ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দাবদাহে দশ শিক্ষার্থীসহ ১৩ জন হাসপাতালে

সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : কালবেলা
সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : কালবেলা

ফরিদপুরের সালথায় তীব্র দাবদাহে ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেন।

অসুস্থ রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালিন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির পিপাসায় ভুগছিলাম। তখন সবারই গলা শুকিয়ে আসছিল। পরে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠান্ডা পানি বের করে তা পান করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি খেয়েন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।

সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন কালবেলাকে বলেন, টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।

সালথা থানার ওসি ফায়েজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ পাননি।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী কালবেলাকে জানান, রোববার স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পরলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাননি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখব। একইসঙ্গে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘দেশের ৪০ শতাংশ মাছের চাহিদা পূরণ করছে রাজশাহী’

অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়ার আছে লুকানো স্বাস্থ্যঝুঁকি

সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

চট্টগ্রাম বন্দরের সব প্রবেশমুখে অবরোধের ডাক

মঞ্চ থেকে পড়ে আইসিইউতে ‘মিস জ্যামাইকা’

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পও নরসিংদীতে

প্রশাসনের অনেকে বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করছে : এটিএম আজহার

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে সরকারের চিঠি

বিয়ে করলেন অভিনেত্রী মম

প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস গলফ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

১০

অসহায়দের জন্য বিনামূল্যে গাড়ি সেবা চালু করলেন সেই রায়হান

১১

পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি

১২

সেদিন রাতে ডিবি কার্যালয়ে খাবার মেন্যু কী ছিল, জানালেন সাংবাদিক সোহেল

১৩

বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ২০ হাজারে

১৪

বিএনপির রাজনীতিতে হোন্ডা র‍্যালি নাই-গুন্ডা র‍্যালি নাই : এ্যানি

১৫

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে অদম্য কালবেলা

১৬

রাজধানীর বিজয় সরণিতে মিনিস্টার গ্যালারির যাত্রা শুরু

১৭

মার্কিন চাপে নতি স্বীকার ভারতের

১৮

শীতে ফ্যাশনের নতুন ধরন নিয়ে এলো ভারগো

১৯

অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা

২০
X