জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টা ৪ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে তার প্রতিকৃতিতে এ শ্রদ্ধা জানান তিনি। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। কর্মসসূচি অনুযায়ী এদিন সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা। এ ছাড়াও আগামীকাল ১৮ মার্চ (সোমবার) সকাল তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭ মার্চ, ২০২৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : কাদের
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, রাতারাতি বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বিশ্ব পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা করতে চায় না বাংলাদেশ। ভিন্ন কৌশলে রূপপুরের জন্য বেশকিছু জিনিস আনা হয়েছে যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা না হয়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কী হবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। সবকিছু মিলে ২০২৪ সালে কী রেজাল্ট হচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না। মেট্রোরেলে ভিড় প্রসঙ্গে কাদের বলেন, মেট্রো তো বাংলাদেশ রেলওয়ে না যে যখন তখন বগি বাড়াব। এটা তো একটা প্রযুক্তিগত বিষয়। পৃথিবীর কোথাও ৫ থেকে ৬টির বেশি বগি মেট্রোরেলে নাই। তবে চাহিদা যেহেতু বেড়েছে ১০ মিনিট থেকে ৮ মিনিট পরপর মেট্রো দেওয়া যায় কিনা পরিকল্পনা চলছে।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তামিমের সাক্ষাৎ  
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) একদম হঠাৎ করেই দেখা করেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। এ সময় দেশসেরা এই ক্রিকেটারের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। তামিম গতকাল রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অনেক তারকাই এবার নির্বাচনের লড়াইয়ে নাম লেখাচ্ছেন। তাই এ রকম সময়ে তামিমের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাকে অনেকেই ভাবছেন তামিমের রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিত তবে তামিম নিজেই জানালেন এ রকম কিছু না। দেশের প্রথম সারির এক অনলাইন পোর্টালকে তামিম নিশ্চিত করছেন, এটা একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। যেখানে ক্রিকেট নিয়ে অল্প কিছু কথা হলেও গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় ছিল না। আর রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তো হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। এর আগে এই বছরের ৬ জুলাই সবাইকে অবাক করে দিয়ে একদম হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর অবশ্য তার ক্রিকেটে ফেরাটাও বেশ নাটকীয়। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তামিমের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হয় বিসিবি। যে কারণে মাশরাফি বিন মুর্তজার মাধ্যমে তামিমকে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও তামিম-মাশরাফির উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তামিম। তারপরই আবারও ক্রিকেটে ফিরবেন বলে জানান এই ওপেনার। দুই মাস বিশ্রামে থেকে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে মাঠেও ফিরেছেন তামিম। যদিও এরপর বিশ্বকাপে খেলেননি। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজেও খেলছেন না তিনি।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তামিম
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গনভবনে দেখা করেছেন বাংলাদেশের ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবাল। এ সময় দেশসেরা ওপেনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। প্রায় ৩০ মিনিট মতো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তামিম।  বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের একটি ছবি পোস্ট করেন তামিম।  বিশেষ কোন কারণ ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তামিম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে তামিম লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটা সবসময় আনন্দের।’ সংবাদমাধ্যমকে দেশসেরা ওপেনার জানিয়েছেন, বিশেষ কোনো প্রয়োজনে ছাড়াই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তবে অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও আমার কথা মনে রেখেছেন। আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। অনেক বিষয়েই কথা হয়েছে। ক্রিকেট নিয়েও কিছু কথা হয়েছে। গত জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। তবে পরের দিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে পরিণত করলেও স্কোয়াডে জায়গা পাননি তিনি। পরে একটি ভিডিও বার্তায় অভিযোগ তুলে তামিম জানিয়েছিলেন, নোংরামির মধ্যে থাকতে চান না।  
২৩ নভেম্বর, ২০২৩

জ্যোতিদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। অন্যদিকে ঘরের মাঠে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে যাচ্ছে টিম টাইগ্রেস। পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর পর এবার ওয়ানডে সিরিজও ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশের নারীরা। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের অনবদ্য এই কীর্তির জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশ নারী দলকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। টিম টাইগ্রেসদের পাশাপাশি দলের কোচিং প্যানেল ও কর্মকর্তাদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচ টানা জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় জ্যোতি বাহিনী। শুক্রবার তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারায় টিম টাইগ্রেস। পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৬৭ রানের জবাবে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোওর করে বাংলাদেশ।  হোম অফ ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটিতেই ১২৫ রান তোলেন দুই ওপেনার ফারজানা ও মুর্শিদা। ওয়ানডের ইতিহাসে প্রথম উইকেটে বাংলাদেশের মেয়েদের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম উইকেটে ১১৩ রান করেছিলেন শারমিন আক্তার ও শুকতারা রহমান। পাকিস্তানের ১৬৭ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ পেরিয়েছে ২৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে। টাইগ্রেসদের হয়ে ফারজানা ৬২, মুর্শিদা ৫৪, নিগার সুলতানা জ্যোতি ১৮ ও সোবহানা মোস্তারি ১৯ রান করেন।  
১১ নভেম্বর, ২০২৩

সংসদে নিন্দা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা / ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু এখানে (ফিলিস্তিনে) প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ড, যুদ্ধ আমরা চাই না। এটা বন্ধ করতে হবে। আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) সংসদে উত্থাপিত ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে ফিলিস্তিনের ন্যায্য দাবি যেন মেনে নেওয়া হয়। তাদের রাষ্ট্র যেন তারা ফেরত পায়। সেটাই আমরা চাই। এ সময় ফিলিস্তিনে সেবাখাত খুলে দেওয়ারও জোর দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব তোলেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মাহমুদ আলীর প্রস্তাবটি ছিল সংসদের অভিমত এই, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত নৃশংস গণহত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মানবাধিকারের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এই সংসদ ফিলিস্তিনে মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বের সকল বিবেকবান জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কার্যকরভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এ প্রস্তাবটি সংসদে তোলা হলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। ফিলিস্তিনে নারী ও শিশু সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সেখানে কী অবস্থা? আমরা মানবাধিকারের কথা শুনি। অনেক কিছু শুনি। আমাদের প্যালেস্টাইনের জনগণ যে অমানবিক জীবনযাপন করছে। সেখানে হাসপাতালকে নিরাপদ মনে করে মা তাদের সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী এয়ার অ্যাটাক করে। বোম্বিং করে। নারী-শিশুকে হত্যা করে। একটা জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। এর নিন্দার ভাষা নেই। হাসপাতালের মতো জায়গায় তা কী করে হামলা করতে পারলো? মানুষ হত্যা করতে পারল? অতীতের হামলার ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগেও কিন্তু এভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। নারী-শিশু, অন্তঃসত্ত্বা হত্যা করেছে। শিশুরা বড় হলে না কি যোদ্ধা হয়ে যায় তাই তাদের হত্যা। আমি যখন যে ফোরামে গেছি এসব হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছি। এই ধরনের ঘটনা আমরা কখনো মেনে নিতে পারি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটতে প্রতিবাদ করা একজন মানুষ হিসেবে মা হিসেবে প্রতিবাদ করা আমাদের দায়িত্ব। এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধ আমরা চাই না। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে রয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে ওষুধ, খাদ্য ও নারী-শিশুদের জন্য পণ্যসামগ্রী পাঠিয়েছি। কিন্তু সেটা সেটা ওখানে পৌঁছানোর সুযোগ নেই। আমরা মিসরে পাঠিয়েছি। তারা গ্রহণ করেছে। সেখান থেকে পৌঁছে দেবে। সব থেকে দুর্ভাগ্য যে সেখানে খাবার ওষুধ, কোনো কিছুই দিতে দিচ্ছে না। চারদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বন্ধ করে রেখেছে। এটা কোনো ধরনের কথা! যে কোনো যুদ্ধে নারী শিশু ও হাসপাতালের ওপর এভাবে হামলা হয় না। খাবার বন্ধ হয় না। কিন্তু আজকে সেখানে খাবার-পানি সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে অমানবিক যন্ত্রণা দেয়া হচ্ছে। সেখানে মানুষ হাহাকার করছে। বাংলাদেশে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের সাথে আলোচনা করেছি। কীভাবে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। ব্রাসেলস সফরে গিয়ে আমার ভাষণে এই বিষয়টি তুলেছি। সেখানে ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখানে আমি বলেছি, আপনারা আর যাই করেন যুদ্ধ বন্ধ করেন। যুদ্ধ মানুষের মঙ্গল আনে না। অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করেন। অস্ত্র প্রতিযোগিতা মানুষের ধ্বংস ডেকে আনে। নারী-শিশুদের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। অস্ত্র প্রতিযোগিতার টাকা শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসায় ব্যয় করেন। তাহলে বিশ্বের মানুষের কষ্ট থাকবে না। সকলেই আমরা বক্তব্যটা গ্রহণ করা হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু এখানে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনির আগে অনেক জায়গা ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বড় দেশ ছিল, ধীরে ধীরে তা দখল করতে করতে এখন ক্ষুদ্র একটি অংশ তাদের। তারপরও একটি প্রস্তুাব ছিল টু স্টেট ফর্মুলা। এটাও তারা মানছে না। আমাদের কথা হচ্ছে ফিলিস্তিনের ন্যায্য দাবি যেন মেনে নেওয়া হয়। তাদের রাষ্ট্র যেন তারা ফেরত পায়। সেটা আমরা চাই। সেবাটা খুলে দেওয়া উচিত। শিশুদের এভাবে কষ্ট দেওয়া এটা কখনোই গ্রহণ করতে পারি না। এর আগে প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রমুখ।
৩০ অক্টোবর, ২০২৩

আপনাদের পাশে আছি, থাকব : মমতাজ
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা কথাই বলেন- আমরা বাঙালি। আমরা বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার দেশ হল বাংলাদেশ। ধর্ম নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি নেই। কিন্তু ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তাই আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ঝিটকা বাজার দুর্গা মন্দির পরিদর্শন শেষে মন্দিরের সভাপতি নরেশ সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে মমতাজ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ছাত্রদল পূজার সময় মণ্ডপে মণ্ডপে চাঁদাবাজি করেছে। আর এখন আমাদের ছাত্রলীগের ছেলেরা মণ্ডপে পাহারা দেয়। শুধু ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সকলেই যার যার জায়গা থেকে এই শারদীয় দুর্গা উৎসবে অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দিয়েছে। এর ফলে এ বছর সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গা উৎসব পালন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে এমপি বানালেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়া হবে। তাই আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনবেন। পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিম খান, থানা ওসি সুমন কুমার আদিত্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু, সাধারণ মানুষ দেওয়ান আব্দুর রব, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি নরেশ দাস, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি দিলীপ রায়, সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদসহ জেলা, উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাকা ছাড়লেন ইমানুয়েল মাখোঁ
দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। সোমবার দুপুর ২টা ৪৮ মিনেটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্যারিসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।  বিমানবন্দরে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।  গতকাল রোববার রাতে দিল্লি থেকে ঢাকায় আসেন ইমানুয়েল মাখোঁ। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। ঢাকা ও প্যারিসের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। অবকাঠামো, স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সমঝোতা স্মারক দুটি হলো— ১. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ফ্রান্সের ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (এফডিএ) মধ্যে ‘ইমপ্রুভিং আরবান গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোগ্রাম’ বিষয়ে একটি ক্রেডিট-সুবিধা চুক্তি। ২. বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএএসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-সম্পর্কিত সহযোগিতার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)। এর আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে আলোচনা করেন তারা। এদিন সকালে ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ইমানুয়েল মাখোঁ সকালে সেখানে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। ৩৩ বছর পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরে আসেন। এর আগে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরা ঢাকা সফর করেছিলেন।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী সৌদি যুবরাজ
বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সৌদির প্রিন্স সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এ সময় তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। যুবরাজ সালমান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। বৈঠকে সালমান বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তার পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে সৌদি বিনিয়োগকারীদের চলমান বিনিয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন যুবরাজ সালমান। তিনি বলেন, প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি তাদের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সৌদির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বৈঠকে শেখ হাসিনা সৌদির বেশ কয়েকটি সামাজিক সংস্কার শুরু করা এবং সাম্প্রতিক সময়ে অসংখ্য কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করায় যুবরাজ সালমানকে অভিনন্দন জানান।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X