা অংশগ্রহণ করতে পারবে।
১৬ মার্চ, ২০২৪

ব্যয় বাড়ল বঙ্গবন্ধু টানেলের
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। মো. মাহমুদুল হোসাইন বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ’ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মেয়াদ ও মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৬ টাকা। কর্ণফুলী টানেলের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের (চবক অংশ) আওতায় পরামর্শক ব্যয় ও ‘জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সিসিজিপি সভায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে এসএমইসি এবং সিওডব্লিউআই-কে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৪ টাকায় নিয়োগের চুক্তি করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ৫ বার বাড়ানো চুক্তির মেয়াদ গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। এদিকে, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (সিএসএডব্লিউএম) প্রপেক্ট’-এর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে ডিভনকন, ডিএসইচভি, একিউইউএ, ইপিসি এবং আইডব্লিউএম-কে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। পরামর্শক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫০ টাকা। এ ছাড়া ‘জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পে নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ২৮ কোটি ৮ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা। প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত মূল সুড়ঙ্গপথের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। দেশের প্রথম নদীর তলদেশের সুড়ঙ্গপথ এটি। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই টানেলে দুটি টিউব বা সুড়ঙ্গ রয়েছে। একটি পথ গেছে নগরের পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্তে। আরেকটি এসেছে আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা প্রান্তে। প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। প্রতিটি প্রস্থে ৩৫ ফুট করে এবং উচ্চতা ১৬ ফুট। প্রতি টিউবে দুটি করে লেন রয়েছে। আর টিউবগুলো অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর তলদেশের ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে (সর্বোচ্চ গভীরতা ১০১ ফুট)। টিউবগুলো একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব ১২ মিটার।
১৪ মার্চ, ২০২৪
X